ইমাম আলী (আ:) এর সাথে ও তাঁর সন্তানদের তৎকালীন অধিকাংশ মুসলমানেরা পছন্দ না করার একটিই কারণ আর তা হল ইমাম আলীর হাতেই তাদের বাপ দাদারা নিহত হয়েছে ! ইসলামের প্রতিটি যুদ্ধ ইমাম আলীর বিরত্ব ছাড়া জয়লাভ সম্ভব ছিল না ! বদর যুদ্ধে কাফেরদের ৭০ জনের মধ্যে ইমাম আলী একাই ৩৫ জনকে হত্যা করেছিলেন ! তেমনি উহুদ যুদ্ধ থেকে শুরু করে নবী (সা) জীবদ্দশায় সমস্ত যুদ্ধে আলী (আ) এর অসাধরণ বীরত্বে কারণেই ইসলাম জয়লাভ করেছে। তেমনি খায়বারের যুদ্ধে আলীর বীরত্ব ছাড়া মুসলমানদের জয়লাভ অসম্ভব ছিল ! উহুদ ও হুনাইনের যুদ্ধে হাতে গোনা দু’তিন জন সাহাবা যাদের মধ্যে অন্যতম আলী ছিলেন এরা বাদে সবাই রাসুল (সা)কে যখন যুদ্ধের ময়দানে রেখে পালিয়েছে তখনও আলী বীরত্বের সাথে লড়েছিলেন ! আর এই বীরত্বের কারণেই তৎকালীন কুরাইশরা তার হাতে কচু কাটা হয়েছেন ! ইসলামের স্বার্থেই যুদ্ধের ময়দানে কারো বাবাকে হত্যা করেছেন তিনি, কারো বাপকে, কারো চাচাকে ! যাদের তিনি হত্যা করেছেন পরবর্তীতে তাদেরই পুত্র, কন্যা, ভাতিজা, নাতি, পুতিরা ইসলাম গ্রহন করেছে !এজন্যই তৎকালীন মুসলমানদের অধিকাংশ লোকজনই ইমাম আলীকে পছন্দ করত না, কেউ তার প্রতি যেমন পুর্ব শত্রুতা পোষণ করত তেমনি কেউ তার বীরত্বের হিংসা করত ও তার প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করত ! এটাই হল আসল রহস্য !
নবী মোহাম্মদ (সা) এর জীবদ্দশায় তারা প্রকাশ্যে আলীর সাথে শত্রুতা পোষণ করতে না পারলেও নবী (সা) এর ইন্তেকালের পর শত্রুতা প্রকাশ্যরুপে রুপ নেয়। আর আলীর সাথে এই শত্রুতাই মুসলমানদেরকে প্রধান দু’ভাগে ভাগ করে যা আজও বহমান ! একেই তো নবী মোহাম্মদ (সা) তাদের বাপ দাদার ধর্মকে বিনাশ করেছেন তার উপর আলী যেন ওদের মরার উপর খড়ার ঘা ছিলেন ! তাই তো নবী মোহাম্মদ (সা) এর ইন্তেকালের পরপরই প্রতিশোধ হিসাবে তার বংশের আলোকজ্জ্বল প্রদীপদের একে হত্যা করেছেন তারা ! বনু সকিফা থেকে শুরু হয়ে কারবালা হয়ে আজো সেই হত্যাকান্ড বহমান আছে -আজো তারা তাদের পুর্বসুরীদের শত্রু আলীর অনুসারীদের হত্যা করতেছে ! এধারা চলমান থাকবে কেয়ামত পর্যন্ত !