পবিত্র আহলেবায়াতের বারজন ইমাম (আঃ) গণ

পবিত্র আহলেবায়াতের বারজন ইমাম (আঃ) গণ 

পঞ্চম ইমাম বাক্বির (আঃ) তাঁর পিতা থেকে , তিনি ইমাম হোসেন (আঃ) থেকে বর্ননা করেন যে , আমি ও আমার ভাই আমাদের নানা রাসুল (সাঃ) এর সাথে দেখা করতে গিয়েছিলাম । রাসুল (সাঃ) আমাকে তাঁর এক উরুতে এবং ভাই হাসানকে অন্য উরুতে বসালেন । এরপর আমাদের চুমু খেলেন ও বললেন , আমার পিতামাতা তোমাদের দুই সৎকর্মশীল ইমামের জন্য কুরবান হোক । মহান আল্লাহ তোমাদেরকে নির্বাচন করেছেন আমার ও তোমাদের পিতামাতার মাধ্যমে এবং বাছাই করেছেন অপর নয়জনকে তোমারই বংশ থেকে , হে হোসেন । যাদের শেষ জন হবে তাদের ক্বায়েম । আর আল্লাহর কাছে তোমরা সবাই নৈতিক গুনে এবং মর্যাদায় সমান ।

—সূত্র – কামালুদ্দিন , ২৬৯/১২ ।

পর্যালোচনা –

রাসুল (সাঃ) এর অনুমোদিত ইমামগন যাঁরা নেতৃত্ব দেবেন , এ সংখ্যাটি হল বার ।
মহানবী (সাঃ) আরও বলেন , ” তাঁরা সবাই বনী হাশিম থেকে ” ।
এ প্রসংগে ইমাম আলী (আঃ) বলেন , ” নিশ্চয়ই পবিত্র ইমামগন ও ধর্মীয় নেতারা কুরাইশ থেকে । যাঁরা এসেছে বনি হাশিম থেকে এবং বের হয়েছে ফাতিমা (সাঃআঃ) এর বংশ থেকে । ইমামত ও খেলাফত তাঁদের ছাড়া অন্যদের জন্য বৈধ হবে না এবং তাঁরা ছাড়া অন্য খলীফারা যোগ্য নয় ” ।
রাসুল (সাঃ) এর এই হাদিসের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে , ঐ বারজন ইমাম হবেন নবীজী (সাঃ) এর ইতরাত ও আহলে বায়েত থেকে এবং এটি সাহাবাদের মধ্য থেকে খলীফাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয় ।
এটি খুবই স্পষ্ট যে , মহানবী (সাঃ) অত্যন্ত সঠিক ও স্পষ্ট ভাবে তাঁর ওফাতের পরে ইসলামের ভবিষ্যত নেতৃত্ব ও ইমামদের বিষয় কথা বলে গেছেন ।
এ ঘোষনার সূত্রপাত গাদীর এ খুমের ময়দান থেকে হয়েছিল ।
এই প্রসংগে কিছু সংখ্যক গবেষক বলেছেন যে , এই হাদিস উমাইয়া খলীফাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হতে পারে না । কেননা তাদের সংখ্যা বারোর অনেক বেশী । তাদের মধ্যে একমাত্র ওমর ইবনে আব্দুল আজিজ ব্যতীত সকলেই ছিল স্বৈরাচারী । তারা বনি হাশিম থেকেও না , যা মহানবী (সাঃ) এর এ হাদিসের সাথে বৈসাদৃশ্যপূর্ন – ” তারা সবাই বনি হাশিম থেকে ” ।
আবার এই হাদিস বনি আব্বাসের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হতে পারে না , এ কারনে যে , তাদের সংখ্যাও বারোর বেশী ।

” — নিশ্চয়ই আল্লাহ বেছে নিয়েছিলেন আদম ও নূহকে , এবং ইবরাহীমের বংশকে এবং ইমরানের বংশকে সব জাতির উপর —” ।

সুরা – আলে ইমরান / ৩৩ ।

” — নিশ্চয়ই আল্লাহ চান তোমাদের কাছ থেকে সকল অপবিত্রতা দূরে রাখতে , হে আহলে বায়েত এবং তোমাদেরকে পবিত্র করতে পূর্ন পবিত্রকরনের মাধ্যমে — ” ।

সুরা – আহযাব / ৩৩ ।

এখানে হাদিসে কেসার বিষয়টিও জড়িত ।
অতএব মহানবী (সাঃ) এর এই হাদিসটি অবশ্যই পবিত্র বারজন ইমামগনের সাথে সম্পর্কযুক্ত ।
কারন একমাত্র তাঁরাই ছিলেন মহান আল্লাহ কতৃক নির্বাচিত ও পুতঃপবিত্রতার গ্যারান্টিযুক্ত ।

এছাড়াও তাঁরা ছিলেন তাঁদের সময়ের লোকদের মাঝে সবচেয়ে জ্ঞানী , শ্রেষ্ঠ , সম্ভ্রান্ত ও পবিত্রতম ।
তাঁরা ছিলেন মহান বংশধর এবং আল্লাহর কাছে উচ্চতম মর্যাদার অধিকারী । তাঁদের জ্ঞানের উৎস হচ্ছে পিতৃপুরুষদের থেকে উত্তরাধীকার ইলমে লাদুন্নী বা ঐশী জ্ঞান ।

এভাবেই জ্ঞানী , গবেষকগন , চিন্তাবিদগন ও অর্ন্তজ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তিরা তাঁদেরকে চিনে থাকেন ।
হাদীসে সাকালাইন , অন্যান্য হাদিসগ্রন্থ ও পবিত্র কোরআন দ্বারা এটা নিশ্চিত যে , রাসুল (সাঃ) এর আহলে বায়েতের পবিত্র ইমাম (আঃ) এর সংখ্যা বার জন ।

সূত্র – ইয়ানাবিউল মাওয়াদ্দাহ , ২/২৯২ ; নাফাহাত আল- আজাহার ফি খুলাসাতুল আনওয়ার , ২/৩২৮ ।

কোরআনের জ্যোতি ও আহলেবাইত (আঃ) 

মূল লেখক-

সৈয়দ রিযওয়ান হয়দার রিযবী

    অনুবাদকঃ নূরুলহুদা অ্যাসোসিয়েশন     (নাজাফী হাউস ছাত্রবৃন্দ)

শিরোনামঃ           কোরআনের জ্যোতি ও আহলেবাইত (আঃ)

মূল লেখকঃ          সৈয়দ রিযওয়ান হয়দার রিযবী

অনুবাদকঃ     নূরুলহুদা অ্যাসোসিয়েশন (নাজাফী হাউস ছাত্রবৃন্দ)

প্রকাশকালঃ          আরবী – রমযান ১৪৩৪ হিজরী,

ইং- জুলাই ২০১৩, বাং- শ্রাবণ ১৪২০।

প্রকাশকঃ      নূরুলহুদা অ্যাসোসিয়েশন (নাজাফী হাউস ছাত্রবৃন্দ)

যোগাযোগঃ    নূরুলহুদা অ্যাসোসিয়েশন (নাজাফী হাউস ছাত্রবৃন্দ)

মুবাইল মুম্বাইঃ              ০৮০৮০০১৭১১২

আলী রেজা (রানা) (সোমপুর) ৮৯২৭৪৬৯৬৪৫

আসাদ রেজা (কুলিয়া)       ৯০৯৩৫২২৯৩৪

মুশাব্বির খান (চন্ডিপুর)      ৮৯২৭৩০৪৩২০

আবুতালিব গাজী (গোয়ালআটি) ৮১০০৯৩১৬২৪

মূল্যঃ                ২৫ টাকা মাত্র

হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা (সঃ)

প্রঃ(১) হযরত মুহাম্মদ (সঃ)-এর পিতা ও মাতার নাম কী ছিল?

উঃ পিতা হযরত আবদুল্লাহ্‌ এবং মাতা হযরত আমিনা(রহঃ)।

প্রঃ(২) হযরত  মুহাম্মদ  (সঃ) কবে এবং কোথায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন?

উঃ ১৭ই রবিউল আওয়াল, ১লা আম’আল-ফিল মক্কায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন।

প্রঃ(৩) হযরত  মুহাম্মদ (সঃ)-এর নাম কোরআনে কতবার এসেছে?

উঃ পাঁচ বার।

প্রঃ(৪) হযরত  মুহাম্মদ (সঃ)-এর মৃত্যুর সময় তাঁর বয়স কত ছিল?

উঃ ছয় বছর।

প্রঃ(৫) হযরত মুহাম্মদ (সঃ) আসার পূর্বে কোন নবী তাঁর আগমনের খবর দিয়েছিলেন?

উঃ হযরত ঈসা (আঃ)।

প্রঃ(৬) কোন বছর কে আম’আল-হুযন বা দুঃখের বছর বলা হয়?

উঃ যে বছরে হযরত আবুতালিব এবং হযরত খাদিজাতুল’কোবরার মৃত্যু হয়েছিল।

প্রঃ(৭) প্রকাশ্য নব্যুয়ত প্রপ্তির সময় হযরত মুহাম্মদ (সঃ)-এর বয়স কত ছিল?

উঃ চল্লিশ বছর।

প্রঃ(৮) সর্বপ্রথম হযরত মুহাম্মদ (সঃ)-এর নব্যুয়তের সাক্ষী কে দিয়েছিল।

উঃ হযরত আলী ইবনে আবী তালিব (আঃ)।

প্রঃ(৯) হযরত মুহাম্মদ (সঃ)-এর উপর সর্ব প্রথম কোথায় এবং কখন আয়াত অবতীর্ণ হয়েছিল।

উঃ হেরা গুহায় সূরায়ে আলাকের পাঁচটি আয়াত।

প্রঃ(১০) হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কে উম্মি কেন বলা হয়?

উঃ  হযরত ইমাম মুহাম্মদ তক্বী (আঃ) বলেনঃ মুহাম্মদ (সঃ) কে উম্মি এই জন্য বলা হয় যে, তিনি মক্কার বাসিন্দা ছিলেন এবং মক্কাকে উম্মুল কুরা বলা হয়।

প্রঃ(১১) হযরত মুহাম্মমদ (সঃ)-এর কয় জন চাচা ছিলেন এবং কে তাঁর চরম শত্রু ছিল?

উঃ নয় জন চাচা ছিল, এবং আবু লাহাব ও আবু জেহেল চরম শত্রু ছিল।

প্রঃ(১২) হযরত মুহাম্মদ (সঃ)-এর কোন চাচার লাকাব (উপাধি) সাইয়েদুশ’শোহাদা ছিল?

উঃ হযরত হামযা, তিনি ওহদের যুদ্ধে শহীদ হয়েছিলেন।

প্রঃ(১৩) হযরত মুহাম্মদ (সঃ)-এর মুয়াযযিন এবং কবি কে ছিলেন?

উঃ মুয়াযযিন হযরতে বেলাল এবং কবি হলেন হযরত হেসান বিন সাবিত।

প্রঃ(১৪) হিজরতের পরে সর্বপ্রথম তিনি (মুহাম্মদ সঃ) কী কাজ করেছিলেন?

উঃ মসজিদ তৈরী করেছিলেন।

প্রঃ(১৫) হযরত মুহাম্মদ (সঃ) মদীনায় এসে সর্বপ্রথম কার ঘরে প্রবেশ করেছিলেন?

উঃ আবু আইয়ুব আনসারির ঘরে।

প্রঃ(১৬) খান্দক যুদ্ধের অপর নাম কী?

উঃ আহযাব, যে নামে কোরআন মজিদে একটি সূরা অবতীর্ণ হয়েছে।

প্রঃ(১৭) নবী (সঃ)-এর অংশ নেওয়া শেষ যুদ্ধের নাম কী?

উঃ তবুক যুদ্ধ।

প্রঃ(১৮) জেহাদে আকবর ও জেহাদে আছগর কাকে বলে?

উঃ নবী (সঃ)-এর বাণী অনুযায়ী, নিজের নফসের সাথে লড়াই করাকে জিহাদে আকবর এবং শত্রুর সাথে লড়াই করাকে জেহাদে আছগর বলা হয়।

প্রঃ(১৯) মিরাজের ঘটনা কোন সূরায় আছে?

উঃ সূরায়ে ইসরার (ইসরাইল)।

প্রঃ(২০) রমযান মাসের রোযা কবে ওয়াজিব  করা হয়েছে?

উঃ সন ২য় হিজরীর শেষ শাবানে, সেই বছরে প্রথম নামাযে ঈদ পড়া হয়েছিল।

প্রঃ(২১) মুহাম্মদ (সঃ)-এর উপর শেষ আয়াত কোথায় নাযিল হয়েছিল এবং কোন সূরায় আছে?

উঃ গাদীরে খুম নামক স্থানে হযরত আলী (আঃ)-এর ইমামতি ঘোষণার পরে এবং সূরা মায়েদায় আছে।

প্রঃ(২২) মদ কত সনে হারাম হয়েছিল?

উঃ সন চার হিজরীতে।

প্রঃ(২৩) কোন সময় থেকে যোহর, আছর এবং এশার নামায চার রেকাত এবং মগরিবের নামায তিন রেকাত হয়েছিল?

উঃ হিজরতের পূর্বে সকল নামায দুই রেকাত করে ছিল কিন্তু হিজরতের পরে সাত রেকাত নামায বাড়িত হয়ে যায়, সেই কারণে যোহর আসর এবং এশা চার রেকাত এবং মগরিবের নামায তিন রেকাত হয়ে যায়।

প্রঃ(২৪) পর্দার হুকুম কবে এসেছিল এবং কোন সূরায় আছে?

উঃ সন পাঁচ হিজরীতে এবং সূরায়ে নূরে আছে।

প্রঃ(২৫) হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কবে এবং কোথায় এন্তেকাল করেছিলেন।

উঃ ২৮শে সফর ১১ হিজরী, মদিনায়।

প্রঃ(২৬) হযরত মুহাম্মদ (সঃ)-এর ইন্তেকালের সময় তাঁর বয়স কত ছিল?

উঃ তেষট্টী বছর।

প্রঃ(২৭) হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কে, কে গোসল ও কাফন কে দিয়েছিলেন?

উঃ হজরত আলী (আঃ)।

প্রঃ(২৮) হযরত মুহাম্মদ (সঃ)-এর কবর কোথায়?

উঃ মদিনায়, মসজিদু্ননববিতে।

হযরত ফাতেমা যাহেরা (সঃ)

প্রঃ(১) হযরত ফাতেমা যাহেরার পিতা মাতার নাম কী?

উঃ পিতা হযরত মুহাম্মদ (সঃ) মাতা খাদিজাতুল কুবরা।

প্রঃ(২) হযরত ফাতেমা (সঃ) কখন এবং কোথায় জন্মগ্রহণ করেছেন?

উঃ ২০জামাদিউসসানি, ৫ বেসাত মক্কায়।

প্রঃ(৩) হযরত ফাতেমা (সাঃ) কে ফাতেমা কেন বলা হয়?

উঃ  দুটি কারণে (ক) তিনি সকল কুকর্ম হতে পবিত্র ছিলেন।

(খ)তাঁর অনুসারীরা জাহান্নাম হতে পরিত্রাণ প্রাপ্ত।

প্রঃ(৪) হযরত ফাতেম (সঃ) কোন বিষয়ে রসূল (সঃ)-এর সদৃশ ছিলেন?

উঃ কথাবার্তা ও চালচলনে।

প্রঃ(৫) হযরত ফাতেমা (সঃ)-এর বিবাহ হযরত আলী (আঃ)-এর সঙ্গে কবে হয়েছিল?

উঃ ১লা যিলহিজ্জা ২য় হিজরীতে।

প্রঃ(৬) হযরত ফাতেমা (সঃ)-এর কয়টি সন্তান ছিলেন?

উঃ ৫টি ইমাম হাসান (আঃ) ইমাম হুসাইন (আঃ) জনাবে জয়নব(সঃ) জনাবে উম্মে কুলসুম (সঃ) এবং হযরত মহসিন (আঃ)।

প্রঃ(৭) হযরত ফাতেমা (সঃ)-এর দৃষ্টিতে নারীর সর্বশ্রেষ্ট গুন কী?

উঃ তিনি বলেছেনঃ নারীর সর্বশ্রেষ্ট গুণ হল কোন পরপুরুষ তাকে দেখবে না এবং সে কোন পরপুরুষকে দেখবে না।

প্রঃ(৮) হযরত ফাতেমা (সঃ)-এর সেই সেবিকার নাম কী, যিনি ২০বছর যাবত কোরআনের ভাষায় কথা বলেছিলেন?

উঃ জনাবে ফিজ্জা।

প্রঃ(৯) হযরত ফাতেমা (সঃ)-এর শাহাদত কবে ও কোথায় হয়েছে?

উঃ ১৩ই জামদিউল আওয়াল বা ৩রা জামাদিউসসানি ১১ হিজরী, মদিনায়।

প্রঃ(১০) হযরত ফাতেমা (সঃ)-এর শাহাদতের সময় তাঁর বয়স কত ছিল?

উঃ ১৮বছর।

প্রঃ(১১) হযরত আলী (আঃ), ফাতেমা যাহেরা (সঃ)-এর কবর নিশ্চিহ্ন করার জন্য কী করেছিল?

উঃ সাত, নয়, বা চল্লিশটি কবর তৈরী করেছিলেন, যাতে কেউ না বুঝতে পারে।

প্রঃ(১২) হযরত ফাতেমা (সঃ)-এর ক্ববর কোথায়?

উঃ জান্নাতুল বাক্বীতে, রসূলের কবরের পাশে বা মসজিদুন্নববীতে রসূলের ক্ববর ও মেম্বারের মাঝে।

প্রথম ইমাম হযরত আলী (আঃ)

প্রঃ(১) হযরত আলী (আঃ)-এর বিখ্যাত উপাধি কী?

উঃ আমিরুল মোমেনীন।

প্রঃ(২) ইমাম (আঃ)-এর কন্নীয়ত বা পিতৃসূত্র নাম কী?

উঃ আবুল হাসান।

প্রঃ(৩) হযরত আলী (আঃ)-এর পিতা-মাতার নাম কী?

উঃ পিতা-হযরত আবুতালিব এবং মাতা-হযরত ফাতেমা বিনতে আসাদ।

প্রঃ(৪) হযরত আলী (আঃ) কবে এবং কোথায় জন্মগ্রহন করেন?

উঃ নব্যুয়তের ১০ বছর পূর্বে ৩০ আমলফিল ১৩ই রজব ক্বাবা ঘরের ভিতরে।

প্রঃ(৫) যিনি প্রথম মুসলমান এবং যিনি জানের বাজি লাগিয়ে ইসলাম এবং রসূলের সাহায্য করেছিল সে কে ছিল?

উঃ হযরত আলী ইবনে আবিতালিব (আঃ)।

প্রঃ(৬) মহানবী(সঃ)-এর ইন্তেকালের পরে হযরত আলী (আঃ) সর্বপ্রথম কী করেছিলেন?

উঃ সর্বপ্রম তিনি কোরআন এক্ত্রিত করেছিলেন ।

প্রঃ(৭) হযরত আলী (আঃ) কোন ব্যেয়াম বেশী ভালবাসতেন?

উঃ কুস্তি।

প্রঃ(৮) ইসলামে সর্বপ্রথম সেজদায়ে’শুকর কবে এবং কে করেছিলেন?

উঃ হিজরতের রাতে আলী (আঃ) রসুল (সঃ)-এর বিছানায় শুয়ে তিনি সেজদায়ে’শুকর আদায় করেছিলেন।

প্রঃ(৯) হযরত আলী (আঃ) কত বছর প্রকাশ্য খেলাফত হতে দূরে ছিলেন?

উঃ ২৫বছর

প্রঃ(১০) হযরত আলী (আঃ) প্রকাশ্য খেলাফতে কত দিন ছিলেন?

উঃ ৪বছর নয় মাস।

প্রঃ(১১) হযরত আলী (আঃ)-এর খেলাফতের যুগে কয়টি যুদ্ধ হয়েছিল এবং কী কী?

উঃ তিনটি অভ্যান্তরীন যুদ্ধ হয়েছিল।

১)জামালের যুদ্ধ (নাকিসিনের সঙ্গে)

২) সিফফীনের যুদ্ধ (ক্বাসেতিনের সঙ্গে)

৩) নাহরওয়ানের যুদ্ধ (মারেকিনদের সঙ্গে)

প্রঃ(১২) সিফফীনের যুদ্ধ কবে শুরু হয়েছিল এবং কবে শেষ হয়েছিল?

উঃ ৫ম সাওয়াল ৩৬ হিজরীতে শুরু এবং ১৮ মাস পরে শেষ হয়েছিল।

প্রঃ(১৩) জামালের যুদ্ধ কোথায় হয়েছিল এবং বিরোধীদের পথপ্রদর্শক কে ছিল?

উঃ বসরায়, বিরোধীদের পথ প্রদর্শক ছিল হযরত আয়েশা।

প্রঃ(১৪) লাইলাতুল মুরিত কোন রাতকে বলা হয়?

উঃ যে রাতে হযরত আলী (আঃ) রসূল (সঃ)-এর বিছানায় শুয়েছিলেন এবং রসুল (সঃ) কে মদিনার দিকে হিজরত করেছিলেন?

