🦋🍁🍁কি অসাধারণ উদাহরণ রেখে গেলেন মা ফাতিমাহ (সা.আ.) মৃত্যুর পয়গাম শুনেও হাসলেন। তিনিই হাসতে পারেন যিনি মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত। 🦋🦋🍁🍁💙
তার পরিবারস্থ লোকদের মাঝে সবার পূর্বে আমিই তার সঙ্গে একত্রিত হব। তাই আমি হেসেছি।💙💙
৩৮৭২। উম্মুল মু’মিনীন আয়িশাহ্ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উঠা-বসা, আচার-অভ্যাস ও চালচলনের সাথে তার কন্যা ফাতিমাহ (সা.আ.)-এর অপেক্ষা বেশি সাদৃশ্যপূর্ণ আমি আর কাউকে দেখিনি। আয়িশাহ (রাযিঃ) আরও বলেন, ফাতিমাহ্ (রাযিঃ) যখনই নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট আসতেন তিনি তখনই তার নিকট উঠে যেতেন, তাকে চুমু দিতেন এবং নিজের স্থানে বসাতেন। আর নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার ঘরে গেলে তিনিও নিজের জায়গা হতে উঠে তাকে (পিতাকে) চুমা দিতেন এবং নিজের জায়গায় বসাতেন।নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (মৃত্যুশয্যায়) অসুস্থ হয়ে পড়লে তার নিকট এসে ফাতিমাহ (রাযিঃ) নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মুখের উপর ঝুঁকে পড়েন এবং তাকে চুমু দেন, তারপর মাথা তুলে কাঁদেন। আবার তিনি তার মুখের উপর ঝুঁকে পড়েন, তারপর মাথা তুলে হাসেন। আমি (আয়িশাহ) বললাম, আমি অবশ্যই জানি যে, তিনি নিশ্চয়ই আমাদের নারীদের মাঝে সর্বাধিক বুদ্ধিমতী, কিন্তু (তার হাসি দেখে ভাবলাম) অন্যান্য নারীর মত সে একজন নারীই। তারপর নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইন্তিকাল করলে তাকে আমি প্রশ্ন করলাম, কি ব্যাপার! আপনি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মুখের উপর ঝুঁকে পড়লেন, তারপর মাথা তুলে কাঁদলেন, আবার ঝুঁকে পড়লেন, তারপর মাথা তুলে হাসলেন। আপনি কি কারণে এরূপ করলেন?ফাতিমাহ (রাযিঃ) বললেন, তার জীবদ্দশায় আমি কথাটি গোপন রেখেছি (কারণ তিনি গোপন কথা প্রকাশ করা সঙ্গত মনে করতেন না)। আমাকে তিনি জানান যে, এই অসুখেই তিনি ইন্তিকাল করবেন, তাই আমি কেঁদেছি। তারপর তিনি আমাকে জানান যে, তার পরিবারস্থ লোকদের মাঝে সবার পূর্বে আমিই তার সঙ্গে একত্রিত হব। তাই আমি হেসেছি।💙💙গ্রন্থঃ সূনান আত তিরমিজী [তাহকীককৃত]
অধ্যায়ঃ ৪৬/ রাসূলুল্লাহ ﷺ ও তার সাহাবীগণের মর্যাদা (كتاب المناقب عن رسول الله ﷺ)
হাদিস নম্বরঃ ৩৮৭২https://www.hadithbd.com/print.php?hid=42199