আবদুল হাই শিকদার
এক
‘‘নওশার সাজ নাও খুন-খচা আস্তিন,
ময়দানে লুটাতে রে লাশ এই খাস্ দিন!
হাসানের মতো পিব পিয়ালা সে জহরের,
হোসেনের মতো নিব বুকে ছুরি কহরের,
আসগর সম দিব বাচ্চারে কোরবান,
জালিমের দাদ নেবো, দেবো আজ গোর জান্!
সকীনার শেবতবাস দেবো মাতা কন্যার,
কাসিমের মতো দেবো জান্ রুধি, অন্যায়।
মোহররম! কারবালা! কাঁদো ‘হায় হোসেন’!
দেখো মরু-সূর্য এ খুন যেন শোষে না!’’
-কাজী নজরুল ইসলাম
দুই
আন্তর্জাতিক নজরুল সম্মেলনে যোগ দিতে (২০০৬) তেহরান পৌঁছেই দেখি মহানগরজুড়ে চলছে মোহররম পালনের ব্যাপক প্রস্ত্ততি। সারা ইরান যেন আচ্ছাদিত হয়ে গেছে শোকের কালো কাপড়ে। শোক আর শোক। যেন বক্ষ ফাটা তারার ক্রন্দন। দেশের প্রতিটি কোনা থেকে যেন উঠে আসছে আকুল ব্যাকুল শোকের প্লাবন।
শহরজুড়ে হোসেন হোসেন আর হোসেন। বাজারে, শপিংমলে, দোকানে, ফুটপাতে ধুমছে বিক্রি হচ্ছে শিল্পীর ছবিতে কারবালার যুদ্ধের নানা দৃশ্য সংবলিত পোস্টার। বিক্রি হচ্ছে গেঞ্জি, টি-শার্ট, স্টিকার, শোপীস। রাতে বিলবোর্ডগুলোতে ঝলমল করে ওঠে পেইন্টিং এর সাথে ইমাম হোসেনের বাণী।
দু’দিন পর কবি হাফিজ ও শেখ সাদীর ওপর ডকুমেন্টারি করার জন্য সিরাজ নগরীতে পৌঁছে প্রথম মোহররমের মিছিলের সামনে পড়লাম। আশুরা আসতে তখনও ৭ দিন বাকি। দেখলাম এভিনিউর এ-মাথা থেকে ও-মাথা পর্যন্ত দুই সারিতে বিশাল মিছিল। মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের বেশিরভাগই কালো পোশাক পরিহিত তরুণ ও যুবক। মিছিলের সামনে, পেছনে, মাঝে দোতলা বিল্ডিংয়ের সমান বিশাল বিশাল ড্রাম। ওরা বলে দামামা। দামামায় ছন্দের তালে তালে আঘাত করা হচ্ছে। শব্দ উঠছে গগনবিদারী। কেঁপে উঠছে আশপাশের ভবন। মিছিলকারীরা বুক চাপড়ে, দুই হাত দিয়ে নিজেদের শরীরে ক্রমাগত আঘাত করছে। আর মুখ দিয়ে ধ্বনি তুলছে হায় হোসেন, হায় হোসেন।
আমার গাইড বললো, এটা তো কিছুই নয়। ইরানে ১০ মোহররম না দেখলে শোক, বেদনা ও বিশালত্ব সম্পর্কে কোনো ধারণাই পাবে না তুমি। এইভাবে মোহররম পালনের মধ্য দিয়েই প্রতি বছর ইরানীরা নতুনভাবে নিজেদের সাজিয়ে নেয়। আমাদের জনগণকে, আমাদের যুবক ও তরুণদের সাহসী হওয়ার জন্য, ন্যায়নিষ্ঠ ও নীতিনিষ্ঠ হওয়ার জন্য, আদর্শবান হওয়ার জন্য, জুলুম ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়ার জন্য, তাদের উৎসাহিত করার জন্য, জাতির চেতনা জাগ্রত রাখার জন্য, তাদের প্রশিক্ষিত করার জন্য, তাদেরকে হোসেনের মতো নীতির জন্য, দেশের জন্য, মানবতার জন্য আত্মত্যাগী হওয়ার প্রেরণা দিতে প্রতি বছর আমরা অত্যন্ত সাড়মবরে মোহররম উদযাপন করি। ইরানের যুবক ও তরুণরা এজন্যই ছোটবেলা থেকেই হোসেনের অনুসারী হওয়ার স্বপ্ন দেখে। এভাবেই শোক থেকে শক্তি অর্জন করে ইরান।
