রক্তিম শাহাদাত কাবার একমাত্র সন্তানের
৪০ হিজরীর একুশে রমজান। সব-হারানোর বেদনায় গোটা বিশ্ব জগত যেন ব্যথিত, প্রকৃতি যেন নির্জীব, অচল, স্পন্দনহীন। ইয়াতীম, বঞ্চিত আর মজলুমের মর্মভেদী কান্নায় আকাশ-বাতাস ভারাক্রান্ত! যে অবিস্মরণীয় নিষ্পাপ-ফুলেল সত্তা হিজরী-পূর্ব ২৩ সনের ১৩ই রজব পবিত্র কাবা ঘরে জন্ম নিয়ে তাঁর বহুমুখী সৌরভে ও অতুলনীয় সব গুণের ছোঁয়ায় বারে বারে ইসলামকে দিয়েছে নব-জীবন সেই পবিত্র ব্যক্তিত্বের শাহাদত শোক-সাহারায় তুলেছে অনন্ত মাতম!
প্রায় ১৪০০ বছর ধরে মুমিনের চোখে রক্ত-অশ্রু-ঝরাচ্ছে এই রাত! কিন্তু সে রাতে বিশ্বনবী (সা.)’র পর হেদায়াতের উজ্জ্বলতম প্রদীপ অসময়ে চিরতরে নির্বাপিত হলেও মানুষের অন্তরে তিনি আজো অমর, অক্ষয় এবং ঈমানের অফুরন্ত শক্তির উৎস! যদিও একুশে রমজান পৃথিবী হারিয়েছিল বিশ্বনবী-সা.’র শ্রেষ্ঠ প্রতিনিধি ও শ্রেষ্ঠ অনুসারীকে, বিশ্বনবী-(সা.)এর জ্ঞান-নগরীর মহাতোরণকে, রাসূল (সা.)’র পর সবচেয়ে দয়াদ্র ও উদার আত্মার অধিকারী মানুষকে, সাধানা ও আধ্যাত্মিক পূর্ণতার সর্বোত্তম আদর্শকে, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় মহানবী (সা.)’র নিজ হাতে গড়ে তোলা ইসলামের শ্রেষ্ঠ সেনাপতি ও সবচেয়ে আপোসহীন নেতাকে , তবুও আমীরুল মুমিনীন হযরত আলী (আ.)’র শক্তিশালী ব্যক্তিত্বের স্বর্গীয় আলোকোজ্জ্বল প্রভা যুগ যুগ ধরে ইতিহাসের পরতে পরতে আদর্শ মুমিনের কর্মতৎপরতার গভীরে অতুলনীয় ও ক্রমবর্ধমান প্রভাব সৃষ্টি করে চলেছে। মুমিন ব্যক্তির কাছে তিনি কিংবদন্তীতুল্য।
বিশ্বনবী (সা.) বলেছেন, “আমি যাদের মাওলা বা নেতা, আমার পরে আলী তাদের নেতা। হে আল্লাহ! যে আলীকে ভালোবাসে তুমি তাকে ভালোবাস, যে আলীর সাথে শত্রুতা করে তুমি তার সাথে শত্রুতা কর।” বিশ্বনবী (সা.) আলীকে সম্বোধন করে আরো বলেছেন, “হে আলী! মূসার সাথে হারুনের যে সম্পর্ক, তোমার সাথে আমার সেই সম্পর্ক, শুধু পার্থক্য হলো, হারুন নবী ছিলেন, কিন্তু তুমি নবী নও।”
মহানবী (সা.) আরো বলেছেন, আলী প্রেম ঈমানের অঙ্গ।
* হে আম্মার! যদি দেখ সমস্ত মানুষ একদিকে চলে গেছে, কিন্তু আলী চলে গেছে অন্য দিকে, তবুও আলীকে অনুসরণ কর, কারণ, সে তোমাকে ধ্বংসের দিকে নেবে না।
