বন্দী হয়ে ফিরল- হযরত মুহাম্মাদ (সা:) এর পরিবার Hazrat Muhammad (SA.)'s Family Returning Captive 1080p HD
বন্দী হয়ে ফিরল- ইমাম আলি ইবনে হুসাইন জয়নুল আবেদিন (আ:) ও তার পরিবার:
১৩80 বছর আগে ৬১ হিজরির ১১ মহররম হযরত ইমাম হুসাইন (আ.)’র একমাত্র জীবিত পুত্র হযরত ইমাম জাইনুল আবেদিনসহ(আ.) ইমাম শিবিরের সব জীবিত ব্যক্তিদের বন্দী করে ইয়াজিদ বাহিনী। বন্দীদের প্রায় সবাই ছিলেন নারী ও শিশু। তাঁদের পায়ে পরানো হয়েছিল লোহার শিকল ও হাতে পরানো হয়েছিল হাতকড়া।
৬১ হিজরির ১২ মুহররম ইয়াজিদ সেনারা নবী পরিবার তথা ইমাম পরিবারের এবং ইমাম শিবিরের সকল নারী ও কন্যা শিশুকে বন্দী অবস্থায় কুফায় নিয়ে আসে। এ সময় ইয়াজিদ সেনারা শহীদদের বিচ্ছিন্ন মাথা বর্শায় বিদ্ধ করে নিয়ে আসে তাদের সঙ্গে।
কারবালার ঘটনার ৩৪ বছর পর ১২ মহররম তারিখেই শাহাদত বরণ করেন ইমাম জাইনুল আবেদীন (আ.)। কুফায় বন্দীদেরকে ইয়াজিদের গভর্নর ইবনে জিয়াদের দরবারে আনা হলে জিয়াদ তাদেরকে উপহাসের চেষ্টা করে এবং ইমাম জাইনুল আবেদীন (আ.)-কে হত্যা করতে চায়।
কিন্তু ইমামের বোন হযরত জাইনাব (সা.)’র সাহসী বক্তব্য ও বিশেষ করে নবী পরিবারের সদস্যদেরকে ত্যাগের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার ও শাহাদতের মর্যাদা দেয়ার জন্য মহান আল্লাহর প্রতি তাঁর প্রশংসাসূচক কথাগুলো জিয়াদকে হতভম্ব বা লা-জওয়াব করে দেয়।
কারবালার অসম যুদ্ধে অশেষ বীরত্ব ও বিক্রম দেখিয়ে এবং ইয়াজিদের বহু সেনাকে জাহান্নামে পাঠিয়ে শহীদ হয়েছিলেন হযরত ইমাম হুসাইন (আ.)সহ ইসলামের ইতিহাসে অমর হয়ে থাকা ৭২ জন মহামানব।
তাদের কেউ ছিলেন ইমামের যুবক পুত্র, শিশু পুত্র, সৎ ভাই, ভাতিজা, ভাগিনা, চাচাতো ভাই এবং অন্যরা ছিলেন প্রাণ-উৎসর্গ করতে আসা নিবেদিত-প্রাণ সঙ্গী। ইমাম হুসাইন (আ.)’র শাহাদতের পর তাঁর বোন হযরত জাইনাব (সা.) ইমামের একমাত্র জীবিত ও অসুস্থ পুত্র হযরত জাইনুল আবেদীনের (আ.) জীবন রক্ষা করেন। অবশ্য এ জন্য তিনি শত্রুদের কাছে দয়া ভিক্ষা করেননি।
ভাতিজাকে বুকে জড়িয়ে ধরে তিনি জল্লাদকে বলেছিলেন, আমার ভাতিজাকে হত্যা করতে হলে আমাকেও হত্যা করতে হবে। এভাবে তিনি একজন নিষ্পাপ ইমামের জীবন রক্ষা করেন নতজানু না হয়েই। দামেস্কেও এই মহান ইমামকে হত্যার চেষ্টা অলৌকিকভাবে ব্যর্থ হয় বলে বর্ণনা রয়েছে।
কোনো কোনো বর্ণনা মতে কারবালায় জাইনুল আবেদীনের শিশু সন্তান ইমাম বাকির (আ.)ও উপস্থিত ছিলেন এবং হত্যাযজ্ঞের পর তিনিও বেঁচে ছিলেন। নবী বংশের কয়েকজন নারী সদস্যও বেঁচে ছিলেন কারবালার হত্যাযজ্ঞের পর।