আজ হতে অনেক দিন- বছর আগের একটি গল্প তুলে ধরছি। প্রায় ১০০০ বছর আগে এক রাজা বসবাস করতেন।
তার সম্পর্কে যতদূর জেনেছি তা আপনাদের সমনে উপস্থাপন করতে যাচিছ। আশা করি শেষ পর্যন্ত গল্পটির সঙ্গেই থাকবেন।
লেখক: মো: মনিরুজ্জামান জনি
প্রচারে: বেলায়েত মিডিয়া
অগ্রিম স্বাগতম!!সেই রাজার চার স্ত্রী ছিল। রাজা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন এবং হেকিমরা তার মৃত্যুর দিন ঘনিয়ে এসেছে, এ বলে ঘোষনা দিয়ে দিয়ে ছিল। পরকালীন জীবনের কথা চিন্তা করে তিনি পৃথিবীতে বেঁচে থাকা কৌশল হিসাবে নিজস্ব হেকিমের মাধ্যমে একটি পথ পেয়ে যান। যা তাকে কিছু দিন আরো বাঁচার জন্য সাহায্য করবে বলে সেই হেকিম দাবিও করেছিলেন। আর সে চিকিৎসাটি ছিল, রাজার বদলে অন্য আর একজনকে প্রানে মরতে হবে। তবে হেকিমের একটি শর্তও ছিল। আর তা ছিল যে, রাজার জন্য যে মৃত্যুর ইচ্ছা করবে তা হতে হবে সেচ্ছায় মৃত্যু বরণ, কোনরকম জোর জবরদস্তি করা যাবে না। তাহলে চিকিৎসা সম্পন্ন হবে না।এ শর্তটি শুনে রাজা রাজসভায় ঘোষণা করে দিলেন কেউ কি আছে যে সেচ্ছায় আমার জন্য নিজের প্রাণ দিবে। কয়েক দিন গত হয়ে গেল। রাজার অবস্থা খারাপ হতে আরো খারাপ হতে লাগল।তখন তার প্রধান উপদেষ্টা বললেন, আপনার স্ত্রীদের সাথে আলাপ করে দেখতে পারেন। তারাতো আপনাকে এমন ভালবাসেন যে, আপনার জন্য জান দিতে পারেন !!প্রধান উপদেষ্টার এ প্রস্তাব রাজার খুব পছন্দ হলো। তিনি খুশিতে এক এক করে চার জন স্ত্রীকে ডেকে নিজেই প্রশ্ন করা শুরু করেন:প্রথমে তিনি তার চতুর্থ স্ত্রীকে ডাকলেন। তার চতুর্থ স্ত্রীকে তিনি সবচেয়ে বেশি পছন্দ করতেন ও তার জন্য হীরা, সোনার আংটি এবং অনেক দামি পোশাক কিনে দিয়েছিলেন।আর তাই প্রথমে চতুর্থ স্ত্রীকে ডেকে জিজ্ঞাসা করলেন, “আপনি কি আমার স্থানে মারা যেতে রাজি আছেন, আমার এ মৃত্যু বিছানায় শুতে রাজি আছেন? আমার হেকিম আপনার জীবনী শক্তির বিনিময়ে আমার মৃত্যুকে হঠিয়ে নতুন জীবন দান করতে সক্ষম। শুধু আমার বদলে আপনাকে মৃত্যু বরণ করতে হবে।”চতুর্থ স্ত্রী ভয়ে আর্ত চিৎকার দিয়ে বললেন, “ওরে বাপরে, আমি এখনই মরবো না!”রাজা বললেন, আমিতো কখনও তোমাকে এক বিন্দুর জন্যও দুরে থাকতে পারি না এত ভালবাসি তোমাকে, আর সেই তুমিই কিনা ভয় পাচ্ছ??কোন উত্তর না দিয়ে সে দৌড়ে ঘর হতে বের হয়ে অন্দর মহলে নিজ কক্ষে চলে গেলেন। মুখে বলতে বলতে গেলেন, “ওরে বাপরে, আমি এখনই মরবো না!”