আমাদের খোদা= আল্লাহ
আল্লাহ= এক
আমাদের কেবলা= কাবা
আমাদের ধর্মীয় পুস্তক= পবিত্র কুরআন
আমাদের ধর্ম= ইসলাম
পাঞ্জাতন= ৫ জন
ইমাম= ১২ জন। (প্রত্যেককে ডাকা হবে জামানা ইমামের সাথে= সূরা বনি ইসরাইল- আয়াত ৭১)
নবী= ১লক্ষ ২৪ হাজার
রাসূল=৩১৩ জন। রাসূল অর্থ-বার্তাবাহক, অর্থাৎ যে বা যিনি আল্লাহর বার্তাবহন করেন। (রসুলের দায়িত্ব শুধু সুস্পষ্ট বাণী পৌঁছে দেয়া। সুরা নাহল=৩৫)
““ইবনে মারদুবিয়া (র)……হযরত আবুযার হতে তাঁহার রচিত তাফসীর গ্রন্থে বর্ণনা করিয়াছেন যে, হযরত আবুযার বলেনঃ একদা আমি নবী করীম (সা)-কে জিজ্ঞাসা করিলাম, হে আল্লাহর রাসূল! নবীদের সংখ্যা কত? তিনি বলিলেনঃ এক লক্ষ চব্বিশ হাজার। আরয করিলাম, হে আল্লাহর রাসূল! তাদের মধ্যে কতজন রাসূল ছিলেন? তিনি বলিলেনঃ তিনশত তেরজনের বিরাট একদল। আরয করিলাম তাদের মধ্যে কে প্রথম ছিলেন? তিনি বলিলেনঃ (হযরত) আদম (আ) । আরয করিলাম তিনি কি নবী ও রাসূল উভয়ই ছিলেন? তিনি বলিলেনঃ হ্যাঁ আল্লাহ তাঁহাকে স্বীয় কুদরতে সৃষ্টি করিয়াছেন।…”” ==তাফসীর ইবনে কাছীর খন্ড ৩, পৃ: ৩৬২ -৬৩
আল্লাহপাক সৃষ্টির শুরুতে সকল (এক লক্ষ চব্বিশ হাজার) নবীদের রুহুকে ডাকলেন এবং তাদের থেকে নিম্নোক্ত প্রতিশ্রুতী নিলেনঃ
“(সে সময়কেও স্মরণ কর) যখন আল্লাহ নবীদের থেকে প্রতিশ্রুতী নিলেন যে, আমি তোমাদের গ্রন্থ ও হিকমত (প্রজ্ঞা) থেকে যা প্রদান করেছি এরপর তোমাদের নিকট কোন রাসূল আগমন করে যে তোমাদের নিকট যা আছে তা সমর্থন করে তাহলে তোমরা অবশ্যই তার প্রতি বিশ্বাস করবে এবং অবশ্যই তাকে সাহায্য করবে। এবং তিনি বললেন, ‘তোমরা কি স্বীকার করে নিয়েছো এবং এর ওপর আমার প্রতিশ্রুতি গ্রহণ করেছ? তারা (সকলেই) বলল, ‘নিশ্চয়ই আমরা স্বীকার করলাম’; ‘তবে তোমরা (আজকের প্রতিশ্রুতি ও অঙ্গীকারের ব্যাপারে) সাক্ষী থাক। আর তোমাদের সাথে আমিও এক সাক্ষী। সুরা আলে ইমরান=৮১)
হযরত আবু হুরায়রা থেকে বর্ণিত , তিনি বলেন: রাসূল (সা.)-কে জিজ্ঞাসা করা হলো আপনি কখন নবুয়্যত লাভ করেছেন ? তিনি (সা.) বলেন , যখন আদম মাটি ও পানির মাঝে ছিলেন। অর্থাৎ যখন আদমের অস্তিত্ব ছিল না।
[তাফসীরে নুরুল কোরআন , খণ্ড-৩ , পৃ-৩০৫; সহীহ তিরমিযি, (ই , সেন্টার), খণ্ড-৬, হাদীস-৩৫৪৮]
=হে আহলে কিতাবগণ। তোমাদের কাছে আমার রাসুল আগমন করেছেন। কিতাবের যেসব বিষয় তোমরা গোপন করতে, তিনি তার মধ্য থেকে অনেক বিষয় প্রকাশ করেন এবং অনেক বিষয় মার্জনা করেন। তোমাদের কাছে একটি উজ্জ্বল জোতি (নুর) এসেছে এবং একটি সমুজ্জ্বল(নুর) গ্রন্থ (কোরআন)। সুরা মায়েদাহ=১৫)
গাদীরে খুমে রসুল (সা:) বলেনঃ “নিশ্চয়ই আমি তোমাদের মাঝে দুটি ভারী জিনিস রেখে যাচ্ছি একটি হলো আল্লহর কিতাব [কুরআন] {যেটি আল্লাহর নূর} ও অন্যটি আমার রক্তজ বংশধর- আমার পরিবার [আহলে বায়াত] {এটিও আল্লাহর নূর}। যদি তোমরা এ দুটিকে শক্ত করে আকড়ে থাকো তাহলে কোন দিনও পথভ্রষ্ট হবে না, কারণ এ দুটি কখনোই পরস্পর বিচ্ছিন্ন হবে না যতক্ষন পর্যন্ত না তারা আমার কাছে হাউজে [কাউসারে] উপস্থিত হয়। আল-বিদায়াহ্ ওয়ান নিহায়াহ, খন্ড-৫, পৃষ্ঠা- ৩৪৪।
কারবালার শহীদ = ৭২ জন।
মাসুম =নিস্পাপ। যাদেরকে পশুপাখি খায় না বা হত্যা করে না।
মাসুম কারা? নবী, রাসূল ও ইমামগন।
জান্নাতী মহিলা= রসুল (স) বললেন ” সর্বশ্রেষ্ঠ চার জান্নাতি নারী হল: (যাদেরকে কুরআন বাতুল বলে উল্লেখ করেছেন)
১-খাদিজাহ বিনতে খুআইলিদ,
২- ফাতিমাহ্ বিনতে মুহাম্মাদ(সা)= (মহিলাদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ও জান্নাতের নেত্রী)
৩- মারিয়াম বিনতে ইমরান ( ঈসা আর এর মা ) এবং
৪-আসিয়াহ্ বিনতে মুযাহিম ( ফেরাউনের স্ত্রী) ।
শরিয়াত= বিধি নিষেধ/ নিয়ম কানুন। স্বর্গীয় আইন বুঝাতে শরীয়া শব্দটি ব্যবহৃত হয়।
ধর্ম= গুণ/ যা করে (যেমন: কলমের ধর্ম লেখা)। ধর্ম কথার অর্থ ধৃ+মন =ধর্ম ধৃ শব্দের অর্থ ধারন করা…যাহা মন বা অস্তিত্ব কে ধারন করে তাহাই ধর্ম।
উসুলে দ্বীন= ৫ টি। তাওহীদ, আদল। নবুয়্যত, ইমামত, কিয়ামত
ফুরুয়ে দ্বীন= ১০ টি। নামাজ, রোযা, হজ্জ, যাকাত, খুমস, জেহাদ, আমরবিল মারুফ(ন্যায়ের আদেশ), নাহি আনিল মুনকার(অন্যায় থেকে বাধা), তাওয়াল্লা(খোদা, নবী ও রাসূল ও ইমামদের প্রতি ভালবাসা) ও তাবার্রা(খোদা, নবী ও রাসূল ও ইমামদের শত্রুদের প্রতি ঘৃণা করা)