বিশ্বে বিবাহের ছাড়াই সন্তান জন্মহার

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিবাহের গুরুত্ব হারাচ্ছে। সেইসাথে বিবাহের প্রতিষ্ঠানগুলো কমে যাচ্ছে। 

এর একটি সূচক নিচের ইনফোগ্রাফিক গুলোতে ইউরোস্ট্যাট ডেটার পরিসংখ্যান দেওয়া হয়েছে যা ইউরোপের দেশগুলোতে বিবাহের বাইরে সন্তান জন্মের শতকরা হার নিশ্চিত করা হয়েছে।

কোনরকম বিবাহ ছাড়াই সন্তান জন্ম দেয়ায় ফ্রান্স (৬০%) শীর্ষে রয়েছে। এদিকে অন্য প্রান্তে, গ্রীস সর্বনিম্ন  স্থান দখল করে আছে যেখানে দশ সন্তানের মধ্যে নয় জন ইতিমধ্যে বিবাহিত বাবা-মায়ের কাছে জন্মগ্রহণ করেছিল।

https://www.statista.com/chart/13668/where-babies-are-born-outside-of-marriage/#:~:text=France%20is%20at%20the%20top,parents%20that%20were%20already%20married.

পবিত্র মক্কা শরীফে এক কাফির ছিল ওলীদ বিন মুগীরা নামে। সে হুযূর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সম্পর্কে কুৎসা রটিয়ে বেড়াতো, নানাবিধ কষ্ট প্রদান করতো। ফলে মহান আল্লাহ পাক এই ওলীদের হাক্বীকত উন্মোচন করে পবিত্র সূরা ক্বলম শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন :

“(হে হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! আপনি তার কথায় কর্ণপাত করবেন না। সে (ওলীদ বিন মুগীরা) মিথ্যে শপথকারী, অপমানিত, নিন্দাকারী, পরের দোষ বর্ণনাকারী, চোগলখোর, সৎকাজে নিষেধকারী, সীমা লঙ্ঘনকারী, পাপিষ্ঠ, বদ চরিত্র এবং অধিকন্তু সে অবৈধ সন্তান।”

(পবিত্র সূরা ক্বলম শরীফ : ১০-১৩)

এইখানে জানা যায় যে যারা নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্পর্কে বিদ্বেষ পোষণ করে তাদের এই ১০টি দোষ থাকবে –

(১) মিথ্যা শপথকারী, (২) লাঞ্ছিত, (৩) পরনিন্দাকারী, (৪) ঘুরে ঘুরে গীবতকারী, (৫) চোগলখোর, (৬) সৎ কাজে বাধা দানকারী, (৭) সীমালঙ্ঘনকারী, (৮) পাপিষ্ঠ, (৯) বদ চরিত্র, এবং (১০) অবৈধ সন্তান।

উক্ত ১০টি মন্দ বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আয়াত শরীফ নাযিল হলে পাপাত্মা, কুলাঙ্গার মুগীরা স্পষ্টভাবেই প্রথম ৯টি বৈশিষ্ট্য নিজের মধ্যে রয়েছে বুঝতে পেরে ১০ম বৈশিষ্ট্যটি জানার জন্য তার মায়ের কাছে গিয়ে তাকে জিজ্ঞাসা করে সে অবৈধ সন্তান কি না এবং সত্য না বললে তরবারী দিয়ে মাথা বিচ্ছিন্ন করে ফেলার হুমকি দেয়।

এর জবাবে তার মা প্রকম্পিত কণ্ঠে জানায়, “সত্যি তুমি অবৈধ সন্তান। তোমার পিতা ছিল অনেক ধন-সম্পদের মালিক, কিন্তু পুরুষত্বহীন। আমাদের সন্তানাদি না হলে ধন-সম্পদ হাত ছাড়া হয়ে যাবে, এই আশঙ্কায় আমি এক রাখালের সঙ্গে মিলিত হয়েছিলাম। তুমি সেই অবৈধ অবস্থানের ফসল।”

সুতরাং এই ধরণের প্রোপাগান্ডাকারীরা যেন ওলীদ বিন মুগীরার আয়নায় নিজেদের দেখে নেয়।

মুহাম্মাদ ইবনে আবি যানাত হতে বর্নিতঃ

"আনসার" ব্যক্তিটি প্রায়ই বলতো: লোকদের মধ্যে কারা অবৈধ সন্তান তা আমরা জানতে পারি আলী ইবনে আবি তালিব (আঃ)-এর প্রতি ঘৃনা দেখে।

সুত্রঃ তারিখে দামেস্ক,’তারজুমাতে আলী (আঃ)
:২/২২৪/৭২৯;
ফারায়িদুস সিমতাইন :১/২২৪/২৯৩।

ইয়াজিদের সৈন্যবাহিনী তার নির্দেশ মােতাবেক মদিনা মুনাওয়ারায় তিন দিন তিন রাত অত্যাচার, অবিচার ও ব্যভিচার চালায়, ধন-সম্পদ লুট করে। বর্ণিত আছে ইয়াজিদ বাহিনী শিশু এবং মহিলা ব্যতীত বারাে হাজার চার শত সাতানব্বই জন লােককে হত্যা করে। তার মধ্যে-
১. মুহাজির, আনসার, তাবেয়িন ও উলামা ১৭০০ (এক হাজার
সাতশত)।
২. সাধারণ লােক-১০,০০০ (দশ হাজার)
৩. হাফেজ-এ-কোরআন-৭০০ (সাতশত)
৪. কুরাইশ ৯৭ (সাতানব্বই)
সর্বমােট ১২,৪৯৭ জন।

বর্ণিত আছে ইয়াজিদ বাহিনীর ব্যভিচারের ফলে মদিনা নগরীতে হাজার মেয়েলােক অবৈধ সন্তান প্রসব করেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.