👩🦳👱♀️👵🧓👴🧕রিজিক🥖🥖👩🧑👦🧒👶👧🧔
পর্ব: ০১
প্রচারে: বেলায়েত মিডিয়া, লেখক: মো: মনিরুজ্জামান জনি
🥖🥖রিজিক বলতে কী বুঝায়? বা রিজিক মানে কী?🥖🥖
——————————————-
🥖🥖রিজিক (রিজক) রিয্ক আরবি শব্দ।
-এর অর্থ: জীবনসামগ্রী, জীবন যাপনের উপায় উপকরণ।
——————————————-
অর্থাৎ, রিজিক মানে কেবল অর্থকড়ি বা শুধু খাদ্য নয়।
- তোমার বাবা মা তোমার রিজিক।
- তোমার স্ত্রী তোমার রিজিক।
- তোমার সন্তান-সন্ততি তোমার রিজিক।
- তোমার সুস্বাস্থ্য তোমার রিজিক।
- তোমার দৃষটিশক্তি তোমার রিজিক।
- তোমার শ্রবণশক্তি তোমার রিজিক।
- তোমার চলনশক্তি তোমার রিজিক।
- তোমার পোশাকআশাক তোমার রিজিক।
- তোমার বাসস্থান তোমার রিজিক।
- তোমার আত্মীয়সজন তোমার রিজিক।
- তোমার বেঁচে থাকার সমস্ত উপায়-উপকরণ
- তোমার জীবন ধারণের সমস্ত উপায় উপকরণ
- তোমার জীবন পরিচালনার সমস্ত উপায় উপকরণ তোমার রিজিক।
- তোমার আনন্দিত হবার, সুখী হবার যতো উপায় উপকরণ তোমাকে দেয়া হয়েছে সেগুলো সবই তোমার রিজিক।
👩🦳👱♀️হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, হযরত রাসুল (সাঃ) বলেছেন, ” তোমরা আল্লাহ্কে ভালোবাস কেননা মহান আল্লাহ তাঁর নেয়ামত হতে তোমাদিগকে রিজিক প্রদান করেছেন । আল্লাহ্র ভালোবাসা পেতে হলে আমাকে ভালোবাস ( রাসুলকে) আর আমার ভালোবাসা পেতে হলে আমার আহলে বাইতকে ( আনুগাত্যপুর্ন) ভালোবাস ”
{সুত্রঃ সহীহ তিরমিজি, খঃ-৬, হাদিস-৩৭২৮ ইসঃ সেন্টার, সহীহ তিরমিজি ( সকল খণ্ড একত্রে ) পৃঃ-১০৮৫, হাদিস-৩৭৫১ তাজ কোং, মেশকাত শরীফ, খঃ-১১, পৃঃ-১৮৮, হাদিস-৫৯২২ এমদাদিয়া লাইব্রেরি ।}
👩🦳👱♀️‘নিশ্চয়ই যারা আল্লাহর কিতাব তিলাওয়াত করে, সালাত কায়েম করে এবং আল্লাহ যে রিজিক দিয়েছেন তা থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে দান করে, তারা এমন ব্যবসার আশা করতে পারে যা কখনো ধ্বংস হবে না।’
=== (সূরা ফাতির:২৯)।
👩🦳👱♀️👵🧓👴🧕রিজিক🥖🥖👩🧑👦🧒👶👧🧔
পর্ব: ০২
প্রচারে: বেলায়েত মিডিয়া, লেখক: মো: মনিরুজ্জামান জনি
🧔💞কখনও তোমরা কল্যাণ লাভ করতে পারবে না, যতক্ষণ না তোমরা তোমাদের প্রিয় বস্তু (আল্লাহ তাআলার রাস্তায়) ব্যয় না করবে।’💞
===(সূরা আল ইমরান : ৯২)
🧔💞‘কে সেই ব্যক্তি? যে আল্লাহকে উত্তম ঋণ প্রদান করবে, ফলে আল্লাহ তাকে দ্বিগুণ, বহুগুণ বৃদ্ধি করে দেবেন। আর আল্লাহই রিজিক সংকুচিত করেন এবং বৃদ্ধি করেন আর তোমাদেরকে তাঁর কাছেই ফিরে যেতে হবে।’💞
===(সুরা বাকারা : আয়াত ২৪৫)
🥖🥖রিজিকের ফয়সালা একমাত্র আল্লাহর হাতে::🥖🥖
🧔“দুনিয়ায় বিচরণকারী এমন কোনো প্রাণী নেই, যার রিজিকের দায়িত্ব আল্লাহর ওপর নেই। তাদের স্থায়ী এবং অস্থায়ী অবস্থানস্থল সম্পর্কে তিনি অবহিত। সবকিছুই একটি সুস্পষ্ট কিতাবে লেখা আছে।”
===(সূরা হুদ : ৬)
মহান আল্লাহ “রিজিক ” অন্বেষণের গুরুত্ব সম্পর্কে বলেন :