প্রঃ(১৫) নাহজুল বালাগা কবে এবং কে সংকলন করেছিলেন?

উঃ সৈয়দ রাজী চতুর্থ শতাব্দীতে (হিজরীতে)।

প্রঃ(১৬) হযরত আলী (আঃ)-এর গোলামের (সেবকের) নাম কীছিল?

উঃ জনাবে কাম্বার।

প্রঃ(১৭) হযরত আলী (আঃ) কে, কে এবং কোথায় তলোয়ার মেরেছিল?

উঃ ১৯ রমযান ৪০ হিজরীর ফজরের নামাযে আব্দুর রহমান ইবনে মুলজিম (লানাতুল্লাহে আলাইহ) মসজিদে কুফায়।

প্রঃ(১৮) হযরত আলী (আঃ)-এর হত্যাকারীর পুরো নাম কী?

উঃ আব্দুর রহমান ইবনে মুলজিম মুরাদি।

প্রঃ(১৯) সূরা আদিয়াত কার প্রসংসায় নাযিল হয়েছিল?

উঃ হযরত আলী (আঃ)-এর সফলতার জন্য যাতুস সালাসূলের যুদ্ধে ৮হিজরীতে অবতীর্ন হয়েছিল।

প্রঃ(২০) কোন যুদ্ধে হযরত আলী (আঃ)-এর তলোয়ারব ভেঙে গিয়েছিল।

উঃ ওহদের যুদ্ধে।

প্রঃ(২১) ওয়াজিব বা আবশ্যকতা এবং ওয়াজিবতা বা আবশ্যকতা কাকে বলে?
উঃ হযরত আলী (আঃ) বলেনঃ গুনাহ থেকে তওবা করা মানুষের জন্য ওয়াজিব বা আবশ্যক কিন্তু গুনাহ হতে দূরে থাকা ওয়াজিবতা বা আবশ্যকতা বলে।

প্রঃ(২২) হযরত আলী (আঃ)-এর ইমামত কত দিন ছিল?

উঃ ৩০ বছর।

প্রঃ(২৩) হযরত আলী (আঃ)-এর কবর কত দিন অজানা ছিল?

উঃ ১৩০ বছর।

প্রঃ(২৪) হযরত আলী (আঃ)-এর কবর অজানার কারণ কী?

উঃ কারণ- হযরত আলী (আঃ)-এর শত্রু বনী উমাইয়া ও বনীআব্বাস যেন তাঁর কবরের উপর আক্রমণ করে খুড়ে ফেলে ও অসম্মান না করতে পারে।

প্রঃ(২৫) হযরত আলী (আঃ)-এর রওজা কোথায়?

উঃ ইরাক্বের নাজাফ শহরে।

 

দ্বিতীয় ইমাম হযরত হাসান (আঃ)

প্রঃ(১) ইমাম হাসান (আঃ)-এর বিখ্যাত উপাধি কী?

উঃ মুজতাবা ও সিবতে আকবর।

প্রঃ(২) ইমাম হাসান (আঃ)-এর পারিবারিক নাম কী?

উঃ আবু মুহাম্মদ।

প্রঃ(৩) ইমাম হাসান (আঃ) কবে এবং কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?

উঃ ১৫ রমযানুল মুবারক ৩রা হিজরী মদিনা মোনওয়ারা।

প্রঃ(৪) ইমাম হাসান (আঃ)-এর জীবনটি কত অংশে ভাগ করা হয়?

উঃ তিন অংশেঃ (১) রসূল (সঃ)-এর যুগে (২) হযরত আলী (আঃ)-এর যুগে এবং নিজের ইমামতের যুগে।

প্রঃ(৫) ইমাম হাসান (আঃ)-এর ইমামতের সময়কাল  কত দিন ছিল?

উঃ ১০ বছর

প্রঃ(৬) ইমাম হাসান (আঃ) নিজের পিতা হযরত আলী (আঃ)-এর সান্নিধ্যে কত দিন ছিল?

উঃ ৩৭ বছর।

প্রঃ(৭) ইমাম হাসান (আঃ) রসূল (সঃ)-এর সন্নিধ্যে কত বছর ছিলেন?

উঃ ৮বছর

প্রঃ(৮) হযরত আলী (আঃ)-এর শাহাদতের পর ইমাম হাসান (আঃ)-এর যুগে মদিনার শাসক কে ছিল?

উঃ মারওয়ান ইবনে হাকাম।

প্রঃ(৯) ইমাম হাসান (আঃ) কতবার মক্কা থেকে মদীনায় পায়ে হেঁটে গিয়েছিলেন?

উঃ ১২০ বার।

প্রঃ(১০) ইমাম হাসান (আঃ) কে, কত বছর বয়সে কে বিষ দিয়েছিলেন?

উঃ ৪৭বছর বয়সে মুয়াবিয়ার হুকুমে ইমাম (আঃ)-এর স্ত্রী জো’দাহ বিন্তে আশায়াস।

প্রঃ(১১) ইমাম হাসান (আঃ)-এর জানাযায় কয়টি তীর নিক্ষেপ করা হয়ে ছিল?

উঃ ৭০টি।

প্রঃ(১২) ইমাম হাসান (আঃ)-এর শাহাদত কবে এবং কোথায় হয়েছিল?

উঃ ২৮ শে সফর, ৫০ হিজরীতে, মদীনা শহরে।

প্রঃ(১৩) ইমাম হাসান (আঃ)-এর কবর কোথায়?

উঃ জান্নাতুল বাক্বী- মদীনায়।

তৃতীয় ইমাম হযরত হুসায়েন (আঃ)

প্রঃ(১) ইমাম হুসায়েন (আঃ)-এর বিখ্যাত উপাধি কী?

উঃ সাইয়্যেদুশ শোহদা।

প্রঃ(২) ইমাম হুসায়েন (আঃ)-এর পিতৃসূত্র নাম কী?

উঃ আবু আবদিল্লাহ।

প্রঃ(৩) ইমাম হুসায়েন (আঃ) কবে এবং কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?

উঃ ৩রা শাবান, চার হিজরী, মদীনা শহরে।

প্রঃ(৪) ইমাম হুসায়েন (আঃ)-এর জীবন কত ভাগে ভাগ করা হয়?

উঃ চার ভাগেঃ ১) রসূল (সঃ)-এর যুগ ২) হযরত আলী (আঃ)-এর যুগ ৩) ইমাম হাসান (আঃ)-এর যুগ ৪) এবং নিজের ইমামতের যুগ।

প্রঃ(৫)  ইমাম হুসায়েন (আঃ)-এর ইমামতের যুগ কত বছর ছিল?

উঃ  ১০ বছর

প্রঃ(৬)  ইমাম হুসায়েন (আঃ)-এর মুয়াজ্জিনের নাম কী ছিল?

উঃ  হুজ্জাজ ইবনে মাসরুক।

প্রঃ(৭)  ইমাম হুসায়েন (আঃ) আলী (আঃ)-এর সান্নিধ্যে কতদিন ছিলেন?

উঃ  ৩৬ বছর।

প্রঃ(৮)  ইমাম হুসায়েন (আঃ) মদীনা হতে কবে হিজরত করেছিলেন?

উঃ  ২৮শে রজব ৬০ হিজরীতে।

প্রঃ(৯)  ইমাম হুসায়েন (আঃ) কতদিন মক্কায় ছিলেন এবং ইরাকের দিকে কবে রওনা দিয়েছিলেন?

উঃ  ৯৫ দিন মক্কায় ছিলেন এবং ৮ জিলহিজ্জা সন ৬০ হিজরীতে রওনা দিয়েছিলেন।

প্রঃ(১০) কুফাবাসীরা ইমাম হুসায়েন (আঃ) কে কয়টি চিঠি লিখেছিল?

উঃ ১৫০টি (এক বর্ণায় ৭০ টি)।

প্রঃ(১১) জনাবে মুসলিমের সন্তানদের নাম কী?

উঃ ইব্রাহিম ও মুহাম্মদ।

প্রঃ(১২) আশুরার দিনে বনী হাসিমের পরিবারের প্রথম শহীদ কে ছিলেন?

উঃ হযরত আলী আকবর (আঃ) তবে প্রচলিত মত অনুসারে পরে শহীদ হয়েছিল।

প্রঃ(১৩) কারবালায় ৭২ শহীদের মধ্যে বনী হাশীম গোত্রের কতজন ছিলেন?

উঃ ১৮ জন।

প্রঃ(১৪) কারবালায় কোন মহিলা শহীদ হয়েছিলেন?

উঃ জনাবে ওহাবের স্ত্রী হযরত হানিয়াই্‌।

প্রঃ(১৫) ইমাম হুসায়েন (আঃ) কারববালার প্রন্তরে আশুরার দিন যুদ্ধের সময় কোন ওয়াজিব আমল প্রকাশ্যেভব আঞ্জাম দিয়েছিলেন?

উঃ নামাযে যোহর, (সময় নিজের আসহাদের সঙ্গে নামায আদায় করেছিলেন)।

প্রঃ(১৬) আশুরার দিনে কে ইমাম হুসায়েন (আঃ) কে যোহরের সময় নামায পড়ানোর জন্য আবেদন করেছিলেন?

উঃ জনাবে আবু সামামাহ সাইদাবি।

প্রঃ(১৭) কারবালায় ইমাম হুসায়েন (আঃ)-এর শেষ সৈন্য যে শহীদ হয়েছিলেন তিনি কে ছিলেন?

উঃ হযরত আলী আসগর (আঃ)।

প্রঃ(১৮) যিয়ারতে নাহীয়াহ কী?

উঃ সেই যিয়ারত যে ইমামে যমানা থেকে বর্ণিত হয়েছে যাতে সকল শোহাদায়ে কারবালার নাম নিয়ে ইমাম (আঃ) সালাম করেছেন।

প্রঃ(১৯) ইমাম হুসায়েন (আঃ) কবে এবং কোথায় শহীদ হয়েছিলেন?

উঃ ১০ই মুহাররম, ৬১ হিজরী, কারবালায়।

প্রঃ(২০) ইমাম হুসায়েন (আঃ) কত বছর বয়সে শহীদ হয়েছিলেন?

উঃ ৫৭ বছর বয়সে।

প্রঃ(২১) ইমাম হুসায়েন (আঃ)-এর ঘোড়ার নাম কী ছিল?

উঃ মুর্তাযাজ যাকে যুলজানাহও বলা হতো।

প্রঃ(২২) ইমাম হুসায়েন (আঃ)-এর যরিহ্‌তে (রওজাতে) কোন শব্দটি খাঁটি সোনা দিয়ে লেখা হয়েছে?

উঃ আয়াতে নূরের পরে রসূলে ইসলামের এই হাদীস লেখা আছে যে,“হে জাবির হুসায়েন (আঃ)-এর কবরের জিয়ারত কর, কারণ- হুসায়েন (আঃ)-এর যিয়ারত শত (মুস্তাহাব) হ্বজ্জের সমান এবং হুসায়েন (আঃ)-এর কবর জান্নাতের বাগানের একটি বাগান”।

প্রঃ(২৩) জনাবে যয়নব কবে এবং কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?

উঃ ৫ ই জামাদিউল আওয়াল ৫ম বা ৬ষ্ঠ হিজরীতে।

প্রঃ(২৪) ইমাম হুসায়েন (আঃ)-এর শাহাদতের পর তাঁর কবরের সর্বপ্রথম যিয়ারতকারী কে ছিলেন?

উঃ  রসূলে খোদার সাহাবী জনাবে জাবির ইবনে আবদুল্লাহ আনসারী।

প্রঃ(২৫) সেই আব্বাসী খলিফার নাম কী যে ইমাম হুসায়েন (আঃ)-এর রওযা বিরান (খালি) করেছিল এবং ইমামের যিয়ারত করতে বাধা দিত?

উঃ   দশম আব্বাসী খলিফা মুতাওয়াক্কিল।

চতুর্থ ইমাম হযরত যয়নুল আবেদিন (আঃ)

প্রশ্নঃ(১) ইমাম যয়নুল আবেদিন (আঃ)-এর বিখ্যাত উপাধি কী?

উত্তরঃ সাজ্জাদ, যয়নুল আবেদিন (আঃ), সাইয়েদুসসাজেদীন।

প্রঃ(২)  তাঁর পিতা – মাতার নাম কী?

উঃ পিতা ইমাম হোসায়েন (আঃ) এবং মাতা হযরত শ্যাহের বানু।

প্রঃ(৩) ইমাম (আঃ) কবে এবং কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?

উঃ  ১৫ই জামাদিউল আওয়াল, ৩৮হিজরী, মদিনাতে।

প্রঃ(৪) ইমাম (আঃ) নিজের পিতার সঙ্গে কত দিন ছিলেন?

উঃ ২২ বছর ।

প্রঃ(৫) তাঁর ইমামতের সময় কত দিন ছিল?

উঃ ৩৫ বছর।

প্রঃ(৬) তিনি কত বার হ্বজ্জ করেছিলেন?

উঃ ২০ বার কিন্তু নিজ উটকে কোন দিন চাবুকের আঘাত করেননি।

প্রঃ(৭)  ইমাম (আঃ) কোন পাঁচ মানুষের সাথে বন্ধুত্ব করতে নিষেধ করেছেন?

উঃ  ১) ফাসিক ২) কৃপণ ৩) মিথ্যাবাদী ৪) নির্বোধ ৫) আত্মীয় স্বজনের সাথে সর্ম্পক ছিন্নকারী ব্যক্তি।

প্রঃ(৮) ইমামের দোয়া যা জনাবে মুখতারের মাধ্যমে পূর্ণ হয়েছিল তা কী?

উঃ ১) ইবনে যিয়াদের ক্বতল (হত্যা) ২) হুর্মলার ক্বতল এবং তাকে জ্বালানো পোড়ানো।

প্রঃ(৯) ইমাম (আঃ) কোন জিনিসকে পরকালের সফরের প্রস্তুতি বলেছেন?

উঃ ১) গোনাহ্‌ থেকে দুরে থাকা ২) গরীবের সাথে সৎ ব্যবহার করা এবং তাকে সাহায্য করা।

প্রঃ(১০) সাহীফায়ে সাজ্জাদিয়ায় কয়টি দোয়া আছে?

উঃ ৫৭টি দোয়া আছে।

প্রঃ(১১) সাহীফায়ে সাজ্জাদিয়ার অপর নাম কী?

উঃ ‘উখতুল কোরআন’ (কোরাআনের বোন) ইঞ্জীলে আহলে বাইত, যাবুরে আলে মুহাম্মদ।

প্রঃ(১২) কারবালায় যুদ্ধকালীন সময় ইমামের বয়স কত ছিল?

উঃ ২৩ বছর।

প্রঃ(১৩) ইমাম (আঃ) কবে এবং কোথায় শহীদ হয়েছিলেন?

উঃ ১২ বা ২৫ মহরম, ৯৫ হিজরী, মদীনায়।

প্রঃ(১৪) ইমাম (আঃ) কেমন ভাবে এবং কত বছর বয়সে শহীদ হয়েছিলেন?

উঃ ২৫ বছর বয়সে, হিশাম ইবনে আব্দুল মালাক বিষ দিয়েছিল।

প্রঃ(১৫) ইমামের ক্ববর কোথায়?

উঃ মদীনায় জান্নাতুল বাক্কীতে।

পঞ্চম ইমাম হযরত মুহাম্মদ বাক্বির (আঃ)

প্রশ্নঃ(১) ইমাম (আঃ)-এর বিখ্যাত উপাধি এবং পিতৃসূত্র নাম কী?

উত্তরঃ উপাধি বাক্বির, শাকির, হাদী, পিতৃসূত্র নাম আবুজাফর।

প্রঃ(২) ইমাম (আঃ)-এর পিতা-মাতার নাম কী?

উঃ   পিতা ইমাম যয়নুল আবেদিন (আঃ) ও মাতা ফাতেমা বিন্তে ইমাম হাসান (আঃ)।

প্রঃ(৩) কোন ইমামের পিতা মাতা উভয়ই হাশিমী?

উঃ ইমাম বাক্বির (আঃ)-এর পিতা ইমাম সাজ্জাদ (আঃ) আর মাতা ইমাম হাসান (আঃ)-এর কন্যা।

প্রঃ(৪) ইমাম (আঃ) কবে এবং  কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?

উঃ ১লা রজব, ৫৭ হিজরী, মদীনায়।

প্রঃ(৫) ইমাম (আঃ) নিজের পিতার সঙ্গে কত দিন ছিলেন?

উঃ ৩৪ বছর ১৫ দিন।

প্রঃ(৬) ইমাম (আঃ)-এর ইমামতের সময় কত দিন?

উঃ ১৯ বছর ১০ মাস ১২ দিন।

প্রঃ(৭) ইমাম (আঃ)-এর জীবিকা নির্বাহের মাধ্যম কী ছিল?

উঃ চাষাবাদ করা।

প্রঃ(৮) ইমাম (আঃ)-এর ইমামতের সমকালীন যুগে কয়জন উমবী খলীফা ছিল?

উঃ চারজন খলীফা ১) সুলায়মান ইবনে আব্দুল মালাক ২) উমার ইবনে আব্দুল আজিজ ৩) ইয়াজিদ ইবনে আব্দুল মালাক ৪) হিশাম ইবনে আব্দুল মালাক।

প্রঃ(৯) বাকেরুল উলুম-এর অর্থ কী?

উঃ অর্থাৎ প্রথম ও শেষের শিক্ষা (আগাগোড়া) স্পষ্টকারী বা জ্ঞান সম্প্রসারনকারী।

প্রঃ(১০) রসূল (সঃ)-এর কোন সাহাবী ইমামের নিকট রসূলের সালাম পৌছিয়েছিল?

উঃ জনাবে জাবির ইবনে আবদুল্লাহ্‌ আনসারী।

প্রঃ(১১) ইমাম (আঃ)-এর সেই অন্ধ ছাত্রের নাম কী যার জন্য ইমাম দোয়া করেছিল আর চোখ ভাল হয়ে গিয়েছিল?

উঃ আবু বসীর।

প্রঃ(১২) ইমাম (আঃ) কে কত বছর বয়সে কার হুকুমে শহীদ করা হয়েছিল?

উঃ   ৫৭ বছর বয়সে হিশাম ইবনে আবদুল্লার হুকুমে ইমাম (আঃ) কে বিষ দেওয়া হয়েছিল।

প্রঃ(১৩)  ইমাম (আঃ)  কবে এবং কোথায় শহীদ হয়েছিলেন?

উঃ    ৭ই’ যিলহজ্জ, ১১৪ হিজরী মদীনায়।

প্রঃ(১৪)  তাঁর ক্ববর কোথায়?

উঃ  মদীনায়, জান্নাতুল বাক্বীতে।

ষষ্ট ইমাম হযরত জাফ্‌র সাদিক্ব (আঃ)

প্রশ্নঃ(১) ইমাম (আঃ)-এর বিখ্যাত উপাধি ও পিতৃসূত্র নাম কী?

উত্তরঃ   উপাধি সাদিক্ব (আঃ) পিতৃসূত্র নাম আবু আবদুল্লাহ্‌।

প্রঃ(২) ইমাম (আঃ)-এর পিতা মাতার নাম কী?

উঃ   পিতা ইমাম মুহাম্মদ বাক্বির (আঃ) এবং মাতা উম্মে ফারওয়াহ।

প্রঃ(৩) ইমাম (আঃ) কবে এবং কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?

উঃ   ১৭ই রবিউল আওয়াল ৮৩ হিজরী মদীনায়।

প্রঃ(৪)  ইমাম (আঃ)-এর ইমামতের দায়িত্ব কতদিন ছিল?

উঃ   ৩৪ বছর।

প্রঃ(৫) ইমাম (আঃ) কে সাদিক্ব বলার কারণ কী?

উঃ   কারণ এই যে, রসূল (সঃ) বলেছেনঃ “যে ইমাম (আঃ) কে সাদিক্ব বলবে এই কারণে যে তার সপ্তম নাতির নামও জাফ্‌র হবে এবং সে মিথ্যা ইমামমতির দাবী করবে।

প্রঃ(৬) ইমাম (আঃ)-এর একজন ছাত্রের নাম বল যিনি ইমাম হতে কয়েক হাজার হাদীস বর্ণনা করেছেন?

উঃ    যোরারাহ ইবনে আয়ইয়ুন।

প্রঃ(৭) ইমাম (আঃ)-এর একজন সাহাবী নাম বল যিনি ইমাম হতে যিয়ারতে আশুরা, যিয়ারতে আর্বায়ীন আর যিয়ারতে ওয়ারেসা বর্ণনা করেছেন?

উঃ   সাওয়ান ইবনে মেহ্‌রান জামালে আসাদি কুফি।

প্রঃ(৮) ইমাম (আঃ)-এর মতে কোন পাঁচটি জিনিস আছে যেখানে শয়তানের ধোঁকা কাজ করেনা?

উঃ        ১) তার উপরে, যে পবিত্র নিয়তের সাথে আল্লাহ্‌র উপর ভরসা রাখে।

২) যে দিবা-রাত্র তসবীহ্‌ পাঠ করতে থাকে।

৩) যে অন্যের জন্য যা পছন্দ করে তা নিজের জন্যও পছন্দ করে।

৪) যে মুসিবত সহ্য করে।

৫) যে আল্লাহ্‌ প্রদত্ত নিয়তির উপর সন্তুষ্ট থাকে।

প্রঃ(৯) ইমাম (আঃ) কে কত বছর বয়সে কে বিষ দিয়েছিল?

