তেলাপোকা একটি পাখি মোয়াবিয়া একজন সাহাবা!
কিছু জ্ঞানপাপী আলেম শতশত বছর ধরে অবান্তর হাদিসের ভিত্তিতে দুশ্চরিত্র মুয়াবিয়াকে সাহাবী বানিয়ে রেখেছে৷যদিও কুরআন কারা সাহাবী হিসেবে গণ্য হবে তা স্পষ্ট করে বলে দিয়েছে তারপরও তারা নির্লজ্জের মত ফোর্থ হ্যান্ড হাদীস দেখিয়ে দাঁত কেলাচ্ছে! এবার দেখা যাক কুরআন কি বলছে?’
সূরাহ তওবাহ : আয়াত ১০০ وَالسَّابِقُونَ الأَوَّلُونَ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ وَالأَنصَارِ وَالَّذِينَ اتَّبَعُوهُم بِإِحْسَانٍ رَّضِيَ اللّهُ عَنْهُمْ وَرَضُواْ عَنْهُ وَأَعَدَّ لَهُم جَنَّاتٍ تَجْرِي تَحْتَهَا الأَنْهَارُ خَالِدِينَ فِيهَا أَبَدًا ذَلِكَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ
আর যারা সর্বপ্রথম হিজরতকারী ও আনছারদের মাঝে পুরাতন, এবং যারা তাদের অনুসরণ করেছে, আল্লাহ সে সমস্ত লোকদের প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন এবং তারাও তাঁর প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছে। আর তাদের জন্য প্রস্তুত রেখেছেন কানন-কুঞ্জ, যার তলদেশ দিয়ে প্রবাহিত প্রস্রবণসমূহ। সেখানে তারা থাকবে চিরকাল। এটাই হল মহান কৃতকার্যতা।
The vanguard (of Islam)- the first of those who forsook (their homes) and of those who gave them aid, and (also) those who follow them in (all) good deeds,- well- pleased is Allah with them, as are they with Him: for them hath He prepared gardens under which rivers flow, to dwell therein for ever: that is the supreme felicity.
সূরাহ হাদীদ : আয়াত ১০
وَمَا لَكُمْ أَلَّا تُنفِقُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَلِلَّهِ مِيرَاثُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ لَا يَسْتَوِي مِنكُم مَّنْ أَنفَقَ مِن قَبْلِ الْفَتْحِ وَقَاتَلَ أُوْلَئِكَ أَعْظَمُ دَرَجَةً مِّنَ الَّذِينَ أَنفَقُوا مِن بَعْدُ وَقَاتَلُوا وَكُلًّا وَعَدَ اللَّهُ الْحُسْنَى وَاللَّهُ بِمَا تَعْمَلُونَ خَبِيرٌ
তোমাদেরকে আল্লাহর পথে ব্যয় করতে কিসে বাধা দেয়, যখন আল্লাহই নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের উত্তরাধিকারী? তোমাদের মধ্যে যে মক্কা বিজয়ের পূর্বে ব্যয় করেছে ও জেহাদ করেছে, সে সমান নয়। এরূপ লোকদের মর্যদা বড় তাদের অপেক্ষা, যার পরে ব্যয় করেছে ও জেহাদ করেছে। যদিও আল্লাহ কল্যাণের ওয়াদা দিয়েছেন তবে তোমরা যা কর, আল্লাহ সে সম্পর্কে সম্যক জ্ঞাত।
And what cause have ye why ye should not spend in the cause of Allah.- For to Allah belongs the heritage of the heavens and the earth. Not equal among you are those who spent (freely) and fought, before the Victory, (with those who did so later). Those are higher in rank than those who spent (freely) and fought afterwards. But to all has Allah promised a goodly (reward). And Allah is well acquainted with all that ye do.