“তারপর যখন নামায শেষ হয়ে যায় তখন ভূ-পৃষ্ঠে ছড়িয়ে পড় এবং আল্লাহর অনুগ্রহ সন্ধান করো এবং অধিক মাত্রায় আল্লাহকে স্মরণ করতে থাকো। আশা করা যায় তোমরা সফলকাম হবে।”
===(সূরা আল-জুমুআ, ১০)
মহান আল্লাহ “রিজিক” অনুসন্ধানকারীদের ক্ষমতা-ইখতিয়ার সম্পর্কে আরো বলেন,
“তোমাদেরকে আমি ক্ষমতা-ইখতিয়ার সহকারে পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠিত করেছি। এবং তোমাদের জন্য এখানে জীবন ধারণের উপকরণ সরবরাহ করেছি। কিন্তু তোমরা খুব কমই শোকর গুজারি করে থাকো।”
===(সূরা আল আরাফ : ১০)
👩🦳👱♀️👵🧓👴🧕রিজিক🥖🥖👩🧑👦🧒👶👧🧔
পর্ব: ০৩
প্রচারে: বেলায়েত মিডিয়া, লেখক: মো: মনিরুজ্জামান জনি
অধিকাংশ কাজ যার মাধ্যমে রিজিক অর্জন করা যায়, তা তিনি সহজ করেছেন, কঠিন করেননি। তিনি এ ব্যাপারে বলেন:
“তিনিই তো সেই মহান সত্তা যিনি ভূপৃষ্ঠকে তোমাদের জন্য অনুগত করে দিয়েছেন। তোমরা এর বুকের ওপর চলাফেরা করো এবং আল্লাহর দেয়া রিজিক খাও। আবার জীবিত হয়ে তোমাদেরকে তার কাছেই ফিরে যেতে হবে।
===(সূরা আল মুলক : ১৫)
রিজিক বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত মূল্যবান যে সকল আমল করা যায় তা হচ্ছে :
(১) মহান আল্লাহর প্রতি ঈমান আনা ও খোদাভীতি অবলম্বন করা।
আল্লাহ তাআলা বলেন : জনপদগুলোর লোকেরা যদি ঈমান আনত আর তাকওয়া অবলম্বন করত তাহলে আমি তাদের জন্য আসমান আর জমিনের কল্যাণ উন্মুক্ত করে দিতাম কিন্তু তারা (সত্যকে) প্রত্যাখ্যান করল। কাজেই তাদের কৃতকর্মের কারণে তাদেরকে পাকড়াও করলাম।
===(সূরা আল আরাফ : ৯৬)।
তিনি আরো বলেন : যে আল্লাহকে ভয় করে, আল্লাহ তার জন্য কোন না কোন পথ বের করে দেবেন। আর তাকে রিজিক দিবেন (এমন উৎস) থেকে যা সে ধারণাও করতে পারবে না।
===(সূরা ত্বালাক : ২-৩)
(২) কৃতকর্মের জন্য তাওবা ও ক্ষমা প্রার্থনা।
তাওবা বা ফিরে আসার জন্য মৌলিক কয়েকটি শর্ত রয়েছে :
ক. যে পাপে লিপ্ত তা তাৎক্ষণিক বর্জন করা
খ. উক্ত পাপের জন্য লজ্জিত হওয়া
গ. সমকালীন সময়ে কোনোভাবেই উক্ত পাপ বা অন্যায় কাজে যুক্ত না হওয়া ও ভবিষ্যতে পুনরায় পাপে লিপ্ত না হওয়ার ব্যাপারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হওয়া।
এ কাজের মাধ্যমেও মহান আল্লাহ রিজিক বৃদ্ধির ঘোষণা প্রদান করে বলেন, আমি বলেছি:“তোমরা তোমাদের রবের কাছে ক্ষমা চাও, তিনি বড়ই ক্ষমাশীল। (তোমরা তা করলে) তিনি অজস্র ধারায় তোমাদের ওপর বৃষ্টি বর্ষণ করবেন, তোমাদের ধন সম্পদ ও সন্তানাদি বাড়িয়ে দেবেন, তোমাদের জন্য বাগান সৃষ্টি করবেন এবং তোমাদের জন্য নদীনালা প্রবাহিত করবেন।”
===(সূরা নূহ : ১০-১২)
তিনি অন্যত্র আরো বলেন:
তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের নিকট ক্ষমা চাও, আর অনুশোচনাভরে তাঁর দিকেই ফিরে এসো, তাহলে তিনি একটা নির্দিষ্ট কাল পর্যন্ত তোমাদেরকে উত্তম জীবন সামগ্রী ভোগ করতে দিবেন, আর অনুগ্রহ লাভের যোগ্য প্রত্যেক ব্যক্তিকে তিনি তাঁর অনুগ্রহ দানে ধন্য করবেন। আর যদি তোমরা মুখ ফিরিয়ে নাও তাহলে আমি তোমাদের ওপর বড় এক কঠিন দিনের আজাবের আশঙ্কা করছি।