উঃ ৬৫ বছর বয়সে মানসুরে দাওয়ানক্বীর আদেশে।

প্রঃ(১০) মাসুর ইমাম কে কিভাবে বিষ দিয়েছিল?

উঃ      আঙ্গুরে বিষ মাখিয়ে।

প্রঃ(১১) ইমাম (আঃ) শেষ সময় নিজের পরিবার কে কী আসিয়ত করেছিলেন?

উঃ     ইমাম (আঃ) বলেন যে, সেই ব্যক্তি আমার শাফায়াত পাবেনা যে নামায প্রথম সময় না পড়বে।

প্রঃ(১২) ইমাম (আঃ) কবে এবং কোথায় শহীদ হয়েছিলেন?

উঃ     ২৫ শাওয়াল ১৪৮ হিজরী মদীনায়।

প্রঃ(১৩)  ইমাম (আঃ)-এর ক্ববর কোথায়?

উঃ  জান্নাতুল বাক্বি মদীনায়।

 

সপ্তম ইমাম হযরত মূসা কাযিম (আঃ)

প্রশ্নঃ(১) ইমাম (আঃ)-এর বিখ্যাত উপাধি কী?

উঃ   আব্দুস সালেহ্‌ (আঃ) কাযিম এবং বাবুল হাওয়ায়েজ।

প্রঃ(২) ইমাম (আঃ)-এর পিতৃসূএ নাম কী?

উঃ    আবুল হাসান।

প্রঃ(৩) কাযিমের অর্থ কী?

উঃ  ক্রোধ সংবরনকারী।

প্রঃ(৪) ইমাম (আঃ)-এর পিতা মাতার নাম কী?

উঃ   পিতা-জাফর সাদিক্ব (আঃ) এবং মাতা হামিদা।

প্রঃ(৫) ইমাম (আঃ) কবে এবং কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?

উঃ   ৭ই সফর, ১২৮ হিজরী মক্কা ও মদীনার মাঝে আবওয়াই।

প্রঃ(৬) ইমাম (আঃ)-এর ইমামতের দায়িত্ব কত দিন ছিল।

উঃ   ৩৫ বছর।

প্রঃ(৭) ইমাম মূসা কাযিম (আঃ)-এর দুই বিখ্যাত সন্তান কে কে ছিল?

উঃ  ১)ইমাম আলী রেজা (আঃ) তাঁর রওজা মাশহাদ, ইরানে।

২)জনাবে ফাতেমা মাসুমা (আঃ) তাঁর রওজা ক্বুম ইরানে।

প্রঃ(৮) ইমাম (আঃ) কোন বাদশাহের আমলে কয়েক বছর বন্দি ছিলেন?

উঃ পঞ্চম আব্বাসী খলিফা হারুন রশীদের আমলে।

প্রঃ(৯) ইমাম (আঃ) কে কোন বাদশাহের হুকুমে কত বছর বয়সে বিষ দেওয়া হয়েছিল।
উঃ   ৫৫বছর বয়সে, হারুন রসীদের হুকুমে।

প্রঃ(১০) ইমামা (আঃ) কবে এবং কোথায় শহীদ হয়েছিলেন?

উঃ   ২৫ শে রজব ২৮৩ হিজরী বাগদাদে হারুন রশীদের বন্দী খানায়।

প্রঃ(১১) যে বন্দি খানায় ইমাম (আঃ) বন্দি ছিলেন তার নাম কী এবং সেটা কোথায় ছিল?

উঃ সামাদি বিন শাবুক বন্দিশালা, বাগদাদ ইরান।

প্রঃ(১২) ইমাম (আঃ)-এর রওজা কোথায়?

উঃ  কাযমায়েন, ইরান।

অষ্টম ইমাম হযরত আলী রেজা (আঃ)

প্রশ্নঃ(১) ইমাম রেজা (আঃ)-এর নাম এবং পিতৃসূত্র নাম কী?

উঃ  নাম-আলী ইবনে মুসা কাযিম (আঃ) এবং পিতৃসূত্র নাম আবুল হাসান।

প্রঃ(২) ইমাম (আঃ)-এর পিতা মাতার নাম কী?

উঃ  পিতা-মুসা কাযিম (আঃ) আর মাতা নাজমা খাতুন।

প্রঃ(৩) ইমাম (আঃ) কবে এবং কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?

উঃ   ১১ই যিলক্বদ ১৪৮ হিজরী মদীনায়।

প্রঃ(৪) ইমাম (আঃ) কত বছর ইমামতির আসনে সমাসীন ছিলেন?

উঃ   ২০ বছর।

প্রঃ(৫) কোন ইমাম (আঃ) কে আলিমে আলে মুহাম্মদ বলা হয়?

উঃ    ইমাম আলী রেজা (আঃ) কে।

প্রঃ(৬) ইমাম (আঃ)-এর খাদিমের নাম কী ছিল?

উঃ   মোত্তাফিক্ব।

প্রঃ(৭) ইমাম (আঃ) কে কত বছর বয়সে কার দ্বারা বিষ দেওয়া হয়েছিল?

উঃ    ৫৫ বছর বয়সে মামুন রশীদের দ্বারা।

প্রঃ(৮) ইমাম (আঃ) কবে এবং কোথায় শহীদ হয়েছিল?

উঃ    শেষ সফর ২০৩ হিজরী, সুনাবাদ মাশহাদ ইরান।

প্রঃ(৯) ইমাম (আঃ)-এর একমাত্র সন্তানের নাম কী ছিল এবং ইমাম (আঃ)-এর শাহাদতকালীন সময় তাঁর বয়স কত ছিল?

উঃ  ইমাম মুহাম্মদ তক্বী (আঃ), ইমাম (আঃ)-এর শাহাদাতের সময় তাঁর বয়স ছিল ৭ বছর।

প্রঃ(১০) ইমাম (আঃ)-এর রওজা কোথায়?

উঃ   মাশহাদ, ইরানে।

নবম ইমাম হযরত মুহাম্মদ তক্বী (আঃ)

প্রশ্নঃ(১) ইমাম (আঃ)-এর বিখ্যাত উপাধি এবং পিতৃসূত্র নাম কী?

উত্তরঃ  তক্বী ও জাওওয়াদ, পিতৃসূত্রনাম-আবু জাফার।

প্রঃ(২)  ইমাম (আঃ)-এর পিতা মাতার নাম কী?

উঃ   পিতা-ইমাম আলী রেজা (আঃ) এবং মাতা জনাবে খায়যারান (সুকাইনা)

প্রঃ(৩)  ইমাম (আঃ) কবে এবং কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?

উঃ  ১০ই রজব ১৯৫ হিজরী মদীনায়।

প্রঃ(৪) ইমাম (আঃ) কতকাল ইমামতি করেছেন?

উঃ    ১৭ বছর।

প্রঃ(৫)  ইমাম (আঃ) কত বছর বয়সে ইমামতি পেয়ে ছিলেন?

উঃ   ৭ বছর বয়সে।

প্রঃ(৬) ইমাম (আঃ) দের মধ্যে কোন ইমাম কম বয়সে শহীদ হয়েছিলেন?

উঃ    ইমাম হযরত মুহাম্মদ তক্বী (আঃ) মাত্র ২৫ বছর বয়সে শহীদ হয়েছিলেন।

প্রঃ(৭) ইমাম তক্বী (আঃ) কত বছর বয়সে পিতার সঙ্গে মক্কায় গিয়েছিলেন?

উঃ    চার বছর কয়েক মাস বয়সে নিজের  পিতার সঙ্গে ওমরাহ-এর জন্য মক্কায় গিয়েছিলেন।

প্রঃ(৮) ইমাম (আঃ)-এর যুগে একজন বড় আলিম যাকে ইমামের তরফ থেকে ইরানের মানুষের মাসলা মাসায়েলের সমাধান করার জন্য পাঠানো হয়েছিল তার নাম কী?

উঃ     আলী ইবনে মাহযিয়ার আহওয়াযি।

প্রঃ(৮) ইমাম (আঃ) কে কত বছর বয়সে কার হুকুমে বিষ দেওয়া হয়েছিল?

উঃ  ২৫ বছর বয়সে মুতামিদ আব্বাসীর হুকুমে ইমাম (আঃ)-এর স্ত্রী উম্মুল ফাযল (মামুনের কন্যা) বিষ দিয়ে শহীদ করেছিল।

প্রঃ(৯)  ইমাম (আঃ) কবে এবং কোথায় শহীদ হয়েছিলেন?

উঃ     শেষ যিকাদাহ ২২০ হিজরী, বাগদাদে।

প্রঃ(১০) ইমাম (আঃ)-এর হত্যাকারী কে এবং কেমন ভাবে শহীদ করা হয়েছিল?

উঃ    ইমাম (আঃ)-এর স্ত্রী উম্মুল ফাযল মামুন রাশিদের কন্যা, আঙ্গুরে বিষ দিয়ে ইমাম কে শহিদ করেছিল।

প্রঃ(১১) ইমাম (আঃ)-এর রওজা কোথায়?

উঃ   বাকদাদ, (ইরাক)-এর নিকট কাজমায়েন শহরে।

দশম ইমাম আলী নক্বী (আঃ)

প্রশ্নঃ(১) ইমাম (আঃ) –এর বিখ্যাত উপাধি ও পিতৃসূত্র নাম কী?

উঃ  উপাধি-নক্বী ও হাদী, পিতৃসূত্র নাম- আবুল হাসান।

প্রঃ(২) ইমাম (আঃ) –এর পিতা মাতার নাম কী?

উঃ   পিতা ইমাম মুহাম্মদ তক্বী (আঃ) এবং মাতা জনাবে সামানা খাতুন।

প্রঃ(৩) ইমাম (আঃ) কবে এবং কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?

উঃ   ১৫ই জিলহিজ্জ ২১৩ হিজরী, মদীনায়।

প্রঃ(৪) ইমাম (আঃ) কত বছর ইমামতির আসনে সমাসীন ছিলেন?

উঃ  ৩৩ বছর।

প্রঃ(৫) মুতাওয়াক্কিলের পূর্বে ইমাম (আঃ) কত বছর ইমাম ছিলেন?

উঃ    ১২ বছর।

প্রঃ(৬) মুতাওয়াক্কিল কবে বাদশাহ হয়েছিল এবং কোথায় থাকতো?

উঃ    ২৩২ হিজরীতে এবং সামরাহে থাকত।

প্রঃ(৭) ইমাম (আঃ)-এর যুগে কোন বাদশাহ ছিল যে হযরত আলী (আঃ) ও তাঁর সন্তানদের চরম শত্রু ছিল এবং আলীর সন্তানদেরকে সহ্য (বরদাস্ত) করতে পারত না?

উঃ দশম আব্বাসী খলিফা মুতাওয়াক্কিল।

প্রঃ(৮) মুতাওয়াক্কিল ও তার সঙ্গী ফাতহ ইবনে খাকান কার হাতে মারা গিয়েছিল?

উঃ মুতাওয়াক্কিলের সন্তানের হাতে।

প্রঃ(৯) ইমাম (আঃ) কে কার হুকুমে কত বছর বয়সে বিষ দেওয়া হয়েছিল?

উঃ ৪১ বছর বয়সে একাদশ আব্বাসী খলিফা মুওতাযের রাজনীতিতে মুওতামিদ আব্বাসীর দ্বারায়।

প্রঃ(১০) ইমাম আলী নক্বী (আঃ) কবে এবং কোথায় শহীদ হয়েছিলেন?

উঃ ৩রা রজব ২৫৪ হিজরী সামারাতে।

প্রঃ(১১) ইমাম (আঃ)-এর রওজা কোথায়?

উঃ সামারাহতে।

একাদশ ইমাম হযরত হাসান আসকারী (আঃ)

প্রশ্নঃ(১) ইমাম (আঃ)-এর উপাধি ও কুন্নিয়ত (পিতৃসূত্র নাম) কী?

উত্তরঃ উপাধি-আসকারী (আঃ), কুন্নিয়াত – আবু মুহাম্মদ।

প্রঃ(২) ইমাম (আঃ)-এর পিতা মাতার নাম কী?

উঃ পিতা ইমাম আলী নক্বী (আঃ) এবং মাতা – হাদিয়া খাতুন।

প্রঃ(৩) ইমাম (আঃ) কবে এবং কথায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন?

উঃ ৮ই রবিউসসনী ২৩২ হিজরী, মদিনায়।

প্রঃ(৪) ইমাম (আঃ) কত বছর ইমামতি করেছিলেন?

উঃ ৬বছর ২৫৮ থেকে ২৬০ হিজরী পর্যন্ত।

প্রঃ(৫) যখন ইমামকে প্রশ্ন করা হয় যে, নারীর সম্পত্তি পুরুষের অংশের অর্ধেক কেন, তখন ইমাম (আঃ) কী বলেছিলেন?

উঃ ইমাম (আঃ) বলেছিলেন যে, নারীর উপর জেহাদ, পরুষের খরচ আর মোহর ওয়াজিব নয়।

প্রঃ(৬) মুতাওয়াক্কিল আব্বাসী ইমাম হাসান আসকারী (আঃ) কে কি অপরাধে সামরায় বন্দি করেছিল?

উঃ হ্বক্বের পক্ষপাতি হওয়ার কারণে।

প্রঃ(৭) ইমাম (আঃ)-এর কাছে চিঠি কে পৌঁছিয়েছিল?

উঃ আবুল আদিয়ান।

প্রঃ(৮) ইমাম (আঃ)-এর উপর বাদশাহের তরফ থেকে কড়া নজরদারীর কারণ কী ছিল?

উঃ কারণ এ কথা সবাই জানত যে, ইমাম (আঃ)-এর বংশে ইমাম মাহ্‌দী (আঃ) জন্মগ্রহণ করবেন সেই জন্যে তারা জন্ম নিয়ন্ত্রন করতে চেষ্টা করেছিল।

প্রঃ(৯) ইমাম আসকারী (আঃ) ইমাম মাহ্‌দী (আঃ)-এর বিষয়ে হ্বক্বের নিদর্শন কী বলেছিলেন?

উঃ ইমাম (আঃ) আবুল হযরত কে বললেনঃ

১) যে আমার চিঠির উত্তর তোমার কাছে আহ্বান করবে।

২) যে আমার জানাজায় নামায আদায় করবে।

৩) যে থলির ভিতরে জিনিসের খবর দেবে সেই আমার পরে ইমাম হবে।

প্রঃ(১০) ইমাম (আঃ) কত বছর বয়সে কার ষড়যন্ত্রে শহীদ হয়েছিলেন?

উঃ ২৮ বছর বয়সে, ১৪ আব্বাসী খলীফা মোতামিদের ষড়যন্ত্রে।

প্রঃ(১১) ইমাম (আঃ) কবে এবং কোথায় শহীদ হয়েছিলেন?

উঃ ৮ই রবিউল আওয়াল, ২৬০ হিজরী সামারাহ (ইরাক)।

প্রঃ(১২) ইমাম হাসান আসকারী (আঃ)-এর রওজা কোথায়?

উঃ সামারাহ (ইরাক)।

দ্বাদশ ইমাম হযরত মাহ্‌দী (আঃ)

প্রঃ(১) ইমাম (আঃ)-এর বিখ্যাত উপাধী কী?

উঃ মাহ্‌দী, ইমামে আসর, সাহেবুজ্জামান, বাক্বিয়াতুল্লাহ্‌, খালাফে সালাহ্‌, ক্বায়েমে আলে মুহাম্মদ।

প্রঃ(২) ইমাম (আঃ)-এর পিতা মাতার নাম কী?

উঃ পিতা – ইমাম হাসান আসকারী (আঃ), মাতা জনাবে নারজিস খাতুন।

প্রঃ(৩) ইমাম (আঃ) কবে এবং কোথায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন?

উঃ ১৫ই শাবান, ২৫৫ হিজরী, সামরাহে।

প্রঃ(৪) কাদের জন্মগ্রহণকে আল্লাহ্‌ গুপ্ত রেখেছেন?

উঃ (ক) জনাবে ইব্রাহিম (আঃ) (খ) জনাবে মূসা (আঃ) (গ) হযরত ইমাম মাহ্‌দী (আঃ)।

প্রঃ(৫) হযরত ইমাম মাহ্‌দী (আঃ) নিজ পিতার  সঙ্গে কতদিন লোক চক্ষুর অন্তরালে ছিলেন?

উঃ পাঁচবছর।

প্রঃ(৬) হযরত ইমাম মাহ্‌দী (আঃ) কবে এবং কোন সনে ইমামতের আসনে অনিষ্ঠিত হয়েছিলেন?

উঃ ২৬০ হিজরী, ইমাম হাসন আসকারী (আঃ)-এর শাহাদতের পর, পাঁচ বছর বয়সে।

প্রঃ(৭) হযরত ইমাম মাহ্‌দী (আঃ)-এর গায়বতে “ছোগরার” (স্বল্পমেয়াদি অদৃশ্যকাল) মেয়াদ কত দিন ছিল?

উঃ ২৬০ হিজরী থেকে ৩২৯ হিজরী পর্যন্ত, অর্থাৎ প্রায় ৭০ বছর।

প্রঃ(৮) ইমাম মাহ্‌দী (আঃ)-এর গায়বতে কোবরা কোন বছরে শুরু হয়েছিল?

উঃ ৩২৯ হিজরী, তাঁর চতুর্থ নায়েব আলী ইবনে মুহাম্মদ সামারীর মৃত্যুর পরে।

প্রঃ(৯) ইমাম মাহ্‌দী (আঃ)-এর কত ধরণের নায়েব (প্রতিনিধি) আছে?

উঃ দুই ধরণের ১) বিশিষ্ঠ প্রতিনিধি ২) সাধারণ প্রতিনিধি।

প্রঃ(১০) ইমাম মাহ্‌দী (আঃ)-এর বিশিষ্ঠ প্রতিনিধি কত জন এবং তাঁদের নাম কী ছিল?

উঃ ইমাম মহ্‌দী (আঃ)-এর বিশিষ্ঠ প্রতিনিধি চার জন ছিলেন, তাঁদেরনাম হলঃ (১)উসমান ইবনে সাঈদ আমারী (২) মুহাম্মদ ইবনে উসমান ইবনে সাঈদ আমারী (৩) হোসায়েন ইবনে রওহ্‌নাওবখতি (৪) আলী ইবনে মুহাম্মদ সামারী|

প্রঃ(১১) ইমাম মাহ্‌দী (আঃ)-এর সাধারণ প্রতিনিধি কোন ব্যক্তিরা?

উঃ ইমাম মাহ্‌দী (আঃ)-এর সাধারণ প্রতিনিধি সেই মুজতহিদদের নেতা যাদের কাছে সকল দায়িত্ব আছে এবং যার তক্বলীদ (অনুগত্য) করা হয়।

প্রঃ(১২) মাহ্‌দীবাদের বিশ্বাস শুধু কী শিয়াদের মধ্যে প্রচলিত?

উঃ না বরং অন্য মুসলমানদের মধ্যেও প্রচলিত, তবে পার্থক্য এই যে, শিয়ারা বিশ্বাস করে যে, ইমামের জন্ম হয়ে ১২ শতাধিক বছর হয়ে গেছে এবং তিনি অন্তর্ধানে আছেন যখন আল্লাহ্‌র ইচ্ছা হবে তখন আবির্ভুত হবেন, কিন্তু অন্যরা বলে যে, তাঁর এখনও জন্ম হয়নি।

প্রঃ(১৩) ইমাম মাহ্‌দী (আঃ)-এর আবির্ভাবের সময় কতজন মোমিন তাঁর সঙ্গী হবেন?

উঃ ৩১৩ জন, বদর যুদ্ধের সমসংখ্যক।

প্রঃ(১৪) গায়বতে কোবরায় যারা ইমাম মাহ্‌দী (আঃ) কে দেখেছেন তাদের মধ্য থেকে কয়েক জনের নাম বল?

উঃ মুকাদ্দাসে আর্দবেলী, মীর ঈসহাক উসতুর আবাদী, মীর্যা মুহাম্মদ উসতুর আবাদী, মুহাম্মদ ইবনে ঈসা বাহরানী।

প্রঃ(১৫) ইমাম মাহ্‌দী (আঃ) নামাযে ফজর মগরিবের ব্যাপারে কী বলেছেন?

উঃ ইমাম মাহ্‌দী (আঃ) বলেন যে, সেই ব্যক্তি আল্লাহ্‌র রহমত থেকে বঞ্চিত হবে যে ব্যক্তি তারা মিলিয়ে যাওয়ার পরে নামাযে ফজর আদায় করবে এবং তারা উদয় হওয়ার পরে নামাযে মগরিব আদায় করবে। (কিছু বর্ণনায় আছে যে, সে ব্যক্তি অভিশপ্ত)

প্রঃ(১৬) ইমাম মাহ্‌দী (আঃ)-এর সঙ্গে সম্পৃক্ত দোয়ার নাম কী?