* আমি জ্ঞানের নগরী, আলী তার দরজা, যে কেউ আমার জ্ঞানের মহানগরীতে প্রবেশ করতে চায় তাকে এ দরজা দিয়েই আসতে হবে।
* আমি আলী থেকে, আর আলী আমার থেকে, যা কিছু আলীকে কষ্ট দেয়, তা আমাকে কষ্ট দেয়, আর যা কিছু আমাকে কষ্ট দেয় তা আল্লাহকে কষ্ট দেয়।
* হে আলী! ঈমানদার কখনও তোমার শত্রু হবে না এবং মোনাফেকরা কখনও তোমাকে ভালোবাসবে না। অনেক সাহাবী এ হাদীসের ভিত্তিতে মোনাফেকদের সনাক্ত করতেন।
একবার শাওয়াল মাসের শেষ শুক্রবারে বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.) মদীনার মসজিদে রমজানের গুরুত্ব সম্পর্কে বয়ান করার সময় রাসূল (সা.) কাঁদলেন। হযরত আলী (আ.) প্রশ্ন করলেন, হে আল্লাহর রাসূল, আপনি কেন কাঁদলেন? উত্তরে তিনি বললেন, এ মাসে তোমার ওপর যে মুসিবৎ বা কষ্ট হবে তা মনে করছি। আমি যেন দেখতে পাচ্ছি, তুমি আল্লাহর দরবারে নামাজ পড়ছো এবং সবচেয়ে হতভাগা লোকটি তোমার মাথায় কয়েকটি আঘাত হানছে ও এরফলে তোমার দাড়ি রক্তে রঞ্জিত হচ্ছে! আলী (আ.) প্রশ্ন করলেন, সে সময় কি আমার ঈমান অটুট থাকবে? রাসূল (সা.) বললেন, হ্যাঁ।
৪০ হিজরীর ১৯ শে রমজানে ইবনে মোলজেম নামের নরাধম খারেজী যখন ফজরের নামাজে সেজদারত আমীরুল মুমিনিন হযরত আলী (আ.)’র মাথায় বিষ-মাখানো তরবারী দিয়ে আঘাত হানে, তখনই তিনি বলে ওঠেন, কাবার প্রভুর শপথ, আমি সফল! ২১ রমজানের রাতে শাহাদতের কিছুক্ষণ আগেও তিনি বলেন, আল্লাহর শপথ! শাহাদত আমার কাছে এমন কিছু নয় যে তার সম্মুখীন হতে আমি অসন্তুষ্ট হব, বরং তা যেন আমার কাছে নিজের হারানো অস্তিত্বকে ফিরে পাবার মত আনন্দদায়ক, কিংবা আমি যেন রাতের অন্ধকারে তৃষ্ণার্ত অবস্থায় পানি খুঁজছিলাম, আর হঠাৎ তা পেয়ে গেলাম, আল্লাহর কাছে যা আছে সৎকর্মশীলদের জন্য সেটাই তো উত্তম।
ইরানের বিখ্যাত চিন্তাবিদ শহীদ অধ্যাপক আয়াতুল্লাহ মূর্তাজা মোতাহহারী হযরত আলী (আ.) সম্পর্কে বলেছেন, “আমীরুল মুমিনীন হযরত আলী (আ.)’র মহৎ ও সুন্দর ব্যক্তিত্ব এতো বিশাল-বিস্তৃত ও এতো বিভিন্নমুখী যে একজন মানুষের পক্ষে তাঁর সকল বৈশিষ্ট্য ও পরিধি সম্পর্কে চিন্তাভাবনা করাও সম্ভব নয়। হযরত আলী (আ.)’র জীবন দার্শনিক, বিপ্লবী নেতা, সুফী শায়খ এবং নবী-রাসূলগণের অনেক বৈশিষ্ট্যের সমাহার।” তিনি ছিলেন জালিমের ত্রাস, মজলুমের সহায়, এতিম ও অনাথের সেবক । ন্যায় বিচার ও সুশাসনের প্রতীক।
