হযরত মুহাম্মাদ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বীরত্ব ও সাহসীকতা
মুহাম্মাদ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বীরত্ব ও সাহসিকতা সম্পর্কে শেরে খোদা হযরত আলী (রাঃ) বলেন- “ যুদ্ধ যখন তীব্র আকার ধারন করতো এবং মনে হত যে, চোখ কোটর থেকে বেরিয়ে আসবে ঠিক সেই মূহুর্তে আমরা রাসুলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে খুঁজে বের করতাম যাতে তাঁর আশ্রয় আমরা গ্রহণ করতে পারি এবং দেখতে পেতাম তিনি শত্রু থেকে খুব বেশি দূরে নন অর্থ্যাৎ সে সময় অন্যদের তুলনায় তিনিই শত্রুর কাছাকাছি অবস্থান করতেন। বদর যুদ্ধে আমাদের এই অবস্থাই ছিল। আমরা রাসুলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর আশ্রয় নিচ্ছিলাম আর তিনি আমাদের সকলের তুলনায় শত্রুদের সবচেয়ে বেশী নিকটবর্তী ছিলেন।
হযরত আনাস (রাঃ) বর্ণনা করেন, “ আল্লাহর রাসূল সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
ছিলেন সকলের চেয়ে বেশী সুন্দর ও দীপ্তিমান, সবচেয়ে বেশী দানশীল, সবচেয়ে বেশী বীর-বাহাদুর ছিলেন। একরাত্রে মদীনার লোকেরা ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়লো এবং যেদিক থেকে আওয়াজ আসছিল লোকেরা সেদিকে ছুটে গেলো। পথিমধ্যে সকলের সঙ্গে রাসুলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সাক্ষাত। তিনি তখন ফিরে আসছিলেন। তিনি আওয়াজ পেতেই সকলের আগেই বেরিয়ে পড়েছিলেন। তিনি বলে চলেছিলেনঃ ভয় পাবার কারণ নেই, কোন ভয় নেই। তিনি সে সময় আবূ তালহা (রাঃ) –এর অশ্বপৃষ্ঠে সমাসীন ছিলেন যার পিঠে জীনও ছিল না। তাঁর কাঁধে তখন তলোয়ার ঝুলছিল। তিনি ঘোড়ার প্রশংসা করতে গিয়ে বলেন, আমই তাকে সমুদ্রের মত গতিশীল, প্রবাহমান ও দ্রুত গতিসম্পন্ন পেয়েছি। ”
ওহুদ ও হুনায়নের যুদ্ধে যখন বড় বড় বীর বাহাদুর শত্রু পক্ষের আক্রমণের তীব্রতায় বিক্ষিপ্ত ও দিশেহারা হয়ে পড়েছিল এবং রণক্ষেত্র ফাঁকা হয়ে গিয়েছিল সে সময়ও মুহাম্মাদ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর খচ্চরের ওপর নিরুদ্দিগ্ন ও প্রশান্ত চিত্তে ও দৃঢ়তার সঙ্গে আপন অবস্থানে অটল ছিলেন। মনে হচ্ছিল যেন কিছুই হয়নি। তিনি তখন নিম্নোক্ত কবিতাটি আবৃত্তি করে চলেছিলেনঃ “ আমি মিথ্যা নবী নই; আব্দুল মুত্তালিবের বংশধর আমি।