জগৎ-বন্দ্য জ্ঞানগুরুদের বায়েজিদ একজনা

দামেগান ছেড়ে আমাদের ছোট্ট বাসটি হেলেদুলে রাজকীয় ভঙ্গিতে শাহরুদের দিকে এগিয়ে চলছে। শাহরুদ নামটি শুনেই কেমন যেন একটি রাজকীয় ভাব মনে হচ্ছে! ফারসিতে শাহ অর্থ রাজা বা বাদশাহ আর রুদ হচ্ছে নদী অর্থাৎ রাজা-বাদশাহদের নদী, তবে শাহ এর আরেকটি অর্থ বৃহৎ অর্থাৎ বৃহৎ নদী। প্রকৃতপক্ষেই যুগ যুগ ধরেই মানব অন্তরে বহমান একজন মহামানব বা বড় মাপের নদীর কাছেই যাচ্ছি। হ্যাঁ, এখানেই রয়েছে মাতৃভক্তির এক পরম অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হযরত বায়েজিদ বোস্তামির মাযার! শৈশবে প্রতিটি বাঙালির মুখে মুখে যে কবিতাটি মুখস্থ ছিল তার একটি কালিদাস রায়ের মাতৃভক্তি কবিতা। বায়েজিদ বোস্তামি- শৈশব হতে জননীর সেবা করিতেন দিবাযামী।/ দুপুর রাত্রে জননী জাগিয়া ডাকিলেন, ‘বাছাধন,/ বড়ই পিয়াস পানি দাও’ বলি মুদিলেন দু’নয়ন।/ দেখিল বালক ঘরের কোণের কলসিতে নেই পানি,/ বহুদূর পথ ঝরনা হইতে কলসি ভরিয়া আনি।/ মায়ের তৃষ্ণা মিটাইবে বলি গভীর অন্ধকারে/ ছুটিয়া বাহির হইল একাকী কলসি লইয়া ঘাড়ে।/ জল ঢালি পিয়ালায়/ সুপ্তা মাতার নয়ন শিয়রে দাঁড়ায়ে রহিল ঠায়।/ ভাঙালে নিদ্রা হবে অপরাধ, কখন ভাঙিবে নিদ,/ সেই ভরসায় পানি হাতে খাঁড়া রহিল যে বায়েজিদ।/ পূর্ব গগন ফর্সা হইল, ডাকিয়া উঠিল পাখি,/ জননী মেলিল আঁখি।/ দেখিল শিয়রে দাঁড়ায়ে রয়েছে দশ বছরের ছেলে/ পানি হাতে কেন, বুঝিল না মাতা প্রথম নয়ন মেলে।/সহসা পড়িল মনে,/ গভীর রাতে পিপাসায় পানি চেয়েছিল বাছাধনে।/ কহিল মা, মরি মরি!/ বাছারে আমার, পানি হাতে করে সারা রাত্রটি ধরি/ দাঁড়াইয়া আছ? ঘুমাওনি আজ?’ চোখে এল জল ভরি।/ পুত্রেরে কোলে নিয়ে মা চুমিল বার বার মুখখানি।/ কহিল জননী, ‘নয়নের মণি, সাধারণ শিশু নও,/ খোদার দোয়ার বরকতে তুমি জগতপুজ্য হও।/ পুত্র গড়বে গর্বিত বুকে, খোদা স্মরি তব নাম,/ তোমারে আমার জীবনের এই সম্বল সঁপিলাম।’/ বিফল হয়নি মায়ের আশিস, হৃদয়ের প্রার্থনা/ জগৎ-বন্দ্য জ্ঞানগুরুদের বায়েজিদ একজনা।

বায়েজিদ বোস্তামির গ্রাম বাস্তাম ও মাযারটির অবস্থান শাহরুদ শহর থেকে ৬ কি.মি. উত্তর-পূর্বে। শাহরুদ শহরটি ইরানের রাজধানী তেহরান থেকে ২১৯ কি.মি. পূর্বে অবস্থিত সেমনান প্রদেশ থেকে ১৭০ কি.মি. দূরে। সেমনান থেকে শাহরুদ যাওয়ার পথটি যেন শুভ্র তুষারের দিগন্ত বিস্তৃত মেলা! মেষবালকেরা মেষপাল নিয়ে মেঘের চূড়া ভেদ করে একেবারে পর্বতশৃঙ্গের উপরিভাগে চলে যাচ্ছে! মনের অজান্তেই এক ধরনের তীব্র আকর্ষণ বোধ করছি ওদের প্রতি, জায়গাটির প্রতি! খুব জানতে ইচ্ছে করছে ওদের কাছে কি মাওলানা জালালুদ্দিন রুমীর হৃদয়বিদীর্ণ করা কবিতার সেই ‘নেই’ (বাঁশিটি) আছে? দূরে আকাশছোঁয়া পাহাড়গুলো হাজার হাজার বছর ধরে দেখে যাচ্ছে ক্ষয়ে