উপরের আয়াত দুটিতে সাহাবি হওয়ার জন্য দুটি যোগ্যতার কথা বলা হয়েছে- ০১. রাসুল করিম সাঃ এর প্রথম দিকের সঙ্গী হতে হবে ০২.মক্বা বিজয়ের আগে ইসলাম গ্রহনকারী হতে হবে৷ মুয়াবিয়ার উপরোক্ত দুটি যোগ্যতার একটিও নেই৷
যে সকল দুর্বল হাদিস দিয়ে মুয়াবিয়ার গ্রহনযোগ্যতা দেয়া হচ্ছে সেই হাদীস গুলির চেয়ে অনেক বেশী গ্রহনযোগ্য হাদীসে স্বয়ং রাসুল করিম সাঃ এর মুখে মুয়াবিয়ার সমালোচনা আমরা দেখতে পাই৷
# সহিহ মুসলিম ,হাদীস নম্বর – ৬২৯৮ ইবনে আব্বাস হতে বর্ণিত আছে যে, “আমি একদিন ছেলেদের সাথে খেলা করছিলাম, এমন সময় রাসুল করিম সাঃ কে আসতে দেখলাম৷আমি একটি দরজার আড়ালে চলে গেলাম৷৷কিন্তু রাসুল করিম আমার কাঁধ ধরে আমাকে ডেকে আনলেন এবং মুয়াবিয়াকে ডাকতে বললেন৷আমি ডাকতে গিয়ে তাকে ভোজনে ব্যস্ত দেখতে পেলাম এবং ফিরে আসলাম৷রাসুল করিম আবার আমাকে যেতে বললেন ,আমি আবার গেলাম এবং মুয়াবিয়াকে ডাকলাম কিন্তু সে তখনও ভোজনে ব্যাস্ত ছিল৷আমি ফিরে এসে রাসুল করিমকে এটা জানানোর পর তিনি বল্লেন ‘আল্লাহ যেন তার পেট কখনও পূর্ণ না করেন’ !”
**এই হাদীসটি ইমাম আহমাদ ইবনে হানবাল রহ. এবং ইমাম হাকিম রহ. দ্বারা পরিক্ষীত এবং স্বীকৃত৷
# আল তাবারী (৮ম খন্ড) , পৃষ্ঠা নং ১৮৬, দার আল মারিফ পাবলিকেশন, মিশর৷
এই হাদীসটি দুজন সাহাবার দ্বারা বর্ণিত হয়েছে—
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রা. হতে বর্ণিত আছে, “আমি রাসুল করিম সাঃ কে বলতে শুনেছি যে ” মুয়াবিয়ার মৃত্যু ইসলামের পথে হবেনা”!
হযরত জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ রা.হতে বর্ণিত আছে, ” আমি রাসুব করিম সাঃ কে বলতে শুনেছি ‘ মৃত্যুর সময় মুয়াবিয়া আমার উম্মত হিসেবে গ্রহনযোগ্য হবেনা’!”
** এমন সহীহ হাদীস থাকার পরও তারা কেন চার নাম্বার হাদীস নিয়ে মেতে আছে তা জ্ঞানীজনদের না বোঝার কথা নয়৷ ইসলামের ইতিহাসে প্রথম অন্তঃকোন্দল বা ফিৎনার জনক এই দুশ্চরিত্র মুয়াবিয়া৷ ৬৭৫ হিজরী সালের মে মাসে হযরত আলী কা. সাথে এই যুদ্ধ শুরু হয়৷এখান থেকেই মুয়াবিয়া সুক্ষ কৌশলে মুসলমানদের মধ্যে শিয়া-সুন্নী বিভক্তির সূত্রপাত ঘটায়৷আজ মুসলমানরা শতভাগে বিভক্ত হয়ে আছে! মুয়াবিয়া ইসলামী খিলাফতের বিলুপ্তি ঘটিয়ে নিজের কুপুত্র এজিদ কে আরব হেজাজের রাজা মনোয়ন করার মাধ্যমে রাজতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা করে৷ রাজতন্ত্রের মাধ্যমেই যুগেযুগে অযোগ্য ব্যক্তিদেরকে মুসলমানদের শাসক হবার সুযোগ তৈরী করে দেয়া হয়েছিল৷ এজিদ হতে শুরু করে মক্বার গভর্নর হুসেন শরীফ আর আজকের সৌদ পরিবারের মত