অনেক মনকষ্ট নিয়ে, রাজা তার তৃতীয় স্ত্রীকে ডাকলেন।তৃতীয় স্ত্রীকেও তিনি ভালবাসতেন এবং অত্যন্ত গর্বিত ছিলেন এবং প্রতিবেশী রাজ্যগুলিতে তাকে সাথে করে নিয়ে যেতেন মানুষের সাথে পরিচয় করাতেন। তিনি তার তৃতীয় স্ত্রীকে ডেকেছিলেন এবং একই প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করলেন – আপনি কি আমার মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবেন? তৃতীয় স্ত্রী জবাব দিলেন যে তিনি তার নিজের জীবনকে খুব বেশি ভালোবাসেন এবং তিনি তাঁর সাথে যেতে পারবেন না এবং তাঁর মৃত্যুর পর আবার বিয়ে করবেন বলে জানিয়ে দিয়ে এই বলতে বলতে বিদায় নিলেন যে, “রাজা পাগল হয়ে গেছেন।” “রাজা পাগল হয়ে গেছেন।”।তৃতীয় স্ত্রীর হৃদয় ভাঙ্গা কথা শুনে রাজা অজ্ঞান হয়ে গেলেন। জ্ঞান ফিরলে বললেন, আমার দ্বিতীয় স্ত্রী আমার প্রয়োজনে সর্বদা আমার সাথেই ছিলেন। তাই তিনি তাকে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন তিনি কি তার স্থানে মৃত্যু বরণ করবেন কিনা?দ্বিতীয় স্ত্রী ক্ষমা প্রার্থনা করে জবাব দিয়েছিলেন যে, তিনি এ ব্যাপারে তাকে সাহায্য করতে পারবেন না তবে তাঁর জানাজার ব্যবস্থা করাবেন। কারণ আমার পর আমার সন্তানদের কে দেখাশুনা করবে। আর এ বলতে বলতে চলে গেলেন যে, “আমার বংশের গৌরব আছে, আমি রাজার রানী হবো এ মর্যাদার জন্যই বিয়ে করেছি। আপনি মরে গেলে আপনার রাজ্যকে আমিই শাসন করবো। যতো তাড়াতাড়ি মরবেন ততোই ভালো”এমতাবস্থায়, প্রথম স্ত্রী দরজায় দাড়িয়ে ভেতরে আশার অনুমতি চাচ্ছিলেন।প্রথম স্ত্রী রাজার প্রশ্ন করার আগেই অনুমতি নিয়ে বলতে লাগলেন, আমার মৃত্যুতে কি আপনি বেঁচে যাবেন। এ রাজ্য বেঁচে যাবে। উত্তরে রাজা বললেন, হ্যা। তবে আপনাকে সেচ্ছায় মৃত্যু বরণ করতে হবে। জোর করে হলে মৃত্যুকে এড়ানো সম্ভব হবে না। কিন্তু আপনি এ বিষয়ে জানলেন কিভাবে?স্ত্রী বলতে লাগলেন, “আমি ও আপনি একই শরীরের দুটি অঙ্গ। আপনার মনের অবস্থা আমি না জানলে কে জানবে। আপনি যেখানেই যান সেখানেই আপনাকে অনুসরণ করব, এমনকি তা পরকালের জীবনে হলেও। আমার জীবনের বিনিময়ে আপনি যদি আরো কিছু দিন বেঁচে রাজ্যের উপকার আসেন, তবে আমার এ নগন্য জীবনটিও কাজেতো আসলো।”কি করতে হবে বলুন?