যাওয়া মানব সভ্যতা। ইতিহাসের জীবন্ত উত্থান-পতনগুলোর প্রত্যক্ষ সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে ওরা। হয়তো এ পথ ধরেই কোন একদিন হযরত বায়েজিদ বোস্তামি ছুটে গিয়েছিলেন সুদূরের সবুজ-শ্যামলে ঘেরা বাংলাদেশে! আমরা যারা নদী-নালা, খাল-বিল, সবুজ প্রান্তর দেখে অভ্যস্ত তাদের কাছে শুভ্র তুষারাবৃত পর্বতগুলো আকাশছোঁয়া কল্পনার মতোই! কখনো কখনো মনে হচ্ছে পাহাড়গুলোর চূড়ায় লালন সাঁইয়ের ও হাসান রাজার গান, পল্লিগীতি বা ভাওয়াইয়া গানগুলোর রূপ-রস-অনুভূতিগুলো ছড়িয়ে দিলে কেমন লাগবে! তবে এটা অনস্বীকার্য যে, প্রতিটি জায়গারই আলাদা একটি সৌন্দর্য রয়েছে।
উল্লেখ্য, ৯০০০ বছর পূর্বে ইরানে প্রথম যে কয়টি স্থানীয় জনগোষ্ঠীর বসবাসের নিদর্শন পাওয়া যায় তার মধ্যে তাপ্পে সাঙ্গে চাকমাক (চাকমাক টিলার পাদদেশ) অন্যতম। যার অবস্থান বায়েজিদ বোস্তামির বাস্তাম গ্রামে। মাদ (শাসনামল খ্রি. পূ. ৭০৮-খ্রি. পূ. ৫৫০) ও হাখামানশি (শাসনামল খ্রি.পূ. ৫৫০-খ্রি. পূ. ৩৩০) শাসনামলে বাস্তাম গ্রামটি কুমিসিনে বা কুমিশান এবং ইসলাম-পরবর্তী সময়ে কুম্স নামে পরিচিত ছিল। এই অঞ্চলটিতেই ইতিহাসখ্যাত আশাকানি রাজবংশ (শাসনামল খ্রি. পূ. ২৪৮- ২২৪ খ্রি.) এর প্রতিষ্ঠাতা পারত গোষ্ঠীর সাহসী বিচরণ ছিল। সাহসী বীর প্রথম আশক খ্রি. পূ. ২৪৮ অব্দে আলেকজান্ডার দি গ্রেটের পৃষ্ঠপোষকতাসম্পন্ন সুলুকি রাজবংশ (শাসনামল খ্রি. পূ. ৩১২- খ্রি. পূ. ২৪৮)-কে হটিয়ে স্বাধীন রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন। যারথুস্ত্রীয় ধর্মগ্রন্থ আভেস্তার মতে আশাকানি আমলে কুম্স বা বাস্তাম গ্রামটি অন্যতম প্রদেশ হিসেবে গণ্য ছিল। সোহরাব-রুস্তম কাহিনীর সোহরাবকে ঘিরে অসংখ্য চিত্রলিপি শহরটির বিভিন্ন অংশে এখনও বিদ্যমান, পারস্য বীর সোহরাবের উত্থানও আশাকানি আমলেই সিস্তান প্রদেশ থেকে। এই প্রদেশেই রয়েছে হযরত নূহ (আ.)-এর দুই পুত্র সাম ও লামের সমাধি।এছাড়া পবিত্র কোরআন ও বাইবেলে বর্ণিত কাবির ও লূত মরুভূমির মধ্যে লূতের অবস্থান করমান প্রদেশে এবং কাবিরের অবস্থান সেমনান প্রদেশে। পাঠ্য বইয়ে পড়া এই মরুভূমিটির প্রতি ইরানে আসার পূর্বেই এক ধরনের আকর্ষণ অনুভব করেছি! ইরানী বন্ধুদের অসংখ্যবার জিজ্ঞেস করেছি দাশ্তে কাবির ও লূত কিভাবে যাওয়া যায়? এবার সুযোগটি পেয়ে তারবিয়্যাত মোদাররেস বিশ্ববিদ্যালের শিক্ষক ড. ইবরাহীম খোদাইয়ার আমার সিরিয়ান ও সেনেগালি বন্ধুদের নিয়ে নেমে পড়লেন একেবারে রুক্ষ-বিবর্ণ এই মরুভূমির বুকে। মরুভূমি দেখতে কেমন বা মরুভূমির লতা-গুল্মগুলোই বা কিভাবে বছরের পর বছর বেঁচে থাকে? হাজারো প্রশ্ন ভেতরে আন্দোলিত হচ্ছে! তবে বহুদিনের আরাধ্য স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে পেরে অসম্ভব রোমাঞ্চিত হলাম!
