”বেলায়েত মিডিয়া”–একটি সেবা মুলক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
পরিচয়ঃ
সূফী ত্বত্তের অনুশীলনকারী সাধক-সাধিকাদের অন্তর আকাশের পাঁচটি আল্লাহর রঙ, নূরে মোহাম্মদী, পাক পান্জাতন, বারো ইমাম, চৌদ্দ মাসুম (আঃ) এর রুহানী সোহবাত ও নির্দেশনা পাওয়ার প্রচেষ্টায় রত ব্যক্তিদের ”বেলায়েত মিডিয়া” এক জলন্ত আলোক বর্তিকা।
প্রধান কার্যালয়ঃ যশোর-৭৪০০, খুলনা, বাংলাদেশ।
শাখা কার্যালয়ঃ সারা বাংলাদেশের যে কোন শহরে এই সংগঠনের শাখা হতে পারবে ( প্রয়োজন বোধে দেশের বাইরেও)।
একটি চতুর্ভুজে সবার উপরে চন্দ্র, তার নিচে চৌদ্দ মাসুমিনদের প্রতিক রূপে চৌদ্দটি দাগ দিয়ে মসজিদের গম্বুজের অবয়ব, তাদের নিচে আল্লাহু প্রতিক এবং তার নিচে জাফরি ফাউন্ডেশন লেখা থাকবে।
লক্ষ্যঃ
”বেলায়েত মিডিয়া” আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে রুহুর উপর নির্ভরতা বৃদ্ধি কল্পে, সুপ্ত প্রতিভাগুলোকে কার্যকর রুহানি শক্তির উৎসে পরিনত করার লক্ষ্যে, ইনসানকে তার স্বরূপ দর্শনের মাধ্যেমে মোত্তাকিন বা পরহেজগার হওয়ার সুনিদ্দিষ্ট পথ সিরাতুল মুস্তাকিমদের (সহজ সরল ও সোজা) পথ দেখিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে ও তার উপর দৃঢ়পদে টিকে থাকার ওয়াদা নিয়ে, ও ইমামে যামান (আঃ) এর আগমনের ক্ষেত্র প্রস্তুত করার মাধ্যমে আল্লাহর সন্তষ্টি অর্জন কল্পে গঠিত একটি সেবা মূলক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
উদ্দেশ্যঃ
ইনসানকে তার নৈতিকতা,সুন্দর চরিত্র গঠন, আত্মশুদ্ধি, মনজগতের অপরাধ হতে মুক্তি, দৈহিকশুদ্ধি, এমনকি অন্ধকার হতে আলোতে এনে নুরের উপর নুরের পরিচয় প্রদান করে আরাফের অধিবাসীদের থেকে নিজেকে প্রজ্জ্বলিত রাখার সেবা মূলক শিক্ষা দেওয়ায় ”বেলায়েত মিডিয়া” এর উদ্দেশ্য।
মুলনীতিঃ
১. এই সংগঠনটি সর্বাবস্থায় সকলেই যারা আমাদের দেওয়া আঠারোটি (১৮) ক্লাস শেষ কারী এবং আহলে বায়াত ও ইমাম মেহেদী (আঃ) এর যোগ্য অনুসারী – ওলীদের দ্বারা পরিচালিত হবে। উক্ত আঠারোটি (১৮) ক্লাস শেষকারী ওলীগণ একটি সভার মাধ্যমে একজনকে নেতা নির্ধারণ করবেন এবং তিনিই তাদের আমৃত্যু সর্বাবস্থায় সকল বিষয়ের নেতৃত্ব দিবেন (যদি তিনি কোন শরিয়ত ও বেলায়াত বিরোধী কাজে লিপ্ত না হয়ে পড়েন)। এছাড়া তিনিই সকলকে পরিস্থিতি অনুযায়ী প্রয়োজনবোধে এলাকাভিত্তিক একজন করে নেতৃত্বের গুরুদ্বায়িত্ব ভাগ করে দিতে পারেন। যারা তার নিকট সরাসরি যোগাযোগের মাধ্যমে কোন প্রকার সভা ব্যতিতই তার এলাকার সকল বিষয় তাকে জানাতে পারে ও সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
ক) এক্ষেত্রে আমাদের সংগঠনের বর্তমান নেতৃত্ব দানকরী হচ্ছেন মোঃ মনিরুজ্জামান – জনি।
