হযরত মহানবী (সাঃ) এর দৃষ্টিতে ইমাম আলী (আঃ) এর গুরুত্ব
সকল সৃষ্টির পূর্বে হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) কে এবং তাঁর পরে আলী (আঃ) কে আল্লাহ্ সৃষ্টি করেন। তাঁরা ছিল একই নূরের দুইটি অংশ।
হযরত মুসা (আঃ) এর সঙ্গে তার সাথি হিসাবে আল্লাহ্ হযরত হারুন (আঃ) কে প্রেরন করেন। একইভাবে হযরত ইব্রাহিম (আঃ) এর সাথে হযরত ইসমাইল (আঃ) কে এবং হযরত ইয়াকুব (আঃ) এর সাথে হযরত ইউসুফ (আঃ) কে আল্লাহ প্রেরন করেন ইত্যাদি। আবার সর্বশেষ এবং সর্বশ্রেষ্ঠ নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর সাথে ছিলেন আলী (আঃ)। কিন্তু তাঁদের মতো তিনি কোন নবী ছিলেন না।
হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর মতো উপরোল্লিখিত কোন নবীই তার পরবর্তী নবী কে আনুষ্ঠনিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করে যাননি যেভাবে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) গাদীরা খোমে নবী না হওয়া সত্তেও আলী (আঃ) কে সম্মুখ জনতার সামনে এই বলে প্রতিষ্ঠিত করেন যে “আজ থেকে আমি যার মওলা আলীও তাঁর মওলা”
এছাড়াও তিনি গাদীরা খোমে আলী (আঃ) কে উদ্দেশ্য করে বলেছেন ”যে আলীকে ভালবাসবে সে আমাকে ভালবাসবে এবং যে আলীর সাথে শত্রুতা করবে সে তো আমার সাথেই শত্রুতা করবে। হে আল্লাহ্ যে আলীকে ভালবাসে তুমি তাকে ভালবাস এবং যে আলীকে অপদস্থ করে তাকে তুমি অপদস্থ করো। যে আলীর পথে থাকবে সে হকের পথে থাকবে।“
আল্লাহর পক্ষ হতে এমন আদেশ এসেছিল যে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) যদি এটি প্রচার না করতেন তবে তিনি কিছুই প্রচার করেননি। (৫:৬৭)
আল্লাহর আদেশেই যেহেতু হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) -আলী (আঃ) সম্পর্কে এভাবে বলেছেন সেহেতু আলী (আঃ) মর্যাদা কতখানি সেটা আমাদের ভেবে দেখতে হবে।
উনি নবী ছিলেন না ঠিকই তবে তাঁর মর্যাদা নবীদের মর্যাদা থেকে কোন অংশে কম ছিলেন না। যেমনটি নবী (সাঃ) -আলী (আঃ) সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেন “ মুসার সাথে হারুনের যেমন সম্পর্ক আমার সাথে তোমারও সেই সম্পর্ক” আল-তাবারনি ১/৬৩
অথচ আমরা যারা নিজেদের মুসলমান বলি তারা তাঁর সম্পর্কে কিছুই জানিনা বা জানতে চেষ্টাও করি না।
এবার হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর মুখ হতে বর্ণিত আলী (আঃ) সম্পর্কে কিছু কথাঃ
“হে আলী, আমি এবং তুমি একই বৃক্ষের দুই পুষ্প”
আল-তিরমিযি ১৩/১৭৮,আল-রিয়াদ আল-নুধ্রা ২/২১৬
“যুলফিকার ছাড়া কোন তরবারি নেই এবং আলী ছাড়া কোন মুমিন নেই”
আল-তবারি ২/৫১৪,আল-রিয়াদ আল-নুধ্রা ২/১৯০
“আমিই সতর্ককারী এবং পরিচালক এবং আমার পরে তা আলী”
আল-তিরমিযি ২/১৩৫,মুসনাদ আহমাদ ১/১৫১
“সবচেয়ে ন্যায়নিষ্ঠ হচ্ছে আলী”
আল-জামি ২/২৭৬
“আলী এবং তার অনুসারীরাই হচ্ছে সত্তিকারের সফল”
মিযান আল-ইতিদাল ২/৩১৩