Title: জান্নাতের নেত্রী- মা ফাতেমা (সা: আ:) | Full Movie | The Lady of Heaven | Fatema | English | 1080p HD
জান্নাতের নেত্রী- মা ফাতেমাতুজ্জোহরা (সা: আ:) বাংলা মুভি ট্রেলার The Lady of Heaven- Maa Fāṭimah al-Zahrā SA. Bangla Movie Trailer 1080p HD
প্রচারে: বেলায়েত মিডিয়া
বেলায়েত মিডিয়া
http://facebook.com/groups/Belayetmedia
ফাতেমা আ. এর দৈহিক আঘাত প্রাপ্তির মূল কারণ সমূহ ফাতেমা আ. এর দৈহিক আঘাত প্রাপ্তির মূল কারণ সমূহ নিম্নরূপ: ১- নবীর মৃত্যুতে গভীর শোক, সবেদনা ও কান্না। ২- নবীর ওসি অর্থাৎ হযরত আলীর মজদুরিয়াত ও নিঃসঙ্গতার কারণে আত্মিক শোক ও প্রতিরক্ষা ছিল দৈহিক আঘাতের দ্বিতীয় কারণ। ইবনে শাহর অশুব (মৃ: ৫৯৯ হি.) বর্ণনা করেছেন : “উম্মে সালমা ফাতেমার ঘরে প্রবেশ করে বলল : ওহে নবী কন্যা!
কিভাবে রাত কাটালেন। ফাতেমা বললেন : শোক ও দুঃখ-ভারাক্রান্ত হৃদয় নিয়ে রাত কাটিয়েছি। শোক এই কারণে যে, প্রিয় নবীকে হারিয়েছি ও দুঃখ এই জন্য যে, তাঁর স্থলাভিষিক্তের উপর আরোপিত জুলুম। আল্লাহর কসম করে বলছি: এতে নবীর উত্তরসূরীর প্রতি অবমাননা হয়েছে (মানাকিবু অলে আবি তালিব, ২/২০৫।)।[1] হাদিসের আরবী পাঠ এরূপ : ৩- ফাতেমা সা. এর পবিত্র পদ ও মর্যাদার অবমাননা ছিল তৃতীয় কারণ (নাহজুল বালাগার শারহ, ইবনে আবিল হাদিদ, ১৬/২১৪) ।
আল্লামা তাবারসি (মৃ: ষষ্ট হিজরি) বর্ণনা করেছিন:
[ফাদাকের খোৎবা সমাপ্তির পর ফাতেমা বলেছিলেন : হায়, যদি এমন জুলুমের স্বীকার হবার পূর্বে মারা যেতাম! (এহতিজাজ, খন্ড ১, পৃ ১০৭)।
অতএব, বলা যায় যে, ফাতেমার শোকের কারণ শুধু পিতার মৃত্যুর মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না। বরং তার সাথে আরে দু’টি ব্যাথা যোগ হয়েছিল। ৪- ফাতেমার বাড়িতে হামলার সময় তাঁর দেহে মারাত্মক আঘাত হানা হয়েছিল। অন্য ভাষায় বলতে গেলে বলতে হয় : তার পিতার বিরহ বিচ্ছেদের সাথে সাথে তাকে এমন আঘাত করা হয়েছিল, যার ফলে তিনি ধরাশায়ি হয়ে গিয়েছিল। এ বিষয়টি ভুলে গেলে চলবে না।
কাজি নোমানি মাগরিবি বর্ণনা করেছেন : ইমাম জাফর সাদিক আ. তাঁর পিতার কাছ থেকে বর্ণনা করেছেন : রাসূল স. ফাতেমাকে চুপিসারে বললেন : তাঁর ওফাতের পর তার আহলে বাইতের মধ্য থেকে সর্ব প্রথম যে তাঁর সাথে গিয়ে মিলিত হবে, সে হল ফাতেমা আ.।
অতঃপর যখন নবী স. মৃত্যু বরণ করলেন এবং তার ঘরে হামলা করে তাকে আহত করা হল, তখন তিনি শয্যাশায়ী হয়ে গেলেন, ক্রমশ দূর্বল হয়ে পড়লেন ও এমন ভাবে শুকিয়ে গেলেন যেন মনে হয়েছিল শুকনো কাঠি হয়ে গেছেন (দায়ায়িমুল ইসলাম, ১/২৩২)।
উপরোক্ত বিষয়াদি থেকে সত্যই কি বলা যায় না যে, ফাতেমা জাহরার মৃত্যু ছিল শাহাদাতের মৃত্যু? যেদিন তথাকথিত মুসলমানরা মহানবীর উত্তসূরীর মাকাম ইমাম আলী (আ.) থেকে ছিনিয়ে নিয়েছিল সেদিনও কেউই রক্ষায় এগিয়ে আসেনি !
মা ফাতিমার (আ.)-এর ঘরে আগুন জ্বাললেও কোন সাহায্যকারী সেদিন তারা পাননি ! অতএব যদি আমরা চাই ইতিহাসের ঐ নিকৃষ্টতম অধ্যায়গুলো যার কারনে মা ফাতেমা (আ.) থেকে শুরু করে সমস্ত ইমামগণ শহীদ হয়েছেন তার পুর্ণবৃত্তি আর না হোক তাহলে উপরের তিনটি বিষয়ে আমাদের অতিশয় শর্তক হতে হবে। বিবেক এবং বিচক্ষনার ভিত্তিতে পা বাড়াতে হবে সামাজিক কাজে যাতে কেউ সাহস না পায় অতীতের মত অপপ্রচার করে র্ধমীয় ব্যক্তিত্ব বা র্ধমের খাদেমদের চেহারাকে কলঙ্কিত করতে সেদিকে তিক্ষ্ণ নজর রাখতে হবে।।
মা ফাতিমার (আ.)-এর কবর আজ আমাদের কাছে অজানা রয়েগেছে। তিনি নিজেই চেয়েছেন যে অজানা থাক, তাহলে বোঝেন কতখানি কষ্ট তিনি পেয়েছেন ? একজন মানুষ কখন বলেন যে আমার কবরটি অজানা রেখো ! আমার মনে হয় যখন তিনি দেখেন যে তার সবাই থাকতে কেউই নেই।
কেননা, তিনি কাঁন্নার মধ্যে দিয়ে নিজের কাছে মদীনাবাসীদের ডেকে আনার চেষ্টা করেছেন যাতে মানুষেরা এসে তাঁকে প্রশ্ন করেন , কেন বিবি এত কাঁদছেন ? আর তিনি এই সুযোগে ঐ তিন শ্রেণীর মানুষদের খিয়ানতের কথা বলতে পারেন । কিন্তু সেদিন শুধুই যে তাঁর কাছে কেউই আসেনি তাই নয় বরং তাঁরা তাঁকে জনবসতি থেকে বের করে দেয়া হয়েছিল ! হায় আফসোস ! হায় আফসোস !
#জান্নাতের_নেত্রী #মা_ফাতেমাতুজ্জোহরা
#The_Lady_of_Heaven #Maa_Fāṭimah_al_Zahrā #the_historical_untold_story_of_Lady_Fatima