হুনায়নের যুদ্বে হজরত আবুবকরের দাম্ভিকতা
সুরা তাওবা,আয়াত# ২৫
“আল্লাহ তোমাদের বহুস্থানে সাহায্য করেছেন এবং হুনায়নের দিন(১) যখন তোমাদের সংখ্যাধিক্য তোমাদের দাম্ভিক করে দিয়েছিল।
সঠিক তাফসীর(১)ঃ
মক্কা ও তায়েফের মধ্যবর্তী এক স্থানের নাম হুনায়ন।মক্কা বিজয়ের পর রাসুল(সাঃ) খবর পেলেন যে, হাওয়াযিন ও সাকীফ গোত্রের কাফিররা মুসলমানদের সঙ্গে যুদ্ব করার জন্য হুনায়ন নামক স্থানে সৈন্য সমাবেশ করেছে।তিনি ১০,০০০ আনসার ও মুহাজির এবং ২,০০০ মক্কাবাসী মুসলমানকে নিয়ে তাঁদের প্রতিরোধের উদ্দেশ্যে যাত্রা করলেন।কাফিরদের পক্ষে ৪,০০০ সৈন্য ছিল এবং তাঁদের দলপতি ছিল মালিক বিন আওন নাফরী।কাফিরদের চেয়ে মুসলিমদের সৈন্যের আধিক্য দেখে হজরত আবুবকর বিস্ময়ের সাথে বলে উঠলো,’বিজয় তো আমাদের সুনিশ্চিত’।তার এ দম্ভ আল্লাহর উপর নির্ভরতার বিরোধী হওয়ায় আল্লাহ তা অপছন্দ করলেন।যুদ্বের প্রথমে যদিও মুসলিম সৈন্যদের আক্রমনে কাফির সেনারা পর্যুদস্ত হয়েছিল,কিন্তু পরে তারা সঙ্গগঠিত হয়ে পালটা আক্রমন করে মুসলিম বাহিনীকে ছত্রভংগ করে দিল।ফলে মুসলমানরা পালাতে শুরু করলেন।একপর্যায়ে রাসুলের(সাঃ) নিকট মাত্র ১০ জন সৈন্য অবশিষ্ট রইলো।তারা হলেন হজরত আলী(আঃ),রাসুলের চাচাত ভাই আবু সুফিয়ান ইবনে হারিস ইবনে আব্দুল মুত্তালিব,আব্বাস,নোফেল,ফযল ইবনে আব্বাস,রবীয়া,যুবায়ের,আবু লাহাবের ২ পুত্র উতবা ও মাতয়াব এবং ইয়ামান।হযরত আলী রাসুলের(সাঃ) সম্মুখে পতাকা ধারন করছিলেন,ফযল ও আব্বাস ডান ও বাম দিকে ছিলেন।রাসুল(সাঃ) সাহাবীদের ডেকেই চলছিলেন, কিন্তু কোন সাড়া পাচ্ছিলেন না।অবশেষে হজরত আব্বাস উচু এক ঢিবিতে দাঁড়িয়ে সাহাবীদের পুর্বের বায়াত ও শপথের কথা বার বার স্মরন করাতে থাকলেন।ফলে তারা সব ফিরে এসে প্রত্যাঘাত করলেন।রাসুল(সাঃ) এক মুঠো মাটি কাফিরদের দিকে ছুড়ে দিলেন ও তাঁদের অভিসম্পাত করলেন। ইতোমধ্যে ঐশী সাহায্য এসে গেল।পরিশেষে মুসলমানদের বিজয় হল।আর ৬,০০০ নারী,পুরুষ ও শিশু বন্দী হল।২৪,০০০ উট,৪,০০০ গরু,৩,৪০,০০০ হাজার ছাগল ও দুম্বা গনীমত পাওয়া গেল।