চল্লিশ হিজরীতে পবিত্র রমযান মাসের ১৯ তারিখ রাতে খাওয়ারেজ আব্দুর রহমান ইবনে মুলজেম ( লানত) ইসলামের প্রান আমিরুল মুমিনিন হজরত ইমাম আলী ( আ.) কে হত্যার উদ্দেশ্যে (মসজিদে কুফায় ফজরের নামাজে সিজদাহ্ অবস্থায়) বিষাক্ত তরবারি দিয়ে মাথায় আঘাত করে।
এই বিষাদময় রজনীর ত্রিশ বছর আগেই ইমাম আলী (আ.) হজরত মোহাম্মদ মোস্তফা (সাঃ) এর নিকটে জানতে পেরেছিলেন যে তিনি রমযান মাসে শহীদ হবেন। তিনি বলেন – আমি রাসুলুল্লাহ সা. এর কাছে জানতে চাইলাম _ হে আল্লাহর রাসুল সা.! রমযান মাসের ভালো কাজগুলো কি কি? তিনি বল্লেন _ পাপাচার থেকে দূরে থাকা। এরপর তিনি বেদনাগ্রস্থ হয়ে কাঁদলেন এবং আমার শাহাদাতের সংবাদ দিলেন।
ইমাম যেহেতু শাহাদাতের বিষয়ে জানতেন তাই তিনি বলেন ‘ এ বছর হজ্জের সময় আমি তোমাদের সাথে থাকব না।’ উনাকে জিজ্ঞেস করা হলো কেন ইফতারের সময় এতো কম খাবার গ্রহণ করেন? তিনি বলেন : ” খালি পেটে মহান আল্লাহর কাছে যেতে চাই “।
১৯ রমযানের রাত তিনি একটুও ঘুমান নি। তিনি যখন মসজিদে আসার জন্য ঘর থেকে বের হতে নেন তখন উনার বাড়ির পালিত হাঁসগুলো উনার পায়ের কাছে এমনভাবে ঘুরতে থাকে যেন হাঁসগুলোও টের পেয়েছিলো আজকে রাতে কি হবে!! অবশেষে তিনি মসজিদে আসেন এবং নামাজের জন্য আল্লাহু আকবার তাকবির দেন। সিজদাহ অবস্থায় তিনি আঘাত প্রাপ্ত হন আর সেই সাথে মসজিদের মেহরাব রক্তে রঞ্জিত হয়। …. .. অতঃপর রক্তাক্ত অবস্থায় ইমামকে ঘরে নিয়ে আসা হয় এবং এর দু,দিন পর ২১ শে রমযান রাতে তিনি শাহাদাত বরন করেন।
( ইন্না-লিল্লাহ ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।)