একদিন এক মা পাঁতিহাস তার ছোট বাচ্চাগুলোকে নিয়ে লেকের দিকে যাচ্ছিল। মায়ের সাথে যেতে পেরে বাচ্চা হাঁসগুলো খুব আনন্দ পাচ্ছিল। তারা পথের পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল আর প্যাক প্যাক শব্দ করে ডাকছিল। হঠাৎ মা দেখল দূরে এক খেঁকশিয়াল দাঁড়িয়ে। সে ভীত হয়ে পড়ে এবং চিৎকার করে বলে, ‘বাছারা! জলদি করে লেকের ভেতরে যাও। একটা খেঁকশিয়াল দেখা যাচ্ছে।’
হাঁসের বাচ্চাগুলো লেকের ভেতরে চলে গেল। মা হাঁসটি চিন্তা করতে লাগল কী করা যায়। সে পেছনে ফিরে হাঁটতে শুরু করলো এবং একটি পাখা মাটির ওপর দিয়ে টেনে টেনে নিয়ে যেতে থাকল। খেঁকশিয়াল তাকে দেখে তো খুব খুশি। সে মনে মনে ভাবলো মনে হয় হংসী আহত এবং সে উড়তে পারে না। আমি খুব সহজেই তাকে ধরতে ও খেতে পারব। সে হংসীটির দিকে দৌড়াতে লাগল। হংসী খেঁকশিয়ালকে লেক থেকে দূরে নিয়ে যাওয়ার জন্য ছুট দিল। খেঁকশিয়ালও সেটাকে অনুসরণ করতে থাকল। এভাবে তার বাচ্চাগুলোকে খেঁকশিয়ালের আক্রমণের বাইরে দিয়ে দিল। এখন খেঁকশিয়াল আর বাচ্চাগুলোর কোন ক্ষতি করতে পারবে না। হংসী তাকিয়ে দেখল যে, তার বাচ্চাগুলো লেকে পৌঁছে গেছে। সে স্বস্তি অনুভব করল এবং এক গভীর নিঃশ্বাস ফেলল।
খেঁকশিয়াল ভাবল হংসীটি ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। সে তার কাছে গেল। হংসীটি তৎক্ষণাৎ তার পাখা মেলে শূন্যে উড়ে গেল। অল্পক্ষণের মধেই সে অবতরণ করল লেকের মধ্যখানে এবং সেখানে তার বাচ্চাদের সাথে মিলিত হয়ে সাঁতার কাটতে লাগল।
খেঁকশিয়াল স্থির দৃষ্টিতে মা ও তার ছানাগুলোর দিকে তাকিয়ে থাকল। সে তাদের কাছে যেতে পারল না। কেননা, তারা সবাই তখন লেকের মাঝখানে চলে গেছে।
প্রিয় শিশুরা! কিছু কিছু পাখি আছে, যারা কোন শত্রুর আক্রমণের মুখে পড়লে তাদের পাখা মাটির ওপর দিয়ে টেনে নিয়ে যায়। এই পন্থায় তারা শত্রুকে ধোঁকায় ফেলে বুঝাতে চায় যে, তারা আহত। শত্রু তখন তাকে অনুসরণ করে তখন তাদের বাচ্চারা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।