ইরানের এই প্রদেশটি প্রাচীনকাল থেকেই পানি সংকটে ভুগছে। ইরানে আবহাওয়ার ৪টি ধরন রয়েছে : তার অন্যতম হচ্ছে শুষ্ক ও চরম উষ্ণভাবাপন্ন। এ শহরটিতে এই ঘরানার আবহাওয়া বিদ্যমান। বায়েজিদ বোস্তামির জন্মস্থান সেমনান প্রদেশটির কাবির মরুভূমির কোলে অবস্থিত। আলবোর্য পর্বতের পাদদেশে অবস্থিত শহরটি কিছুটা হলেও বিবর্ণ মনে হলো! তবে মৃত্তিকার রঙগুলো চোখধাঁধানো! কোনটির রঙ একেবারে হলুদ আবার কোনটি ধূসর, আবার কোনটি আকাশের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নীলাভ আকার ধারণ করেছে। ইরানের লোক মজা করে বলেন, ইরানে এখন সেমনানি রাজত্বকাল চলছে! বর্তমান প্রেসিডেন্ট হাসান রূহানী ও সাবেক প্রেসিডেন্ট আহমাদিনেজাদ এই প্রদেশেরই সন্তান। এছাড়া জগদ্বিখ্যাত দুইজন সুফির স্নেহধন্য শহর শাহরুদ- একজন সুলতানুল আরেফিন হযরত বায়েজিদ বোস্তামি, অন্যজন আবুল হাসান খারাকানি। এই ছোট্ট শহরটিতে প্রতিদিন অসংখ্য পর্যটক আর যিয়ারতকারীর উপচে পড়া ভিড় অবাক করার মতোই!
তবে মজার ব্যাপার হলো ৮৭৪ খ্রিস্টাব্দে স্রষ্টার সান্নিধ্যে গমন করা সুলতানুল আরেফিন বায়েজিদ বোস্তামির একটি দরগাহ বাংলাদেশের চট্টগ্রামের নাসিরাবাদে রয়েছে। বায়েজিদ বোস্তামির পুরো নাম আবু ইয়াযিদ তাইফুর ইবেন ঈসা ইবনে সারভশান বাস্তাম। উপাধি সুলতানুল আরেফিন। ফারসিতে কখনো কখনো আবুর পরিবর্তে বু উচ্চারণ করা হয়। যেমন ইবনে সিনাকে বলা হয় বু আলী সিনা। তাঁর পিতামহ যরথুস্ত্র ধর্মাবলম্বী ছিলেন, পরবর্তীকালে ইসলাম গ্রহণ করেন। সেমনান বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে নিজের পরিচিতি পর্বে বাংলাদেশে বায়েজিদ বোস্তামির প্রতি অগাধ ভক্তি ও বাংলাদেশের মানুষের দরগাহটি সম্পর্কে পবিত্র দৃষ্টিভঙ্গি বলতেই উপস্থিত অধ্যাপকগণ কৌতূহলী হয়ে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করতে লাগলেন! শুধু তাই নয় ছোটবেলায় স্কুলে পড়া কালিদাস রায়ের ‘মাতৃভক্তি’ কবিতাটির কাহিনী বর্ণনা করলাম, উপস্থিত সকলের চোখ বিস্ময়ে বিস্ফারিত হচ্ছিল! একের পর এক কৌতূহলী প্রশ্ন ছুঁড়ে দিচ্ছেন আমার দিকে। আমার শিক্ষক ড. ইবরাহীম খোদাইয়ার আমার সাহায্যে এগিয়ে এলেন, তিনি জানালেন আমীরুল মুমিনীন হযরত আলী (আ.)-এর মূল সমাধি ইরাকের নাজাফ শহরে বিদ্যমান, তবে এর পাশাপাশি আফগানিস্তানের মাযার-ই-শরীফে আরেকটি সমাধি ফলকের উপস্থিতির কথাও উল্লেখ করলেন। সঙ্গে এটাও বললেন, ইসলাম-পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন সুফি-সাধক ইসলাম প্রচারে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে গমন করেছেন এবং তাঁরা স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের সময় সেখানে অবস্থানকালীন ইবাদতের স্থানটিতে তাঁদের ভক্ত-অনুসারীরা তাঁদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দরগাহ স্থাপন করেছেন।
