ইমাম আলী (আ.) খ্রিষ্টান ধর্মের অনুসারীদের জন্য ছিলেন একজন মহান ব্যক্তিত্ব : লেবাননের প্রখ্যাত খ্রিষ্টান লেখক
ইমাম আলী (আ.) খ্রিষ্টান ধর্মের অনুসারীদের জন্য ছিলেন একজন মহান ব্যক্তিত্ব : লেবাননের প্রখ্যাত খ্রিষ্টান লেখক
লেবাননের প্রখ্যাত এক খ্রিষ্টান লেখক বলেছেন: মধ্যযুগে (পঞ্চম হতে পঞ্চদশ শতাব্দী)ইউরোপের জনগণ বিশ্বাস করতো যে, ইমাম আলী (আ.) খ্রিষ্টান ধর্মের অন্যতম মহত্প্রাণ মনীষী।
কয়েক মাস পূর্বে এ আবনা বার্তা সংস্থার ফার্সি বিভাগে একটি খবর প্রকাশিত হয়। যাতে লেবাননের প্রখ্যাত খ্রিষ্টান লেখক ‘জোর্জ জোরদাক’ সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে ঘোষণা করেন যে, ইতালি’র একটি গীর্জা হতে একটি সাইনবোর্ড পাওয়া গেছে যা হযরত আলী (আ.) এর সাথে সম্পৃক্ত।
উক্ত খবর প্রকাশিত হওয়ার পর আবনা’র সম্মানিত পাঠকগণ এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানানোর আহবান জানান। এরই ভিত্তিতে আবনার প্রতিবেদক লেবাননে জোর্জ জোরদাকে’র সাথে সাক্ষাত ও তার সাথে কথা বলেন। এ সময় আবনা প্রতিবেদক উক্ত গীর্জার ঠিকানা এবং হযরত আলী (আ.) এর সাথে সম্পৃক্ত ঐ সাইনবোর্ড সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দানের জন্য খ্রিষ্টান এ লেখকের প্রতি আহবান জানায়।
মধ্যযুগে ইউরোপের লোকজন বিশ্বাস করতো যে, ইমাম আলী (আ.) খ্রিষ্টান ধর্মের অন্যতম মহত্প্রাণ মনীষী -এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন: ইমাম আলী (আ.) এর মত অন্য কোন মুসলিম ব্যক্তির ব্যাপারে এ ধারণার জন্ম নেয়া সম্ভব যে, তিনি একজন খ্রিষ্টান ব্যক্তিত্ব, অথবা এর বিপরীতে একজন খ্রিষ্টান ব্যক্তিত্বের ব্যাপারে এমনও ধারণা জন্ম নিতে পারে যে, তিনি একজন মুসলমান। আর এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। আর ঐ ছবিটি বর্তমানে খ্রিষ্টানদের একটি গীর্জায় রয়েছে।
তিনি বলেন: ঐ গীর্জার নাম এখন আমার স্মরণে নেই। কেননা রোমে ৩ শতাধিক গীর্জা রয়েছে এবং এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদেরকে প্রশ্ন করতে হবে।
আবনা প্রতিবেদকে’র ‘আপনি কি নিজেই ঐ গীর্জায় গিয়েছেন এবং সাইনবোর্ডটি দেখেছেন -এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন: জ্বী, আমি প্রায় ১৬ বছর পূর্বে (১৯৯৫ সালে) ঐ গির্জা যেয়ারত করেছিলাম।
তিনি বলেন: আমি ধারণা করছি যে, সাইনবোর্ডটি এখনো ঐ গীর্জায় রয়েছে। কেননা সাইনবোর্ডটি ৭০০ বছর পুরাতন এবং অবশ্যই সেটাকে যত্ন সহকারে রক্ষণাবেক্ষণ করা হচ্ছে।
প্রখ্যাত এ খ্রিষ্টান লেখক সাইনবোডটি ও তাতে আঁকা ইমাম আলী (আ.) এর ছবি’র বিষয়ে বলেন: ঐ ছবি হতে এটা প্রতীয়মান ছিল যে, তিনি খুবই মহান একজন ব্যক্তিত্ব ও একজন পরিপূর্ণ মানব এবং সকল মানবিক গুণ তার মুখমণ্ডলে স্পষ্ট ছিল।
বলাবাহুল্য, আমিরুল মু’মিনীন হযরত আলী (আ.) তার সর্বোত্তম নৈতিকতার কারণে খাঁটি খ্রিষ্টানদের নিকট বিশেষ সম্মানের অধিকারী ছিলেন এবং মধ্যযুগে ইউরোপে তাকে ইতিহাসের একজন পবিত্র ব্যক্তিত্ব হিসেবে গণ্য করা হত।(সূত্র : ইন্টারনেট)