নবী করীম (সা.) বলেন : ‘রোজাদার ব্যক্তির জন্য দু’টি খুশি রয়েছে- একটি হচ্ছে ইফতারের সময় আর অন্যটি রোজাদার ব্যক্তি যখন আল্লাহর সঙ্গে মিলিত হবে তখন সে লাভ করবে।’- আল কাফী, ৪র্থ খণ্ড, পৃ. ৬৫
নবী করীম (সা.) বলেন, ‘খাদ্যের প্রতি আসক্তি থাকা সত্ত্বেও যখন কোন ব্যক্তি রোজা রাখার কারণে খাদ্য গ্রহণ করতে পারে না (অর্থাৎ খাদ্য গ্রহণ থেকে বিরত থাকে) নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাআলা এরূপ ব্যক্তির জন্য বেহেশতের খাদ্য সরবরাহ করবেন এবং বেহেশতের পানীয় দ্বারা তাকে পরিতৃপ্ত করবেন। অর্থাৎ রোজা যখন কোন ব্যক্তির পানাহারের জন্য অন্তরায় হয়ে যায় তখন আল্লাহ তাআলা তাকে বেহেশতের খাদ্য ও পানীয় দ্বারা পরিতৃপ্ত করবেন।’- বিহারুল আনওয়ার, ৯৬তম খণ্ড, পৃ. ৩৩১
হযরত আলী (আ.) বলেন, ‘যে খাটো হাতে দেয় (দান করে) তাকে দীর্ঘ হাতে দেওয়া হবে।’- নাহজুল বালাগা, উক্তি নং ২৩২
ভাষ্যকার রাজী বলেন, হযরত আলী (আ.)-এর উক্তির অর্থ হলো, মানুষ তার নিজস্ব সম্পদ হতে পরোপকারের জন্য যে সামান্যতম জিনিস ব্যয় করে তার বিনিময়ে আল্লাহ তাআলা তাকে বিরাট প্রতিদান দিয়ে থাকেন। ‘খাটো’ ও ‘দীর্ঘ’ হাত বলতে এখানে দু’প্রকারের অনুদানকে বুঝানো হয়েছে। হযরত আলী (আ.) বান্দার অনুদান এবং প্রতিপালক আল্লাহ তাআলার অনুদানের মধ্যে পার্থক্য করেছেন। তিনি বান্দার অনুদানকে খাটো হাতের অনুদান’ এবং আল্লাহর অনুদানকে দীর্ঘ হাতের অনুদান বলেছেন। কারণ, আল্লাহর অনুদান সর্বদাই সৃষ্ট জীবের অনুদান অপেক্ষা বিরাট হয়ে থাকে। আল্লাহর দান হচ্ছে যাবতীয় দান-অনুদানের উৎস।
(নিউজলেটার, মার্চ ১৯৯২)