অযোগ্য শাসকরা বরাবরই এই রাজতন্ত্রের ছত্রছায়ায় থেকেই লালিত পালিত হয়েছে৷ মুয়াবিয়া নিজেকে লজ্জায় কোনোদিন ‘খলিফা’ দাবী করতে পারে নাই৷শেষ পর্যন্ত তাকে ‘আমীর’ উপাধি নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে৷ ইসলামের ঘরের অভ্যন্তরের শত্রু হচ্ছে মুয়াবিয়া আর এজিদ গং এবং তাদের পা চাটা কিছু জ্ঞানপাপী আলেম৷এদের নির্মূল করতে পারলে মুসলমানদের ঐক্য ফিরে আসতে পারে৷এরা যতদিন মুসলমানদের অভ্যন্তরে আছে ততদিন মুসলমানরা কখনোই এক হতে পারবেনা৷ মুসলমানদের শুভ বুদ্ধির উদয় হোক! ______________________________________________________________
“#কাফেরদের অনেক লান্ঞ্ছনারপরেও নবীজি নিজের মাতৃভূমি মক্কা ত্যাগ করতে চাননি|কিন্তু যখন নিজের প্রাননাশেরপরিকল্পনার কথা জানতে পারেনতখন তিনি আল্লাহর অনুমতি নিয়েমদিনাতে হিজরতের সিদ্ধান্ত নেন|রাতেরবেলা হযরত আলীকেনিজের বিছানায় শুইয়ে দিয়ে গোপনে হযরত আবুবকর রা. কে নিয়ে মদিনার উদ্দেশ্যে রওনা হন| ইতিমধ্যে কাফিররা তা টের পেয়ে যায় এবং নবীজি এবং আবুবকর রা. কে ধরার জন্য একটি অনুসন্ধানী দল পাঠায়|এই দলের নেতৃত্বে ছিলেন ওয়ালিদ ইবনে উতবাহ (মুয়াবিয়ার মামা), মুয়াবিয়া ইবনে আবু সুফিয়ান এবং মুয়াবিয়ার আরও দুইআপন বড় ভাই|এই সময় নবীজি এবং হযরত আবুবকর রা . ‘ঘার আলথাউর’ (cave of bull) নামের গুহায়আত্মোগোপন করে নিজেদের সুরক্ষিত রাখেন| মক্কা বিজয়ে রআগে এইরকম কার্যকলাপ ছিলমুয়াবিয়া, তার পিতা আবু সুফিয়ানএবং মাতা হিন্দার (রাসূলকরিমের চাচা হযরত হামযা রা: এর কলিজা ভক্ষণকারীনি)|মক্কা বিজয়ের পর স্বার্থের কারণে এবং চাপে পরে তারা ইসলাম গ্রহন করে|(*সূত্র: মসনদ_লিখক ইমাম আহ্মদ হাম্বল রহঃ) দেখা যাক *কোরআন কি বলে:#নবীজিকে যারা স্বচক্ষে দেখেছেতারা সকলেই যদি সাহাবী হয়েথাকেন তবে আবু লাহাব /জেহেলও সাহাবী হিসেবে গন্য হওয়ার অধিকার রাখে ! তাহলে মুয়াবিয়া সহ ঐ সময়ের সকল মক্কা এবংমদীনাবাসীও সাহাবী !!কখনোই নয়; এমন ভ্রান্ত একটা ধারণা আমাদের শিখিয়েছে কিছু কুলাঙার আলেম সম্প্রদায়; অথচকারা সাহাবী হিসেবে গন্য হবেনতা কোরআনেই বলা আছে|কেবল মাত্র প্রথম দিকের মুহাজির এবং আনসাররা সাহাবীর মর্যাদা পাবেন, কোরআন বলে~”ওয়াসসা-বিকুনাল আউওয়ালুনা মিনালমুহা-জিরিনা ওয়াল আনস্বা-রি ওয়াল্লাযীনাত্তাবা’ঊহুম বিইহসা নির রাদিওয়াল্লা-হু আনহুম ওয়া-রাদু আনহু”
“মুহাজির এবং আনসারদের মধ্যে যারা প্রথম দিকের,যারা আন্তরিকতার সাথে অনুসরণ করেছে তাদের উপর আল্লাহ