আমীরুল মুমিনীন হযরত আলী (আ.) ছিলেন ইসলামের ইতিহাসের অতুলনীয় ও শ্রেষ্ঠ বীরযোদ্ধা। আল্লাহর সিংহ বা আসাদুল্লাহ ছিল তাঁর উপাধি। মহানবী (সা.)’র জীবদ্দশায় তাবুক যুদ্ধ ছাড়া প্রতিটি যুদ্ধে অংশ নিয়ে আলী (আ.) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন এবং প্রায় প্রতিটি যুদ্ধে বিজয়ের তিনিই ছিলেন প্রধান স্থপতি। তিনি অনেকবার নিজ জীবন বাজি রেখে রাসূল (সা.)’র জীবন রক্ষা করেছিলেন। জিহাদের ময়দানে তাঁর উপস্থিতিই শত্রু -সেনার মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করতো।
আল্লাহর রাসূল (সা.)’র সাথে নিজের ঘনিষ্ঠতা সম্পর্কে হযরত আলী (আ.) বলেছেন, যখন আমি শিশু ছিলাম তখনই তিনি আমার দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। আমি তাঁকে অনুসরণ করে চলতাম যেভাবে উট-শাবক তাঁর মায়ের পদাঙ্ক অনুসরণ করে। প্রতি বছর তিনি হেরা পাহাড়ে নির্জনবাসে যেতেন। সেখানে আমি ছাড়া কেউ তাঁকে দেখে নি। সে সময় আল্লাহর রাসূল (সা.) ও খাদিজার ঘর ছাড়া অন্য কোথাও ইসলামের অস্তিত্ব ছিল না এবং সে সময় এ দুজনের পর আমিই ছিলাম তৃতীয়। আল্লাহর প্রত্যাদেশ ও বাণীর তাজাল্লি আমি দেখতাম এবং নবুওতের ঘ্রাণ প্রাণভরে গ্রহণ করতাম।
(নাহজুল বালাঘা, খোতবা নম্বর-১৯১)
হযরত আলী (আ.) বিশ্বের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ বিশ্বনবী (সা.)’র সাথে প্রায় সব সময় ছায়ার মত থাকতেন। মক্কা থেকে মদীনায় হিজরতের রাতে মক্কার কাফেররা যখন আল্লাহর সর্বশেষ নবী (সা.)কে হত্যার জন্যে তাঁর বাড়ী ঘেরাও করে, তখন আলী (আ.) রাসূলে পাক (সা.)এর বিছানায় শুয়ে থেকে নিজ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মহানবী (সা.)কে হিজরতের সুযোগ করে দেন।
যে ব্যক্তির তরবারীর আঘাতে হযরত আলী (আ.) শাহাদত বরণ করেছিলেন, শহীদ হবার আগে মারাত্মক আহত অবস্থায়ও তিনি গ্রেফতারকৃত ঐ হামলাকারীর যত্ন নেয়া ও তাকে খাবার দাবার দেয়ার বিষয়ে খোঁজ নিতেন। তিনি বলেছিলেন, যদি আমি মারা যাই, তবে সে যেমন আমাকে একটি আঘাত করেছে তরবারি দিয়ে, তেমনি তাকে একটি মাত্র আঘাত করবে।
