(বাবা ছেলের কথোপকথন)
ছেলেঃ আচ্ছা বাবা, আমরা সেহেরী রাত্রিতেই করি না?
বাবাঃ হ্যাঁ! তাতে হয়েছে কি?
ছেলেঃ অর্থাৎ অন্ধকার থাকতেই খাওয়া শেষ করি! তাইতো?
বাবাঃ হ্যাঁরে, তোর কি হয়েছে বলতো?
ছেলেঃ আমরা এমন ভাবে সেহেরী খাই যাতে কোনভাবেই সবেহ সাদেকে না গড়ায়। কি বল বাবা!
বাবাঃ এতো পুর্ব থেকেই। হঠাৎ আজ তোর হল কি বলতো?
ছেলেঃ কিছুই হয়নি। শুধু জানতে চাচ্ছি কে ঠিক।
বাবাঃ কে ঠিক মানে? তুই কি আমাকে জ্ঞান দিচ্ছিস?
ছেলেঃ না বাবা ওমনভাবে বলতে নেই। আচ্ছা বাবা ইফতার করি কেন সুর্যাস্তের সাথে সাথে?
বাবাঃ সুর্যাস্তের পর রাত্রি তাই! এতে আবার কি হল?
ছেলেঃ তাহলে তুমি বলছ সুর্যাস্ত মানে রাত্র?
বাবাঃ অবশ্যই।
ছেলেঃ তবে সুর্যাদয়ের আগ মুহুর্ত কেন রাত্র হবে না?
বাবাঃ তখনতো চারিদিকে সাদা হয়ে যায়।
ছেলেঃ তাহলে বলতে চাচ্ছ সাদা হয়ে গেলে রাত্রি থাকে না অর্থাৎ অন্ধকার থাকাটায় রাত্রি।
বাবাঃ সুর্য ঊঠার আগ মহুর্ত ভোর বেলা!
ছেলেঃ ভোর বেলা যদি রাতের অংশ না হয় তবে সন্ধাকাল কেন রাত্রির অংশ হবে?
বাবাঃ সুর্যাস্ত রাত্রির অংশ।
ছেলেঃ বাবা সুর্যাস্তের পর যথেষ্ট আলো থাকে আর এই সময়টা সন্ধা কাল।
বাবাঃ বুঝেছি! কি রে তুই যে আমাকে গাধা বানিয়ে ফেললি?
ছেলেঃ কষ্ট পেলে বাবা! বাবা, তোমাকে সত্যটা জানালাম।
বাবাঃ তাহলে এই অসময়ে ইফতার কি শুধুই জিদ!
ছেলেঃ ওহাবীদের সৃষ্ট ইফতার শুধুই শীয়াদের উপর জিদ।
বাবাঃ তুই আবার শীয়াদের টানছিস কেন?
ছেলেঃ কারন শীয়ারা রাত্রিতে ইফতার করে এবং রাত্রিতেই সেহেরী খাওয়া শেষ করে। যা আমি ঐ শীয়াদের নিকট হতেই জেনেছি।
বাবাঃ হ্যাঁরে! ওহাবীরা কি ইচ্ছা করেই শীয়াদের বিপরীতটা করে।
ছেলেঃ তাতো স্বাভাবিক কিন্তু ওরা যে আমাদের সুন্নিদের খেয়ে ফেলছে।
বাবাঃ আমরা সুন্নিরা কি তাহলে ওহাবীদের আকিদা মানছি! সেহেরী খাই রাতে আর ইফতারী করি সুর্যাস্তে।
ছেলেঃ জ্বী বাবা! তবে বেশী না বাবা, রাত্রি আগমনের মাত্র ২০/২৫ মিনিট আগে।
বাবাঃ কিরে এতে যে আমাদের রোজা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে?
ছেলেঃ বাবা! সামান্য একটু আগে। যদিও রাত্রিতে না। এতে আর দোষের কি!
বাবাঃ মহান আল্লাহ ও রাসুল সাঃ যা আদেশ করেন তার বেশী করাও অপরাধ আবার কম করাও অপরাধ। তুই আমাকে আবারো গাধা বানিয়ে ছাড়বি! আমি আর ভুল করছি না।
বাবা ও ছেলে একসাথেঃ সুন্নি, ওহাবী, শীয়া প্রশ্ন নয়! আসুন নিজেকে প্রশ্ন করি, কেন সেহরী রাতের শেষ পর্যন্ত আর ইফতার কেন রাতের শুরুতে না, কেনইবা সুর্যাস্তে (রাত শুরুর আগে)।