সন্তুষ্ট (রাদিওয়াল্লা) এবং তারাও আল্লাহর উপর সন্তুষ্ট” (সূরাহ-তওবা;100)| মূলতঃ নবীজির বহুদিনের পরীক্ষিতসাথিরাই প্রথম দিকে হিজরত করেছিলেন| মদীনাতে তাদের যারা আশ্রয় দিয়েছিল সেসবআনসাররা তাদের সব উতসর্গ করেছিল|সুতরাং তাদের মর্যাদা অনেক বেশি| আর মক্কা বিজয়ের পরে যারা মুসলমান হয়েছে তাদেরমর্যাদা কখনোই এক সমান হতে পারে না,বরং তাদের মর্যাদাঅনেক কম|কোরআন বলে ~”লা ইয়াসতাওয়ী মিনকুম মানআনফাক্বা মিন ক্বাবলিল ফাতহি ওয়া কাতালা;উলা ইকা আজামু দারাজাতাম মিনাল লাযীনা আনফাকু
মিম বাদু ওয়া কাতালু” “তোমাদের মধ্যে যে মক্কা বিজয়েরপূর্বে ব্যয় করেছে এবং যুদ্ধ করেছে সেসমান নয় তাদের যারা বিজয়ের পরেব্যয় এবং যুদ্ধ করেছে বরং পদ মর্যাদায়পূর্বের তারা অধিক শ্রেষ্ঠ” (সূরাহ- হাদীদ:10)|
মুয়াবিয়া হিজরত করেনি এবং মক্কা বিজয়ের পরে সে মুসলমান হয়েছে অতএব তাকে সাহাবী বলার প্রশ্নই আসেনা|যারা এসব জেনেও মুয়াবিয়াকে সাহাবী মানে তারানির্দ্বিধায় পথভ্রষ্ট||*কিছু দলিল :মুয়াবিয়ার রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ওখেলাফত উচ্ছেদঃ ক্ষমতা মুয়াবিয়ার হস্তগত হলেইসলামী খেলাফত এর অবসান ঘটেএবং রাজতন্ত্রের সুত্রপাত ঘটে।মুয়াবিয়ার বায়াত এর পর সাদ ইবনেআবি ওয়াক্কাস মুয়াবিয়ারউদ্দেশে বলেন- হে রাজা আপনার প্রতি সালাম। (ইবনুল আসির ৩য় খণ্ড) মুয়াবিয়া নিজেও বলেছেন আমি মুসলমানদের মধ্যে সর্বপ্রথম রাজা। (আলবিদায়া ওয়ান নেহায়া ৮ম খণ্ড) হাফেজ ইবনে আসীর বলেন-মুয়াবিয়া কে খলিফা না বলেরাজা বলা সুন্নত। কারন মহানবী সাঃ বলেন আমার পর ত্রিশ বছরখেলাফত থাকবে অতঃপরবাদশাহির আগমন ঘটবে। হিজরি ৪১ সালে ইমাম হোসেন আঃ এরখেলাফত ত্যাগের মাধ্যমে সে মেয়াদ পূর্ণ হয়। ( আল বেদায়াওয়ান নেহায়া ৮ম খণ্ড)” “#মুয়াবিয়াকে ইমাম হাসান এর হত্যাকারী উল্লেখ করে আল্লামা আব্দুর রহমান জামি রাঃ তার বিখ্যাত কিতাব শাওয়াহেদূন নবুয়ত কিতাব এ লিখেন – হযরত ইমাম হাসান আঃ কে মুয়াবিয়ার আদেশেই তার স্ত্রীর মাধ্যমে বিষ দেয়া হয়েছিল।
*বিশিষ্ট সাহাবা হাজর ইবনে আদি রাঃ কে জীবিত দাফনঃ মুয়াবিয়ার নির্দেশে ৭০ হাজার এর অধিক মসজিদ এ যখন রাসূলকরিম, মওলা আলী আঃ ও তার পবিত্র বংশধরদের গালিগালাজ ও অভিসম্পত দেয়া হচ্ছিল তখন হযরত হাজর ইবনে আদি কুরআন ও হাদিস থেকে শেরে খোদা মওলা আলীর শানে বর্ণিত তা পাঠ করতে লাগলেন।
অতঃপর মুয়াবিয়ার নির্দেশে হাজর বিন আদি রাঃ ও তার সাতজন সঙ্গিকে হত্যা করা হয় অত্যন্ত নির্মমভাবে। মুয়াবিয়ার নির্দেশে তাদের কে জীবিত মাটিতে পুতে মারা হয় যাতে কেহ মুয়াবিয়ার আদেশ অমান্য করার সাহস না পান।( এই ঘটনার বিস্তারিত বিবরন তাবারী ৪র্থ