খ) তিনি সিদ্ধান্ত গ্রহনের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ রূপে প্রভাব মুক্ত থাকবেন।
গ) তার নির্দেশ অবশ্য পালনীয়।
ঘ) এই সংস্থার সকল কার্যক্রম “ইখলাস, কাওসার, ও দুরূদ” এর ভিত্তিতে পরিচালিত হবে।
ঙ) সংগঠনের সকল সদস্য বা ছাত্র-ছাত্রীই এক ও অভিন্ন হয়ে এবং দৃঢ় ঐক্য বজায় রেখে কাজ করবেন। যদি কারো পক্ষ থেকে কোন প্রকার ত্রুটি-বিচ্যুতি পরিলক্ষিত হয় তবে ইসলামের বা শান্তির স্বার্থে সকলে মিলে ঐ পরিস্থিতির অবসান ঘটাবেন।
চ) এই সংগঠনের কোন সদস্যই প্রতিষ্ঠানের মুলনীতি ও কর্মপদ্ধতির সাথে বিরূপ মত ও দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশকারী (শত্রুতা বা ক্ষতি সাধনের চেষ্টায়রত) এমন কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সাথে ব্যক্তিগত ও সাংগঠনিক কোন প্রকার সম্পর্ক রাখতে পারবে না।
ছ) মুসলিম সংহতি দৃঢ়করণ। অর্থাৎ কুরআন ও ইতরাতের (আহলে বায়াতের) আদেশ-নিষেধকে নিঃশর্তভাবে মেনে নেয়ার ভিত্তিতে মুসলিম ঐক্য গড়ে তোলা এবং মুসলিম উম্মাহর সার্বিক স্বাথকে অগ্রাধিকার দেয়া।
জ) এই সংগঠনের সকল কার্যক্রম আরবী সনকে প্রধান্য দিয়ে পরিচালিত হবে। প্রয়োজনে বন্ধের দিনকে মাথায় রেখে কার্যক্রমের দিন পরিবর্তন করা যেতে পারে।
ঝ) এই সংগঠনের সাধারণ সভা, কার্যবিবরণী পেষ ও ক্লাস অধ্যায়ন প্রতি মাসের শেষ শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে।
ঞ) আমাদের এক লক্ষ চব্বিশ হাজার নবী ও তাঁদের মধ্য থেকে ৩১৩ জন উচ্চ পদ প্রাপ্ত আল্লাহর প্রেরিত রসুলের উপর আমাদেরকে অকাট্য বিশ্বাস রয়েছে। এই সংগঠনে উক্ত ৩১৩ জন উচ্চ পদ প্রাপ্ত আল্লাহর রসুলের উপরে পূর্ণ ইমান রাখে এবং শেষ নবী ও রাসুল হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর মাধ্যেমে সকল নবী ও রাসুলের সমাপ্তি হয়েছে তা মনে প্রানে বিশ্বাস করে। উক্ত এক লক্ষ চব্বিশ হাজার নবী ও তাঁদের মধ্য থেকে ৩১৩ জন উচ্চ পদ প্রাপ্ত আল্লাহর প্রেরিত রসুলের বাইরে আর কাউকে নবী বা রাসুল হিসাবে স্বীকৃতি দেয় না। এবং বারো ইমাম চৈৗদ্দ মাসুমকে স্বীকৃতির মাধ্যমে ইমামে যামানা ইমাম মেহেদী (আঃ)কে হাদী জ্ঞানে সকল কর্মকান্ড পরিচালনা করে।
২. আমরা প্রকাশ্য শয়তান, ইবলিস, খবিস, খান্নাস, কাফের, মুশরিক, মুনাফেক, চোগলখুরিদের চিনবো এবং নিজ স্বত্ত্বা হতে তাদের থেকে মুক্তি নিয়ে মুমিন ও মুত্তাকি বা পরহেজগার হওয়ার পথে কঠোর সাধনা করবো।
৩. আমাদের আঠারোটি (১৮) ক্লাস রয়েছে যার এক একটি ক্লাস সাধারণত ২০০ দিন করে ব্যাপ্ত তা শেষ করার ব্রত অন্তরে পোষণ করা। এই ক্লাস অধ্যয়নের মাঝে নফসের পাঁচটি স্তর অতিক্রম করার মাধ্যমে প্রশান্ত আত্মা হওয়ার দৃঢ় প্রত্যয়ে ব্রত থাকবো।
