সুরা আলে ইম্রান,আয়াত# ১৪৩
“এবং নিঃসন্দেহে তোমরা ইন্তেকালের সম্মুখীন হওয়ার পুর্ব হতেই তাঁর জন্য আকাঙ্ক্ষা করতে,আর যখন নিশ্চিতভাবে তা দেখলে,তখন শুধু তাকিয়েই রইলে।“ (১)
সঠিক ব্যাখ্যাঃ(১)ঃ
বদর যুদ্বের পর যখন মুসলমানরা শাহাদাতের মর্যাদার বিষয়টি রাসুলের(সাঃ) নিকট থেকে শুনলেন তখন আকাংখার স্বরে পরস্পরের কাছে বলতে লাগলেন,’হায়!যদি আমরাও আল্লাহর পথে নিজেদের জীবন উতসর্গ করতাম ও শহীদ হয়ে যেতাম’। কিন্তু মুখে দাবী করা এবং কাজ সম্পাদন করার মধ্যে বিস্তর ব্যবধান রয়েছে। বিশেষত যখন জীবনের ঝুকি থাকে।ওহুদের যুদ্বের সময় যখন রাসুল(সাঃ) ৩ বা ৫ হাজার কাফিরের বিরুদ্বে নিজের ৭০০ সৈন্যের সারি বিন্যাস করলেন তখন মুসলমানদের জন্য শাহাদাতের সুযোগ আসলো।কিন্তু যুদ্বে যখন তাঁদের পরাজয়ের উপক্রম হল তখন তাঁরা মানসিক শক্তি হারিয়ে পলায়ন করতে লাগল।অন্য দিকে রাসুল(সাঃ) আহত হলে শয়তান চিৎকার করে উথল যে, ‘মুহাম্মাদ নিহত হয়েছে’ ।আর এ খবর ধীরে ধীরে মদীনা পর্যন্ত পৌছে গেল এবং হযরত ফাতিমা (সাআ) উদবেগ ও উৎকণ্ঠার সাথে কাঁদতে কাঁদতে ওহুদ প্রান্তরে পৌছলেন।শেষ সময়ে হযরত আলী(আঃ) ছাড়া কাউকেই তাঁর সাহায্যে এগিয়ে আসতে দেখা গেল না।হযরত আলী লড়তে লড়তে ৩ বার ঘোড়ার পিঠ থেকে পড়ে গেলেন,আর প্রতিবার জিব্রিল(আঃ)এসে তাঁকে আরোহন করালেন।এসব বিষয়ের প্রতি ইঙ্গিত করে আল্লাহ এই আয়াতটি নাজিল করেন।