সিফফিনের যুদ্ধে আমীরে মোয়াবিয়ার সেনারা প্রথম দিকে নদীর তীর দখল করে হযরত আলী (আ.) ‘র অনুগত সেনাদেরকে খাবার পানি থেকে বঞ্চিত করেছিল। কিন্তু পরে হযরত আলী (আ.) ‘র সেনারা ঐ নদীর তীর দখল করে শত্রু সেনাদেরকে নদীর পানি থেকে বঞ্চিত করার সুযোগ পেয়েও নিজ সেনাদেরকে তা করার অনুমতি দেন নি। আমীরুল মুমিনীন হযরত আলী (আ.)কে তাঁর কঠোর ও নিখাঁদ ন্যায় বিচারের জন্য মোনাফেকরা ছাড়াও তাঁর অনেক পুরনো বন্ধু বা সহযোগীও শত্রুতে পরিণত হয়েছিল এবং এজন্যই অকালে তাঁকে শাহাদত বরণ করতে হয়েছে।
এছাড়াও একদল সরলমনা ও ধর্মান্ধ ব্যক্তি দুনিয়াপুজারী ও ক্ষমতালোভীদের প্রতারণার শিকার হয়ে হযরত আলী (আ.)’র মতো নিষ্পাপ মুমিনকেও কাফের বলে ঘোষণা দেয়! ইতিহাসে এই শ্রেণী খারেজী বলে খ্যাত। এই খারেজীদেরই অন্ধ অনুসারী ইবনে মুলজেম ১৯ শে রমজানের ফজরের নামাজের সময় সেজদারত অবস্থায় হযরত আলী (আ.)’র শির মোবারকে বিষাক্ত তরবারীর আঘাত হানে। ফলে ২১শে রমজানের রাতে তিনি শাহাদত বরণ করেন এবং শেষ হয়ে যায় চার বছর ও নয় মাসের খেলাফত । তখন তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৩। শাহাদতের কিছুক্ষণ আগে বড় ছেলে হযরত হাসান মুজতবাকে কাঁদতে দেখে হযরত আলী (আ.) বলেন, হে আমার সন্তান কেঁদো না, এখন রাসূলে খোদা (সা.), তোমার মা হযরত ফাতেমা ও ফেরেশতারা আমাকে অভ্যর্থনা জানাতে এসেছেন এবং তাঁরা আমাকে স্বাগতঃ জানাচ্ছেন।
রাসূলে পাক (সা.)’র সহধর্মিনী বিবি আয়শা হযরত আলী (আ.)’র শাহাদতের খবর শুনে বলেছিলেন, হে রাসূল! আপনার সবচেয়ে প্রিয়পাত্র শাহাদত বরণ করেছেন।
হযরত ইবনে আব্বাস বলেছেন, আলীর চারটি গুণ বা বৈশিষ্ট্য ছিল যা অন্য কারো ছিল না। আরব ও অনারবের মধ্যে তিনিই প্রথম ব্যক্তি যিনি রাসূলের সাথে নামাজ আদায় করেছেন। দ্বিতীয়তঃ প্রত্যেক জিহাদেই তাঁর হাতে ঝান্ডা থাকতো। তৃতীয়তঃ লোকেরা যখন রাসূলের কাছ থেকে দৌড়ে পালিয়ে যেত তখনও আলী তাঁর পাশেই থাকতো। চতুর্থতঃ আলীই রাসূল (সা.)কে শেষ গোসল দিয়েছিলেন এবং তাঁকে কবরে শায়িত করেছিলেন।
জীরার ইবনে হামজা তাঁর প্রিয় নেতার গুণাবলী তুলে ধরতে গিয়ে বলেছিলেন, আলীর ব্যক্তিত্ব ছিল সীমাহীন, তিনি ক্ষমতায় ছিলেন দোর্দন্ড, তাঁর বক্তব্য ছিল সিদ্ধান্তমূলক, তাঁর বিচার ছিল ন্যায়ভিত্তিক, সব বিষয়ে তাঁর জ্ঞান ছিল, তাঁর প্রতিটি আচরণে প্রজ্ঞা প্রকাশিত হত। তিনি দুনিয়া ও এর চাকচিক্যকে