কর্মসূচীঃ
১. বারো ইমাম চৈৗদ্দ মাসুম (আঃ)দের জন্ম ও ওফাত দিবস পালন।
ক) পৃথিবীতে আহলে বায়াত (আঃ) এর আদর্শের প্রচার ও প্রসারের লক্ষ্যে নিজেদেরেকে আহলে বায়াত (আঃ) এর আদর্শে গড়ে তোলা।
খ) জ্ঞানগর্ভ ও ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ সম্বলীত লেখনী প্রকাশের মাধ্যমে আহলে বায়াত (আঃ) এর আদর্শের ভিত্তি স্থাপন করা।
গ) সমাজকে বিচ্যুতি হওয়া থেকে ফিরিয়ে আল্লাহ ও তাঁর নবী ও রাসুল (সাঃ) এর রেখে যাওয়া দুটি জিনিষ কুরআন ও আহলে বায়াত ( আঃ) কে আকড়ে ধরার তাগিদ দেওয়া।
ঘ) সমাজের সকল স্তরের ইনসানের মাঝে উক্ত কাজ আন্জামের লক্ষ্যে বিভিন্ন মেয়াদে পরিকল্পনা মাফিক কাজ করা এবং উক্ত কাজের স্বার্থে অর্থনৈতিক পরিকল্পনাও মূল্যায়ন করা।
২. ঈদ-ই-গ্বাদীর দিবস উদ্যাপন। মুসলিম জাহানের “মাওলা” ঘোষণা দিবস ও আল্লাহ কর্তৃক ইসলামকে পরিপূর্ণ দ্বীন হিসাবে ঘোষণার দিবস।
৩. ঈদ- ই-সবে-বরাত দিবস উদ্যাপন। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.)’র পবিত্র আহলে বাইতের ১১ তম সদস্য ইমাম হযরত ইমাম হাসান আসকারী (আ.)’র পুত্র হিসেবে তাঁর জন্ম হয়েছিল ১৫ ই শাবান ২২৫ হিজরিতে ইরাকের (বর্তমান রাজধানী বাগদাদের উত্তরে) পবিত্র সামেরা শহরে। এই উপলক্ষ্যে ১৫ ই শাবান ইমাম মেহেদী (আঃ) এর জন্ম দিবস ঈদ উদ্যাপন।
৪. শহীদদের সর্দার, নবীজির সন্তান, তৃতীয় ইমাম, ইমাম হুসাইন এর শাহাদাতের ঘটনা বর্ণনার্থে ও মাসুমিন (আঃ) দের শোকে শোক প্রকাশার্থে মহর্রমের এক তারিখ হতে দীর্ঘ চল্লিশ দিন পর্যন্ত তাঁদের সাথে একাত্ত ঘোষনা করে শোক মজলিশ, মাতম, নওহা পাঠ ও শোকপ্রকাশ। বিশেষত মহর্রমের দশ তারিখ বা আশুরার দিন বছরের সবচেয়ে বড় শোক মজলিশ পালন। (প্রয়োজনে বন্ধের দিনকে মাথায় রেখে বড় শোক মজলিশ পালনের দিনকে পরিবর্তন করা যেতে পারে।)
৫. আহলে বায়াতের ভক্ত ওলী আসাদুজ্জামান আসা এর ওফাত দিবস উপলক্ষ্যে শোক দিবস পালন।
৬. এছাড়া পরিবেশ পরিস্থিতিভেদে নেতা বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে পারেন।
সংশোধনীঃ
প্রতিষ্ঠানের সাধারণ সভায় আলোচনা স্বাপেক্ষে এই গঠনতন্ত্রের যে কোন ধারার পরিবর্তন, পরিবর্ধন, পরিমার্জন, সংযোজন করা সম্ভব। তবে সকল পরিবর্তন, পরিবর্ধন, পরিমার্জন, সংযোজন উক্ত আঠারোটি (১৮) ক্লাস শেষকারী ওলীগণ কর্তৃক সংশোধিত ও অনুমোদিত হতে হবে।
আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মোহাম্মদ, ওয়া আলা আলে মোহাম্মদ।
মওলা হুসাইন (আঃ) প্রেমিকদের কল্যাণে এই প্রাণ কোরবানি হোক, আমিন।
মাওলা হুসাইন আলাইহিস সালামের গোলাম হয়ে মরতে পারলে, জান্নাত ও চাইনা আমি মহাপাপি।