👳♂️👳♂️হুজুর👳♂️👳♂️
পর্ব: ০১
প্রচারে: বেলায়েত মিডিয়া, লেখক: মো: মনিরুজ্জামান জনি
হুজুর, হুজুর [ hujura ] বি. নৃপতি, বিচারপতি, মনিব প্রভৃতিকে সম্মানসূচক সম্বোধন; প্রভু, প্রভুর নিকট (হুজুরে হাজির)। [আ. হুজুর]; যো হুজুর — হুজুর।👳♂️👳♂️
========সুফী, পির-মাজার পুজারীরা, বিভিন্ন পুজকরা ও হিন্দু মুশরিকরা হুজুর অর্থ উচ্চ্ মর্যাদাসম্পন্ন (High Ranked) বুঝিয়ে থাকে। ওদের কাছে তো আল্লাহ ভিন্ন গায়রুল্লাহই উচ্চ্ মর্যাদাসম্পন্ন।========
‘হুজুর’ এবং ‘শয়তানের ওহী’:
পাক-ভারত উপ-মহাদেশে “হুজুর” শব্দটি বহুল প্রচলিত। আসলে আমরা জানিনা এই ‘হুজুর’ মানে কি? আমাদের দেশের মোল্লা/কাট মোল্লাদেরকে হুজুর না বললে তাদেরকে অসম্মান করা হয়। একটা কথা আছে, অতিভক্তি চোরের লক্ষন।বেশী ভক্তি করতে গিয়ে ‘হুজুর’ কেন বলে তা আমার বোধগম্য নয়। এক ধরনের কথিত লোকজন যারা আলেম/মোল্লা/কাট মোল্লা টাইটেল ধারন করেছেন- তারাই এই ‘হুজুর’ শব্দের প্রবক্তা। তাদেরকে হুজুর না বললে তাদের ‘ইশক’ আসে না। আসলে ঐ সব কথিত আলেম/মোল্লা/কাট মোল্লারাই নিজেদেরকে নিজেরাই ‘হুজুর’ বানিয়েছে। কুরআন বা হাদিসে “হুজুর” শব্দটি কোথায়ও পাওয়া যায় না। যেমনটি পাওয়া যায় না “তাসাউফ” শব্দটি।আবার শোনা যায়, কিছু নকল আলেম/মোল্লা/কাট মোল্লাদের কাছে “ওহী” আসে। আর ঐ সব ‘ওহী’ আসতেই পারে। কারন, শয়তান তাদের বন্ধুদেরকে ওহী/প্রত্যাদেশ করে।মহান আল্লাহ বলেছেনঃ”নিঃশ্চয়ই শয়তানরা তাদের বন্ধুদেরকে ওহী/প্রত্যাদেশ করে-যেন তারা তোমাদের সাথে তর্ক করে। যদি তোমরা তাদের আনুগত্য কর, তোমরাও মুশরেক হয়ে যাবে।”
***সুরাহ আল-আনআমঃ আয়াত-১২১।
ওহী দুই ধরনের। যথাঃ
১) আল্লাহ নবী-রাসুলদের (আল্লাহ তাদের রুহের উপর রহমত বর্ষন করুন) কাছে ফেরেসতার মাধ্যমে ওহী পাঠিয়েছেন। যাহা আল্লাহর পক্ষ থেকে ওহী।
২) শয়তান (ইবলিশ শয়তান, জ্বিন শয়তান, মানুষ শয়তান) তার বন্ধুদের কাছে যে ওহী পাঠায় এবং পাঠাবে তা হল, শয়তানের পক্ষ থেকে ওহী।
কুরআন কারীমে আল্লাহ বারংবার উল্লেখ করেছেন যে, রাসুল (সা) কে তিনি ২টি বিষয় প্রদান করেছেন, কিতাব ও হিকমা
==={সুরা-বাকারা ১২৯,১৫১,২৩১ সুরা-আল-ইমরান ১৬৪ সুরা-নিসা ১১৩ সুরা-আহযাব ৩৪ সুরা জুমুআহ-২}
এই কিতাব হলো কুরআন কারীম যা হুবাহু ওহীর শব্দে ও বাক্যে সংকলিত হয়েছে। আর হিকমা হলো ওহীর মাধ্যম্যে প্রদত্ত অতিরিক্ত প্রায়োগিক জ্ঞান যা হাদীস নামে সংকলিত হয়েছে যা আহলেবাইতের দরজার কাছে গেলেই পাওয়া সম্ভব।
অপরদিকে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত নয় এমন কোনো কথাকে মহান আল্লাহ বা তার রাসুল (সা) এর নামে বলতে কঠিন ভাবে নিষেধ করা হয়েছে। আল্লাহর নামে মিথ্যা ও অনুমান নির্ভর কথা বলতে নিষেধ করা হয়েছে।
==={সুরা-আন’আম- ২১,৯৩,১৪৪.সুরা আশ-শুরা ২৪.সুরা আন নাজাম ২৮,৩২ .সুরা আস-সাফফ ৭ .সুরা আল আরাফ ৩৭ .সুরা ইউনুস ১৭ .সুরা হুদ ১৮ .সুরা আল-কাহাফ ১৫ .সুরা আল-আনকাবুত ৬৮}
যে কোন তথ্য গ্রহণের পূর্বে যাচাইয়ের নির্দেশ করা হয়েছে
==={সুরা আল আরাফ ৩৩ .সুরা আল হুজুরাত ৬।}