শিশুরা কিভাবে ধর্মীয় বিশ্বাস অর্জন করে? এই প্রশ্নের সাথে সাথেই পিতামাতা ও শিক্ষকদের মনে আরো কিছু প্রশ্নের উদয় হয়। ধর্মই যেহেতু জীবনের একমাত্র পথনির্দেশ তাহলে কিভাবে আমরা ছেলেমেয়েদের ধর্মীয় শিক্ষার প্রতি অনুগত করে তুলতে পারি? কিছু কিছু ছেলেমেয়ে কেন ধর্ম বা ধর্মীয় অনুশাসনের প্রতি অবজ্ঞা বা অনীহা প্রকাশ করে। ধর্মীয় বিশ্বাস সকল মানুষেরই এক সহজাত প্রবৃত্তি। প্রশ্নগুলোর উত্তর পেতে হলে আমাদের এই ধর্মীয় বিষয়টাকে নিয়ে বেশ গুরুত্ব সহকারে আলোচনা করতে হবে।
চলুন প্রথমেই আমরা দেখি যার প্রতি নিজেদের অনুপ্রাণিত করতে চাই সেই ধর্ম জিনিসটা কি তা বুঝার চেষ্টা করি।
সকল স্বর্গীয় ধর্ম বিশ্বাসেই বিশেষ করে ইসলামে ‘দয়া’ শব্দটির ওপর সবিশেষ গুরত্ব আরোপ করা হয়েছে। ধর্মের মূলকথা হলো দয়া ও ভালোবাসা। কারণ, দয়া ও ভালোবাসা ছাড়া সর্বশক্তিমান সৃষ্টিকর্তার আরাধনা করা যায় না। ধর্ম হলো মহান সষ্টিকর্তা আল্লাহ তাআলার প্রতি আনুগত্য এবং জীবন বিধান। এর মাধ্যমেই মানব জীবনের সফলতা ও সমৃদ্ধি আসে। তাই প্রীতি ও ভালোবাসা দিয়েই ধর্মের পথে চলা উচিত। কাজেই দয়াই ধর্মীয় শিক্ষার মূল ভিত্তি হওয়া উচিত। দয়া, ভালোবাসা বাদ দিলে শিশুরা ধর্মীয় শিক্ষা পাবে না, পাবে অন্য কিছু।
শিশু-কিশোর মানসে ধর্মীয় প্রবণতার তিনটি পর্যায় রয়েছে। যেমন :
১. পর্যবেক্ষণ
২. অনুকরণ
৩. অন্তর্দৃষ্টি
এ তিনটি পর্যায় নিয়ে আমরা সংক্ষিপ্ত আলোচনায় আসতে পারি।
পর্যবেক্ষণ : শিশুর জীবনের প্রথম বছরগুলোই বিভিন্ন পরীক্ষা পর্যবেক্ষণে কেটে যায়। এ সময়ে শিশু যাকেই দেখে বা যা কিছুই দেখে পর্যবেক্ষণ করে বুঝতে চেষ্টা করে। তাই এ সময় মাতা-পিতার উচিত শিশুকে যথোপযুক্ত পরিবেশ উপহার দেয়া।
একটি ধর্মীয় আদর্শে পরিচালিত পরিবার হলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রধান সংস্থা। কারণ, শুরুতেই শিশুরা তাদের পিতা-মাতার আচার-আচরণে ধর্মীয় কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করে। তাই এ পর্যায়ে শিশুদের জন্য যথোপযুক্ত ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরা সকল পিতা-মাতারই দায়িত্ব।
আল্লাহ ক্ষমাশীল ও দয়ালু। তিনি আমাদের সাহায্য করেন। একথাগুলো শিশুসন্তানকে শিক্ষা দান করার দায়িত্ব একজন নিষ্ঠাবান পিতার। আল্লাহ তাআলা যে দয়ালু তা উদাহরণের মাধ্যমে শিশুদের বুঝিয়ে দেয়া উচিত। এতে আল্লাহ তাআলার প্রতি শিশুমনে এক দয়ার্দ্র ভাব সৃষ্টি হবে। এভাবে আমরা যদি শিশু মানসে স্রষ্টার প্রতি দয়া-ভালোবাসার ভিত্তি স্থাপন করতে পারি তাহলে সেই দয়ালু স্রষ্টার ধর্মকে গ্রহণ করা তার জন্য সহজ হয়ে উঠবে।