খন্ড,ইবনুল আসীর ৩য় খণ্ড,আল বেদায়া ওয়ান নেহায়া ৮ম খন্ড,ইবনে খালদুন ৩য় খণ্ড)
এই নির্মম হত্যা কাণ্ডের পর আবুল আওলিয়া হযরত হাসান বসরি রাঃ অভিমত প্রকাশ করেন যে, এ অহেতুক হত্যাকাণ্ডের কারনে মুয়াবিয়ার নিষ্কৃতি নেই। ( ইবনুল আসীর ৩য় খণ্ড, আল বেদায়া ৮ম খণ্ড) এই ঘটনা থেকে বিরত থাকার জন্য হযরত আয়েশা সিদ্দিকা রাঃ আগেই পত্রের মাধ্যমে নিষেধ করেছিলেন কিন্তু মুয়াবিয়া হযরত আয়েশার এই কথা শুনেন নি। পরে হযরত আয়েশা রাঃ মুয়াবিয়ার সাক্ষাতে আসলে
বলেন “–হে মুয়াবিয়া তুমি হাজর কে হত্যা করতে গিয়ে আল্লাহকে একটুকুও ভয় করলে না?” (আল ইস্তিয়াব ১ম খণ্ড, তাবারী ৪র্থ খণ্ড) এই সব মুনাফিক হত্যাকারীদের সম্পর্কে আল্লাহ্ কুরআন এ বলেন-
“কোন মুসলমান কে যে স্বেচ্ছায় হত্যা করবে তার শাস্তি দোজখে এবং সেথায় সে চিরস্থায়ী হবে, তার উপর আল্লাহর লানত” (সুরা নেছা ৯৩)।
*#বায়তুল_মালের_লঙ্ঘন: বায়তুল মাল হচ্ছে খলিফা বা সরকারের নিকট আল্লাহ্ ও জনগনের আমানত। অথচ মুয়াবিয়া রাজা হবার পর বায়তুল মাল কে নিজের মালে পরিনত করেছেন।
বায়তুল মালে জনগনের অধিকার বলতে কিছু ছিল না। তিনি তার ইচ্ছা মোতাবেক ভোগ ও বণ্টন করতেন। বায়তুল মালের হিসাব চাওয়ার অধিকার কারো থাকল না।জনগণ কে নির্ভর করতে হত বাদশাহর দান দাক্ষিণ্যর উপর। (ইবনুল আসীর ৪র্থ খণ্ড,আল বেদায়া ওয়ান নেহায়া ৯ম খণ্ড)
নন মুসলিম দের উপর জিজিয়া করঃ ইসলামের বিস্তার এর ফলে মুসলমান বেড়ে যায় ফলে জিজিয়া কর কমে যায়। তাই বায়তুল মালএর আয় হ্রাস পায় যা মুয়াবিয়ার ভোগ বিলাস এ ব্যঘাত সৃষ্টি হয়। তাই মুয়াবিয়া নও মুসলিম দের মধ্যে জিজিয়া কর আরোপ করা হয়। যা সম্পূর্ণ কুরআন ও সুন্নাহ বিরোধী।সাধারন মানুষের ইসলাম গ্রহন এর চাইতে ও মুয়াবিয়ার ধন সম্পদ বৃদ্ধি করাই ছিল তার কাছে অধিকনগুরুত্বপূর্ণ। (ইবনুল আসীর ৪র্থ খণ্ড) মুয়াবিয়া কুরআন এর আদেশ লঙ্ঘন করে গনিমত এর মালের মূল্যবান সোনা চাঁদি নিজেই রেখে দিতেন। (আত তাবারী, আল ইস্তিয়াব ১ম খণ্ড, আল বেদায়া ওয়ান নেহায়া ৮ম খণ্ড)|||”
_______________________________________________________________
“যে মনে মাওলা আলী(আ) এর প্রেম আছে, সে মনে মোয়াবিয়ার প্রেম স্থান নিতে পারেনা।একইভাবে মোয়াবিয়া প্রেমিকের মুখে মাওলার নাম শোভা পায় না।