উঃ দোয়া-এ আহ্‌দ, যে ব্যক্তি পরস্পর চল্লিশ দিন পর্যন্ত সকালের (ফজরের) নামাযের পরে এই দোয়াটি পড়বে সে ইমাম (আঃ)-এর সাহায্যকারীর মধ্যে গণ্য হবে, আর যদি সে ইমাম (আ)-এর যহুরের আগে মারা যায় তাহলে তাকে আল্লাহ্‌ তায়ালা ইমাম (আঃ)-এর যহুরের আগে জীবিত করবে।

প্রঃ(১৭) ইমাম মাহ্‌দী (আঃ)-এর গায়বতের যুগে মানুষের উপর কী করা ওয়াজিব?

উঃ  ১) সর্বদা ভরা ক্রান্ত মনে ইমাম (আঃ) কে স্মরণ করা।

২) ইমাম (আঃ)-এর সুরক্ষা ও আবির্ভাবের জন্য সর্বদা অপেক্ষা করা।

৩) ইমাম (আঃ)-এর সুরক্ষা ও আবির্ভাবের জন্য দোয়া করা।

৪) ইমাম (আঃ)-এর নাম শুনে তাঁর সন্মানের জন্য দাঁড়িয়ে পড়া।

৫) ইমাম (আঃ)-এর হেফাজতের জন্য আল্লাহ্‌র কাছে প্রার্থনা করা।

৬) বিপদ আপদের  সময় ইমাম (আঃ)-এর কাছে সাহায্য চাওয়া।

৭) ইমাম (আঃ)-এর তরফ থেকে হ্বজ্জ করা।

প্রঃ(১৯) হযরত ইমাম মাহ্‌দী (আঃ)-এর আবির্ভাবের প্রথম নিদর্শন কী?

উঃ পশ্চিম দিক থেকে সূর্য উদয় হওয়া।

প্রঃ(১৯) ইমাম মাহ্‌দী (আঃ) কী নতুন দ্বীন নিয়ে আসবেন?

উঃ না, তাঁর আবির্ভাবের আগে দ্বীন এত পরিমাণে নষ্ট হয়ে যাবে এবং সন্দেহে ভরে যাবে যে, যখন ইমাম (আঃ) আসল দ্বীনের প্রচার করবেন তখন মানুষেরা তাকে নতুন দ্বীন বলে মন্তব্য করবে।

প্রঃ(২০) কোন ইমামের নানা ও দাদা উভয়ই ইমাম?

উঃ ইমাম মুহাম্মদ বাক্বির (আঃ)-এর, দাদা ইমাম হোসায়েন (আঃ) এবং নানা ইমাম হাসান (আঃ)।

প্রঃ(২১) কোন ইমাম (আঃ)-এর সব থেকে বয়স বেশি?

উঃ যুগের ইমাম, মাহ্‌দী (আঃ)-এর।

প্রঃ(২২) কোন ইমাম (আঃ) সব থেকে অল্প বয়সে শহীদ হয়েছেন?

উঃ ইমাম মুহাম্মদ তক্বী (আঃ), ২৫ বছর বয়সে।

প্রঃ(২৩) হাদীসে সিলসিলাতুজ্জাহাব কোন ইমাম হতে বর্ণিত হয়েছে?

উঃ ইমাম আলী রেজা (আঃ) হতে।

প্রঃ(২৪) বারোজন ইমাম (আঃ)-এর মধ্যে কত জনের নাম আলী?

উঃ  চারজন ইমামের নাম আলী।

প্রঃ(২৫) কোন ইমাম (আঃ)-এর নাম এক নবীর নামে?

উঃ সপ্তম ইমাম ইমামে মূসা কাযিম (আঃ)-এর নাম।

প্রঃ(২৬) কোন ইমামকে “গরীবুল গোরবা” (ভিনদেশীদেরও ভিনদেশী) বলা হয়?

উঃ ইমাম আলী রেজা (আঃ) কে।

প্রঃ(২৭) শিয়া ফিক্বাহ কোন ইমাম হতে সন্বন্ধ যুক্ত?

উঃ ইমাম জাফ্‌র সাদিক্ব (আঃ) হতে ।

 

কোরআন

প্রঃ(১) কোরআন শরীফের সব থেকে বড় সূরার নাম কী?

(উঃ) সূরা বাক্বারা।

প্রঃ(২) সব থেকে সুন্দর পানীয় হিসাবে কোরআনে কোন জিনিসের দিকে  ইঙ্গিত করা হয়েছে?

(উঃ) দুধ।

প্রঃ(৩) কোরআন মজিদের সব থেকে বড় আয়েত কোন সূরায় আছে?

(উঃ) সূরা বাক্বারা ২৮২ নং আয়েত।

প্রঃ(৪) কোরআন শরীফে সেই কোন জায়েয কর্মটি উল্লেখ হয়েছে যা আল্লাহ্‌র নিকট সব থেকে নিকৃষ্ট বলে বিবেচিত?

(উঃ) তালাক্ব।

প্রঃ(৫) কোরআন শরীফে সব থেকে ভরসাজনক আয়েত কী?

(উঃ) সূরা যুমার আয়েত নং ৫৩।

প্রঃ(৬) আরবী বর্ণমালার মধ্যে কোরআন শরীফে কোন বর্ণ সব থেকে বেশি ব্যবহার হয়েছে?

(উঃ) আলিফ।

প্রঃ(৭) আরবী বর্ণমালার মধ্যে কোরআন শরীফে কোন বর্ণ সব থেকে কম ব্যবহার হয়েছে?

(উঃ) (ظ) ‘য’।

প্রঃ(৮) কোরআন শরীফের ভাষায় সব থেকে উত্তম রাত কোনটি?

(উঃ) শবে ক্বদর।

প্রঃ(৯) কোরআন শরীফের ভাষায় সব থেকে উত্তম মাস কোনটি?

(উঃ) রমাযানুল মুবারক।

প্রঃ(১০)  কোরআন শরীফে কটি সূরা আলহামদ্ থেকে শুরু হয়?

(উঃ) ৫টি সুরাহ আলহামদ্ থেকে শুরু হয় – (১) সূরা ফাতিহা (২) সূরা আন্‌য়াম (৩) সূরা সাবা (৪) সূরা ফাতির (৫) সূরা কাহ্‌ফ।

প্রঃ(১১) কোরআন শরীফের কোন সূরা ফুরুয়ে দিনের মধ্যে একটির নামে আছে?

(উঃ) সূরা হ্বজ্জ।

প্রঃ(১২) কোরআন শরীফের কোন সূরা ইমাম হোসায়েন (আঃ)-এরফযীলতের সঙ্গে জড়িত?

(উঃ) সূরা ফজ্‌র।

প্রঃ(১৩) কোরআন শরীফের কোন সূরাতে মাসূমীনগণের সমসংখ্যক আয়াত রয়েছে?

(উঃ) সূরা সফ।

প্রঃ(১৪) কোরআন শরীফের কোন সূরা পয়গম্বরে ইসলামের গোত্রের নামে আছে?

(উঃ) সূরা কোরাইশ।

প্রঃ(১৫) কোরআন শরীফের কোন সূরা কোরানের হৃদয় নামে বিখ্যাত?

(উঃ) সূরা ইয়াসিন।

প্রঃ(১৬) কোরআন শরীফের কোন সূরা খোদার পরিচয় নামে বিখ্যাত।

(উঃ) সূরা আখলাস।

প্রঃ(১৭) কোরআন শরীফের কোন কোন সূরা আযায়েম (যা পাঠ করলে সেজদাহ্‌ ওয়াজিব হয়) নামে বিখ্যাত?

(উঃ) সূরা সেজদাহ্‌, সূরা ফুসসেলাত, সূরা নাজম ও সূরা আলাক্ব।

প্রঃ(১৮) কোরআন শরীফের কোন সূরা পয়গম্বরে ইসলামের একটি যুদ্ধের নামে আছে।

(উঃ) সূরা আহযাব (পরিখার যুদ্ধ)।

প্রঃ(১৯) কোরআন শরীফে কটি সূরায় সেজদাহ্‌ ওয়াজিব ও কী কী।

(উঃ) চারটি সূরায় সেজদাহ্‌ ওয়াজিব (১) সূরা নাজ্‌ম (২) সূরা সেজদাহ্‌ (৩) সূরা ফুসসেলাত (৪) সূরা আলাক্ব।

প্রঃ(২০) কোরআন শরীফের কোন সূরা উসুলে দ্বীনের নামে আছে?

(উঃ) সূরা তৌহিদ ও ক্বেয়ামত।

প্রঃ(২১) কোরআন শরীফের কোন সূরায় কোরআনের সারমর্ম বর্ণিত হয়েছে অর্থাৎ ভূমিকা স্বরূপ আছে?

(উঃ) সূরা আলহামদ্‌।

প্রঃ(২২) কোরআন শরীফের কোন সূরায় বিসমিল্লাহ্‌ নেই?

(উঃ) সূরা তওবা।

প্রঃ(২৩) কোরআন শরীফের কোন সূরাকে কোরআনের স্ত্রী বলে?

(উঃ) সূরা রহমান।

প্রঃ(২৪) কোরআন শরীফের কোন সূরা সপ্তাহের একটি দিনের নামে আছে?

(উঃ) সূরা জুময়াহ্‌।

প্রঃ(২৫) কোরআন শরীফের কোন সূরায় দুবার বিসমিল্লাহ্‌ আছে?

(উঃ) সূরা নাম্‌ল।

প্রঃ(২৬) কোরআন শরীফের কোন সূরা রসূলে খোদা (সঃ)-এরউপরে দুবার অবতীর্ণ হয়েছে?

(উঃ) সূরা হামদ্‌ (মক্কা ও মদীনায়)।

প্রঃ(২৭) কোরআন শরীফের সে কোন সূরা যার বাস্তব রূপ আছে?

(উঃ) সূরা জিন।

প্রঃ(২৮) কোরআন শরীফের কোন সূরা একটি ফলের নামে আছে?

(উঃ) সূরা ত্বীন (Cherry)।

প্রঃ(২৯) কোরআন শরীফের কোন সূরা ইসলামী ঈদের মধ্যে একটি ঈদের নামে আছে?

(উঃ) সূরা জুময়াহ্‌।

প্রঃ(৩০) কোরআন শরীফের কোন সূরার সমস্ত আয়াতে আল্লাহ্‌শব্দ আছে?

(উঃ) সূরা মুজাদিলাহ।

প্রঃ(৩১) কোন সূরা যাকে মাউযাতাইন (আশ্রয়ের মাধ্যম দ্বয়) বলা হয়?

(উঃ) সূরা ফালাক্ব ও নাস।

প্রঃ(৩২) কোরআন শরীফে কোন দুই সূরাকে উল্টো করে পড়লেও একই থাকবে?

(উঃ) সূরা লাইল ও তাব্বাত।

প্রঃ(৩৩) কোরআন শরীফে কোন সূরার থেকে প্রথম অক্ষর বাদ দিলে শিয়াদের প্রথম ইমামের নাম হয়?

(উঃ) সূরা আ’লা।

প্রঃ(৩৪) কোরআন শরীফের কোন সূরা শিয়াদের প্রথম ইমাম সাথে সম্বশন্ধযুক্ত?

(উঃ) সূরা আ’দিইয়াত।

প্রঃ(৩৫) তিরিশতম পারায় মোট কটি সূরা আছে?

(উঃ) সাঁইত্রিশটি।

প্রঃ(৩৬) কোরআন শরীফের কোন আয়াত আহলেবায়তের শানে বা মর্যাদায় অবতীর্ণ হয়েছে?

(উঃ) সূরা ইনসান যাকে দাহ্‌রও বলে।

প্রঃ(৩৭) কোরআন শরীফের কোন সূরায় মানুষের সৃষ্টির প্রথম মঞ্জিল বা ধাপের কথা বলা হয়েছে?

(উঃ) সূরা মো’মিনূন।

প্রঃ(৩৮) কোরআন শরীফের কোন আয়েত একত্রিশবার বিবৃত হয়েছে?

(উঃ) ফাবি আয়্যি আ-লায়ি রব্বিকুমা তুকাযযিবান (সূরা রহমান )।

প্রঃ(৩৯) আয়াতুল কুরসী কোরআনে কোন সূরায় আছে?

(উঃ) সূরা বাক্বারায়।

প্রঃ(৪০) আয়াতুল কুরসীতে আল্লাহ্‌ শব্দ কতবার এসেছে?

(উঃ) চার (৪) বার।

প্রঃ(৪১) বিখ্যাত আয়েত “ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি র-জিউন”কোন সূরায় আছে?

(উঃ) সূরা বাক্বারা (আয়েত নং ১৫৬)।

প্রঃ(৪২) এটি কোন সূরায় আছে “সাইয়ালামুল্লাযিনা যলামু আয়ইয়া মুনক্বলাবিন ইয়ান ক্বলিবুন”?

(উঃ) সূরা শো’রা (আয়েত নং ২২৯)।

প্রঃ(৪৩) এটি কোন সূরার আয়েত “কুল্লু নাফসিন যা-য়ি ক্বতুল মওত”?

(উঃ) সূরা আলে ইমরান এর ১৮৫ নং আয়েত।

প্রঃ(৪৪) এটি কোন সূরার আয়েত “রব্বানা লাতুযিগ ক্বুলুবানা বা’দা ইয হাদাইতানা ওয়া হাবলানা মিল্লাদুনকা রহমাতান ইন্নাকা আন্তাল ওয়াহ্‌ হাব?

(উঃ) সূরা আলে ইমরান আয়েত নং ৮।

প্রঃ(৪৫) পয়গম্বরে ইসলামের মে’রাজ কোন সূরায় বর্ণিত বা বয়ান হয়েছে?

(উঃ) সূরা ইসরা (বণী ইস্রাঈল)।

প্রঃ(৪৬) কোন কোন নবী এখনও পর্যন্ত জীবিত আছেন?

(উঃ) হযরত ঈসা (আঃ), হযরত খিয্‌র (আঃ), হযরত ইলিইয়াস (আঃ) এবং হযরত ইদরিস (আঃ)।

প্রঃ(৪৭) কোন নবী বিনা মাতা-পিতায় জন্মগ্রহণ করেছেন?

(উঃ) হযরত আদম (আঃ)।

প্রঃ(৪৮) কোন নবী বিনা পিতায় জন্মগ্রহণ করেছেন?

(উঃ) হযরত ঈসা (আঃ)।

প্রঃ(৪৯) কোন নবীকে বাল্যকালে তাঁর ভাইয়েরা কুয়াঁয় ফেলে দিয়েছিল?

(উঃ) হযরত ইউসুফ (আঃ) কে।

প্রঃ(৫০) পয়গম্বরে ইসলাম (সঃ) মক্কা থেকে মদীনার দিকে হিজরত করার সময় কোন গুহায় আশ্রায় নিয়েছিলেন?

(উঃ) সূর বা সওর।

প্রঃ(৫১) হযরত ইব্রাহীম (আঃ)-এর মূর্তি ভাঙার ঘটনা কোন সূরায়উল্লেখ হয়েছে?

(উঃ) সূরা আম্বিয়াতে।

প্রঃ(৫২) কোন নবী সমস্ত নবীর থেকে বেশি আয়ু পেয়েছিলেন?

(উঃ) নূহ (আঃ)।

প্রঃ(৫৩) হযরত মুহাম্মাদ মুস্তফা (সঃ)-এর অন্যতম বড় মোজেযাহ কী?

(উঃ) কোরআন শরীফ।

প্রঃ(৫৪) সর্বপ্রথম কোন আয়েত অবতীর্ণ হয়েছে?

(উঃ) সূরা আলাক্ব এর প্রথম পাচঁটি আয়াত।

প্রঃ(৫৫) সূরা হিসাবে সর্ব প্রথম কোন সূরা অবতীর্ণ হয়েছে?

(উঃ) সূরা হামদ্‌।

প্রঃ(৫৬) সর্বপ্রথম দোয়া যেটি কোরআনে এসেছে সেটি কোন সূরায় আছে?

(উঃ) সূরা বাক্বারা আয়েত নং ১২৬।

প্রঃ(৫৭) সর্বপ্রথম যে আয়াতে জান্নাতের আলোচনা হয়েছে সেটি কোন সূরায় আছে?

(উঃ) সূরা বাক্বারাতে আছে।

প্রঃ(৫৮) সর্বপ্রথম যে আয়াতে জাহান্নামের আলোচনা হয়েছে সেটি কোন সূরায় আছে?

(উঃ) সূরা বাক্বারা, আয়েত নং ২০৬।

প্রঃ(৫৯) সর্বপ্রথম কোন সূরার অনুবাদ করা হয়েছে?

(উঃ) সূরা হামদ্‌-এর।

প্রঃ(৬০) সর্বশেষ কোন আয়েত পয়গম্বর (সঃ)-এর উপরে অবতীর্ণ হয়েছে?

(উঃ) সূরা মায়েদাহ আয়েত নং ৩।

প্রঃ(৬১) কোরআন শরীফের শেষ সূরার নাম কী?

(উঃ) সূরা নাস।

প্রঃ(৬২) কোরআন শরীফের সর্ব শেষ অক্ষর কী?

(উঃ) (س) সীন।

প্রঃ(৬৩) রহমান শব্দ কোরআন শরীফে কতবার এসেছে?

(উঃ) (৫৭) সাতান্নবার।

প্রঃ(৬৪) ইমাম শব্দ কোরআন শরীফে কতবার এসেছে?

(উঃ) ১২ বার।

প্রঃ(৬৫) কোন সূরা হযরত ফাতেমা যাহ্‌রার (সঃ) শানে অবতীর্ণ (নাযিল) হয়েছে?

(উঃ) সূরা কওসার।

প্রঃ(৬৬) আমাদের নবীর পূর্বে কোন নবীর কন্যা নির্মলতা, সভ্যতা,আত্মসম্ভ্রমবোধ ও লজ্জাশীলতায় বিখ্যাত ছিলেন?

(উঃ) হযরত  শোয়ায়েব (আঃ)-এর কন্যা।

প্রঃ(৬৭) সমকালিন যুগে নবীর সংসর্গে থেকেও পাপাচারিনী ছিল কোন সব মহিলা?

(উঃ) হযরত লূত (আঃ) ও হযরত নূহ (আঃ)-এর স্ত্রী দ্বয়।

প্রঃ(৬৮) কোরআন শরীফের কোন সূরাকে মহিলাদের পড়ার জন্য তাকীদ বা গুরুত্ব আরোপ করা  হয়েছে?

(উঃ) সূরা নূর।

প্রঃ(৬৯) কোন মহিলাকে তৈয়েবার উপাধি দেওয়া হয়েছে?

(উঃ) হযরত মরিয়াম (আঃ) কে।

প্রঃ(৭০) কোরআন শরীফ কত বছর ধরে পয়গম্বরে ইসলাম (সঃ)-এর উপরে অবতীর্ণ হয়েছে?

(উঃ) (২৩) তেইশ বছর।

প্রঃ(৭১) সর্বপ্রথম কোরআন শরীফ কে একত্রিত করেন?

(উঃ) হযরত আলী ইবনে আবি তালিব (আঃ)।

প্রঃ(৭২) আইম্মাদের মধ্যে কে সব থেকে মধুর কন্ঠে কোরআন শরীফ পাঠ (তেলায়ত) করতেন?

(উঃ) ইমামে সাজ্জাদ (আঃ) অর্থাৎ ইমাম জয়নুল আবেদীন (আঃ)।

প্রঃ(৭৩) কোরআন শরীফের বসন্ত কী?

(উঃ) মাহে রমাযানুল মুবারক।

প্রঃ(৭৪) সর্বপ্রথম কোরআন শরীফের ব্যাখ্যাকারী কে?

(উঃ) হযরত আলী ইবনে আবিতালিব (আঃ)।

প্রঃ(৭৫) মাহে রমাযানুল মুবারকে কোন কোন আসমানী পুস্তক অবতীর্ণ হয়?

(উঃ) (ক) ইঞ্জিল (খ) তৌরাত (গ) যবুর (ঘ) সোহাফ (গ) আল-কোরআন।

প্রঃ(৭৬) সর্বপ্রথম নির্মিত মসজিদ কোনটি?

(উঃ) মসজিদে ক্বুবা।

প্রঃ(৭৭) কোরআন শরীফ পড়ার পূর্বের দোয়া কোন মাসুম (আঃ) থেকে বর্ণিত হয়েছে?

(উঃ) হযরত মুহাম্মাদ মুস্তফা (সঃ) থেকে বর্ণিত।

প্রঃ(৭৮) কোরআন শরীফ খতম (শেষ) করার পরের দোয়া কোন মাসুম (আঃ) থেকে বর্ণিত?

(উঃ) ইমাম জাফর সাদিক্ব (আঃ) থেকে বর্ণিত।

প্রঃ(৭৯) কোরআন শরীফে মোট কটি সূরা আছে?

(উঃ) একশত চৌদ্দটি।

প্রঃ(৮০) কোরআন শরীফে মোট কত সংখ্যক আয়েত আছে?

(উঃ) ৬৬৬৬ মতান্তরে ৬৬৩৬ টি ।

প্রঃ(৮১) কোরআন শরীফে মোট কতটি বিসমিল্লাহ্‌ আছে ?

(উঃ) (১১৪) একশত চৌদ্দটি।

প্রঃ(৮২) কোরআন শরীফে কোরআন শব্দ কতবার বিবৃত হয়েছে?

(উঃ) (৭০) সত্তরবার।

প্রঃ(৮৩) কোরআন শরীফের সর্বকনিষ্ঠ সূরা কি?

