ইরাকের পবিত্র কারবালা শহরের প্রশাসনিক মুখপাত্র জানিয়েছেন, পবিত্র শবই বরাত বা হযরত ইমাম মাহদী (আ.)’র জন্মদিন উপলক্ষে ৩০ লাখেরও বেশি ধর্মপ্রাণ মুসল্লি বা জিয়ারতকারী হযরত ইমাম হুসাইন (আ.)’র মাজার জিয়ারত করেছেন।
সালিম আল জুবাইদি নামের ওই কর্মকর্তা গতকাল (মঙ্গলবার) জানিয়েছেন, এর মধ্যে ৫৫ হাজার জিয়ারতকারী ছিলেন বিদেশী। তারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বিমান ও সড়ক পথে পবিত্র কারবালায় এসেছেন।
বিভিন্ন ইসলামী বর্ণনা অনুযায়ী মানবজাতির শেষ ত্রাণকর্তা প্রতিশ্রুত ইমাম মাহদী (আ.) হযরত ইমাম হুসাইন (আ.)’র বংশধর এবং বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.)’র পবিত্র আহলে বাইতের ১২ তম সদস্য।
শিয়া মুসলমানরাসহ মুসলমানদের মধ্যে অনেকেই মনে করেন শবই বরাত তথা ১৫ ই শাবান হল মানবজাতির শেষ ত্রাণকর্তা হযরত ইমাম মাহদী (আ.)’র পবিত্র জন্মদিন। এ ছাড়াও ১৫ ই শাবানের রাতকে ভাগ্য নির্ধারণের মহিমান্বিত রজনী হিসেবে শবে কদরের মতই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। মুসলমানরা রাত জেগে ইবাদত বন্দেগী করার মাধ্যমে আল্লাহর সান্নিধ্য অর্জনের ও গোনাহ মাফ করানোর চেষ্টা করেন এই রাতে।
শিয়া মুসলমানরাসহ অনেক সুন্নি আলেমের মতে, বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.)’র পবিত্র আহলে বাইতের ১১ তম সদস্য হযরত ইমাম হাসান আসকারী (আ.)’র পুত্র হিসেবে ইমাম মাহদী (আ.)’র জন্ম হয়েছিল ২২৫ হিজরিতে ইরাকের (বর্তমান রাজধানী বাগদাদের উত্তরে) পবিত্র সামেরা শহরে। তাঁর মায়ের নাম ছিল নার্গিস। তিনি আল্লাহর আদেশে এক পর্যায়ে অদৃশ্য হয়ে যান। তাঁর অদৃশ্য থাকার সময়ও দুই ভাগে বিভক্ত। স্বল্পকালীন সময়ের জন্য অদৃশ্য হওয়া এবং দীর্ঘমেয়াদে অদৃশ্য থাকা (বর্তমান যুগ যার অন্তর্ভুক্ত)।
দীর্ঘ মেয়াদে অদৃশ্য থাকার পর উপযুক্ত সময়ে তিনি আবারও আবির্ভূত হবেন। পবিত্র মক্কার কাবাঘর হবে তার পুনরাবির্ভাবের স্থান।
হযরত ইমাম মাহদী (মহান আল্লাহ তাঁর পুনরাবির্ভাব ত্বরান্বিত করুন) সব ধরনের জুলুম ও বৈষম্যের অবসান ঘাটিয়ে বিশ্বব্যাপী ন্যায়বিচার ও ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠা করবেন।
সূত্র: রেডিও তেহরান