ঈদে গাদীরের দিন রোযা রাখার ফজিলত:
হাদীস নং। ২:: গাদির দিবসে রোজা রাখা
قَالَ الصَّادِقُ: صِيَامُ يَوْمِ غَدِيرِ خُمٍّ يَعْدِلُ صِيَامُ عُمْرِ الدُّنْيَا لَوْ عَشَ
আস-সাদিক ইমাম জাফর ইবনে মুহাম্মদ (আ:) থেকে বর্ণিত হয়েছে যে:
“গাদিরের দিন রোজা রাখা পুরো পৃথিবীর (অস্তিত্বের) কাল রোজা রাখার সমতুল্য – যার অর্থ যদি কোনও ব্যক্তি পৃথিবীর সমগ্র অস্তিত্বের জীবনযাপন করতে এবং এই পুরো সময়টি উপবাস করতে থাকে তবে এই রোজার সওয়াব রোজার সমতুল্য হবে (গাদিরের এই একদিন)। “
ওয়াসা’ল আশ-অনুসারী, খণ্ড ৭, পৃষ্ঠা ৩২৪, হাদীস ৪
গাদীর দিবস,এমন এক মূল্যবান ধর্মীয় অনুষ্ঠান যার মর্যাদা রক্ষা করা একান্ত জরুরী। আর এই দিনের সম্মান বা মর্যাদা রক্ষার একমাত্র উপায় হচ্ছে- এই দিনের আদব ও নিয়ম-কানুনগুলি ঠিক সেভাবে মেনে চলা যেভাবে আহলে বাইত (আঃ) নির্দিষ্ট করেছেন এবং মেনে চলতেন।
১.[কল্যাণকর কাজ]
যদিও এই দিবসের সমস্তকর্মই কল্যাণময় কিন্তু তারপরেও একটি সার্বজনীন নির্দেশ ও ভূমিকা স্বরূপ কিছু নিয়ম-কানুন হাদীসে বর্ণিত হয়েছেঃ এই দিনের একটি সৎকর্ম ৮০ মাসের (আশি মাসের) সৎকর্মের সমপরিমাণ।
ইকবালুল আ’মাল, পৃষ্ঠা-৪৬৫, লাইন নং-সর্বশেষ।
২.[ইবাদত]
ইমাম রেযা (আ.) হতে বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি বলেনঃ গাদীর দিবস এমনই একটি দিন যে দিনে যদি কেউ ইবাদত বন্দেগী করে তাহলে আল্লাহ তায়ালা তাকে সম্পদে সমৃদ্ধ করে দেন।
ইকবালুল আ’মাল, পৃষ্ঠা-৪৬৪, লাইন নং-১৮।
৩.[রোজা]
ইবনে হোরায়রা হতে বর্ণিত আছে, যে ব্যক্তি ১৮ই জিলহিজ্জায় রোজা রাখবে আল্লাহ তায়ালা তার জন্য ৬০ বছরের রোজা লিখে রাখবেন।
ফারায়েদুস সিমতাঈন, ১ম খণ্ড, পৃষ্ঠা-৭৭, অধ্যায়-১৩, হাদীস-৪৪ ও মানাকেবে ইবনে মাগাজেলী, পৃষ্ঠা-১৯, হাদীস-২৪।
ইমাম সাদিক (আ.) এক হাদীসে তার শ্রোতাদের উদ্দেশ্যে এই রোজা সম্পর্কে বলেছেনঃ এই দিনের একটি রোজা অন্য সময়ের ৬০ মাসের (ষাট মাসের) রোজার সমতুল্য।
ইকবালুল আ’মাল, পৃষ্ঠা-৪৬৫
অন্য এক হাদীসে বলেছেনঃ ঈদে গাদীরে খুমের একদিনের রোজা, আল্লাহর নিকট একশ’টি গহণযোগ্য হজ্জ ও ওমরার সমতুল্য।
আল-গাদীর, ১ম খণ্ড, পৃষ্ঠা-২৮৫
অনুরূপভাবে বর্ণনা করেছেনঃ গাদীরে খুমের রোজা পৃথিবীর আয়ুর (জীবনের) সমস্ত রোজার সমান, যদি কেউ এ ধরনের বয়সের অধিকারী হয় এবং সে যদি সারা জীবন রোজা রাখে।
ইকবালুল আ’মাল, পৃষ্ঠা-৪৬৩