নাম : আলী ইবনে মুহাম্মাদ
উপাধি : আল-হাদী, আন-নাকী
পিতার নাম : মুহাম্মাদ আজ-জাওয়াদ আত-তাকী
মায়ের নাম : সুমানাহ
জন্ম : ২ রজব, ২১২ হিজরি, শুক্রবার, মদীনার নিকটবর্তী সুরিয়া নামক স্থান
শাহাদাত : ২৬ জমাদিউস সানী, ২৫৪ হিজরি, সোমবার, ৪২ বছর বয়সে। আব্বাসী খলিফা আল মু’তাজ কর্তৃক বিষ প্রয়োগে তিনি শাহাদাত বরণ করেন। বাগদাদের উত্তরে অবস্থিত সামাররায় তিনি সমাহিত হন।
দশম ইমাম আলী নাকী তাঁর পিতার মতো বালক বয়সেই ইমামত লাভ করেন। আব্বাসী খলিফা আল-ওয়াসিকের প্রথম পাঁচ বছরের শাসনামলে তাঁর জীবন শান্তিপূর্ণভাবেই অতিবাহিত হয়। ওয়াসিকের পর মুতাওয়াক্কিল ক্ষমতাসীন হলে প্রথম কিছুদিন সে ইমামকে উত্যক্ত করা থেকে বিরত থাকে। ইমাম তখন মদীনায় অবস্থান করছিলেন। ইমামের সুনামের কারণে মুতাওয়াক্কিল তাঁর প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়ে উঠে। কিন্তু সে তার মনের কথা গোপন রেখে কৌশলে ইমামকে সামাররায় আসার জন্য দাওয়াত করে। ইমাম তার কৌশল বুঝতে পারলেও দাওয়াত প্রত্যাখ্যানের অশুভ পরিণতির কথা ভেবে মদীনা থেকে সামাররার উদ্দেশে রওয়ানা হন। সামারায় পৌঁছলে মুতাওয়াক্কিল ইমামকে এক সরাইখানায় বন্দি করে রাখে। পরে তার উজির ফাতেহ ইবনে খাকানের চেষ্টায় ইমাম সরাইখানার বন্দি জীবন থেকে মুক্তি লাভ করেন এবং সেখানকার এক বাড়িতে বসবাসের সুযোগ পান।
ইমামের প্রতি জনগণের সীমাহীন শ্রদ্ধা ও ভালবাসা দেখে পরবর্তী আব্বাসী খলিফা আল মু’তাজ ইমামকে হত্যার ষড়যন্ত্র করে। সে এক অনুচরকে দিয়ে ইমামকে বিষ প্রয়োগ করে এবং কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ইমাম শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর নামাযে জানাযা তাঁর পুত্র ইমাম হাসান আল-আসকারী সম্পন্ন করেন। ইরাকের সামাররায় তাঁর মাজার অবস্থিত।
(নিউজলেটার, জানুয়ারি ১৯৯১)