<<<একটি উপমা দেই। একজন সন্মানিত ব্যাক্তি, মহসিন নামের এক সম্ভ্রান্ত ব্যাক্তির বাড়িতে দাওয়াত খেতে গিয়ে বলেলেন, আপনি কি এ বাড়ির মালিক? মহসিন সাহেব উত্তরে বললেন যে, “হ্যা, আমিই এ বাড়ির মালিক”। খাওয়া দাওয়ার পর সন্মানিত ব্যাক্তিটি আল্লাহর কাছে দোয়া করছেন যে, “হে আল্লাহ মহসিন ভাই যে সুন্দর আপ্যায়ন করেছেন তার জন্য দোয়া করছি যে তানাকে এ বাড়ির সর্বোচ্চ সম্মানিত স্থানের মালিক করে দাও।”
এরপর বাধল গন্ডগোল। মহসিন নামের বাড়ির মালিকটি বলল আমাকে কি দলিল দেখাতে হবে যে আমিই এ বাড়ির সর্বোচ্চ সম্মানিত স্থানের মালিক!” >>> কথায় বলে, মার কাছে মামু বাড়ির গল্প বলা>>>>
আপনারতো আযানের দোয়া হর হামেশাই পড়েন>>>
একটু ভেবে দেখেছেন কি এর প্রত্যেকটা কথা কতটা প্রশ্ন বিদ্ধ::
আপনারা জিজ্ঞাসা করতে পারেন কিভাবে?
আসুন তাহলে প্রথমে জানি বিটিভিতে প্রচারিত আযানের দোয়াটার অর্থ কি?
অর্থ: “হে আল্লাহ এই পরিপূর্ণ আহবান ও শাশ্বত নামাজের তুমিই প্রভু। হযরত মোহাম্মদ (সা:) কে দান করো বেহেশতের সর্বোচ্চ সম্মানিত স্থান ও সুমহান মর্যাদা। আর তাঁকে অধিষ্ঠিত করে শ্রেষ্ঠতম প্রশংসিত স্থানে, যার প্রতিশ্রুতি তুমি তাকে দিয়েছো। নিশ্চয়ই তুমি প্রতিশ্রুতির ব্যাতিক্রম করো না।
“হযরত মোহাম্মদ (সা:) কে দান করো বেহেশতের সর্বোচ্চ সম্মানিত স্থান”
অর্থাৎ হযরত মোহাম্মদ (সা:) বর্তমানে সে সর্বোচ্চ সম্মানিত স্থানে পৌছাতে পারেননি আমার দোয়াতে তিনি পৌছে যাবেন। যিনি সকলকে শাফায়াত করবেন তার জন্যে এহেন দোয়া করা বেয়াদবি নয় কি?
উত্তর: মা ফাতোমতুজ্জোহরা (সা.আ.) হলেন জান্নাতের নারীদের নেত্রী। যার নামে ৮টি জান্নাত আল্লাহ লিখে দিয়েছেনে। এছাড়া সকল নবী রাসুল যেখানে শাফায়াত নিতে হযরত মুহাম্মাদ (সা:) এর শরনাপন্ন হবেন। তার জন্য জান্নাত কি সংশয়ের জায়গা। যে তার জন্য বার বার বেয়াদবি করে নিচে নামিয়ে আবার সে স্থানে রাখার জন্য দোয়া করতে হবে?
“নিশ্চয় আপনি প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেন না।”
< অর্থাৎ আল্লাহ প্রতিশ্রুতির বরখেলাপ করে থাকেন ।(নাউজুবিল্লাহ) আর সে বিষয়ে সন্দেহের কারনেই কি এ উক্তি??>
আর আসল আযানের দোয়াটি পড়তে নিচের ছবিটি দেখুন>>