(উঃ) সূরা কওসার।

প্রঃ(৮৪) কোরআন শরীফে সর্ব বৃহৎ কোন পশুর নাম আছে?

(উঃ) হাতির।

প্রঃ(৮৫) কোরআন শরীফে সর্বকনিষ্ঠ কোন জীব বা কিটপতঙ্গের নাম আছে?

(উঃ) পিঁপড়ে ও মাছির।

নামায

প্রশ্নঃ(১) কোরআন শরীফের কোন আয়েতে ওজুর পদ্ধতি বিবৃত হয়েছে?

(উত্তরঃ) সূরা মায়েদা, আয়েত নং ৬/ছয়।

প্রঃ(২) কোন আয়েত অবতীর্ণের পর ক্বেবলা বাইতুল মোক্বাদ্দাস থেকে ক্বাবার দিকে পরিবর্তন হয়?

(উঃ) সূরা বাক্বারার আয়েত নং ১৪০/একশ চল্লিশ অবতীর্ণ হওয়ার পর ক্বেবলা পরিবর্তন হয়।

প্রঃ(৩) আল্লাহ্‌ তায়ালা কোরআন শরীফে নামায সংক্রান্ত মোটকতটি আয়াত অবতীর্ণ করেছেন?

(উঃ) ১২২/একশ বাইশটি আয়াত।

প্রঃ(৪) ইমাম মুহাম্মদ বাক্বির (আঃ)-এর বাণী অনুযায়ী সর্বোত্তম নামায কোনটি?

(উঃ) ইমাম মুহাম্মদ বাক্বির (আঃ) বলেছেনঃ নামাযের মধ্যে উত্তম ওই নামায যে নামায প্রথম ওয়াক্তে (সময়ে) পঠিত হয় (অর্থাৎনামাযের সময় আগমনের সাথে সাথে যে নামায পঠিত হয়)

প্রঃ(৫) ইমামে যমানা (আঃ) ফজর ও মগরিবের নামাযের গুরুত্বের বিষয়ে কি বলেছেন?

(উঃ) ইমামে যমানা (আঃ) বলেছেনঃ যদি কোন ব্যক্তি ফজরের নামায এত দেরিতে পড়ে যে, আকাশের তারা অদৃশ্য হয়ে যায় আর মাগরিবের নামায এত দেরিতে  পড়ে যে তারা উদয় হয় তাহলে সে ব্যক্তি আল্লাহ্‌র রহমত হতে বঞ্চিত হবে (আর অন্য রওয়ায়েতেএসেছে যে, সে ব্যক্তি মালয়ুন (অভিশপ্ত)।

প্রঃ(৬) হযরত আলী (আঃ)-এর বাণী অনুযায়ী সব থেকে বড় চোর কে?

(উঃ) হযরত আলী (আঃ)-এর বাণী অনুযায়ী সব থেকে বড় চোর সেইযে নামায সংক্ষিপ্ত পড়ে (অর্থাৎ নামাযের মধ্যকার মুস্তাহাব ও সুন্নত গুলো ত্যাগ করে)।

প্রঃ(৭) রসূলে খোদা (সঃ)-এর বাণী অনুযায়ী কোন নামাযীর চেহারা সারাদিন উজ্জ্বল থাকে?

(উঃ) যে নামাযে তাহাজ্জুদ পড়ে।

প্রঃ(৮) আল্লাহ্‌ তায়ালা নিজে সুন্দর এবং সৌন্দর্যকে পছন্দ করে এই কারণে আমিও আল্লাহ্‌র প্রার্থনার জন্য সুন্দর পোশাক পরিধান করি এই কথাটি কে বলেছিলেন?

(উঃ) ইমাম হাসান (আঃ) কে যখন এই প্রশ্ন করা হয়েছিল যে“আপনি নামাযের সময় সব থেকে সুন্দর পোশাক কেন পরেন”তখন তিনি উত্তরে এই বাক্যটি বলেছিলেন।

প্রঃ(৯) রসূলে খোদা (সঃ) নামাযে জামায়াতের সওয়াবের বিষয়ে কী বলেছেন?

(উঃ) রসূলে খোদা (সঃ) বলেছেনঃ যে জামায়াতের নামাযে দশ জনের বেশি লোক উপস্থিত হয় তার সওয়াব এতো বেশি যে, যদি আকাশ কাগজ, সমস্ত নদী ও সমুদ্রের পানি কালি আর সমস্ত গাছ কলম হয়ে যায় আর সমস্ত ফেরেশতা যদি তার সওয়াব লিখতে চায়তাও লিখতে পারবেনা।

প্রঃ(১০) রসূলে খোদা (সঃ)-এর বাণী অনুযায়ী ইসলামের সৌন্দর্য কী?

(উঃ) রসূলে খোদা (সঃ) বলেছেনঃ সমস্ত জিনিসের এক সৌন্দর্যআছে আর ইসলামের সৌন্দর্য হল নামায।

প্রঃ(১১) ইমাম জাফ্‌র সাদিক্ব (আঃ) আমাদের শিয়াদের কখন আর কি ভাবে পরীক্ষা নিতে বলেছেন?

(উঃ) নামাযের সময় ও তার গুরুত্বের মাধ্যমে যে, সে নামাযের জন্য যাচ্ছে কি না।

প্রঃ(১২) মাসুমীন (আঃ)-দের বাণী অনুযায়ী নামাযে তাহাজ্জুদের সুফল (পরিণাম) কী?

(উঃ) নামাযে তাহাজ্জুদ পড়ার সুফল হল (১) সে দিনের তার সমস্ত গোনাহ মুছে বা মাফ করে দেওয়া হয় (২) সে দিন সেই ব্যক্তির চেহারা নূরানী বা উজ্জ্বল থাকে  (৩) রুযি বা উপার্জন বৃদ্ধি হয় (৪) রোগ-ব্যাধি ও বিপদ-আপদ দূর হয় (৫) শরীর সুস্থ থাকে।

প্রঃ(১৩) ইমাম জাফ্‌র সাদিক্ব (আঃ)-এর শেষ ওয়াসিয়াত কী ছিল?

(উঃ) ইমাম জাফর সাদিক্ব (আঃ) নিজের জীবনের শেষ মুহুর্তেবলেছিলেনঃ আমার শাফায়াত (সুপারিশ) তার ভাগ্যে (নসীব) হবেনা যে নামাযকে হালকা ভাবে নেয় (অর্থাৎ গুরুত্ব দেয়না)।

প্রঃ(১৪) এই হাদিসটি কার? “নামায গোনাহকে এমন ভাবে শেষ করে দেয় যেমন ভাবে গাছ থেকে পাতা ঝরে যায়”

(উঃ) হযরত আলী (আঃ)-এর হাদীস।

প্রঃ(১৫) হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা (সঃ)-এর বাণী অনুযায়ী বিবাহিত আর অবিবাহিতের নামাযের মধ্যে পার্থক্য কী?

(উঃ) বিবাহিত মানুষের দুই রেকাত নামায অবিবাহিতের সত্তর রেকাত নামাযের থেকে উত্তম।

প্রঃ(১৬) হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা (সঃ) নামাযকে ত্যাগ করার উদ্দেশ্যে কি বলেছেন?

(উঃ) হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা (সঃ) বলেছেন “যে নামাযকে ত্যাগ করবে সে জান্নাতের সুগন্ধও শুঁকতে পারবেনা”

প্রঃ(১৭) নামাযে সর্বপ্রথম ওয়াজিব কী?

(উঃ) নিয়ত।

প্রঃ(১৮) ক্ববরের প্রদীপ কী?

(উঃ) হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা (সঃ)-এর বাণী অনুযায়ী নামাযে তাহাজ্জুদ মোমিনদের ক্ববরের প্রদীপ।

প্রঃ(৯) আখেরাতের (পরকাল) সৌন্দর্য কী?

(উঃ) ইমাম জাফ্‌র সাদিক্ব (আঃ) বলেছেনঃ নামাযে তাহাজ্জুদ আখেরাতের সৌন্দর্য।

প্রঃ(২০) আল্লাহ্‌র নিকট সব থেকে প্রিয় কাজ কী?

(উঃ) আল্লাহ্‌র নিকট নামায সব থেকে প্রিয় কাজ।

প্রঃ(২১) এবাদত ক্ববুল হওয়ার চাবি কী?

(উঃ) নামায।

প্রঃ(২২) কোন জিনিস শয়তানের চেহারাকে কালো করে দেয়?

(উঃ) নামায।

প্রঃ(২৩) নামাযের চাবি কী?

(উঃ) ওজু।

প্রঃ(২৪) ইসলাম ও কুফরের মধ্যে দূরত্ব রাখে কী জিনিস?

(উঃ) নামায।

প্রঃ(২৫) আম্বিয়া (আঃ)-গণের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ কী?

(উঃ) নামায।

প্রঃ(২৬) নামাযের সৌন্দর্য কী?

(উঃ) বিনয়তা ও একাগ্রতা।

প্রঃ(২৭) জান্নাতের মূল্য কোন জিনিস?

(উঃ) নামাযে পঞ্জাগানা (পাঁচ ওয়াক্তের নামায)।

প্রঃ(২৮) ফেরেশতাদের এবাদত আর আম্বিয়াদের‘মীরাস’(উত্তরাধিকার) কী?

(উঃ) নামায।

প্রঃ(২৯) ফেরেশতাদের এবাদত কী?

(উঃ) নামায।

প্রঃ(৩০) নামায ক্ববুল হওয়ার শর্ত কী?

(উঃ) আহলেবায়ত (আঃ)-এর প্রতি মুহাব্বত বা ভালোবাসা এবং তাঁদের শক্রদের প্রতি ঘৃণা করা।

প্রঃ(৩১) অহংকারের ওষুধ কী?

(উঃ) নামায।

প্রঃ(৩২) ওয়াজিব নামাযের পরে কোন নামায সব থেকে উত্তম?

(উঃ) রসূলে খোদা (সঃ)-এর বাণী অনুযায়ী নামাযে তাহাজ্জুদ ওয়াজিব নামাযের পরে সব থেকে উত্তম।

প্রঃ(৩৩) কোন নামাযে পাঁচটি তকবীর আছে?

(উঃ) নামাযে মাইয়তে।

প্রঃ(৩৪) ভয়, ভূমিকম্প, চন্দ্রগ্রহণ আর সূর্যগ্রহণের সময় কোন নামায পড়া হয়?

(উঃ) নামাযে আয়াত।

প্রঃ(৩৫) কোন নামাযকে রসূলে খোদা (সঃ) ফক্বীর ও গরীবদেরহ্বজ্জ বলে জানিয়েছেন?

(উঃ) জুম্‌য়াহ্‌র নামাযকে।

প্রঃ(৩৬) কোন ওয়াজিব নামাযে দশটি রুকূ আছে?

(উঃ) নামাযে আয়াতে।

প্রঃ(৩৭) কোন মুস্তাহাব নামায মগরিব ও এশার নামাযের মাঝে পড়া হয়?

(উঃ) মগরিবের নামাযের নাফেলাহ এবং নামাযে গোফায়লাহ্‌।

প্রঃ(৩৮) কোন নামায এগারো (১১) রেকাত?

(উঃ) নামাযে তাহাজ্জুদ।

প্রঃ(৩৯) কোন মুস্তাহাব নামায মহানবী (সঃ)-এর উপর ওয়াজিব ছিল?

(উঃ) নামাযে তাহাজ্জুদ।

প্রঃ(৪০) কোন নামাযকে জান্নাতের পাসপোর্ট স্বরুপ বলা হয়?

(উঃ) নামাযে তাহাজ্জুদ।

প্রঃ(৪১) নবী (সঃ)-এর উপর সর্বপ্রথম কোন নামায ওয়াজিব হয়েছিল?

(উঃ) যোহরের নামায।

প্রঃ(৪২) সর্বপ্রথম আল্লাহ্‌ তায়ালা মানুষের উপর কোন জিনিস ওয়াজিব করেছিলেন?

(উঃ) নামায।

প্রঃ(৪৩) মানুষের আমলের মধ্যে কোন জিনিস সর্বপ্রথম উচ্চস্থানে নিয়ে যাবে?

(উঃ) নামাযে পঞ্জাগানাহ (পাঁচ ওয়াক্তের নামায)।

প্রঃ(৪৪) আল্লাহ্‌ তায়ালা কোরআন শরীফে কোন বিষয়ে সর্বাধিকগুরুত্ব সহকারেনসিহত করেছেন?

(উঃ) নামাযের বিষয়ে।

প্রঃ(৪৫) নামাযে এমন কোন দোয়া আছে যার কোন অক্ষরে‘নোক্বতা’নেই?

(উঃ) দরূদ শরীফ।

প্রঃ(৪৬) নামাযে কোন অবস্থায় মানুষ সব থেকে বেশি আল্লাহ্‌র নিকট থাকে?

(উঃ) সেজদার অবস্থায়।

প্রঃ(৪৭) কোন নামাযের পরে দোয়া রুযীর কারণ হয়?

(উঃ) ফজরের নামাযের পরে।

প্রঃ(৪৮) আল্লাহ্‌র কাছে হযরত ফাতেমা যাহ্‌রা (আঃ)-এর তসবিহ পড়ার সওয়াব কী?

(উঃ) হাজার নামাযের থেকে উত্তম।

প্রঃ(৪৯) কোন এবাদত মানুষের মাফ (ছাড়) নেই?

(উঃ) নামায।

প্রঃ(৫০) একটি জামায়াতের সাথে পড়া কত বছরের ফোরাদা (একাকী) পড়া নামাযের থেকে উত্তম?

(উঃ) একটি নামায জামায়াতের সাথে পড়া বাড়িতে একাকী চল্লিশ বছর নামায পড়ার থেকে উত্তম।

প্রঃ(৫১) মুনাফিক্বের দৃষ্টিতে সব থেকে মুশকিল বা কঠিন নামায কী?

(উঃ) ফজর ও এশার নামায।

প্রঃ(৫২) আল্লাহ্‌ তায়ালা হযরত আদম (আঃ-এর তওবা কখন ক্ববুল করেছিলেন?

(উঃ) মগরিবের নামাযের সময়।

প্রঃ(৫৩) প্রাত্যহিক নামাযের মধ্যে কোন নামায ফল মানুষ ও জাহান্নামের মাঝে দেওয়াল সৃষ্টি করবে?

(উঃ) ইমাম হাসান (আঃ) রসূলে খোদা (সঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন“যে ব্যক্তি নামাযে ফজর পড়বে সেই নামায তার আর জাহান্নামের আগুনের মাঝে দেওয়াল রূপে দাঁড়াবে।

প্রঃ(৫৪) নামাযে কোন বাক্য উচ্চারণ করার সময় দুই ঠোঁট মিলিত হয়না?

(উঃ) লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ্‌।

প্রঃ(৫৫) নামায উসূলে দ্বীনের মধ্যে না ফুরূয়ে দ্বীনের মধ্যে?

(উঃ) ফুরূয়ে দ্বীনের মধ্যে।

প্রঃ(৫৬) নামাযের কোন অংশ আঞ্জাম দিলে গোনাহ্‌ মাফ হয়ে যায় এবং শয়তানকে মারে?

(উঃ) দীর্ঘ সেজদাহ্‌  গোনাহকে শেষ করে দেয় এবং শয়তানের কোমর ভেঙ্গে দেয়।

প্রঃ(৫৭) ক্বেবলার দিকে ফিরে ওজু করার সওয়াব কত?

(উঃ) দুই রেকাত নামাযের সমপরিমাণ।

প্রঃ(৫৮) সুগন্ধি (আতর) লাগিয়ে নামায পড়ার সওয়াব কত?

(উঃ) ইমাম জাফ্‌র সাদিক্ব (আঃ) বলেছেনঃ সুগন্ধি লাগিয়ে দুই রেকাত নামায পড়া বিনা সুগন্ধিতে সত্তর রেকাত নামাযের থেকে উত্তম।

প্রঃ(৫৯) নামাযে ঈদে গদীর পড়ার সওয়াব কত?

(উঃ) এক লক্ষ, হ্বজ্জ আর এক লক্ষ উমরার সমপরিমাণ।

প্রঃ(৬০) কোন নামাযের প্রথম রেকাতে সূরা হামদের পর আয়াতুল কুরসী পড়তে হয়?

(উঃ) নামাযে ওয়াহশাতের (মাইয়ত দাফন করার প্রথম রাতে এশার পর মাইয়তের ভীতি ও আতঙ্ক থেকে মুক্তির উদ্দেশ্যে যে নামায পডা হয়) প্রথম রেকাতে।

প্রঃ(৬১) হযরত আলী (আঃ)-এর হারামে (রওযার কাছে) নামায পড়ার সওয়াব কত?

(উঃ) দুই লক্ষ নামাযের বরাবর (সমতুল্য)।

প্রঃ(৬২) ওয়াক্তের শুরুতে নামায পড়ার সওয়াব কত?

(উঃ) যে ব্যক্তি ওয়াক্তের শুরুতে নামায পড়বে তার সওয়াব “(১) তার উপর আযাব নাযিল হবেনা (২) সে বিনা হিসাবে জান্নাতে যাবে”।

প্রঃ(৬৩) নামাযের প্রতি অলসতা দেখানোর পরিণাম কী?

(উঃ) হযরত ফাতেমা যাহ্‌রা (আঃ)-নিজ পিতা হতে রেওয়ায়েতবর্ণানা করেছেনঃ যে ব্যক্তি নামাযের প্রতি অলসতা দেখাবে আল্লাহ্‌ তায়ালা তাকে পনেরো রকম বদভ্যাসে অভ্যস্ত করে দেবে।

নির্দেশাবলী

প্রশ্নঃ(১) তক্বলীদের অর্থ কী?

উত্তরঃ দ্বীন সংক্রান্তে ও নির্দেশাবলীতে মুজতাহিদের ফতোয়া অনুযায়ী আমল করা কে তক্বলীদ বলা হয়।

প্রঃ(২) যে মুজতাহিদের তক্বলীদ করা হবে তার শর্তবলী কী কী?

উঃ যে মুজতাহিদের তক্বলীদ করা হবে তার শর্ত নিম্নে উল্লেখ করা হলঃ

(১) পুরুষ হওয়া, (২) সাবালক হওয়া, (৩) জ্ঞানী হওয়া, (৪) বারো ইমামের মান্যকারী হওয়া [শীয়া এসনা আশারী]

(৫) (জারজসন্তান) অবৈধ সন্তান না হওয়া (৬) জীবিত হওয়া (৭) আদিল হওয়া (ন্যায় পরায়ণ হওয়া)।

প্রঃ(৩) মূল অপবিত্র বস্তু কয়টি?

উঃ মূল অপবিত্র বস্তু এগারোটি যথাঃ

(১) পায়খানা (২) প্রস্রাব (৩) বির্য (৪) মৃত (৫) রক্ত (৬) শুকর (৭) কুকুর (৮) মদ (৯) কাফির (১০) ফোকাহ (যবের মদ) (১১) অপবিত্র(নাপাক) বস্তু খায় এমন উটের ঘাম।

প্রঃ(৪) মুরগীর ডিমে যদি রক্ত দেখা যায় তাহলে তার হুকুম কী?

উঃ মুরগীর ডিমে দেখা দেওয়া যাওয়া রক্ত নাপাক নয়, কিন্তু সেটি খাওয়া হারাম, তবে হ্যাঁ, যদি রক্ত কুসুমের সঙ্গে এমন ভাবে মিশ্রত করা হয় যেন রক্তের কোন চিহ্ন না থাকে তাহলে সেটি খেতে কোন বাধা নেই।

প্রঃ(৫) দাঁত ও মাড়ী থেকে যে রক্ত বাহির হয় তার হুকুম কী?

উঃ এই ধরনের রক্ত নাপাক সুতরাং গিলে নেওয়া হারাম, কিন্তু যদি রক্ত থুথুর সঙ্গে এমন ভাবে মিশ্রত হয়ে যায় যে, রক্তের চিহ্ন না থাকে এবং রক্তের প্রভাব ও শেষ হয়ে যায় তাহলে সেটি পবিত্র বলে গণ্যহবে এবং সেটাকে গিলে ফেলাতে কোন দোষ নেই।

প্রঃ(৬) যদি কোন ব্যাক্তি কোন বস্তুকে পবিত্র ও অপবিত্রতার সম্বন্ধে সন্দেহ হয় তাহলে তার নির্দেশ কী?

উঃ যদি অপবিত্র বস্তুর সম্বন্ধে সন্দেহ হয় যে পবিত্র কি না, তাহলে সেই বস্তু অপবিত্রতার নির্দেশ রাখে, ঠিক এইরুপ যদি পবিত্র জিনিসের সম্বন্ধে সন্দেহ হয় যে অপবিত্র কি না তাহলে সেই বস্তু পবিত্র গণ্য হবে।

প্রঃ(৭) প্রস্রাব ও মলইত্যাগের অবস্থায় কোন জিনিস হারাম?

উঃ কাবা সরুপ মুখমন্ডল কিংবা পিঠ করে বসা হারাম।

প্রঃ(৮) যদি কোন ব্যক্তি কাবা সরুপ মুখমন্ডল কিংবা পিঠ করে বসতে বাধ্য হয় তাহলে তাঁকে কি করা উচিত?