তিন
উত্তরের অনেক উত্তরে যেখানে সীমান্তের প্রান্ত ছুঁয়ে একা একা বয়ে যায় দুধকুমার, সেইখানে ভূরুঙ্গামারীর গোপালপুর গ্রামে, পঞ্চাশ ও ষাট দশকের মাঝখানে যে শৈশব আমি ফেলে এসেছি, সে শৈশবে মোহররম ছিল একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমাদের গ্রামের সংস্কৃতির অপরিহার্য অংশ। প্রথম থেকে ১০ মোহররম পর্যন্ত আমাদের মা-চাচীরা রোজা রাখতেন। শোকের পাশাপাশি একটা উৎসবের আবহ ছড়িয়ে পড়তো সর্বত্র। লাঠিয়ালরা মেতে উঠতো লাঠিখেলায়। কারও দহলিজে বা মসজিদের মাঠে বসতো হেয়াত মামুদ কিংবা ফকির গরীবুল্লাহর ‘জঙ্গনামা’ পাঠের বৈঠক। ‘বিষাদ সিন্ধু’ হাতে আসর জমিয়ে বসতেন আহমদ আলী ভাই। সন্ধ্যার পর কোথাও বসতো জারী গানের আসর :
‘হায়রে খোদা হায়, আজ কী হলোরে হায়,
নিভিল দিনের চেরাগ সোনার মদিনায়\
দুধের শিশু আলী আজগর পিপাসায় হয়ে কাতর,
দে পানি দে পানি বলে ধুলাতে লুটায়,
পানির বদলে শেল বিঁধে কলিজায়\
হায়রে খোদা হায়, আজ কী হলোরে হায়,
নিভিল দিনের চেরাগ সোনার মদিনায়\’
গ্রামের সব বয়সের নারী-পুরুষ গোল হয়ে বসে শুনতো এসব। আর অঝোর ধারায় কাঁদতো।
বাংলাদেশের লোকসঙ্গীতের মূল্যবান ধারা ‘জারী গান’-এর জন্মই হয়েছে মোহররমের শোক থেকে। এ ব্যাপারে কবি আবদুল কাদির বলেছেন, ‘একথা সর্ববাদীসম্মত যে, কারবালা কাহিনী বহুকাল যাবৎ মুসলিম জনসাধারণের ধর্মীয় জীবনের সহিত ওতপ্রোতভাবে বিজড়িত হইয়া রহিয়াছে। সুতরাং ইহা বাংলাদেশের শিক্ষিত অশিক্ষিত অগণিত জনসাধারণের অন্তরে আলোড়নের সৃষ্টি করে;… সম্ভবত এই মাতমজারী হইতেই পল্লী বাংলার এই ক্রন্দন বা বিলাপ সঙ্গীতের উদ্ভব। এই গান পূর্ব বাংলার এক নিজস্ব সম্পদ।’
লোকসাহিত্য গবেষক ও সংগ্রাহক ‘হারামনি’ খ্যাত অধ্যাপক মনসুর উদদীন ‘জারী’র সংজ্ঞা নিরূপণ করতে গিয়ে বলেছেন, ‘জারী গান হযরত হুসাইন ইবনে আলীর শাহাদাৎ বরণের কাহিনী অবলমবনে রচিত।… এই গানে অত্যাচারী শক্তির নিষ্ঠুর জুলুম ও উৎপীড়নের বিবরণ পাওয়া যায়।’ পরবর্তীকালে বাংলা ভাষায় মর্সিয়া সাহিত্যের ওপর পিএইচডি করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. গোলাম সাকলায়েন।