===(সূরা হুদ : ৩)
(৩) আল্লাহর ওপর পরিপূর্ণ ভরসা করা।
“এ ব্যাপারে মহান আল্লাহর ঘোষণা- যে কেউ আল্লাহর ওপর ভরসা করে, তবে তার জন্য তিনিই যথেষ্ট। আল্লাহ নিজের কাজ সম্পূর্ণ করবেনই। আল্লাহ প্রতিটি জিনিসের জন্য করেছেন একটা সুনির্দিষ্ট মাত্রা। ”
===(সূরা ত্বালাক : ৩)
(৪) আল্লাহর ইবাদতে গভীর মনোনিবেশ করা।
এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ বলেন : হে ঈমানদারগণ! সবর ও নামাজের দ্বারা সাহায্য গ্রহণ করো, আল্লাহ সবরকারীদের সাথে আছেন।
===(সূরা আল বাকারা : ১৫৩)
👩🦳👱♀️👵🧓👴🧕রিজিক🥖🥖👩🧑👦🧒👶👧🧔
পর্ব: ০৪
প্রচারে: বেলায়েত মিডিয়া, লেখক: মো: মনিরুজ্জামান জনি
(৫) আল্লাহর পথে অর্থ ব্যয় করা।
মহান আল্লাহ তাআলা বলেন : হে নবী! তাদেরকে বলো, “আমার রব তার বান্দাদের মধ্য থেকে যাকে চান মুক্ত হস্তে রিজিক দান করেন এবং যাকে চান মাপাজোখা দেন। যা কিছু তোমরা ব্যয় করে দাও তার জায়গায় তিনি তোমাদের আরো দেন, তিনি সব রিজিকদাতার চেয়ে ভালো রিজিকদাতা।”
===(সূরা সাবা : ৩৯)
(৬) আল্লাহর পথে হিজরত করার মাধ্যমে রিজিক বেড়ে যায়।
মহান আল্লাহর ঘোষণা- “যে ব্যক্তি আল্লাহর পথে হিজরত করবে, সে পৃথিবীতে বহু আশ্রয়স্থল এবং প্রাচুর্য প্রাপ্ত হবে।”
===(সূরা নিসা : ১০০)
(৭) অপচয় ও অপব্যয় না করা। ব্যবসা-বাণিজ্য ও সম্পদ অর্জন করার ক্ষেত্রে অবশ্যই যে কোন ধরনের অপচয় ও অপব্যয় করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
এ ব্যাপারে মহান আল্লাহ বলেন : “আর আত্মীয়কে তার হক দিয়ে দাও এবং মিসকিন ও মুসাফিরকেও। আর কোনোভাবেই অপব্যয় করো না। নিশ্চয় অপব্যয়কারীরা শয়তানের ভাই। আর শয়তান তার রবের প্রতি খুবই অকৃতজ্ঞ।”
===(সূরা বনি ইসরাইল : ২৬-২৭)
======================
🥖🥖🥖🥖প্রকৃতই আল্লাহপাক ‘রাজ্জাক’ (রিযিকদানকারী)। 🥖🥖🥖🥖
আল-কুরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ রিজিক দান করেন এবং তিনি প্রবল পরাক্রান্ত’।
====(সূরা যারিয়াত : আয়াত ৫৮)।
আল্লাহ তা’আলা সৃষ্টি জগতের সকল কিছুকে রিযিক প্রদান করছেন। তিনিই উত্তম রিযিকদাতা। আল-কোরআনে এই বিশেষত্বটি এভাবে বিশ্লেষণ করা হয়েছে যে, ‘মারয়াম তনয় ঈসা বলল, হে আল্লাহ, আমাদের প্রতিপালক। আমাদের জন্য আসমান হতে খাদ্যপূর্ণ খাঞ্জা দান করুন, তা আমাদের ও আমাদের পূর্ববর্তী এবং পরবর্তী সকলের জন্য আনন্দ উৎসব এবং তোমার নিকট হতে নিদর্শনস্বরূপ হবে এবং আমাদেরকে রিযিক দান করুন আপনিই তো শ্রেষ্ঠ জীবিকা দানকারী।
===(সূরা মায়েদা : আয়াত ১১৪)।
তোমাদের জন্য রিজিক বা জীবিকার ব্যবস্থা করেছি। আর তোমরা যাদের জীবিকদাতা নও তাদের জন্যও।