রাজা অবাক নয়নে তাকালেন এবং বললেন, আমার হেকিম আরো বলেছিল যে, সেচ্ছায় যিনি আপনার জন্য মৃত্যু বরণ করবেন তিনিই আপনার আসল প্রেমিক। আর সেই প্রেমিকই আপনার এ রোগ সারিয়ে তুলতে পারেন, আমি নই।রাজা তার প্রথম স্ত্রীকে আরো বললেন, আপনার প্রেমই আমাকে আজ থেকে অমর করেছে দিল। আমার বিছানায় আমার চাদরের নিচে শুয়ে পড়ুন। এরপর রাজা মৃত্যুর বিছানা ছেড়ে নিরুদ্দেশ হয়ে গেলেন এবং যাওয়ার সময় ওসিয়াত করে গেলেন, “আমার মৃত্যুর বিছানায় যিনি শুয়ে আছেন, আজ হতে ইনিই তোমাদের আসল রানী ও ইনিই রাজত্ব পরিচালনা করবেন আর ইনার সন্তানরাই আমার আসল পরিবার। আমার যা কিছু আছে সব এ প্রথম স্ত্রী ও তাদের সন্তানদেরকে দিয়ে যাচ্ছি।।।”এই গল্পের চারজন স্ত্রীর পরিচয় নিয়ে বাস্তব জীবনের কিছু সত্য ঘটনা প্রকাশ করছি:গল্পের চতুর্থ স্ত্রী হলেন, আমাদের প্রথম খলিফা। তিনিতো নবীজির (সা.) বিছানায় শুলেনই না বরং নবীজির হিজরতের খবর প্রকাশ করে দিবেন এ শঙ্কায় নবীজি (সা.) ছিল। তাই তাকে তিনি সঙ্গেই নিয়ে নিলেন। এরপরও প্রথম খলিফা ক্ষ্যান্ত হননি, হেরা গুহার মধ্যে চিল্লানো শুরু করে দিলেন। যখন নবীজি (সা.) জিজ্ঞাসা করলেন কেন চিল্লাচ্ছো? বললেন, সাপ কামড়েছে। অথচ আমাদের প্রথম খলিফার হয়তো জানা ছিলনা যে, মাসুমদেরকে কোন প্রানি খায় না বা কামড়ায়ও না বরং সেজদা করে। সাপে দংশন করার তো প্রশ্নই আসে না।
যেখানে মাকড়োসা জাল বুনছে, কবুতর ডিম পাড়ছে, সেখানে সাপের কি দু:সাহস?
এখানে দুটি প্রশ্নের উদ্ভব হয়:হয় প্রথম খলিফা সৃষ্টির শ্রেষ্ঠকে মনে প্রানে বিশ্বাস করে মুসলমান হননি(অর্থ: আত্মসমার্পন করেন নি) নতুবা আল্লাহর ভয় ব্যতিত তার মধ্যে মৃত্যুর ভয় বা সাপের ভয় বা কাফেরদের ভয় ইত্যাদির অত্যাধিক ছিল যে সে চিল্লাচ্ছিল!! (আরো জানুন সূরা হুজরাতের প্রথম পাঁচ আয়াতের শানে নযুলে)সুতরাং সেই চতুর্থ স্ত্রীর সুন্দর চেহেরা, সুন্দর পোশাক, সুন্দর চুল, দুর্দান্ত গহনা কোন উপকারেতো আসেই নি বরং তার উক্তি “ওরে বাপরে, আমি এখনই মরবো না!” তাকে তার নিজের মৃত্যুর সময় কাজে আসেনি। “আল মো’জামুল কবীর”পুস্তকে যার মুদ্রণ বহুবার হয়েছে যেখানে আবুবকরের মৃত্যু ও তার বাণী সম্পর্কে লিখেছেন উল্লেখ্য যে, অসুস্থতায় আক্রান্ত হযরত আবু বকর তার মৃত্যুশয্যায়ে আব্দুর রাহমান ইবনে আউফ কে লক্ষ করে বললেনঃ হায় আফসোস! তিনটি জিনিস যদি রাসূল (সা.) কে জিজ্ঞাসা করতাম! যে তিনটি কাজের ব্যাপারে বলেছিল; যে যদি না করতাম,সে তিনটি হল:১। হায় !
