কিভাবে সম্ভব?? পড়ুন আর হাসুন!!”””””””””””প্রশ্নঃ- আবু বকরের ইমানের পাল্লা কিভাবে ভারী হয়? যেখানে হানিফা সাহেব এতো বড় কীর্তিমান ছিলেন।””””””হায় হায় রেকর্ড ভংগ হয়ে গেল
নাম: ইমামে আযম, ইমাম আবু হানিফা আসল নাম নোমান বিন সাবিত
জন্ম: সেপ্টেম্বর ৫, ৬৯৯ খ্রিস্টাব্দ/ শাবান ৪, ৮০ হিজরী
কুফা, বাগদাদ, ইরাক, উমাইয়া খিলাফত এর সময়
মৃত্যু: ১৪ জুন ৭৬৭ (বয়স ৬৭)/ ১৫০ হিজরী
কুফা, বাগদাদ, ইরাক, আব্বাসীয় খিলাফত
মৃত্যুর কারণ: কারাগারে নির্যাতন (কারো মতে বিষপ্রয়োগ)>>>>
১..>>মাত্র ৬৭ বছর বেচে ৫৫বার হজ্জ করেছেন। ইরাকের বাগদাদ থেকে মক্কায় হজ্জ করতে যেতেন। ইরাক থেকে মক্কার দুরুত্ব ১৮৮৭.১ কি.মি.।
ক.,<<<<ওনার রোযা কি কসর হতো না?
খ…<<<কিভাবে তিনি একাধারে ত্রিশ বছর রোযা রাখলেন, যদি তাই হয় তবে ঈদের দিন রোযা রাখা হারাম কি হারাম নয়?
গ…<<<একাধারে ৪০ বছর রাত্রে ঘুমাননি, তাহলে তিনি দিনে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে রোযা থাকতেন? অথচ আল্লাহ কুরআনে বলছেন আমি রাত্রকে করেছি তোমাদের ঘুমের জন্য।ৎ
২..>>> অনেক সময় এক রাকাতেই কুরআন শরীফ এক খতম দিতেন, তাহলে আবু বকর ওমররা এক রাতে যেখানে কুরআন খতম না দিতে পেরে দুখিত হয়েছেন, সেখানে আবু হানিফা সফলকাম হয়েছেন। শুধু সফলকামই হননি বরং তাদেরকে হারিয়ে এক রাকাতেই কুরআন খতম দিয়েছেন। আর বর্তমানে তার অনুসারীরা ত্রিশ দিনে কুরআন খতম তারাবি পড়ছেন।
ক…<<<প্রতি রাকাতে ১ খতম. ১ পারা কমপক্ষে ৪৫ মিনিট ধরলে ৩০ পারা মানে ১ রাকাত নামাজ পড়তে লাগবে ২২ ঘন্টা.(২৪ঘন্টায় একদিন) তার মানে বাকি ৪ ওয়াক্ত নামাজ তিনি পড়ার সময় পাইতেন না. আর ২ রাকাতে ২ খতম পড়তে থাকলে তো কথাই নাই। কারণ রমজানের ত্রিশ দিনে দু বারের বেশি কুরান খতম দিতেন। এখন প্রশ্ন তার ইনকাম সোর্স কি ছিল? পরিবার ও পরিবারের সন্তান সন্ততিদের ও অন্যদের বা তার ছাত্রদের সাথে সময় কাটানো আবার খাওয়া, গোসল, মল মুত্র ত্যাগ, মানুষের সাথে কথা বলা এসকল সময়ের হিসাব করতে গেলে তবে তার দিন হতো মনে হয় প্রায় ±১২০ ঘন্টায়। অথচ আমাদের মতো সাধারন মানুষের জন্য দিন হয় ২৪ ঘন্টায় একদিন। তিনি মনে হয় পৃথিবীর হিসাবে নয় অন্য হিসাবে চলতেন। আমরা তার অনুসারিরা কিভাবে তার সমকক্ষ হবো?
৩..>>> তিনি হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ )এর মৃত্যুর (৬২৩-৬৯৯=) ৭৬বছর পর জন্ম নিয়ে যদি (রাঃ) হতে পারেন তবে আমরাও নিজেদের নামের শেষে (রাঃ) লিখলে দোষ হবে কি?
৪..>>> তিনি ৯৯বার আল্লাহ পাককে স্বপ্নে দেখেছেন, এটা কিভাবে সম্ভব হলো, যেখানে হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ )এর মিরাজে আল্লাহ দেখা করলেন পর্দার অন্তরালে দুই ধনুকের ব্যবধানে। অথচ তিনি আল্লাহ পাককে স্বপ্নে দেখে ফেললেন তাও ৯৯ বার মিরাজে ভ্রমণ না করেই। তাহলে হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ )কে কি খাটো করা হলো না? হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ ) কত বার আল্লাহ পাককে দেখেছেন?
৫..>>> ৪০ বছর এশার ওযুতে ফজরের নামাজ আদায় করা ব্যক্তি কি স্বাভাবিক মানুষের পর্যায় ভুক্ত?
৬…>>>ইমাম আবু হানিফা ফিকহ শাস্ত্রের আবিষ্কারক ছিলেন, তিনি ফিকহা শাস্ত্র আবিস্কার না করলে আমাদের সমাজে ফিকহ বলে কোন জিনিষ খুজে পাওয়া যেতো না। কে তাকে ফিকহা আবিস্কার করতে বলল, আল্লাহ নাকি অন্য কেউ? ইমাম শাফি-র মতে: যে ব্যক্তি ফেকাহর জ্ঞান অর্জন করতে চায়, সে যেন ইমাম আবু হানিফা এবং তার ছাত্রদের সান্নিধ্য লাভ করে। কারণ ফেকাহর ব্যাপারে সকলেই আবু হানিফা-র মুখাপেক্ষী।[
৭…>>> আবু হানিফা আল মনসুরের বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিদ্রোহের চেষ্ঠা করেন এ জন্য তাকে জেলখানার ভেতর মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয়। আবু য়ূসুফ তার স্থলে হানাফি মাযহাব চালু করে। যাকে তিনি পরবর্তীকালে মাযহাবটিকে ভুল প্রমাণ করে মৃত্যু বরণ করেন।
৮…>>> আমাদের সমাজ তার মাযহাব মেনে চলে অথচ তার সংগ্রহকৃত ৪,০০০ রাবির দেওয়া হাদিস গ্রন্থগুলো কেনো পড়ি না। সিহাহ সিত্তার যেকেনো একটি বা সবগুলোর আশ্রয় কেন নিতে হয়?
বি:দ্রঃ ১৫০৮ সালে সাফাভি সম্রাজ্যের শাহ ইসমাইল আবু হানিফা ও আব্দুল কাদের জিলানীর মাজার এবং অন্যান্য সুন্নি নিদর্শন ধ্বংস করে দেন।১৫৩৩ সালে উসমানীয়রা পুনরায় ইরাক দখল করে ও মাজারসহ অন্যান্য সুন্নি নিদর্শন পুনর্নির্মাণ করে।
এসব কিছু তাকে সুপার হিউম্যান খ্যাতি বা গুনসম্পন্ন উপাধি তার নামের উপর ধারন করে আছে যা আমরা সাধারন মানুষ করতে কিভাবে সম্ভব তা জানালে উপকৃত হবো।