আঁইশবিহীন যে কোন মাছ খাওয়া একদম চলবে না

আঁশবিহীন যে কোন মাছ খাওয়া একদম চলবে না ।
যেহেতু পবিত্র ইমাম (আঃ) গনের সুস্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা রয়েছে সেহেতু আঁশবিহীন যে কোন মাছ সম্পূর্নরুপে পরিহার করে থাকেন ।

পঞ্চম ইমাম মোহাম্মাদ বাকের (আঃ) বলেন যে ,
” — আঁশওয়ালা যে কোন মাছ খাও এবং আঁশবিহীন যে কোন মাছ খেও না — ” ।
সূত্র – আল কোলাইনী , আল কাফি , খন্ড – ৬ , পৃ – ২১৯ ।

এবার জেনে নিন আঁশবিহীন মাছ নিষিদ্বের বৈজ্ঞানিক কারন সমূহ —

১) –
আঁশ মাছের শরীরের ফিজিওলজিকাল ব্যারিয়ার হিসেবে কাজ করে , যা পানিতে থাকা নানারকম ব্যাক্টেরিয়া আর অনুজীবকে মাছের শরীরে ঢুকতে বাধা দেয় ।
তাই , স্বাভাবিকভাবেই যে মাছের আঁশ নেই তার শরীরে নানা রকম ক্ষতিকর অনুজীব থাকে ।
উদাহরণস্বরুপ , Diphyllobothrium নামক ফিতা ক্রিমির কথা বলা যায় , যেটা কেবল আঁশবিহীন মাছেই পাওয়া যায় ।
বলা বাহুল্য , শুকরের মাংসেও কিন্ত মানব শরীরের জন্য ক্ষতিকর নানারকম জীবাণু আর tapeworm থাকে ।

২) –
আঁশবিহীন মাছ কিন্ত প্রচুর বাজে জিনিষ খায় ।
শুকর যেমন মল খায় , আঁশবিহীন মাছ যেমন পাংগাস , আইর , বোয়াল , টেংরা , পাবদা , মাগুর , শিং ইত্যাদি আঁশবিহীন মাছ দেদারসে মল খেয়ে থাকে ।
সচেতন বুদ্বিমান মানুষ যে কিভাবে এসব মাছ খায় !!!

৩) –
সমুদ্র কিংবা নদীতে মিশে যাওয়া কারখানার বর্জ্য কিন্ত আঁশবিহীন মাছেরাই বেশি খেয়ে থাকে । সুতারাং আঁশবিহীন মাছ খেলে আপনি বিনামূল্যে কলকারখানার রাসায়ানিক বিষাক্ত ভিটামিন পাচ্ছেন !!!

৪) –
সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে , আঁশবিহীন মাছের শরীরে মারকারি (পারদ) এর মাত্রা অনেক বেশী , যা মানুষের শরীরে ঢুকলে মারাত্বক স্বাস্থ্যঝুকি তৈরি হতে পারে । পশ্চিমা বিশ্বের লোকেরা ইতিমধ্যেই আঁশবিহীন মাছ খাওয়ার ব্যাপারে জনসচেতনতা গড়ে তুলতে শুরু করেছে ।

৫) –
এছাড়াও সম্প্রতি একজন প্রাণী বিজ্ঞানী পরীক্ষা করে দেখেছেন যে , আঁশওয়ালা মাছের পাকস্থলীর সাথে আঁশবিহীন মাছের পাকস্থলীর অনেক পার্থক্য রয়েছে ।
আঁশওয়ালা মাছ যদি কোন প্রকার নাপাক বা ক্ষতিকর কিছু খেয়ে থাকে তাহলে তাদের পাকস্থলী হজমের সময় এসব বস্তুকে পরিপূর্ণভাবে ভিন্ন বস্তুতে রূপান্তরিত করে এর থেকে খাদ্য উপাদান সমূহকে আলাদা আলাদা করতে সক্ষম , যার ফলে এ ধরনের মাছের রক্ত ও মাংসে এসব নাপাক বা ক্ষতিকর বস্তু মেশে না ।

পক্ষান্তরে আঁশবিহীন মাছ নাপাক ও ক্ষতিকর কোন কিছু খেলে তাদের পাকস্থলী এসব নাপাক ও ক্ষতিকর বস্তুগুলোকে অনেকটা অপরিবর্তিত অবস্থায় এদের রক্ত ও মাংসে মিশিয়ে দেয় , যার ফলে মানুষ এসব মাছ খেলে মানুষের শরীরে সরাসরি এসব নাপাক ও ক্ষতিকর বস্তুগুলো ঢুকে যায় ।

১৪০০ বছর পূর্বে আঁশবিহীন মাছ খাওয়ার ব্যাপারে এই জাতীয় নিষেধাজ্ঞা থাকার পরেও আমরা বনু সকীফার মুসলমানগন অবলীলাক্রমে আঁশবিহীন মাছ বেশ মজা করে ভক্ষন করে চলেছি ।
রাসুল (সাঃ) এর পবিত্র আহলে বায়েতের বারজন ইমাম (আঃ) গন ১৪০০ বছর আগে নিষেধ করার পরও মানব শরীরের জন্য ক্ষতিকর আঁশবিহীন মাছ খাওয়ার লোভ সংবরন করতে পারছি না ।

খ্রীষ্টানদের বাইবেল কি বলে –

” — সমুদ্রে বা নদীর জলের অভ্যন্তরে বিচরনশীল যে কোন মাছ , যে মাছগুলোর আঁশ আছে , সে মাছগুলো তুমি ভক্ষন করতে পার । কিন্ত সমুদ্রে ও নদীর জলের অভ্যন্তরে থাকা পরীক্ষার অনুপযোগী যে মাছগুলোর আঁশ নেই সে মাছগুলো তুমি কখনই খাবে না । আঁশবিহীন মাছ যে মাছগুলি পরীক্ষার অনুপযোগী ও অস্বাস্থ্যকর সে মাছগুলি তোমার খাওয়া ঠিক নয় এবং আঁশবিহীন সে সমস্ত মাছের মাংস খাওয়া ঠিক নয় — ” ।
সূত্র – ১১ঃ ৯ – ১২ , বাইবেল ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.