নাম : ফাতিমা
উপাধি : আয-যাহরা
ডাকনাম : উম্মুল আইম্মাহ (ইমামকুল জননী)
পিতা : মুহাম্মাদ ইবনে আবদুল্লাহ (সা.)
মাতা : খাদিজা বিনতে খুওয়াইলিদ (আ.)
জন্ম : ২০ জমাদিউস সানী, শুক্রবার, রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর নবুওয়াতের ৫ম বর্ষে (৬১৫ খ্রিস্টাব্দ), মক্কা নগরীতে।
মৃত্যু : ১৪ জমাদিউল উলা, ১১ হিজরি, ১৮ বছর বয়সে, মদীনায়। জান্নাতুল বাকীতে তাঁকে দাফন করা হয়।
হযরত ফাতিমা (আ.) হযরত খাদিজার গর্ভে মহানবী (সা.)-এর একমাত্র কন্যা। তিনি ছিলেন অত্যন্ত বুদ্ধিমতী, সর্বগুণে গুণান্বিতা এবং হাস্যোজ্জ্বল ব্যক্তিত্বের অধিকারী। তাঁর নসীহত, কবিতা ও বাণী থেকে তাঁর দৃঢ় চরিত্র ও মহৎ হৃদয়ের পরিচয় পাওয়া যায়। হিজরতের প্রথম বর্ষে হযরত আলী (আ.)-এর সাথে হযরত ফাতিমা (আ.) বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাঁর সন্তানদের মধ্যে ইমাম হাসান, ইমাম হোসাইন, যায়নাব এবং উম্মে কুলসুম তাকওয়া, সততা, সাহস ও দয়ার জন্য গোটা পৃথিবীর কাছে সুপরিচিত। তাঁদের চারিত্রিক বলিষ্ঠতা এবং সুদৃঢ় পদক্ষেপ ইতিহাসের গতি পরিবর্তন করে দিয়েছে।
হযরত ফাতিমা সাইয়্যেদাতুন নিসা-ইল আলামীন বা জগৎসমূহের সকল যুগের মহিলাদের নেত্রী। মহানবী (সা.)-এর কাছে আদর্শ নারী সংক্রান্ত যে সকল আয়াত নাযিল হয়েছে সেগুলোর বাস্তব নমুনা আমরা তাঁর কাছেই পাই। একজন মহিলা হিসেবে তিনি কুরআনের প্রতিটি আয়াতকে বাস্তব রূপ দান করেন।
মেয়ে, স্ত্রী এবং মা হিসেবে তিনি ছিলেন একজন পূর্ণাঙ্গ মহিলা। এ জন্যই ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের পক্ষ থেকে হযরত ফাতিমা (আ.)-এর জন্মদিনকে ‘নারী দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
মহানবী (সা.) বলেন :
- বেহেশতে সর্বপ্রথম যে প্রবেশ করবে সে হলো ফাতিমা।
- যে জিনিসে ফাতিমা অসন্তুষ্ট সে জিনিসে আল্লাহও অসন্তুষ্ট। ফাতিমা খুশি হলে আল্লাহও খুশি।
- ফাতিমা আমার অস্তিত্বের অংশ। সে দুঃখ পেলে আমিও দুঃখ পাই।
- ফাতিমা আমার অংশ। যে তাকে অসন্তুষ্ট করবে, সে আমাকে অসন্তুষ্ট করবে। যে আমাকে অসন্তুষ্ট করবে, আল্লাহ তার উপর অসন্তুষ্ট হবেন। যে আল্লাহকে অসন্তুষ্ট করবে সে অবিশ্বাসী হয়ে যাবে।
- ঈসার মাতা মারইয়াম সে যুগের সবচেয়ে সম্মানিতা মহিলা। কিন্তু আমার মেয়ে ফাতিমা সকল যুগের সকল মহিলাদের মধ্যে সম্মানিতা।
(নিউজলেটার, জানুয়ারি ১৯৯১)