ঘৃণা করতেন । আমি আলী ইবনে আবি তালিবকে গভীর রাতে বহুবার এ অবস্থায় মসজিদে দেখেছি যে তিনি নিজ দাড়ি ধরে দাঁড়িয়ে এমনভাবে আর্তনাদ করতেন যেন সাপে কামড় খাওয়া মানুষ এবং শোকাহত লোকের মতো রোদন করে বলতেন, হে দুনিয়া, ওহে দুনিয়া, আমার কাছ থেকে দূর হও! আমাকে ধোঁকা দেয়ার চেষ্টা করো না! .. .. .. এরপর জীরার বলেন, আলী (আ.)’র অনুপস্থিতিতে আমি সেই মহিলার মতো শোকাহত যার সন্তানকে তার কোলে রেখে কেটে ফেলা হয়েছে।
দ্বিতীয় খলিফা ওমর ইবনে খাত্তাব বলেছেন, আলী ইবনে আবি তালিবের মতো আরেকজনকে গর্ভে ধারণ ও প্রসব করার ক্ষমতা নারীকূলের কারো নেই, আলী না থাকলে ওমর ধ্বংস হয়ে যেত।
ঐতিহাসিক ওসবর্ন হযরত আলী (আ.)’র সামগ্রীক উন্নত চরিত্র ও উদার বা মহানুভবতার কথা বিশ্লেষণ করে তাঁকে সর্বশ্রেষ্ঠ আত্মার অধিকারী মানুষ বলে মন্তব্য করেছেন। ঐতিহাসিক মাসুদীর মতে বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.)’র পর তাঁর গুণাবলী ও বৈশিষ্ট্য সবচেয়ে বেশি মাত্রায় একমাত্র হযরত আলী (আ.) মধ্যেই দেখা গেছে। এবারে হযরত আলী (আ.)’র প্রবাদতুল্য কয়েকটি বাণী তুলে ধরছিঃ
*বাহ্যিক অলংকার ও পোশাক-পরিচ্ছদ সৌন্দর্য নয়, সৌন্দর্য হল-জ্ঞান ও সভ্যতা। যার পিতা-মাতা মারা গেছে সে এতীম নয়, প্রকৃত এতীম সে যার মধ্যে জ্ঞান ও বিবেক নেই।
*সত্যকে আঁকড়ে ধর, যদি তাতে তোমার ক্ষতিও হয় এবং মিথ্যাকে বর্জন কর যদি মিথ্যা দিয়ে তোমার লাভও হয়। আর এটাই হল ঈমান।
হযরত আলী (আ.) জীবনের প্রথম থেকে সব সময়ই সবার সাথে ন্যায় আচরণ করেছেন। তিনি ছিলেন একজন সুশৃঙ্খল ও সব দিকে ভারসাম্যপূর্ণ বা সুসামঞ্জস্যপূর্ণ ব্যক্তি। মনুষ্যত্বের প্রতিটি সদগুণ তাঁর মধ্যে ছিল। হযরত আলী (আ.) ছিলেন একাধারে একজন আরেফ বা আধ্যাত্মিক গুঢ় রহস্য আয়ত্তকারী সাধক, সমাজের নেতা, আত্মসত্তা বিসর্জনকারী ব্যক্তি ও একজন শ্রেষ্ঠ মুজাহিদ, বিচারক ও শ্রমিক এবং একজন শ্রেষ্ঠ বক্তা ও লেখক। আর এইসব গুণাবলী নিয়ে তিনি ছিলেন পূর্ণতার সকল অর্থে একজন পূর্ণাঙ্গ মানব। এই পূর্ণাঙ্গ মানবের জীবনাদর্শ হোক আমাদের চলার পথের পাথেয় এবং ঈমানকে প্রদীপ্ত ও উজ্জীবীত করার মাধ্যম। আমীরুল মুমিনীন হযরত আলী-(আ.) এর শাহাদত দিবসে মহান আল্লাহর কাছে এটাই আমাদের একান্ত প্রার্থনা!!!!