এই করুণ রসাত্মক জারী গান সম্পর্কে ‘বাংলার লোকসাহিত্য’ গ্রন্থে ড. আশুতোষ ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘বীর রসাত্মক এই কাহিনীর উপর একটি করুণ কাহিনী আছে, তাহা ইমাম হোসেন ও হাসানের হত্যা। অতি দুস্তর মরু প্রান্তরে শত্রু সৈন্যের অবরোধের মধ্যে অসহায় শিশুর একবিন্দু তৃষ্ণা বারির জন্য যে আর্তি এই সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে প্রকাশ পাইয়াছে, তাহা একদিক দিয়া যেমন ইহার মানবিক আবেদন সার্থক করিয়াছে, আবার অন্যদিক দিয়া ইহার বীর রসাত্মক পটভূমিকার উপর সুন্দর বৈপরীত্য সৃষ্টি করিয়াছে।’
চার
মোহররমের বেদনামথিত ট্র্যাজেডি নিয়ে সারা পৃথিবী তোলপাড় হয়েছে। এজন্য মওলানা মোহাম্মদ আলীর লেখা কবিতা,
‘কতলে হোসেন আসল মে মরগে ইয়াজিদ হ্যায়,
ইসলাম জিন্দা হোতা হ্যায় হর কারবালাকে বাদ।’
-আজ লাভ করেছে অমরত্ব।
বাংলা সাহিত্যে মোহররম কেন্দ্রিক মর্সিয়া নামে আলাদা ধারাই গড়ে উঠেছিল। এই ধারার যাত্রা শুরু মুঘল আমল থেকে। বাংলা ভাষার কবিরা ৬৮০ খ্রিস্টাব্দের ১৯ অক্টোবর কারবালার প্রান্তরে ঘটে যাওয়া মর্মবিদারী ঘটনাক্রম দ্বারা হয়েছেন অশ্রুসিক্ত। আবার ন্যায়ের জন্য অসীম সাহস নিয়ে মাত্র ৭০ জন সঙ্গী নিয়ে এজিদ বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়ে ইমাম হোসেন যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন তাতে হয়েছেন উদ্বুদ্ধ। আবেগাপ্লুত।
ষোড়শ শতাব্দী (১৫৭৬) থেকে শুরু করে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত এই ধারা ছিল অব্যাহত। মর্সিয়া সাহিত্যের প্রথম কবি শেখ ফয়জুল্লাহ। এরপর একে একে আসেন দৌলত উজীর বাহরাম খান, মুহম্মদ খান, শেরবাজ, হেয়াত মামুদ, জাফর, হামিদ। ইংরেজ আমলে আবির্ভূত হন কবি ফকির গরীবুল্লাহ, ইয়াকুব, মুহম্মদ হামিদুল্লাহ খান, মীর মনোহর, ওয়াহিদ আলী, জনাব আলী, মুন্সী মুহম্মদ, সাদ আলী, আবদুল ওহাব, মুহম্মদ ইসহাক উদ্দীন, কাজী আমিনুল হক। ইংরেজ আমলের শেষ প্রান্তে মর্সিয়া নিয়ে আসেন আবুল মা’আলী মুহম্মদ হামিদ আলী, মতীয়ুর রহমান খান, মহাকবি কায়কোবাদ, আবদুল বারী, আবদুল মুনায়েম, সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী, মুহম্মদ ইবরাহীম, মীর রহমত আলী, আজিজুল হাকিম এবং ‘বিষাদ সিন্ধুর’ লেখক মীর মশাররফ হোসেন। তিনি কাজটি করে গেছেন অনন্যসাধারণ গদ্যে আর কাজী নজরুল ইসলাম পদ্যে।
কারবালার বেদনায় যে কেবল মুসলমান কবিরাই আপ্লুত হয়েছেন তা নয়। মুঘল ও ইংরেজ আমলের প্রথম দিকে মোহররমের শোকর্যালিতে হিন্দুরাও ব্যাপকভাবে অংশ নিতেন। সে সময় মোহররম পেয়েছিল সর্বজনীন মর্যাদা। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, মহারাষ্ট্রের মারাঠা ব্রাহ্মণরা পর্যন্ত ‘হায় হোসেন হায় হোসেন’ বলে বিলাপ করতে করতে মিছিল নিয়ে এগুতেন।