যদি আমি হযরত ফাতেমা যাহরার (সাঃআঃ) দরজাতে আক্রমণ না করতাম । যদিও দরজাটি এসব কারণে শুধুমাত্র আমার জন্য বন্ধ করা হয়েছিল ।২। হায় !
ফুজা’আকে যদি আগুনে পুরিয়ে হত্যা না করতাম বরং তাকে স্বাভাবিক ভাবে হত্যা করার নির্দেশ দিতাম । অথবা তাকে আজীবন কারাদন্ড দিয়ে দিতাম ।৩। হায় !
আর বনু সকীফাতে খেলাফতের বিষয়টি দু’জনের মধ্য হতে একজনের ঘাড়ে চাপিয়ে দিতাম , অর্থাৎ ওমর কিম্বা আবু উবাইদা ।
তথ্যসুত্রঃ গ্রন্থ এর নামঃ- মো’জামুল কবীর। পাব্লিশারঃ ইবনে তাইমিয়া প্রকাশনী। খন্ডঃ- ১ পৃঃ ৬২ হাদিস নং ৪৩; আরো দেখুন: তারিখে তাবারি , ৪র্থ খন্ড , পৃষ্ঠা – ৫২ / ১৩তম হিজরির ঘটনা – আব্দুল্লাহ ইবনে সাবা , ১ম খন্ড , পৃষ্ঠা – ১০৬ , হযরত যাহরার (সাঃআঃ) ঘরে অবস্থান অধ্যায় / আল আহদিস আল মুখতারাত , খণ্ড ১ , পাতা ৮৯ / ইমাম সুয়ুতি তার ‘তাদরিব আল রাবী’ এর খন্ড – ১ , পৃষ্ঠা – ১৪৪ / আল মুখতারাত , রচয়িতা – হাফিজ দিয়া আদদ্দিন মুহাম্মাদ ইবনল ওহিদ আল মাকদিসি ।
—–সংক্ষেপে বলতে চাই যে, হযরত আবু বকরের নিজ মুখের সাক্ষি দ্বারা প্রমাণিত হয়:১) আবু বকর রাসুলুল্লাহ এর অবাধ্য ছিল ।২) আবু বকরের খিলাফত টা পুরাপুরি চক্রান্ত মাধ্যমে একটি অবৈধ খিলাফত।৩) হযরত ফাতিমা তুজ যাহরা (সা. আ.) স্বাভাবিক ভাবে ইন্তেকাল করেননি। আবু বকর ও উমরের জুলুমের কারনে মা ফাতিমার (সা. আ.) অকাল মৃত্যু ঘটেছিল।গল্পের তৃতীয় স্ত্রীটি হলেন উমার যিনি হযরত মুহাম্মাদ (সা.) কে হত্যার উদ্দ্যেশ্যে বাড়ী হতে বের হয়েছিলেন.., হুদায়বিয়ার সন্ধির সময় রাসুলকে নবী কিনা সন্দেহ করা!,
“রাজা পাগল হয়ে গেছেন।” “রাজা পাগল হয়ে গেছেন।” তৃতীয় স্ত্রীর উক্তি
বাস্তবে উমার হযরত মুহাম্মাদ (সা:) কে পাগল ঘোষনা দিয়ে ঘর থেকে বিতাড়িত হয়ে তওবা করে ফিরেও আসেননি বরং মা ফাতিমার (সা. আ.)কে দৈহিকভাবে জুলুম করা ও সন্তান নষ্ট করা, বাগে ফিদাক আত্মসাত করা ও নবী (সা.) এর মৃত্যুর পর খলিফা নিযুক্ত করার পর, মৃত্যুর সময় সে ভূল স্বিকার করা ইত্যাদি।গল্পের দ্বিতীয় স্ত্রীটি হলেন, উসমান ইবনে আফফান যিনি সাহবীদের কর্তৃক হত্যা হন ইহুদি হয়ে গেছেন এ অভিযোগে, তার বংশ উমাইয়া বংশ ও তিনিই উমাইয়াদের খিলাফতের গোড়াপত্তন করেছিলেন। আর ইনিই সেই যক্কুম বৃক্ষের শিকড় যার মুল জাহান্নামে। যিনি আহলেবায়তের সদস্য ইমাম আলী (আ.) এর নিজ হস্তে লিখিত কোরআন না নিয়ে কোরআন সংকলোন করেন। এছাড়া অনেক আয়াত জ্বালিয়ে দেন, ইত্যাদি যা ইতিহাস থেকে জেনে নিবেন আশা রাখি।