উঃ যদি কোন ব্যক্তির দৃষ্টি এড়াতে বা অন্য কোন কারণে কাবা সরুপ মুখমন্ডল কিংবা পিঠ করে বসতে বাধ্য হয় তাহলে কোন দোষ নেই।

প্রঃ(৯) মুতাহহরাত [পবিত্রকারী ] বস্তু কয়টি?

উঃ দশটি, যথাঃ (১) পানী (২) মাটি (৩) সূর্য।

(৪) ইস্তেহালা। (এক জিনিস থেকে অন্য জিনিসে পরিবর্তন হয়েযাওয়া যেমনঃ

আঙ্গুরের রস দুই তৃতীয়াংশ জ্বলার পর পবিত্র হয়ে যায়)।

(৫) ইন্তেকাল । (যেমন রক্ত যতক্ষণ মানুষের শরীরের মধ্যে আছে নাপাক কিন্তু যখন কোন এমন জন্তু খেয়ে নেয় যার রক্ত জবাই করার সময় ফিনকি ছেড়ে বের হয়না তাহলে সেই রক্ত পাক হয়ে যাবে, যেমন মশা মানুষের শরীর থেকে রক্ত খেয়ে নিলে সে রক্ত পাক হয়ে যায়)।

(৬) তবিয়াত। (কারোর মাধ্যমে কোন জিনিস পাক হয়ে যাওয়াযেমন যদি কোন কাফির ব্যক্তি মুসলমান হয়ে যায় তাহলে তারনাবালক সন্তানও পবিত্র হয়ে যাবে যেমনঃ মদের পাত্র মদসিরকায় পরিবর্তণের সাথে সাথে পাত্রও পবিত্র হয়ে যায় আলাদাভাবে পাক করতে হয়না)।

(৭) ইসলাম। (কোন কাফির যদি মুসলমান হয় তাহলে যে পবিত্রহয়ে যায়)

(৮) মূল অপবিত্রতা দূর হওয়া।

(৯) যে পশু অপবিত্র জিনিস খায় তার ইস্তেবরা।

প্রঃ(১০) কোন সমস্ত শর্তের সঙ্গে পানী নাপাক বস্তুকে পাক করতে পারে?

উঃ নিম্নে উল্লেখিত শর্তের সঙ্গে পানী নাপাক বস্তুকে পাক করতে পারে।

(১) অমিশ্রত পানী [ মিশ্রত না হওয়া যেমন =শরবত, গোলাবের পানি, ডাবের পানি ইত্যাদী]

(২) পানী পাক হওয়া।

(৩) অপবিত্র বস্তুকে ধৈাত করিবার সময় পানি মিশ্রত না হওয়া।

(৪) পবিত্র করার পরে মূল নাপাক হতে কোন ক্ষুদ্র অবশিষ্ঠ না থাকা।

প্রঃ(১১) ওযূ করার নিয়ম কী?

উঃ ওযূতে মুখমন্ডল ও হাথ ধৌত করা ওয়াজিব আর মাথার সামনের এক চতুর্থাংশ এবং দুই পায়ের পাতার উপর স্পর্শন (মসাহ)করা ওয়াজিব।

প্রঃ(১২) ওযূ সঠিক হওয়ার শর্ত গুলি কী কী?

উঃ ওযূ সঠিক হওয়ার তেরোটি শর্ত বর্ণনা হয়েছেঃ

(১) ওযূর পানী পবিত্র হওয়া

(২) পানী অমিশ্রত হওয়া

(৩) পানী চুরিকৃত ভাবে সংগ্রহ না করা (অনুমোদিত হওয়া)

(৪) পানীর পাত্র, জবরদখল করে না নেওয়া

(৫) পানীর পাত্র, সোনা ও রুপোর না হওয়া

(৬) ধৌত ও স্পর্শ (মসাহ) করার সময় ওযূর অংশ পবিত্র হওয়া

(৭) ওযূ ও নামাযের জন্য যথেষ্ট সময় থাকা

(৮) আল্লাহ্‌র নৈকট্য অর্জনের জন্য ওযূ করা অর্থাৎ আল্লাহ্‌র আদেশ পালন করার জন্য ওযূ করা

(৯)  পূর্বের উল্লেখিত নির্দেশ অনুযায়ী ওযূ করা

(১০) ওযূতে ধারাবাহিকতা বজায় রাখা

(১১) মুখমন্ডল ও হাত ধৌত এবং মাথা ও পায়ের পাতার স্পর্শ(মসাহ) নিজের করতে হবে

(১২) পানীর ব্যবহার, ওযূতে বাঁধা সৃষ্টি না করে

(১৩) ওযূ করার অংশে যেন এমন কোন জিনিস না থাকে যেটি পানী পৌঁছাতে বাঁধা সৃষ্টি করে।

প্রঃ(১৩) ওযু ভঙ্গকারী জিনিস কয়টি?

উঃ সাতটি জিনিস ওযুকে ভঙ্গ করে দেয়ঃ

(১) প্রষাধন – প্রস্রাব করা।

(২) মলত্যাগ করা।

(৩) বায়ু নির্গত হওয়া।

(৪) নিদ্রা, এমন ভাবে ঘুমানো যেন চোখ দেখতে না পায় ও কান শুনতে না   পায়।

(৫) যে সমস্ত জিনিস দ্বারা জ্ঞান হারিয়ে যায়, যেমনঃ মাতাল হওয়া, বেহুস হওয়া।

(৬) ঋতুস্রাব।

(৭) সেই সমস্ত কর্ম যার ফলে গোসল ওয়াজিব হয়, যেমনঃ শুক্রক্ষরণ বির্য নির্গত হওয়া (জনাবত)।

প্রঃ(১৪) তয়ম্মুম কখন করা উচিত?

উঃ সাতটি কারণে ওযূ বা গোসলের পরিবর্তে তয়ম্মুম করা উচিতঃ

(১) ওযূ বা গোসলের জন্য পানী পাওয়া না গেলে।

(২) পানী সংগ্রহ করতে না পারলে।

(৩) পানীর ব্যবহার শরীরের পক্ষে ক্ষতির আখঙ্খা থাকলে।

(৪) পিপাসার ভয় থাকলে, যে যদি এখন পানী দ্বারা ওযূ করা হয় তাহলে পরে পান করার পানী থাকবে না।

(৫) অপবিত্র তাকে পবিত্র করিবার জন্য পানী ব্যবহার করা।

(৬) পানী বা পানীর পাত্রের ব্যবহার হারাম হওয়া কালীন।

(৭) সময় সংক্ষিপ্ত থাকা কালীন।

প্রঃ(১৫) তায়ম্মুম করার নিয়ম কী?

উঃ তয়ম্মুমে চারটি জিনিস ওয়াজিবঃ

(১) নিয়ত।

(২) দুই হাতের তালু মিলিত ভাবে এমন বস্তুর উপর মারা, যার উপর তয়ম্মূম করা সঠিক।

(৩) দুই হাতের তালু দিয়ে কপাল ও তার পার্শবর্তী এলাকা, ভুরু ও নাকের শেষাংশ পর্যন্ত স্পর্শ (মসাহ) করা।

(৪) বাম হাতের তালু দিয়ে ডান হাতের উপরে স্পর্শ (মসাহ) করা, একই ভাবে ডান হাতের তালু দিয়ে বাম হাতের উপর স্পর্শ (মসাহ) করা।

প্রঃ(১৬) ওযূ এবং গোসলের পরিবর্তে যে তায়ম্মুম করা হয় তার মধ্যে পার্থক্য কী?

উঃ কোন পার্থক্য নেই।

প্রঃ(১৭) তায়ম্মুম করার সময় আংটি খুলে রাখার প্রয়োজন আছে কী?

উঃ তায়ম্মুম করার সময় আংটি খুলতে হবে আর যদি কপালে বা হাতের উপরে কোন রকমের বাঁধা থাকে তাহলে তাকে তয়ম্মুমের আগে দূর করতে হবে।

প্রঃ(১৮) কয়টি জিনিস তায়ম্মুমকে ভঙ্গ করে?

উঃ যে সমস্ত জিনিস ওযূকে ভঙ্গ করে, ওযূর পরিবর্তে করা তয়ম্মুমকেও ভঙ্গ করে আর যে সমস্ত জিনিস গোসলকে ভঙ্গ করে, গোসলের পরিবর্তে করা তয়ম্মুমকেও ভঙ্গ করে।

প্রঃ(১৯) ওয়াজিব গোসল কয়টি?

উঃ চারটি গোসল পুরুষ ও নারী উভয়ের উপর ওয়াজিবঃ

(১) জনাবতের গোসল

(২) মৃতর গোসল

(৩) মৃত স্পর্শের গোসল (গোসলে মসসে ময়য়ত)

(৪) ওই সমস্ত গোসল যাহা মান্নত, ক্বসম, দ্বারা ওয়াজিব হয়ে থাকে।

আর তিনটি গোসল শুধু মহিলাদের জন্য বিশিষ্ট।

প্রঃ(২০) গোসল কবার পদ্ধতি কী?

উঃ ওয়াজিব অথবা সুন্নত গোসল করার দুটি পদ্ধতি আছেঃ

(১) তরতীবী            (২) ইরতেমাসী

প্রঃ(২১) ইরতেমাসী ও তরতীবী গোসলের নিয়ম কী?

উঃ ইরতেমাসী গোসল, যদি ইরতেমাসী গোসলের নিয়ত করে পরস্পর শরীরকে পানীতে ডুবিয়ে দেওয়া

হয় আর শরীর সম্পূর্ণরুপে পানীর মধ্যে চলে যায় তাহলে গোসল সঠিক হবে, উপযুক্ত সাবধানতা যে পুরো শরীর এক সঙ্গে পানীর মধ্যে হতে হবে, আর যদি ইরতেমাসী গোসলে পুরো শরীর পানীর মধ্যে থাকে আর পরে গোসলের নিয়ত করে তৎক্ষনাত শরীর নাড়াচাড়া দেওয়া হয় তাহলে গোসল সঠিক হবে ।

 

তরতীবী গোসলের নিয়ম এই যে, প্রথমে শরীর থেকে সমস্ত অপবিত্রতাকে দূর করতে হবে, তারপর গোসলের নিয়ত করে মাথা ও গলা ধৌত করতে হবে, তার পরে শরীরের ডান পাশ এবং বাম পাশ ধৌত করতে হবে, মনে রাখা উচিত যে এমন ভাবে ধৌত করতে হবে যেন পানী দেহের সমস্ত জায়গাতে পৌঁছে যায়।

প্রঃ(২২) গোসল সঠিক হওয়ার শর্ত গুলি কী কী?

উঃ যে সমস্ত শর্ত, ওযূ সঠিক হওয়ার সম্বন্ধে উল্লেখ করা হয়েছে ওই সমস্ত শর্ত গোসল সঠিক হওয়ার জন্য উল্লেখিত, যেমনঃ পানী পবিত্র হওয়া, পানী চুরিকৃত ভাবে সংগ্রহ না করা, ইত্যাদি ।

কিন্ত গোসলে, শরীরের উপর থেকে নিচের দিকে ধৌত করতে হবে, এর প্রয়োজন নেই, আর তরতীবী গোসলে এটাও প্রয়োজন নেই যে এক অংশ ধৌত করার পরে সঙ্গে সঙ্গে দ্বিতীয় অংশ ধৌত করতে হবে বরং যদি মাথা ও গলা ধৌত করে কিছুক্ষণ থেমে ডান পাশ এবং একিই ভাবে কিছুক্ষণ থেমে বাম পাশ ধৌত করা হয় তাহলে তাতে কোন অসুবিধা নেই ।

প্রঃ(২৩) জুনুবী (যার উপর গোসল ওয়াজিব) ব্যক্তির উপরে কী কী কাজ করা হারাম?

উঃ জুনুবী ব্যক্তির উপরে পাঁচটি কাজ করা হারামঃ

(১) শরীরের কোন অংশ দিয়ে কোরআন স্পর্শ করা এবং আল্লাহ্‌র নাম স্পর্শ করা এবং সবধানতা হিসাবে আম্বিয়াগণদের ও আয়িম্মাদের নাম স্পর্শ করা।

(২) মসজিদে হারাম ও মসজিদে নবী (সঃ) তে প্রবেশ করা।

(৩) সাধারণ মসজিদে প্রবেশ করা।

(৪) মসজিদে কোন বস্তু রাখা।

(৫) কোরআনের ওই সমস্ত সূরা পাঠ করা যার মধ্যে ওয়াজিব সেজদাহ্‌ আছে। (একটি অক্ষর পড়াও হারাম)

প্রঃ(২৪) নামাযে কটি বস্তু ওয়াজিব বলে বর্ণনা হয়েছে?

উঃ নামাযে এগারোটি জিনিস ওয়াজিবঃ

(১) নিয়ত।

(২) দন্ডায়মান (ক্বেয়াম)

(৩) তকবীরাতুল আহ্‌রাম (নিয়তের পরেই আল্লাহু আকবর উচ্চারণ করা)।

(৪) রুকু।

(৫) সেজদাহ্‌।

(৬) ক্বেরায়াত (সূরাপাঠ)।

(৭) জিক্‌র।

(৮) তাশাহুদ।

(৯) সালাম।

(১০) ধারাবাহিকতা (তরতীব)

(১১) একের পর এক, অর্থাৎ আগে পিছু করলে নামায নষ্ট হয়ে যাবে। (মওয়ালাত)

প্রঃ(২৫) নামাযের স্তম্ভ (আরকান) কয়টি?

উঃ নামাযের স্তম্ভ পাঁচটিঃ

(১) নিয়ত।

(২) নিয়তের পরেই আল্লাহু আকবর উচ্চারণ করা (তকবীরাতুল আহ্‌রাম)।

(৩) তকবীরের সময় দন্ডায়মান (ক্বেয়াম) বজায় রাখা।

(৪)রুকু।

(৫) দুই সেজদাহ্‌।

প্রঃ(২৬) কয়টি জিনিস নামাযকে ভঙ্গ করে?

উঃ বারোটি জিনিস নামাযকে ভঙ্গ করেঃ

(১) নামায পড়াকালীন নামাযের কোন একটি শর্ত শেষ হয়ে যাওয়া, যেমনঃ নামায পড়াকালীন সে জানতে পারে যে নামাযের স্থান জবরদখল করা হয়েছে।

(২) নামায পড়াকালীন এমন পরিস্থিতি দেখা দেওয়া যার দ্বারা ওযূ বা গোসল বাতিল হয়ে যায়।

(৩) ইচ্ছাকৃত হাত বেধে নামায পড়া।

(৪) গাভিলতা কিংবা ইচ্ছাকৃত ভাবে, কাবার দিকে পিঠ করা।

(৫) ইচ্ছাকৃত সূরা আল্‌হাম্‌দ এর পরে “আমীন” বলা।

(৬) ইচ্ছাকৃত এমন বাক্য উচচারণ করা যার দ্বারা কোন অর্থের ইচ্ছা প্রকাশ করা হয়েছে।

(৭) উচ্চস্বরে হাঁসা।

(৮) দূনীয়াদারী ও (পার্থিব কামনার) জন্য উচ্চস্বরে ক্রন্দন করা।

(৯) এমন কাজ করা যা নামাযকে বিনষ্ট করে দেয়।

(১০) নামাযের অবস্থায় খাওয়া ও পান করা।

(১১) দুই রেকাতী ও তিন রেকাতী ও চার রেকাতী নামাযের প্রথম দুই রেকাতে সন্দেহ করা।

(১২) নামাযের ওয়াজিব সমূহ আর নামাযের স্তম্ব সমূহকে (আরকান) কে ভুলবশত কিংবা  ইচ্ছাকৃত ভাবে কম-বেশি করা।

প্রঃ(২৭) নামাযের পরে যদি সন্দেহ হয় যে, নামায পড়াকালীন এমন কাজ করা হয়েছে যেটা নামাযকে নষ্ট করে দেয়, এমন অবস্থায় কী নামায সঠিক হবে?

উঃ  হ্যাঁ, এমন অবস্থায় নামায সঠিক হবে।

প্রঃ(২৮) পথিককে (যাত্রী) নামায কসর পড়ার জন্য কটি শর্ত বর্ণনা হয়েছে?

উঃ আটটি শর্ত বর্ণনা হয়েছে :

(১) পথিকের পথ, যাতায়াতে আঁট ফরসখ থেকে যেন কম না হয়, এক ফরসখ ৫,৫ কিলোমিটার কে বলা হয়।

(২) সফর আরাম্ভ করার পূর্বে যেন আট ফরসখ যাত্রা করার ইচ্ছা থাকে।

(৩) যাত্রা করা কালীন নিজের ইচ্ছা (নিয়ত) হতে যেন নিয়ত পালটে না যায়।

(৪) আট ফরসখ পর্যন্ত পৌচ্ছানোর আগে নিজের এলাকা কিম্বা এমন কোন জায়গা দিয়ে যেন না অতিক্রম হয় যেখানে নামায সম্পূর্ন পড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

(৫) যাত্রা নাজায়েয কাজের জন্য যেন না হয়।

(৬) পথিক যেন যাযাবর না হয়, যাহারা মাঠে মাঠে ঘোরা-ফেরা করে।

(৭) পথিকের পেশা যেন যাত্রা করা না হয়, যেমন গাড়ী চালকdriverবার্তা বাহক post man, ইত্যাদি।

(৮) হাদ্দে তারাখখুস অতিবাহিত হওয়া।

প্রঃ(২৯) সন্তানের যাত্রা, যদি পিতা-মাতাকে কষ্ট দেয় তাহলে তার আদেশ কী?

উঃ সন্তান যদি যাত্রা করে, যার কারণে পিতা-মাতা কষ্টভোগ করে, এমন অবস্থায় তার যাত্রা হারাম হবে।

প্রঃ(৩০) যদি কোন ব্যক্তি যাত্রাতে হারাম কাজ করে তাহলে তার নামাযের হুকুম কী?

উঃ এমন ব্যক্তি যে হারাম কাজের জন্য যাত্রা করছে না আর তার যাত্রা ও হারাম নয়, কিন্তু সে যদি গোনাহ্‌ ও পাপ করে, যেমনঃ পরনিন্দা, কিম্বা মদ পান করে, তাহলে তাঁকে নামায কসর পড়তে হবে।

প্রঃ(৩১) এমন এক জায়গা যে সেটা তাঁর আসল বাসস্থান নয়, ওই জায়গা কিভাবে তাঁর বাসস্থান গণ্য হতে পারে?

উঃ যতক্ষন পর্যন্ত মানুষ ওই জায়গাতে সর্বদা থাকার মনস্তাব না করবে, যে স্থানে তাঁর আসল বাসস্থান নয়, তৎক্ষন পর্যন্ত তার বাসস্থান গণ্য হবে না।

প্রঃ(৩২) রোযার অর্থ কী?

উঃ আল্লাহ্‌র আদেশ পালনের জন্য ভোরের আযান থেকে মগরিবের আযান পর্যন্ত সেই সমস্ত বস্তু থেকে বিরত থাকা যে বস্তু গুলি রোযাকে নষ্ট করে দেয়।

প্রঃ(৩৩) রোযার নিয়ত কখন করা উচিত?

উঃ রমযান মাসে রোযার নিয়তের কোন নির্দিষ্ট সময় নেই, ভোরের আযান পর্যন্ত যে কোন সময়ে আগামী দিনের রোযার নিয়ত করলে কোন অসুবিধা নেই।

প্রঃ(৩৪) রোযা বিনিষ্টকারী বস্তু কয়টি?

উঃ নয়টি জিনিস রোযাকে নষ্ট করে দেয়ঃ

(১) খাওয়া ও পান করা।

(২) সঙ্গম বা সহবাস করা।

(৩) ইস্তেম্‌না – ইচ্ছাকৃত ভাবে বির্য নির্গত করা।

(৪) খোদা ও নবী (সঃ) আর আয়িম্মা (আঃ)-দের উদ্দেশ্যে মিথ্যা অপবাদ দেওয়া।

(৫) মোটা ও গাড়ো ধুলা-বালি, গলা (কণ্ঠনালী) পর্যন্ত পৌঁছে যাওয়া।

(৬) সম্পূর্ণ মাথা পানীতে ডোবানো।

(৭) জনাবত, হায়েজ (ঋতুস্রাব) ও নেফাসের অবস্থায় ভোরের আযান পর্যন্ত বাকি থাকা।

(৮) তরল বস্তু দিয়ে ডুস করা।

(৯) বমন (বমী) করা।

প্রঃ(৩৫) সেহ্‌রী খাওয়ার সময় যদি জানতে পারে যে সকাল হয়ে গেছে তখন কী করা উচিত?

উঃ সেহ্‌রী খাওয়ার সময় যদি জানতে পারে যে সকাল হয়ে গেছে সঙ্গে সঙ্গে মুখের আহার বাহির করতে হবে আর যদি ইছাকৃত গিলে ফেলে তাহলে রোযা নষ্ট হয়ে যাবে।

প্রঃ(৩৬) যদি কোন ব্যক্তি রমযান মাসে মুজনিব হয়ে যায় এবং কয়েক দিন পর্যন্ত সে জানতে না পারে যে, সে মুজনিব ছিল, তখন সে ব্যক্তি কী করবে?