মুসলমান কবিদের মতোই কারবালা নিয়ে মধ্যযুগে এক যুগান্তকারী কাব্য রচনা করে গেছেন কবি রাধা চরণ গোপ। অষ্টাদশ শতাব্দীর এই মহাপ্রাণ কবির কাব্যের নাম ‘জঙ্গনামা বা এমাম এনের কেচ্ছা’। তার কাব্যে আছে :
‘রাধপ গোপে বলে পীরের মুখের বাণী।
শুনিতে এমাম কেচ্ছা অপরূপ কাহিনী\
কহিল রাধপ গোপ সত্যপীরের পায়।
আল্লা আল্লা বল ভাই তহফিক খোদায়\’
মাইকেল মধুসূদন দত্তকেও নাড়া দিয়েছিল কারবালার কাহিনী। তিনি এ নিয়ে কাব্য রচনায়ও হাত দিয়েছিলেন। কিন্তু কলকাতার বর্ণ হিন্দু বন্ধুদের পরামর্শে এ কাজে ক্ষান্ত দেন।
পাঁচ
নজরুল প্রতিভার গভীর গহন মানসলোকে অনির্বচনীয় ব্যঞ্জনা নিয়ে চিরকাল বিরাজ করেছে মোহররম। মোহররম তার কাছে হয়ে উঠেছে শোক ও শক্তি। তার শিক্ষা গ্রহণ ও অনুপ্রেরণার মাধুর্যময় প্রান্তর। এভাবেই তিনি মোহররমকে ধারণ করেছেন কাব্যে ও সঙ্গীতে। তার মোহররম তাই ‘জঙ্গনামা’ নয়। আবার ‘বিষাদ সিন্ধু’ও নয়। মোহররম তার হৃদয় ও নয়নকে যেমনি সজল করেছে, তেমনি সাম্রাজ্যবাদ, উপনিবেশবাদ ও ধর্মীয় গোঁড়ামির বিরুদ্ধে লড়ার জন্য ইমাম হোসেন হয়ে উঠেছেন তার মননায়ক। কারবালার ঘটনার মধ্যে তিনি প্রত্যক্ষ করেছেন শাশবত সত্যের পুনরুজ্জীবন। তাই তো এ রক্ত যেন শুকিয়ে না যায় সে জন্য আর্তি জানিয়েছেন।
নজরুলের হাতেই আমাদের সংবাদপত্রের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো প্রকাশিত হয় ‘মোহররম’-এর ওপর বিশেষ সংখ্যা। ১৯২২ সালের ২৯ আগস্ট অর্ধ সাপ্তাহিক ‘ধূমকেতু’ পত্রিকাটি ‘মোহররম সংখ্যা’ হিসেবে প্রকাশিত হয়। বর্ধিত কলেবরে প্রকাশিত এই বিশেষ সংখ্যায়ই প্রকাশিত হয় নজরুল রচিত বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবিতা ‘মোহররম’।
মোহররমকেন্দ্রিক সাহিত্যধারার শেষ এবং অসাধারণ সাহিত্যপুরুষ কাজী নজরুল ইসলাম। নজরুলের হাত দিয়ে মোহররমের ট্র্যাজেডি খুঁজে পায় নতুন মাত্রা।
তারপরই এই ধারাকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বদলে শুরু হয় শূন্যতার যুগ। স্থবিরতার যুগ। যেখানে নজরুলের পর এই ধারা আরও বেগবান হওয়ার কথা, আরও ভিন্ন ভিন্ন মাত্রায় নবায়ন হওয়ার কথা, সেখানে ঘটেছে উল্টোটি।
বর্তমানে আমাদের সাহিত্য সংস্কৃতি থেকে সেই ধারা পুরোপুরি হারিয়ে গেছে। শুকিয়ে গেছে। নিঃশেষ হয়ে গেছে। মরে গেছে। নাকি আমরা ভেতর থেকে দেউলিয়া হয়ে গেছি? ইউরোপের ধূলি, বালু আর প্রতাপের সামনে ভিটেছাড়া হয়ে গেছে আমাদের নিজস্বতা? নইলে একটা কবিতা, নাটক, চলচ্চিত্র কিংবা উপন্যাসও আর লেখা হলো না কেন?
