সুরা মুহাম্মাদ, আয়াত # ৩৮
“তোমরাই তো তারা যাদের আল্লাহর পথে ব্যয় করতে আহবান করা হয়,তখন তোমাদের মধ্যে কিছু সংখ্যক লোক কার্পন্য করে;আল্লাহ অমুখাপেক্ষী এবং তোমরা (তাঁরই প্রতি) মুখাপেক্ষী;তোমরা যদি বিমুখ থাক তবে তিনি তোমাদের পরিবর্তে অন্য সম্প্রদায়কে প্রতিষ্টিত করবেন এবং তারা তোমাদের মত হবে না”।(১)
সঠিক তাফসীরঃ(১)
ইবনে মারদুইয়া হযরত জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ আনসারী থেকে বর্ননা করেছেন, একদিন রাসুল(সাঃ) এই আয়াত পাঠ করলে তাকে প্রশ্ন করা হলঃ’তারা কারা?’ তখন তিনি উত্তরে বললেন, ‘তারা হল পারস্যবাসী।যদি দ্বীন সুরাইয়া তারকাতেও পৌছায় তবুও পারস্যের একদল তা হস্তগত করবে’।আবু হুরাইরার সুত্রেও অনুরুপ সুত্রেও অনুরুপ হাদিস বর্নিত হয়েছে।তাতে বলা হয়েছে,আল্লাহর রাসুল(সাঃ) সালমান ফারসীর কাঁধে হাত দিয়ে তা বলেছেন।(তাফসীরে দুররে মানসুর,৬ষ্ট খন্ড,পাতা-৬৭)।পাঠক,তাফসীরে ইবনে কাসীরেও উপরে উল্লেখিত হাদিসের ব্যাপারে ইমাম ইবনে হাতিম ও ইমাম ইবনে জরীর থেকে উল্লেখ করা হয়েছে,তবে খালিদ যনজী নামক একজনের ব্যাপারে কোন কোন ইমাম সমালোচনা করেছেন।
উপরোক্ত আয়াত ও হাদিসের সমর্থনে নিম্নের হাদিসটিও লক্ষ্যনীয়ঃ
‘সফিনাতুল বিহার’ নামক গ্রন্থের ২য় খন্ডে্র ৬৯২ পাতায় ‘ওয়ালী’ ধাতুর অধ্যায়ে বলা হয়েছেঃ “একদিন হযরত আলী(আঃ) মিম্বরে নামাজের খুতবা দিচ্ছিলেন। আরবদের প্রসিদ্ব নেতা আশয়াস ইবনে কাইস কিন্দি তাকে উদ্দেশ্য করে বললোঃ ’হে মুমিনদের নেতা!এই রক্তিম বর্নের লোকেরা(ইরানীরা) আপনার সম্মুখে আমাদের উপর প্রতিষ্টা হচ্ছে,অথচ আপনি কিছু করছেন না।একথা বলে রাগত স্বরে বললোঃআজ আমি দেখাব আরবরা কি করতে পারে।হযরত আলী(আঃ) একথা শুনে রাগত স্বরে বললেনঃ “এই স্ফীত উদররা( মোটা পেটুক আরবরা) দিনের বেলা যখন নরম বিছানায় ঘুমায় তখন ইরানী ও মাওয়ালীরা(অনারব মুক্ত দাস) আল্লাহর জন্য প্রখর রৌদ্রের নীচে কাজ করে।অথচ এই আরাম প্রিয় আরবরা চায় আমি এই পরিশ্রমি লোকদের বিতারিত করে জালিমদের অন্তর্ভুক্ত হই।সেই আল্লাহর শপথ, যিনি বীজ অঙ্কুরীত ও মানুষ সৃষ্টি করেছেন,আমি রাসুল(সাঃ) হতে বলতে শুনেছিঃ১ম যুগে তোমরা ইসলামের জন্য ইরানীদের উপর অস্ত্র চালাবে এবং পরবর্তী যুগে ইরানীরা তোমাদের উপর ইসলামের স্বার্থে তরবারী চালাবে”।(ইরান ও ইসলামের পারস্পরিক সম্পর্ক,মুলঃআয়াতুল্লাহ মুর্তাজা মোতাহারী,অনুবাদঃ হুজ্জাতুল ইসলাম এ,কে,এম,আনোয়ারুল কবির আরিফ,ষ্টুডেন্ট অফ পি,এইচ,ডি,কোম)
আমরা জানি যে,১৯৭৯ সালে ইমাম খোমেনী(রঃ)এর নেতৃত্বে ইরানে ইসলামী বিপ্লব হয়েছে এবং কোরানের শাসন প্রতিষ্টা হয়েছে। ইরানের পুর্ব নাম হচ্ছে পারস্য।