উঃ যদি মুজনিব ব্যক্তি রমযান মাসে গোসল করতে ভুলে যায় আর এক দিন পরে মনে পড়ে, তাহলে তাকে এক দিনের রোযার ক্বাযা করতে হবে,আর যদি কয়েক দিন পরে জানতে পারে তাহলে তাকে ততদিনের রোযার ক্বাযা করতে হবে।

প্রঃ(৩৭) খুম্‌স কয়টি জিনিসের উপর ওয়াজিব?

উঃ খুম্‌স সাতটি জিনিসের উপর ওয়াজিবঃ

(১) বৎসরিক লাভ।

(২) গুপ্তধন, ওই সমস্ত জিনিস যেটা পাহাড় খুড়ে বাহির করা হয়।

(৩) ধনসম্পদ।

(৪) হালাল মূদ্রা যাহা হারাম মূদ্রার সঙ্গে মিশে গেছে।

(৫) সুমদ্র ও নদী থেকে যে সমস্ত হীরে-মতি পাওয়া যায়।

(৬) ওই জমি, যে জমিনকে ইসলামী রাষ্ট্রের বিধর্মী প্রজারা মুসলমানদের কাছ থেকে ক্রয় করেছে।

প্রঃ(৩৮) সৈয়দকে কখন খুম্‌স দেওয়া যেতে পারে?

উঃ যদি কোন ব্যক্তি নিজেকে সৈয়দ বলে ঘোষণা করে তাহলে তাকে খুম্‌স দেওয়া যাবে, কিন্তু দুই “আদিল” ব্যক্তিকে তার সৈয়দ হওয়ার সাক্ষি দিতে হবে অথবা জনগণের মধ্যে তার সৈয়দ বলে পরিচিত, যে মানুষ তার উপর ভরসা ও বিশ্বাস রাখে।

প্রঃ(৩৯) জমায়াতসহীত নামায পড়া ওয়াজিব না মুস্তাহাব?

উঃ মুস্তাহাব, বিশেষ করে পাঁচওয়াক্তের নামায জমায়াতসহীত পড়তে বলা হয়েছে, বিশেষ করে যারা মসজিদের পার্শবর্তী এলাকায় বসবাস করে এবং যারা মসজিদের আযান শুনতে পায় তাদের জন্য বিশেষ করে বলা হয়েছে ।

প্রঃ(৪০) জমায়াতসহীত নামায পড়ার সওয়াব কত?

উঃ হাদীসে উল্লেখিত হয়েছে, যদি কোন ব্যক্তি পেশ-ইমামের সঙ্গে নামায পড়ে তাহলে তার এক রাকাত নামাযের সওয়াব ১৫০ নামাযের সমতুল্য আর যদি দুই ব্যক্তি পেশ-ইমামের সঙ্গে নামায পড়ে তাহলে তাদের এক রাকাত নামাযের সওয়াব ৬০০ নামাযের সমতুল্য আর অনুসরনকারী যত বেশি হবে, সওয়াবও তত বাড়তে থাকবে আর যদি অনুসরনকারী দশ জনের বেশি হয় তাহলে তার সওয়াব এত পরিমাণেবেড়ে যাবে যে, যদি জমিন ও আসমান কাগজ হয়, সুমদ্রের পানী কালি হয়, গাছ কলম হয় আর জিন ও মানব লিখতে থাকে তবুও এক রাকাত নামাযের সওয়াব নিবন্ধ করতে পারবে না।

প্রঃ(৪১) জমায়াতের নামাযে ইমাম ও অনুসরণকারী (মামুম)-দের কর্তব্য কী?

উঃ অনুসরণকারীদের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে যে সূরা হাম্‌দ ও দ্বিতীয় সূরা ছাড়া বাকি সব কাজ নিজেকে করতে হবে, বিশেষ করে ইমাম যখন প্রথম ও দ্বিতীয় রেকাতে থাকবে আর যদি ইমাম ত্বতীয় বা চতুর্থ রেকাতে থাকে তাহলে অনুসরণকারীদের প্রয়োজন সূরা হাম্‌দ অথবা “তসবিহাতে আর্‌বা” পড়া।

প্রঃ(৪২) অনুসরণকারী কখন ইমামের অনুসরণ করবে?

উঃ অনুসরণকারীদের প্রয়োজন যে, ইমামের “তকবীরাতুল এহরাম”বলার পূর্বে “তকবীরাতুল এহরাম” না বলা, বরং সতর্ক থাকতে হবে যে, যতক্ষণ ইমামের “তকবীরাতুল এহরাম” সম্পূর্ণ না হবে ততক্ষন পর্যন্ত যেন অনুসরণকারী “তকবীরাতুল এহরাম” না বলে।

প্রঃ(৪৩) মামুমীন ইমামের আগে অন্য কাজ করতে পারে কী?

উঃ মামুমীন যদি “তকবীরাতুল এহরাম” আর “সালাম” ব্যতিত অন্য কাজ ইমামের আগে করে থাকে তাহলে এতে কোন দোষ নেই, কিন্তু যদি ইমামের কন্ঠস্বর শুনে থাকে কিংবা সে জানে যে কোন কাজ কখন করে, এমন অবস্থায় মামুমের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে যে ইমামের আগে যেন কোন কাজ না করে।

প্রঃ(৪৪) মামুম যদি ভুল করে ইমামের আগে রুকু থেকে উঠে পড়ে তাহলে তাঁর হুকুম কী?

উঃ মামুম যদি ভুল করে ইমামের আগে রুকু থেকে উঠে পড়ে আর ইমাম রুকুতে থাকে তাহলে তাঁকে দ্বিতীয়বার রুকুতে যাওয়া উচিত এবং ইমামের সঙ্গে রুকু থেকে উঠতে হবে আর এমন অবস্থায় বৈশিষ্ট রুকু করাতে নামায বাতিল হবে না, তবে হ্যাঁ যদি মামুম, ইমামের ওঠার পরে দ্বিতীয়বার রুকুতে চলে যায় তাহলে তাঁর নামায বাতিল হবে।

ধর্মীয় জ্ঞান

প্রঃ(১) আল্লাহ্‌ তায়ালা কয় প্রকারের মানুষকে সৃষ্টি করেছেন?

উঃ তিন প্রকারের মানুষকে সৃষ্টি করেছে (১) পিতা-মাতাহীন যেমন হযরত আদম (আঃ) ও হযরত হাওয়া (আঃ) (২) পিতাহীন যেমন হযরত ঈসা (আঃ) (৩) যারা পিতা-মাতা থেকে জন্মগ্রহণ করেছে যেমন আমরা।

প্রঃ(২) হযরত আদাম (আঃ) নিজ সন্তানদেরকে কি উপদেশ দিয়েছিলেন?

উঃ পাঁচটি উপদেশ দিয়েছিলেন (১) দুনিয়ার প্রতি আশা করবেনা (২) অভিলাষী নারীর ইচ্ছা মত চলবেনা (৩) কর্মের পূর্বে ভেবে নেবে (৪) সেই সব কাজ থেকে বিরত থাকবে যে কাজে মন সন্তষ্ট না হয়   (৫) নিজেদের কাজে সদা পরামর্শ করবে।

প্রঃ(৩) কোরআনের মধ্যে কোন কোন নবীর নাম উল্লেখ হয়েছে?

উঃ (১) হযরত মুহাম্মাদ মুস্তাফা (সঃ) (২) হযরত আদম (আঃ) (৩) হযরত নূহ (আঃ) (৪) হযরত ইদরীস (আঃ) (৫) হযরত হূদ (আঃ) (৬) হযরত স্বালেহ (আঃ) (৭) হযরত ইব্রাহীম (আঃ) (৮) হযরত লূত (আঃ) (৯) হযরত ইসমাঈল (আঃ) (১০) হযরত ইসহাক (আঃ) (১১) হযরত ইয়াক্বুব (আঃ) (১২) হযরত ইউসুফ (আঃ) (১৩) হযরত আইউব (আঃ) (১৪) হযরত শুয়াইব (আঃ) (১৫) হযরত ইলিয়াস (আঃ) (১৬) হযরত ইয়াসা (আঃ) (১৭) হযরত যাকারিয়া (আঃ) (১৮) হযরত ইহইয়া (আঃ) (১৯) হযরত ঈসা (আঃ) (২০) হযরত জুলকিফল (আঃ) (২১) হযরত ইউশা (আঃ) (২২) হযরত মূসা (আঃ) (২৩) হযরত ইউনুস (আঃ) (২৪) হযরত সুলাইমান (আঃ)।

প্রঃ(৪) নাফস(আত্মা) কয় প্রকারের?

ঊঃ তিন প্রকারের (১) আম্মারা (২) লাউয়ামা (৩) মুত্মাইন্নাহ।

প্রঃ(৫) খোদার বড় নেয়ামতের মধ্যে একটি বড় নেয়ামত কী?

উঃ ভুলে যাওয়ার অভ্যাস “ষষ্ঠম ইমাম জাফর সাদিক্ব (আঃ) বলেছেনঃ যদি এই নেয়ামত না হত তাহলে কোন মানুষ মৃত্যুর পরে শান্তি পেত না।

প্রঃ(৬) আর একটি বড় নেয়ামত কী?

উঃ মানুষের তার মৃত্যুর সময় না জানা।

প্রঃ(৭) একজন প্রকৃত শিয়ার মধ্যে কি কি গুণাবলি থাকা উচিত?

উঃ প্রথম ইমাম হযরত আলী (আঃ) জেসমস্ত গুণাবলি বয়ান করেছেন তার মধ্যে থেকে কিছু উল্লেখ করা হলঃ (১)  প্রতিজ্ঞা রক্ষা করা (২) বিপদে ধৈর্য্য ধারণ করা (৩) অউহাস্য থেকে বিরত থাকা (৪) কাউকে মুশকিলে না ফেলা (৫) মানুষের ত্রুটি মার্জনা করা (৬) আত্মসংশধোনে ব্যস্ত থাকা (৭)অধিকাংশ সময় নিরব (মৌন) থাকা (৮) গুনাহ সংঘটিত হলে দুঃখানুভাব করা  (৯)  অত্যাচারের বিপক্ষে ধৈর্য্য ধারণ করা (১০) সর্বদা দ্বীনের সাহায্য করা।

প্রঃ(৮) কেন বিশেষ নিয়মে ওজু করা হয়?

উঃ হুযুরে আকরম (সঃ) বলেছেনঃ যখন হযরত আদম (আঃ) গন্দুম (ফল) খেয়েছিলেন এবং তাঁকে জান্নাত থেকে  পৃথিবীর বুকে পাঠানো হয়েছিল তখন আদম (আঃ)-এর শরীর কালো হয়ে গিয়েছিল সেই কারণে হযরত আদম (আঃ) ভীষণভাবে ক্রন্দন করছিলেন কারণ পূর্বে তাঁর শরীর চাঁদের মত উজ্জ্বল ছিল, আল্লাহর তরফ থেকে জিব্রাইল (আঃ) অবতীর্ণ হলেন এবং হযরত আদম (আঃ)-কে বললেন হে আদম! তুমি এই হাত দিয়ে ফল ভেঙ্গেছো তাই হাতকে কনইপ পর্যন্ত ধুয়ে ফেলো এবং তুমি একটি অবাঞ্ছনীয় কাজ আঞ্জাম দিয়োছো সে জন্য হাতকে মাথার উপরে রাখো ও মসাহ করো সুতরাং এই ভাবে ওজু করা হয়।

প্রঃ(৯) বছরে তিরিশ দিন রোযা কেন রাখা হয়?

উঃ রসূল (সঃ) বলেছেন হযরত আদম (আঃ) যে গন্দুম ফল খেয়েছিলেন সেটি তাঁর পেটের মধ্যে তিরিশ দিন পর্যন্ত অবশিষ্ঠ ছিল তার পরে সেটি হজম হয়েছিল সেই কারণে আল্লাহ্‌ তিরিশ দিন রোযাকে ফরজ করেছে।

প্রঃ(১০) কোন জিনিস মানুষের জন্য অবধারিত?

উঃ রিয্‌ক (২)কর্মের ফল (৩)মৃত্যু।

প্রঃ(১১) আল্লাহ্‌র রাস্তায় মৃত্যুবরণ ছাড়া আরও কয় প্রকারের মৃতব্যক্তি শহীদ পরিগণিত হয়?

উঃ হযরত রসূল (সঃ) বলেছেনঃ আল্লাহর রাস্তায় মৃত্যু ছাড়াও আরও সাত প্রকারের মানুষকে শহীদ গন্য করা হয় (১) যে ব্যক্তি পেটের যন্ত্রনায় মৃত্যুবরণ করে (২) যে জ্বলেপুড়ে মৃত্যুবরণ করে (৩) যে ঘরবাড়ি চাপা পড়ে মৃত্যুবরণ করে (৪) যে পানিতে ডুবে মৃত্যূবরণ করে (৫) জা’তুর রেমাহ (এক ধরনের অসুখ)-তে আক্রন্ত হয়ে মৃত্যুবরণকারী (৬) যে নারী বাচ্চা প্রসব করার সময় মৃত্যুবরণ করে।

প্রঃ(১২) কোন কোন জিনিস কখোন ফিরে আসেনা?

উঃ চারটি জিনিস (১) যথা মুখ থেকে বের হওয়া কথা (২) ধনুক থেকে বের হওয়া তীর (৩) অতিবাহিত যাওয়া সময় (৪) ভাগ্য।

প্রঃ(১৩) রসূলে খোদা (সঃ), সমস্থ ইমামগণ (আঃ), আল্লাহ্‌ তায়ালা এবং জিব্রাইল পৃথিবীর কোন জিনিসকে পছন্দ করেন?

উঃ(১৩) রসূল (সঃ) বলেছেন আমাদের নিকট তিনটি জিনিস পছন্দীয় (১) আতর (২) নারী (৩) নামায।

প্রঃ(১৪) কেয়ামতের দিনে আমাদের কোনসব প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে?

উঃ হযরত রসূল (সঃ) বলেছেন ক্বেয়ামতের দিনে মোমিনদের কাছে প্রতিটি ক্ষেত্রে চারটি প্রশ্ন করা হবে  (১) বয়সের ব্যাপারে তা কি কাজে অতিবাহিত হয়েছে (২) শরীরের ব্যাপারে যে তা কোথায় ও কেমন কাজে ব্যবহার করা হয়েছে (৩) কর্মের ব্যাপারে এবং (৪) ধনদৌলতের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হবে।

প্রঃ(১৫) কোন কাজ তাড়াতাড়ি করতে হয়?

উঃ (১) অতিথীকে আহর পরিবেশন করা (২) মইয়াতকে কাফন-দাফন দেওয়া (৩) কন্যা সন্তানদেরকে বিবাহ দেওয়া (৪) গুনাহ হতে তওবা করা।

প্রঃ১৬। দুনিয়া ও আখেরত এবং দেহ ও মনের সুন্দর্যতা কী?

উঃ হযরত রসূল (সঃ) বলেছেনঃ তিনটি জিনিস-

১।দুনিয়ার জন্য- (১) ধনসম্পত্তি (২) সন্তান (৩) নারী।

২। আখেরতের জন্য- (১) শিক্ষা (২) তাক্বওয়া (৩) আল্লাহ্‌র রাস্তায় গরীব মিসকিনদেরকে সাহায্য করা

৩।দহের জন্য- (১)কম খাওয়া (২)কম কথা বলা (৩) কম ঘুমানো।

প্রঃ(১৭) লোকমান হাকিম নিজ সন্তানদেরকে কি ওয়াসিয়ত করেছিলেন?

উঃ লোকমান হাকিম বলেন আঠটি কথা তোমাদের কে বলছি এর মধ্যে রহস্য আছে।

দুটি জিনিসকে কখনো ভুলোনাঃ আল্লাহ্‌ ও মৃত্যূ কে।

দুটি জিনিসকে ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করবে মঙ্গলজনক কাজ যা তোমরা অপরের জন্য করেছো (অর্থাৎ অন্যের প্রতি কৃত উপকার) এবং অমঙ্গলজনক কাজ যা তোমার সঙ্গে করা হয়েছে। যখন কোন সভায় প্রবেশ করবে জিহ্বাকে সংযত রাখবে অর্থাৎ অনর্থক কথা বলবেনা, যখন মানুষের গৃহে প্রবেশ করবে চোখকে সংযত রাখবে অর্থাৎ ইতি-উতি তাকাবে না, যখন নামাযে রত থাকবে মনকে সংযত রাখবে অর্থাৎ কেবল আল্লাহর মনোনিবেশ করবে।

প্রঃ(১৮) কোন ব্যক্তিদের সালাম না করা উচিত?

উঃ (১) ইহুদী (২) নাসরানী (৩) সুদখোর (৪) যে ব্যক্তি গোসলখানায় গসলরত অবস্থায় আছে (৫) যে ব্যক্তি নামায পড়ছে।

প্রঃ(১৯) কোন সময় আল্লাহ্‌র রহমতের দ্বার খুলে যায়?

উঃ (১) বৃষ্টিপাতের সময় (২) পিতার প্রতি পুত্রের ভালোবাসার সময় (৩)কাবাশরীফের দ্বার খোলার সময় (৪)  বিবাহর সময়।

প্রঃ(২০) একটি প্রকৃত বন্ধুর মধ্যে কি কি গুণ থাকা উচিত?

উঃ (১) বন্ধুর ভালোবাসা শুধুমাত্র সতকর্মের জন্য হওয়া (২) বিপদের সময় সাহায্য করা (৩)  বন্ধুর দোষ ত্রুটিকে অপরের সামনে ব্যক্ত না করা (৪) বন্ধুর শততাকে স্মরন রাখা।

প্রঃ(২২) কাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করা উচিত?

উঃ রসূল (সঃ)-এর হাদীস অনুযায়ীঃ (১) যে ব্যক্তি আশাকে বিশ্বাষে পরিণত করে (২) যে ব্যক্তি বন্ধুত্বের মাধ্যমে আপনাকে বিনয়তার দিকে নিয়ে যায় (৩) যে ব্যক্তি আপনাকে দুনিয়া থেকে আখেরাতের দিকে নিয়ে যায় (৪) যে ব্যক্তি আপনাকে  বিশ্বাষ ভঙ্গকরণ হতে বিরত রাখে।

প্রঃ(২৩) কাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করা উচিত নয়?

উঃ ইমাম মুহাম্মাদ বাক্বের (আঃ) থেকে বর্ণিত যে পাঁচ ধরণের মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব না করা উচিতঃ (১) ফাসিক্ব (২) কৃপণ (৩) মিথ্যাবাদী  (৪) নির্বোধ (বোকা) (৫) আত্মিয়তা ছিন্নকারী।

প্রঃ(২৪)  হযরত রসূল (সঃ) হযরত আলী (আঃ) কে কি উপদেশ দিয়েছিলেন?

উঃ তিনি (সঃ) বলেছিলেনঃ (১) যখন তুমি দেখবে মানুষ দুনিয়াদারীতে ব্যস্ত আছে  তখন তুমি আখেরতের কাজে মগ্ন থাকবে (২) যখন দেখবে মানুষ দুনিয়াকে সাজাতে মগ্ন আছে  তখন তুমি আখেরতকে সাজাতে মগ্ন থাকবে (৩) যখন দেখবে মানুষ কাজকর্মে ব্যস্ত আছে তখন তুমি নিজের কাজে সৌন্দর্য আনার চেষ্টা করবে।

প্রঃ(২৫) পৃথিবীর মধ্যে গরীব কারা?

উঃ ইমাম জাফর সাদিক্ব (আঃ) বলেছেনঃ (১) যাকে কেউ ভালমন্দ জিজ্ঞাসা করেনা (২) যে আদেশনামার আদেশ পঠিত হয় না (৩) যে মসজিদে লোক যায় না (৩) যে ব্যক্তি কাফিরের হাতে বন্দী।

প্রঃ(২৬) দুইজন মুসলমান ভাইয়ের মধ্যে একে অপরের প্রতি কি ফরজ?

উঃ (১) ভুল-ত্রুটিকে ক্ষমা করে দেওয়া (২) ভুল-ত্রুটি  জানা সত্বেও ভুলে যাওয়া (৩) যদি কেউ গীবত করতে চায় তাকে বাধা দেওয়া (৪) সালামের উত্তর দেওয়া (৫) যদি অসুস্ত হয়ে পড়ে সমব্যথা জানানো (৬) অপমান হওয়া থেকে বাঁচানো

প্রঃ(২৭) হযরত রাসুল (সঃ) মদের ব্যাপারে কোন দশ ব্যক্তির উপর লানত (তিরস্কার) করেছেন?

উঃ (১) যে মদের উদ্দেশ্যে জমিনে বীজ বপন তার হেফাজত করে (৩) যে নিঙড়ে রস বের করে (৪) যে পান করে (৫) যে পান করায় (৬) যে বহন করে (৭) যার জন্যে নেওয়া হচ্ছে (৮) যে বিক্রয় করে (৯) যে ক্রয় করে  (১০) যে এর লাভ থেকে উপকৃত হচ্ছে।

প্রঃ(২৮) ক্ববরের মধ্যে কোন  সব প্রশ্নের উত্তর দিতে হয় তার মধ্য থেকে কিছু উল্লেখ কর?

উঃ ইমাম (আঃ) বলেনঃ (১) তোমার খোদা কে? (২) তোমার ইমাম কে? (৩) সম্পত্তি কোথা থেকে গ্রহণ করেছ এবং তা কোথায় ব্যায় করেছ? (৪) সময় কোথায় ও কি কাজে ব্যয় করেছো? (৫) সম্পত্তির খুমস যাকাত দেওয়া হয়েছে কি না? (৬) সঠিক ভাবে হজ আদায় করা হয়েছে কি না? (৭) ফরয রোযা আদায় করা হয়েছে কি না।

প্রঃ(২৯) দোয়া ক্ববূল হওয়ার শর্ত কী?