গল্পের প্রথম স্ত্রীটি হলেন হযরত ইমাম আলী (আ.) যিনি মাসুম। যার জন্ম কাবা ঘরে, প্রথম চোখ খুলে নবীজিকে দেখেছিলেন ও নবীজির জিহবা মোবারক চুষেছিলেন, যিনি হেরা পর্বতে হযরত মুহাম্মাদ (সা.)এর রক্ষক ছিলেন, প্রতিদিন খাবার নিয়ে যেতেন, প্রথম নামাজ পালনকারীও ছিলেন মা খাদিজার সাথে, দাওয়াতে জোলআশিরাতে ৪০ জন কোরাইশকে ১২ বা ১৩ বছর বয়সে দাওয়াত করে নিয়ে এসে ছিলেন, এবং তারা এসেছিলেনও এছাড়া খাবার খাওয়ানোর দ্বায়িত্ব পালনও তিনি করেছিলেন,এর পর হযরত মুহাম্মাদ (সা.)যখন সাহায্য চেলেন তিনি পর পর তিন দিন দাড়িয়েছিলেন। আর হযরত মুহাম্মাদ (সা.) ইমাম আলী (আ:) এর পিছন থেকে ঘাড়ে হাত দিয়ে দিয়ে অল্প উচু করে বলেছিলেন, এই আমার ওসী, আমার খলিফা, আমার সাহায্য কারী, আমার পরবর্তী মাওলা, রেসালাত শেষ ও ইমামত শুরু। ইমাম আলী (আ:)ই প্রথম ইমাম আর ইমাম মেহেদী হবেন এর শেষ ইমাম। আবু লাহাব তখন টিটকারী মেরেছিল এই বলে যে, দেখ আবু তালিব তোমাকেও তোমার সন্তানের ইমামতকে স্বীকার করতে হবে। এছাড়া প্রায় প্রতিটি পদক্ষেপে ইমাম আলী (আ:)এর শান ও মান হযরত মুহাম্মাদ (সা.)বর্ণনা করে গেছেন। সর্বশেষ গাদীরে খুমেও হযরত মুহাম্মাদ (সা.)ইমাম আলী (আ:) এর হাত উচু করে ঘোষনা করেছিলেন। আমার পরবর্তীতে ইমাম আলী (আ:)তোমাদের নেতা।আর গল্পের বিছানায় শোয়ার রহস্য, হিজরতের রাতে সেদিন ইমাম আলী (আ:)হযরত মুহাম্মাদ (সা.)এর বিছানায় নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে ছিলেন। আর পরদিন কাফেরদের গচ্ছিত অর্থ ফেরত দিয়ে তিনিও হিজরত করেছিলেন। (প্রশ্ন:হযরত মুহাম্মাদ (সা.)কি ইমাম আলী (আ:)কে কার কত অর্থ গচ্ছিত আছে বলে গিয়েছিলেন?) এরপর মদিনা থেকে দুরবর্তী গ্রামে ইমাম আলী (আ:)অপেক্ষারত হযরত মুহাম্মাদ (সা.)এর সাথে মিলিত হওয়ার পর একসাথে মদিনাতে পৌছিয়ে ছিলেন। আর এ বিছানায় কি তিনি এক রাতের জন্য শুধু শুয়েছিলেন তা নয়। বয়কটের সে তিনবছরের সময় প্রতি রাতে আবু তালিবের সন্তান ইমাম আলী (আ:),হযরত মুহাম্মাদ (সা.) এর বিছানায় শুতেন। …