সুরা তাওবা,আয়াত# ১০০
“এবং মুহাজির(১) ও আনসারদের মধ্যে যারা ১ম সারির অগ্রগামী এবং যারা উত্তমভাবে তাঁদের অনুগমন করেছে,আল্লাহ তাঁদের প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন; এবং তাঁদের জন্য আল্লাহ এমন উদ্দানসমুহ প্রস্তুত রেখেছেন যার পাদদেশে নদী সমুহ প্রবাহিত,যেখানে তারা চিরস্থায়ীভাবে থাকবে,আর এটাই মহাসাফল্য।“
সঠিক তাফসীর(১)ঃ
মক্কার কাফিররা যখন রাসুলকে(সাঃ) অত্যধিক যাতনা দিল,তখন তিনি নিজ জন্মভুমি মক্কা ত্যাগ করে মদীনায় স্থানান্তরিত হলেন।এরই নাম ‘হিজরত’,আর এ থেকেই হিজরী সন চালু হয়েছে।আর যেসব মুসলমান মক্কায় নিজেদের বাড়ি-ঘর ছেড়ে রাসুলের(সাঃ) সঙ্গে মদীনার অধিবাসী হলেন তাঁদের ‘মুহাজির’ বলা হয়।উক্ত আয়াতে শুধু উত্তম শ্রেনীর লোকদের প্রশঙশা করা হয়েছে,সকলকে নয়;বরং তাঁদের মধ্যে যারা ১ম ঈমান এনেছিলেন।আর এটা সুষ্পষ্ট যে,হযরত আলী(আঃ)-এর আগে কেউ ঈমান আনেননি।তিনি স্বয়ং বলেছেন, ‘ রাসুল(সাঃ) সোমবারে নবুওতের দায়িত্বপ্রাপ্ত হন,আর আমি সেদিনই তাঁর প্রতি ঈমান এনেছি’।এছাড়া তিনি মুয়াবিয়ার এক চিঠীর উত্তরে এক কবিতায় এ পঙ্কতিটি উল্লেখ করেনঃ “ আমি সকল মুসলমানদের মধ্যে সর্বপ্রথম ঈমান এনেছিলাম যখন সাবালক হইনি”।এব্যাপারে সকল মুসলমান একমত।এতে কেউ কোন মতভেদ করেননি।(দুররে মানসুর,শারহে আলফীয়া,ফুসসুল মুহিম্মাহ-এ সালাবী,সাওয়ায়েকে মুহরিকা ইত্যাদি)সার কথা হল এই যে, এসব বৈশিষ্টের প্রকৃত অধিকারী হলেন হজরত আলী(আঃ)।