উঃ (১) কাজ শুরুর পূর্বে বিসমিল্লাহ বলা (২) প্রতি দোয়ার আগে ও পরে দরুদ পাঠ করা (৩) আল্লহর দরবারে চল্লিশ বছর পর্যন্ত দোয়া পুনরাবৃত্তি করা (৩) চল্লিশ মোমিন এক সঙ্গে দোয়া করা (৪) দোয়া কবূল হওয়ার জন্য আশা রাখা।

প্রঃ(৩০) কোন জিনিস বুদ্ধিকে বৃদ্ধি করে?

উঃ (১) বীট (২) লাউ (৩) দাঁতন করা (৪) সুগন্ধ লাগানো (৫)পরামর্শ করা (৬) যাত্রা করা (৭) ব্যবসাবানিজ্য করা।

প্রঃ(৩১) কোন জিনিসের কারণে মানুষের হৃদয় কঠিন হয়ে যায়?

উঃ (১) বেশি কথা বলা (২) আল্লাহর স্মরণ ছেড়ে দেওয়া (৩) পেট ভরে আহার করা (৪) অনবরত গুনাহ করা (৫) অনর্থক কথা বলা ।

প্রঃ(৩২) কোন জিনিস মানুষের স্মৃতিশক্তিকে বৃদ্ধি করে?

উঃ (১) মধু পান করা (২) দাঁতন করা  (৩) কুরআন পড়া (৪) সোমবারের দিনে নোখ কাটা (৫) কারফাস খাওয়া (খুরাসান শহরের জোয়ান)।

প্রঃ(৩৩) কোন জিনিস মানুষের বয়স বৃদ্ধি করে?

উঃ (১) পিতা-মাতাকে সন্তুষ্ট রাখা (২) বৃদ্ধ ব্যক্তিদেরকে স্মমান করা (৩) আত্মিয়তা বজায় রাখা (৪) মানুষের সাথে সদাচরন করা (৫) পূর্নঙ্গ ও নিখুত অজু করা (৬) মানুষের সঙ্গে খোশমেজাজে মেশা।

প্রঃ(৩৪) কোন জিনিস রিযক্ব(উপার্জন) বৃদ্ধি করে?

উঃ (১) সদ্ব্যবহার (২) প্রতিবেশিদের সঙ্গে সদাচারণ (৩) আত্মিয়তা বজায় রাখা (৪) সাদক্বা দেওয়া (৫) খাওয়ার পূর্বে হাত ধোয়া (৬) খাওয়ার পূর্বে পাত্র ধুয়ে নেওয়া (৭) সূর্য ডোবার পূর্বে প্রদ্বীপ জালানো (৮) ঘরে ঝাড়ু দেওয়া (৯) অসহায় ব্যক্তিদের সঙ্গে বন্ধুত্ব রাখা (১০) খিলাল করা।

প্রঃ(৩৫) কোন কারণে মানুষ দরিদ্রের সম্মুখীন হয়?

উঃ (১) ‘যেনা’(ব্যভিচার) করা (২) গালি দেওয়া (৩) অনবরত গুনহা করা (৪) সর্বদা হারাম কাজ করা।

প্রঃ(৩৬) কোন কারণে দ্বীন ও ঈমানে উন্নতি হয়?                             উঃ (১) ধর্মীয় মসলা মসায়েল শেখা (২) হজ্জ করা (৩) দ্বানশীলতা (৪) সদ্ব্যবহার (৫) উপকার করা (৬) ধনসম্পত্তির লোভ না করা

প্রঃ(৩৭) কোন জিনিস ধর্মের জন্য ক্ষতিকারক?

উঃ (১) কৃপণতা (২) ‘যেনা’ (৩) হাস্য বহলতা  (৪) হিংসা (৫) লোভ (৬) ক্রোধ (৭) অতিনিদ্রা।

প্রঃ(৩৮) কোন কারণে মানুষ অপমান ও অপদস্ত হয়?

উঃ (১) আল্লাহকে ভুলে যাওয়া (২) পিতার সঙ্গে শত্রুতা করা (৩) সম্মানীয় ব্যক্তিদেরকে অসন্মান করা (৪) ব্যবসাবানিজ্য থেকে সরে যাওয়া

প্রঃ(৩৯) কোন কারণে মানুষ সম্মান পায়?

উঃ (১) মানুষকে কষ্ট না দেওয়া (২) নিজের প্রতি অত্যাচারকারীকে ক্ষমা করে দেওয়া (৩) সদ্ব্যবহার

প্রঃ(৪০) কোন জিনিস মানুষকে জাহান্নামের দিকে নিয়ে যায়?

উঃ (১) ধন-দৌলতের কারণে কোন ধনি ব্যক্তিকে সম্মান প্রদর্শন করা (২) ‘যেনা’ করা (৩) ইয়াতিমদের অধিকার কেড়ে নেওয়া (৪) সুদ খাওয়া (৫) অহঙ্কার করা (৬) না-মহরম নারীদের সঙ্গে‘মসাফাহা’ করা। (না-মহরম নারী বলতে, যে সমস্ত মহিলাদের সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক গড়া জায়েয)

প্রঃ(৪১) কোন জিনিস মানুষকে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা কর

উঃ (১) রোযা রাখা (২) মোমিনের ‘গীবত’(পরনিন্দা) নারা ও করতে না দেওয়া (৩) মানুষের সঙ্গে সদ্ব্যবহার করা (৪) আল্লাহ্‌র ভয়ে ক্রন্দন করা (৫) জমিনে পড়া খাবার তুলে খাওয়া।

প্রঃ(৪২) ক্ববরস্থানে কোন বিষয়সমূহের প্রতি লক্ষ রাখা প্রয়োজন?

উঃ (১) ওযু করে  প্রবেশ করা (২) দুনিয়াদারীর বিষয়ে আলোচনা না করা (৩)  হাসা-হাসি না করা     (৪)ক্ববরের উপরে অথবা পাশে নামাজ না পড়া

প্রঃ(৪৩) সাদক্বা কয় প্রকারের?

উঃ সাদক্বা পাঁচ প্রকারের  (১) কিছু সাদক্বা সুস্থ থাকার জন্য দেওয়া হয় (২) কিছু সাদক্বা অসুস্থ মানুষকে দেওয়া হয় যার সওয়াব সত্তর গুণ (৩)  কিছু সাদক্বা গরীব আত্মীয়সজনকে দেওয়া হয় যার সওয়াব সাতশত গুণ (৪) কিছু সাদক্বা পিতা-মাতাকে দেওয়া হয় যার সওয়াব সাত হাজার গুণ (৫) কিছু সাদক্বা গরীব মোমিন ধর্মশিক্ষা অর্জনকারীকে দেওয়া হয় যার সওয়াব সত্তর হাজার গুণ।

প্রঃ(৪৪) তাওবা কবূল হওয়ার  শর্ত কী?

উঃ গুনাহর প্রতি অনুতাপ হওয়া (২) লোকেদের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া (৩) ছেড়ে যাওয়া ওয়াজিব সম্পূর্ণ করা (৪) হারাম খাবার ভক্ষনে থেকে তৈরী মেদ-মাংশ শেষ করা।

প্রঃ(৪৫) কোন সমস্ত জিনিস ক্ববরের আযাব থেকে রক্ষা করে?

উঃ (১) ভালো কথা শেখা এবং শেখানো (২) মোমিনদেরকে বস্ত্র প্রদান করা (৩) মোমিন ব্যক্তিকে সন্তুষ্ট করা (৪) চারবার হজ্জ আদায় করা (৫) শক্রবারের দিন মৃত্যুবরণ করা।

প্রঃ(৪৬) কোন কারণে মানুষ ক্বাবরের আযাবে লিপ্ত হয়?

উঃ (১) আল্লাহর নেয়ামত নষ্ট করা (২) পরোক্ষ নিন্দাকর্য করা (৩) নামায হতে উদাসীনতা (৪) মিথ্যা বলা (৫) পরিবার পরিজনের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা।

প্রঃ(৪৭) কি করলে মানুষ হজ্জের সামর্থ্য হয়?

উঃ (১) এক হাজার বার, লা হাওলা ওয়ালা ক্বুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ পড়া (২) সূরা আম্মা-ইয়াতাসাআলুন পড়া (৩) প্রতি তিন দিন পরে পরে সূরাহ জুমুয়াহ্‌ পড়া (৪) এক হাজার বার মাশাআল্লাহ পড়া।

প্রঃ(৪৮) ইসলাম কোন জিনিসকে গোপন রাখার আদেশ দিয়েছে?

উঃ পাঁচটি জনিস (১) অভাব-অনাটন (২) গোপনে সাদক্বা দেওয়া (৩) ঘৃণা, শত্রুতাকে এমন ভাবে গোপন রাখ যেন লোক আপনাকে নিজের বন্ধু ভাবে (৪) সুন্নত ইবাদতকে এমন ভাবে গোপন রাখ, লোক যেন ভাবে আপনি ইবাদত করেন না (৫) অসুখের কষ্টকে এমন ভাবে গোপন রাখ লোক যেন আপনাকে  সুস্থ ভাবে।

প্রঃ(৪৯) ‘রিয়াকারের’ যে লোক দেখান কাজ করে) নিদর্শন কী?

উঃ (১) একা থাকলে চুপচাপ থাকে (২) মানুষের সম্মুখীন হলে বেশি ইবাদত করে (৩) যদি প্রসংশা করা হয় তাহলে কাজ বেশি করে।

প্রঃ(৫০) অতি নিদ্রার ক্ষতি কী?

উঃ (১) দেহের রঙ হলুদ(ফ্যাকাশে) হয়ে যায় (২) শরীর ভারী হয়ে যায় (৩) পেটের ভিতরে পোকা(ক্রিমি ইত্যাদি) জন্মায় (৪) মোট আয়ু কমে যায়।

প্রঃ৫১। উষ্ণ খাবার খেলে কি ক্ষতি হয়?

উঃ (১) স্মতিভ্রমের রোগে আক্রান্ত হয় (২) বদন মলিম হয়ে যায় (৩)শরীরের শক্তি কমে যায়(৪) ঘুমাতে অসুবিধা  হয়(৫) চোখের দৃষ্টি চলে যায় (৬) মুখমন্ডল হলুদ হয়ে যায়।

কোরআন তেলাওয়াতের আদব

(১) ওজু না করে কোরআন শরীফের শব্দ স্পর্শ করা হারাম (হাত দিয়ে হোক অথবা শরীরের কোন অঙ্গ প্রতঙ্গ দিয়ে, কোরআন শরীফে হোক অথবা অন্য কোন পুস্তকে) কিন্তু যদি কোন ভাষায় তরজুমা (আনুবাদ)হয় তাহলে স্পর্শ করা যাবে।

(২) কোরআন শরীফকে নিজের কাছে রাখা আর লেখা অথবা হাশিয়া বা নোটকে স্পর্শ করার জন্য ওজু করা মুস্তাহাব বা সুন্নত।

(৩) যদি ওজু করার পর কোরআন শরীফের অক্ষরে শরীরের কোন অংশ স্পর্শ হয় আর সেই স্পর্শ করা অবস্থায় যদি ওজু ভেঙ্গে যায় তাহলে যখন থেকে ওজু ভেঙ্গে যাবে সেই সময় থেকে কোরআন শরীফের অক্ষর স্পর্শ করা হারাম হবে।

(৪) ওজু না করে সেই কাঁচের উপরে স্পর্শ করা হারাম নয় যার উপরে কোরআন শরীফের আয়েত লেখা আছে ঠিক এইরূপ ওই কাঁচকেও স্পর্শ করা হারাম নয় যার উপরে কোরআন শরীফের আয়েত উল্টো ভাবে লেখা আছে।

(৫) যদি কাগজের উপরে এমন ভাবে লেখা হয় যে সেই লেখা কাগজের অপর পিঠে প্রকাশপায় তাহলে সেই কাগজকে বিনা ওজুতে স্পর্শ করা হারাম বিশেষ করে ওই সময় যখন কাগজে উল্টো লেখা থাকে আর তার অপর পিঠে সোজা লেখা প্রকাশ হয়।

(৬) বাচ্চা আর পাগলদেরকে কোরআন শরীফের অক্ষর স্পর্শ করার থেকে বাধা দেওয়া ওয়াজিব নয়, কিন্তু যদি সেই স্পর্শ করার দ্বারা কোরআন শরীফের আসম্মান হয় তাহলে বাধা দেওয়া ওয়াজিব, তবে উত্তম এই যে, নিজেসেই স্পর্শের কারণ হওয়া, কিন্তু যে বাচ্চা ভাল মন্দ বোঝে সে যদি ওজু করে তাহলে তাঁর সমস্ত এবাদত ওয়াজিব আর কোরআন শরীফকেও স্পর্শ করতে পারে।

(৭) বিনা ওজুতে কোরআন শরীফের অক্ষর ছাড়া পৃষ্ঠা লাইনের মাঝখানের খালিজায়গা,জিলদ,কভার আর কোরআন শরীফের উপরের অংশকে স্পর্শ করা হারাম নয় বরং মখরুহ অনুরূপবিনা ওজুতে কোরআন শরীফ হাতে নেওয়াও মকরুহ।

(৮) আল্লাহ্‌র নাম যে কোন ভাষায় হোকনা কেন বিনা ওজুতে স্পর্শ করা হারাম।

(৯) মুজনিবের জন্য (যার উপর গোসল ওয়াজিব) শরীরের যে কোন অংশ দিয়ে কোরআন শরীফের শব্দ অথবা আল্লাহ্‌র নামকে স্পর্শ করা হারাম আর মাসুম (আঃ)দের নামও স্পর্শ না করা উচিত।

(১০) বিসমিল্লাহ্‌ সমস্ত সূরার অংশ সুতরাং বিসমিল্লাহ্‌কে সূরা বারায়াত ছাড়া সমস্ত সূরার আগে পড়া ওয়াজিব।

(১১) যদি কোন ব্যক্তি নামাযে বিসমিল্লাহ্‌কে কোন সূরা পড়ার নিয়েত করে পড়ে আর তার পরে ভূলে যায় যে কোন সূরা পড়ার জন্য পড়েছি তাহলে দ্বিতীয়বার বিসমিল্লাহ্‌ পড়ে সূরা পড়া ওয়াজিব।

(১২) যদি কেউ নামাযে বিসমিল্লাহ্‌কে কোন সূরার থেকে নির্দিষ্ট না করে পড়ে তাহলে যে কোন সূরা পড়া যাবে।

মাসূম (আঃ)-দের হাদীসসমূহ

(১) উত্তম চরিত্র (আখলাক) অর্ধেক ধর্ম।                         মহানবী (সঃ)

(২) যে সর্ব শক্তিশালী হতে চায় তাঁর জন্য প্রয়োজন আল্লাহ্‌র উপর ভরসা করা।                                                          মহানবী (সঃ)

(৩) কোন ব্যক্তি ভরা পেটে নিশ্চিন্তে ঘুমায় এবং তাঁর প্রতিবেশি যদি ক্ষুধার্থ থাকে তাহলে সে মোমিন নয়।                               মহানবী(সঃ)

(৪) আল্লাহ্‌র ইবাদত এমনভাবে করো যেন তুমি তাকে দেখছো কারণ তুমি তাকে না দেখলেও তিনি তোমাকে দেখছেন।                মহানবী (সঃ)

(৫) হে আলী তিনটি জিনিস বুদ্ধি বাড়ায়ঃ (১) দুধ পান করলে (২) দাঁতন করলে (৩) কোরআন পাঠ করলে।                              মহানবী (সঃ)

(৬) আল্লাহ্‌র নিকট “দানশীল ব্যক্তি” মূর্খ, কৃপন এবং আলিমের থেকে উত্তম।                                                     মহানবী (সঃ)

(৭) সমস্ত জিনিসের একটা দরজা আছে আর ইবাদতের দরজা হল রোযা।                                                                                                  মহানবী (সঃ)

(৮) যদি কোন মহিলা কোন পর পুরুষের সাথে হাত মেলায় তাহলে ক্বেয়ামতের দিন তার হাত বাঁধা অবস্থায় হাজির করা হবে আর বলা হবে জাহান্নামে যাও।                                          মহানবী (সঃ)

(৯) জামায়াতের সাথে নামায পড়ার সওয়াব ফোরাদা (একাকী) নামায পড়ার থেকে চল্লিশ গুণ বেশি।                              মহানবী (সঃ)

(১০) আল্লাহ্‌কে এমনভাবে ভয় করো যেন তুমি তার কোন আদেশই পালন করনি আর তাঁর প্রতি এমন ভরসা রাখো যেন কোন বিরোধিতা (পাপ) করনি।                                                                                                                                    (হযরত আলী আঃ)

(১১) তোমাদের মধ্যে সব থেকে বড় চোর সেই যে নামাযে চুরি করে।                                                             (হযরত আলী আঃ)

(১২) বিবাহিত মানুষের এক রেকাত নামায অবিবাহিতের সত্তর রেকাত নামাযের থেকে উত্তম।                             (হযরত আলী আঃ)

(১৩) সব থেকে উত্তম নেকি আমাদের (আহলেবায়তের) ভালবাসা আর সব থেকে নিকৃষ্ট পাপ আমাদের সাথে শত্রুতা করা।        (হযরত আলী আঃ)

(১৪) তোমাদের মধ্যে সব  থেকে উত্তম সেই মহিলা যাকে না কোন পরপুরুষ দেখে আর না সে কোন পরপুরুষকে দেখে।

(জনাবে ফাতেমা যাহ্‌রা (আঃ)

(১৫) সালাম করার একশো সওয়াব, যার মধ্যে নিরানব্বই (৯৯) সওয়াব যে সালাম করে তার আর একটি সওয়াব যে উত্তর দেয় তার।

(হযরত ইমাম হোসায়েন আঃ)

(১৬) নিজের সম্পদকে যাকাতের দ্বারা রক্ষা কর আর অসুস্থদের সাদক্বার দ্বারা চিকিৎসা করাও।                    (ইমাম মুহম্মাদ বাক্বের আঃ)

(১৭) যে ব্যক্তি কোন মোমিন ভাইকে আনান্দিত করেছে সে আমাকে আনান্দিত করেছে আর যে আমাকে আনান্দিত করেছে সে আল্লাহ্‌কে আনান্দিত করেছে।                           (ইমাম মুহম্মাদ বাক্বের আঃ)

(১৮) সমস্ত ইবাদতের থেকে বড় এক ইবাদত আছে আর তার থেকেও বড়ো ইবাদত আহলেবায়তের প্রতি মুহব্বত।         (ইমাম জাফর সাদিক্ব আঃ)

(১৯) সব থেকে বড় ইবাদত দ্বীনকে একনিষ্ঠতার সাথে মান্য করা।

(ইমাম মুহম্মাদ তক্বী আঃ)

(২০) যে ব্যক্তি নিজ দুনিয়াকে আখেরাতের (পরকাল) জন্য ত্যাগ করে আর যে ব্যক্তি নিজ আখেরাতকে দুনিয়ার জন্য ত্যাগ করে দেয় সে আমাদের মধ্যে নয়।                                                 (ইমাম মুহাম্মাদ বাক্বের আঃ)

(২১) সব থেকে উত্তম ঔষধ হল অকারণে ইচ্ছাকে ত্যাগ করা।

(হযরত আলী আঃ)

(২২) স্বাধীন সেই ব্যক্তি যে কু কামনাকে ত্যাগ করে। (হযরত আলী আঃ)

(২৩) রসূলে খোদা (সঃ) খাওয়া ও পান করার জিনিসে ফুঁ দিতে নিষেধ করেছেন।                                       (ইমাম জাফ্‌র সাদিক্ব আঃ)

(২৪) যে অল্প সময়ের সওয়ারীকে সহ্য করতে পারেনা সে সর্বদা মূর্খতার সওয়ারীতে সওয়ার থাকবে। (রসূলে খোদা সঃ)

(২৫) নিজ পিতা এবং শিক্ষকের সন্মানের উর্দেশ্যে নিজ স্থান থেকে উঠে দাঁড়াও যদিও তুমি বাদশাহ্‌ হওনা কেনো।               (হযরত আলী আঃ)

(২৬) যে ব্যক্তি উপকার করে অপরের সামনে প্রকাশ করেছে (অর্থাৎ একটা একটা করে গুনিয়েছে) সে নিজের পুরস্কারকে নষ্ট করেছে।                                                                                (ইমাম হাসান আঃ)

(২৭) যদি মূর্খরা চুপচাপ থাকে তাহলে মানুষ একে অপরের থেকে বিচ্ছিন্ন হবে না।                                               (হযরত আলী আঃ)

(২৮) নামায একনিষ্ঠতাপূর্ণ ইবাদত প্রমাণিত হওয়ার এবং অহংকার থেকে দূরে থাকার চিহ্ন।                              (ইমাম মুহাম্মদ বাক্বের আঃ)

(২৯) দুঃখির সামনে আনন্দকে প্রকাশ করা অভদ্রতা।

(ইমাম হাসান আসকারী আঃ)।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.