রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ ‘‘যে এ পৃথিবীতে তার শিক্ষা গ্রহণ করে সে এতে বাস করে ঘুমন্ত ব্যক্তির মত : সে একে দেখে কিন্তু একে স্পর্শ করে না। তার অন্তরে ও সত্তায় ঘৃণা বৃদ্ধি পেতে থাকে তাদের আচরণে যারা এ পৃথিবীর মাধ্যমে প্রতারিত হয়েছে – যা শুধু আনবে হিসাব-নিকাশ ও শাস্তি। সে এ পৃথিবীকে তার সাথে বদল করে নেয় যা তাকে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার সন্তুষ্টির কাছে নিবে ও ক্ষমা এনে দিবে। সে নিজেকে ধুয়ে ফেলে সেগুলো থেকে যেদিকে এ পৃথিবী তাকে আমন্ত্রণ করে এবং এর জাগতিক অলংকার থেকে – এ পৃথিবী নিশ্চিহ্ন হওয়ার পানি দিয়ে।
যে ব্যক্তি কথা গ্রাহ্য করে তার জন্য তা তিনটি জিনিস এনে দেয় : সে যা করে তার জ্ঞান, সে যা জানে সে অনুযায়ী কাজ এবং যা সে জানে না সে সম্পর্কে জ্ঞান। কথা গ্রাহ্য করার শিকড় নিহিত আছে এর ফলাফল সম্পর্কে ব্যক্তির ভীতিতে, যখন সে দেখে যে সে শুরুতে এ থেকে পূর্ণ বিরত থেকেছে। কথা গ্রাহ্য করা শুধু তাদের জন্যই সফল যাদের পবিত্রতা ও অর্ন্তদৃষ্টি আছে । আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলেছেনঃ
فَاعْتَبِرُوا يَا أُولِي الْأَبْصَارِ ﴿٢﴾
‘‘শিক্ষা নাও, হে যাদের দৃষ্টি আছে’’ (৫৯:২)
আরও বলেছেনঃ
فَإِنَّهَا لَا تَعْمَى الْأَبْصَارُ وَلَـٰكِن تَعْمَى الْقُلُوبُ الَّتِي فِي الصُّدُورِ ﴿٤٦﴾
‘‘কারণ নিশ্চয়ই চোখগুলো অন্ধ নয়, কিন্তু অন্ধ হচ্ছে তাদের অন্তর যা আছে বুকের ভেতরে।’’ (২২:৪৬)
যখন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বিবেচনার মাধ্যমে কারো অন্তরের চোখ এবং অন্তর্দৃষ্টি খুলে দেন, তাহলে তিনি তাকে দিয়েছেন এক উচ্চ মাক্বাম ও বিশাল সৌভাগ্য।
সংগ্রহ: পথ চলার বাতি- ওয়াইজম্যান পাবলিকেশন্স