দরুদের ফযিলত
অনুবাদক: মোঃ সেলীম আলী (ক্বুম, ইরান)
১) মুহম্মাদ ও তার বংশধরের উপর দরুদ পাট করার ফজিলত:
গবেষক আরদেবেলী নিজের গ্রন্থে যুবদাতুল বয়ানে বর্ণনা করেছেন:
নবী করীম(সঃ) থেকে এই আয়েতে সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়েছে হযরত রসূলে আকরম(সঃ) উত্তর দিয়েছেন যে, একটা গোপন জ্ঞানের মধ্যে আছে! যদি তুমি আমার কাছে প্রশ্ন না করতে তাহলে আমি এই সম্পর্কে কখন ও কোন সংবাদ দিতাম না, আল্লাহ তায়ালা দুটি ফেরেস্তাকে আমার উপরে নিযুক্ত করেছে, যখন কোন মুসলমানদের সামনে আমার নাম স্বরণ করা হবে আর আমার উপর দরুদ পাঠ করবে তখন সেই দুটি ফেরেস্তা বলে (গ্বাফারাল্লাহু লাকা) আল্লাহ তায়ালা এই দরুদের জন্য তোদের ক্ষমা করেছে, আর আল্লাহ ও অন্য ফেরেস্তারা তখন ওই দুটি ফেরেস্তার দরুদের উপর “আমীন” বলে, আর যখন কোন মুসলমানদের সামনে আমার নাম স্বরণ করা হয় আর সে যদি আমার উপর দরুদ না পড়ে তখন ওই দুটি ফেরেস্তা বলে (লা গ্বাফারাল্লাহু লাকা) আল্লাহ তোকে কখন ও ক্ষমা করবে না, তখন আল্লাহ আর ওই দুটি ফেরেস্তা বলে আমীন।
২) অধিক থেকে অধিক দরুদ পাঠ করা:
কোলাইনী আলাইহির রাহমা নিজের বই আল কাফীতে ইমাম সাদিক(আঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন:
যখন রসূলে আকরাম(সঃ) কে স্বরণ করবে তখন রসূলে আকরামের উপর অধিক থেকে অধিক দরুদ পাঠ করো, অবশ্যই যে কেউ আপনার উপর এক বার দরুদ পাঠ করে তো আল্লাহ তায়ালা তার উপর হাজার ফেরেস্তার লাইনের উপর হাজার বার দরুদ পাঠ করে। আর যে কেউ এই কাজের দিকে মনোযোগ না দেয় সে বোকা আর অহঙ্কারী, আল্লহ ও রসূলে আকরাম(সঃ) আর রসূলের আহলেবায়েত ওই ব্যক্তি থেকে অসন্তুষ্ট হয়।
৩) দরুদের ফজিলত:
হাদায়েক গ্রন্থে এমাম সাদিক(আঃ) থেকে বর্ণনা করা হয়েছে:
যে এক দিন রসূলে আকরম(সঃ) হযরত আলী(আঃ) কে বল্লেন তোমাকে একটি খুশির খবর দেব? হযরত আলী(আঃ) বল্লেন আমার মা বাবা আপনার ভক্ত আপনি তো সব সময় আমাকে ভাল খবর দেন! হযরত রসূলে আকরম(সঃ) বলেন জিবরাইল আমীন আমার কাছে একটি সুসংবাদ নিয়ে এসেছে, হযরত আলী(আঃ) বল্লেন জিবরাইল আমীন আপনার কাছে এমন কি খবর নিয়ে এসেছে রসূলে আকরম(সঃ) বল্লেন যে জিবরাইল আমীন বলেছেন যদি আমার উম্মতের মধ্যে যে কেউ আমার উপর দরুদ পড়ে আর আমার বংশ ধরের উপর ও দরুদ পড়ে তো আকাশের দরোজা তার জন্য খুলে দেওয়া হয়, আর ফেরেস্তা তার উপর ৭০ বার দরুদ পড়ে, সে যদি ও গোনাগার হয় না কেন, সেই দরুদের জন্য তার সমস্ত গোনা ঝরে যায় যেমন ভাবে গাছের পাতা ঝরে পড়ে যায়, আল্লাহ তায়ালা তার দরুদকে ক্ববুল করে নেয় আর তার উত্তর দেয় আর নিজের ফেরেস্তাদের বলে এই ফেরেস্তাগণ তোমরা সেই বেক্তির উপর ৭০ বার দরুদ পড়েছো আমি তার উপর ৭০০ বার দরুদ পড়বো। আর যে আমার উপর দরুদ পড়ে আর আমার বংশধরের উপর দরুদ না পড়ে তো সেই ব্যক্তির ও আকাশের মাঝে ৭০টি পর্দা বাধা সৃষ্টি করে আর আল্লাহ তায়ালা তার দুয়া কবুল করে না। আর কোন উত্তর দেয় না, আর নিজের ফেরেস্তাদের বলে যে সেই ব্যক্তির দুয়া সে সময় পর্যন্ত উপরে নিয়ে যাবেনা যতখন পর্যন্ত সে রসূলের বংশধরের উপর দরুদ না পড়বে! ফেরেস্তারা সবসময় সেই ব্যক্তির ও তার দরুদের মাঝে বাধা সৃষ্টি করে যতখন সে আমার আহলেবায়েতের উপর দরুদ পাঠ না করে।