সেমনান বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের শিক্ষক ড. নাসের রাহিমির মতে, হয়তো বায়েজি বোস্তামি ধর্ম প্রচারে বাংলাদেশে গমন করেছিলেন, তবে তাঁর মূল সমাধি যে বাস্তাম গ্রামে এটা তিনি নিশ্চিত বলেই জানালেন। কেননা, ফারসি সাহিত্যের অসংখ্য ইতিহাসমূলক বইয়ের কোথাও বায়েজিদের বাংলাদেশ ভ্রমণের উল্লেখ নেই! আমাদের গাইড শাহ হুসাইনি জানালেন, বায়েজিদ বোস্তামির নামে আরও একটি দরগাহ রয়েছে ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশে। বায়েজিদ বোস্তামির সমাধিস্থলে পৌঁছেই মায়ের প্রতি অদ্ভুত এক ভালোবাসা জেগে উঠল! একেবারে আড়ম্বরবর্জিত সমাধিফলক! আমাদের গাইড জানালেন, কোন এক ভক্ত রাতে স্বপ্ন দেখেছিলেন বায়েজিদ তাঁকে বলছেন তাঁর জন্য একটি গম্বুজ আকৃতির সমাধিফলক বানিয়ে সেখানে বায়েজিদের দেহখানা স্থাপনের জন্য। গম্বুজ তৈরি শেষ হলে একেবারে শেষের দিন অপর এক ভক্ত স্বপ্নে দেখেন বায়েজিদ তাঁকে বলছেন তাঁর দেহখানা উন্মুক্ত আকাশের নিচে রাখার জন্য। সেই থেকেই মাতৃসেবক বায়েজিদ বোস্তামি শুয়ে আছেন উন্মুক্ত প্রান্তরে। তবে বায়েজিদ বোস্তামি সকল মানবপ্রেমী মানুষের অন্তরে শুয়ে আছেন। বায়েজিদের সমাধি থেকে স্বল্প দূরে খারাকান গ্রামে শুয়ে আছেন মুসলিম বিশ্বের অন্যতম সুফি ও বায়েজিদের ভাবশিষ্য আবুল হাসান খারাকানি। বায়েজিদের মৃত্যুর (২৩৪ হিজরি) প্রায় ১১৭ বছর পরে খারাকানির জন্ম (৩৫১/৩৫২ হিজরি)। বায়েজিদ একদা খারাকান গ্রাম দিয়ে অতিক্রমকালে হঠাৎ থমকে দাঁড়ান! ভক্ত-অনুরাগিগণ তাঁকে জিজ্ঞেস করলে বলেন : ‘আমি এই গ্রাম থেকে এক মহৎ ব্যক্তির সুঘ্রাণ পাচ্ছি।’ অবাক হলেও সত্য এখনও খারাকানির সমাধিতে নাক লাগালে সেই ঘ্রাণ পাওয়া যায়। আমি অবাক হয়ে বেশ কয়েকবার সেই ঘ্রাণ নিয়েছি! খারাকানিকে নিয়ে ফারসি সাহিত্যের দুই দিকপাল মাওলানা জালালুদ্দিন রুমী ও ফরিদউদ্দিন আত্তারও লিখেছেন। সুলতান মাহমুদ গাযনাভিও তাঁর সাক্ষাতে এসেছিলেন বলে জানা যায়। তাঁর বেশ কয়েকটি কারামতের মধ্যে দুটি সিংহের বশীভূতকরণের কাহিনী প্রবেশ পথেই চিত্রিত রয়েছে। তাঁর উল্লেখযোগ্য একটি কবিতা ইরানের প্রায় প্রতিটি মানুষের মুখে প্রচলিত :
‘তোমার সদর দরজায় আসে যদি কেউ রুটির কাঙাল হয়ে
রুটি দিও জীবনের তরে, জিজ্ঞাসিও না, কী তোমার ঈমান ওহে?
খোদার দরজায় কে বেশি মূল্যবান জানবে কী করে!
তোমার আমার কর্মটাই ওহে মনুষ্যত্বের তরে।’
এভাবেই বায়েজিদের ভাবশিষ্য জগতকে আলোকিত করে গিয়েছেন।
তথ্যসূত্র
-অশনায়ি বা জোগরাফিয়া ভা ফারহাঙ : ওস্তানহায়ে ইরান।
-তারিখে ইরান ভা জাহান।
-বাররেসি মানাবে’ ভা মা’খাযে তারিখে ইরান পিশ আয ইসলাম : ড, মোহাম্মদ বাকের তাভাযযোলি।
– যঃঃঢ়://বহ.নধহমষধঢ়বফরধ.ড়ৎম/রহফবী.ঢ়যঢ়?ঃরঃষব=ইধুবলরফথইড়ংঃধসর
লেখক : পিএইচডি গবেষক,
শিক্ষক প্রশিক্ষণ বিশ্ববিদ্যালয়, তেহরান, ইরান।
সহকারী অধ্যাপক, ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

–মুমিত আল রশিদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.