যে মোয়াবিয়া রাসূল(স) কে হত্যা করার জন্য অস্ত্রের মহড়া দিয়েছেন,যে মুয়াবিয়া ইমাম হাসান(আ) কে বিষপ্রয়োগে শহীদ করার মূল হোতা,যে মোয়াবিয়া মাওলা আলীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন,যে মুয়াবিয়া এবং তার পিতা আবু সুফিয়ান রাসূলের বিরুদ্ধে সকল যুদ্ধের মূল হোতা, যার চক্রান্তে মা আয়েশা(রা) ও মাওলা আলী(আ) এর মধ্যে একাধিক যুদ্ধ বিগ্রহ ঘটে, যে মোয়াবিয়া এজিদি সম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা,যার মা একজন বেশ্যা এবং রাসূলের প্রীয় চাচাজানের কলিজা ভক্ষণকারী,যেই পরিবারটাই রাসূলের চীরশত্রু তাদের প্রেম আর রাসূল(স) এর প্রেম,পাক পাঞ্জাতনের প্রেম,আহলে বায়াতের প্রেম,অলি আউলিয়ার প্রেম একসাথে থাকতে পারেনা। রাসূল(স) ও উনার আহলে বায়াত এবং রাসূলের প্রকৃত প্রেমিকদের এমন অসম্মান করার অধিকার কারো নেই।তথাপি অনধিকার চর্চায় রাসূল(স) কে অসম্মান করে,মাওলা আলী(আ) কে অসম্মান করে নিজেকে জান্নাতি হিসেবে প্রচার করা হয় কোন বিবেকে।ফাদকুলিহি ইবাদি ওয়াদ খুলিহি জান্নাতি। আমার বান্দাদের/দাসদের অন্তর্ভূক্ত হও এবং আমার জান্নাতে প্রবেশ কর।আল্লাহর বান্দা/দাস হতে পারলে জান্নাত নগত।দেখুন সসুরা ফাজর এর ২৭ নম্বর আয়াতে।দলের একটা নাম দিয়া বাকির লোভে নগত ছাড়া,এসব দেখি কানার হাটবাজার।পিতা আদম থেকে শুরু করে সকল নবীর আমলেই একজন করে মূল ষড়যন্ত্রকারী ছিল।ইতিহাসে কারো কারো নাম এখনো আছে। আমাদের রাসূলের প্রচারে ঘৃণ্য বাধাদানকারী নরকীটের নাম কি? সেই আবু সুফিয়ান,মুয়াবিয়া আর এজিদ চক্রের লোক বড় গলায় কথা বলে কি করে??আহলে বায়াতের কথা অন্তত তাদের মুখে শোভা পায় না।মোয়াবিয়ার প্রেমিক ছাড়া আর কেই বা শিয়া বলে গালি দিবে আহলে বায়াতের প্রেমিকদের।আহলে বায়াতকে ভালবাসলে তোমরা শিয়া বলে উপহাস কর।আর আবু সুফিয়ান, মুয়াবিয়া, ইয়াজিদকে ভালবেসে কোন মুখে নিজেদের মুসলিম দাবী কর তোমরা??এর চেয়ে নির্লজ্জ প্রয়াস আর কি হতে পারে???আরে বোকারাম,তোমরা কি বড়পীর সাহেবের বইও নকল করে ফেললে??কিন্তু পারনি খাজা গরীবে নেওয়াজ আজমেরী সঞ্জরী(রহ) এর মাজারের গেট টা পরিবর্তন করতে।খাজা বাবা বলেছেন,হোসাইন (আ) হলেন দ্বীনের বাদশা।তিনি আরো বলেন,আমিতো কেবল তারই গোলাম যে হোসাইন (আ) এর গোলাম। তিনি নিজেকে হোসাইন (আ) এর ঘোড়ার খুড়ের ধূলার সাথে তুলনা করতেও দ্বিধা বোধ করেন।তিনি নিজে বলেছেন,তোমরা কি মনে কর হোসাইন(আ) সেদিন পানির তৃষ্ণায় শহীদ হয়েছেন,আমি মইনুদ্দীন চিশতীর লাঠির আঘাতে এখানে পানির নহর বয়ে যাবে।ইমাম হোসাইন(আ) সত্য ও মিথ্যার পার্থক্য দেখিয়ে গেছেন।এখন হয়ত খাজা বাবাকেও শিয়া বলে গালি দিয়ে আপনারা জান্নাতের টিকেট নিবেন!!!জেনে রাখবেন খাজা বাবা বড়পীর সাহেবের আপন ভাগিনা।বড়পীর আব্দুল কাদের জিলানী (রহ) মাতা ও পিতার দিক দিয়ে আল হাসানী ওয়াল হোসাইনী।