সুরা ত্বা-হা,আয়াত#২৫-৩০
“সে(মুসা) বলল, ‘হে আমার প্রতিপালক!তুমি আমার জন্য আমার বক্ষ প্রশস্ত(১) করে দাও,আমার জন্য আমার কর্ম সহজ করে দাও,আমার মুখের জড়তা দূর করে দাও,হারুনকে(যে) আমার ভাই,তার দ্বারা আমার পৃষ্টকে দৃঢ়কর এবং তাঁকে আমার কর্মে অংশীদার করে দাও।যাতে আমরা তোমার অত্যধিক মহিমা ও পবিত্রতা ঘোষনা করতে পারি। এবং তোমাকে অধিক স্মরন করতে পারি।নিশ্চয়ই তুমি আমাদের সম্যক দ্রষ্ট।তিনি বললেন, হে মুসা!তোমার সব কামনা পুরন করা হল ”।
সঠিক তাফসীর(১)ঃ
ইবনে মারদুইয়া,খতীব বাগদাদী এবং ইবনে আসাকীর আসমা বিনতে উমায়েস থেকে বর্ননা করেছেন,আমি রাসুলকে(সাঃ) ‘সুবাইব’ নামক মক্কার এক পাহাড়ের সামনে দেখি যে, তিনি বলছেন, ‘হে আল্লাহ! আমিও তোমার নিকট সেই দোয়া করছি যা আমার ভাই মুসা করেছিলেন।আমার বক্ষকে প্রশস্ত করে দাও,আমার জিহবার জড়তা দূর করে দাও,যাতে লোকে আমার কথা ভালভাবে বুঝতে পারে এবং আহলে বায়েতের মধ্য থেকে আমার ভাই আলীকে আমার সহযোগী করে দাও,তার দ্বারা আমার পৃষ্টকে দৃঢ় কর,আর আমার কর্মে তাঁকে আমার অংশীদার করে দাও,যাতে আমরা উভয়েই তোমার অত্যধিক মহিমা ও পবিত্রতা ঘোষনা করতে পারি এবং তোমাকে অধিক স্মরন করতে পারি।তুমি অবশ্যই আমাদের সম্যক দ্রষ্টা”।(তাফসীরে দুররে মানসুর,৪র্থ খন্ড, পাতা-২৯৫)।এই সুরার ৩৬নং আয়াতের ন্যায় মহান আল্লাহ তাঁর রাসুলের(সাঃ) এই দোয়া কবুল করেছিলেন এবং তিনি বলেছিলেন, ‘হে মুহাম্মাদ! তোমার সব কামনা তোমাকে প্রদান করা হল’। একারনেই রাসুল(সাঃ) সহীহ ও মুতাওয়াতির সুত্রে বর্নিত মানযেলাতের হাদিসে বলেছিলেন, ‘হে আলী!তোমার সঙ্গে আমার সম্পর্ক মুসার সাথে হারুনের সম্পর্কের ন্যায়।তবে আমার পর কোন নবী নেই”।সুতরাং আলী(আঃ) নবুয়াত ছাড়া ২৪-৩৫ নং আয়াত পর্যন্ত বর্নিত সকল বৈশিষ্টের অধিকারী ছিলেন এবং হারুন(আঃ) যেরুপ মুসার(আঃ) উম্মতের মধ্যে শ্রেষ্ট ব্যক্তি ছিলেন হজরত আলীও সেরুপ রাসুলের(সাঃ) উম্মতের শ্রেষ্ট ব্যক্তি।