ছয়
আমি উদ্বেগ উৎকণ্ঠা নিয়ে অবাক হয়ে লক্ষ্য করি, আমাদের যুবক ও তরুণদের অনুপ্রাণিত করার জন্য, শুধু জাতীয় পর্যায়ের কয়েকজন শহীদ ও বীরের নাম নেয়া হয়। কিন্তু ভুলেও কেউ পৃথিবীর সবচেয়ে মর্মান্তিক ট্র্যাজেডির মহানায়ক শহীদদের সর্দার ইমাম হোসেনের নাম নেয় না। পৃথিবীর সর্বকালের শ্রেষ্ঠ শহীদের নামই জানে না আজকের প্রজন্ম। জুলুমের বিরুদ্ধে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে, অসত্যের বিরুদ্ধে, নীতি ও আদর্শহীনতার বিরুদ্ধে, ন্যায়, নীতি, আদর্শ ও সত্য প্রতিষ্ঠার জন্য প্রবল প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে হোসেনের যে সংগ্রাম ও আত্মত্যাগ তার তো কোনো তুলনা নেই বিশেব। তারপরও হোসেনের কথা বলা হয় না আমাদের সন্তানদের।
ফলে কারবালা পরিণত হয়েছে অন্য দশটি সাধারণ ঘটনার মতো ঘটনায়। স্রেফ দোয়া কালাম পড়ার কাজে। কিন্তু অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায় প্রতিষ্ঠা, অসত্যের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে সত্য প্রতিষ্ঠাও যে একটা ইবাদত, তা বাহুল্য বিবেচিত হয়েছে। সে জন্য তাদের কারবালা একটা বালুকাময়
প্রান্তর মাত্র। মাগফেরাত কামনাই পেয়েছে সর্বোচ্চ গুরুত্ব। এর শিক্ষা ও লড়াই করার প্রেরণা হয়েছে উহ্য।
সাত
হোসেন কারবালা প্রান্তরে দাঁড়িয়ে ঘোষণা করেছিলেন দুরাচারী এজিদের হাতে বায়ত গ্রহণের বদলে তার তরবারির আঘাতে শাহাদত বরণ করা উত্তম। তারপর বুকের রক্ত ঢেলে জং-ধরা সত্যকে পুনরুজ্জীবন দান করে গেছেন। সেই রকমভাবে আজ দেশ চায় আদর্শবান নীতিনিষ্ঠ সত্যনিষ্ঠ সন্তান। চায় শান্তি ও কল্যাণ প্রতিষ্ঠার জন্য সত্য-পথিকদের বুকের রক্ত। কেবল তাদের রক্তই পারে বাংলাদেশকে অধঃপতনের হাত থেকে রক্ষা করে পুনর্জীবন দান করতে।
লেখক : কবি, সাংবাদিক, সাবেক পরিচালক, নজরুল ইনস্টিটিউট