অনেক অজ্ঞ এবং অসতর্ক পিতা-মাতা অহেতুক আল্লাহর শাস্তির ভয় দেখিয়ে শিশুদের ভীতসন্ত্রস্ত করে তোলেন। এটা মোটেই উচিত নয়। এতে তাদের মানসিক দুর্বলতা বাড়তে পারে। পাপীরাইতো শুধু আল্লাহকে ভয় করবে। নিষ্পাপ শিশুরা কেন তাঁকে ভয় করবে? আল্লাহর প্রতি প্রকৃত যে ভয় তাতে দয়া-ভালোবাসারই অস্তিত্ব থাকে। আমরা তাঁকে ভয় পাব এ জন্য যে, হয়তো তিনি আমাদের প্রতি অসন্তুষ্ট। অন্যথায় আমাদের সাথে সৃষ্টিকর্তার প্রেম-ভালোবাসার সম্পর্কই তো বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
অনুকরণ : শিশুদের ধর্ম প্রবণতার দ্বিতীয় স্তর হলো অনুকরণ। শিশুরা যে অনেক সময় ধর্ম-কর্ম করে তা কিন্তু ধর্ম কর্মের প্রতি বিশ্বাস আছে বলেই করে তা নয়। ওরা বড়দের অনুকরণে তা করে এবং এটা নির্ভর করে শিশু জীবনের প্রথম স্তরের পর্যবেক্ষণের ওপর।
মনোবিজ্ঞানে একটি কথা আছে শণাক্তকরণ। শিশুর প্রায় তিন বছর বয়স থেকেই এই প্রক্রিয়াটি শুরু হয়। এ সময় সে তার পিতা-মাতার মতো হবার চেষ্টা করে এবং পিতামাতার আচার-আচরণের অনুকরণ করা শুরু করে। যেমন সে তার বাবার জুতো নিজে পরতে চায় কিংবা বাবার কোন কাজের অনুরূপ কাজ সেও করতে চায়। ধর্মীয় শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে শিশুদের এই অনুকরণপ্রিয়তাকে কাজে লাগানো উচিত। যথোপযুক্ত ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের পরিবেশ সৃষ্টি করা যাতে শিশুসন্তানরা সহজেই তাতে আকৃষ্ট হতে পারে।
শিশুরা সবকাজে মাতা-পিতাকেই অনুসরণ এবং অনুকরণ করার চেষ্টা করে। শিশুদের এই সময়ে যাতে কোন প্রকার বাধ্যবাধকতা আসতে না পারে সে ব্যাপারে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। কোন ব্যাপারে তাদের ওপর জোর খাটানো উচিত নয়। এ সময় ধর্মের গুরুগম্ভীর ব্যাখ্যাও শিশুদের দেয়ার দরকার নেই। খুব সহজ এবং আকর্ষণীয় পদ্ধতিই শিশুরা পছন্দ করে। ধর্ম কী, সেটা খুব সহজ ভাষায় আমরা তাদেরকে বুঝাতে পারি। এক্ষেত্রে দার্শনিক ব্যাখ্যায় যাওয়ার কোনই প্রয়োজন নেই।
উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, শ্রেণিকক্ষে ক্লাস নেবার সময় শিশুরা কোন বিষয় নিয়ে যদি কোন প্রশ্ন না করে তাহলে সেই বিষয়ের ওপর অপ্রয়োজনীয় আলাপ টেনে আনা শিক্ষকের কি দরকার। ধর্মীয় বিষয়, যেমন সৃষ্টিকর্তা, পুনরুত্থান, চিরন্তন জীবন ইত্যাদি গুরুগম্ভীর বিষয় সম্পর্কে শিশুরা যদি জানতে না চায় তাহলে আমরা শুধু শুধু তাদেরকে এ ব্যাপারে ব্যতিব্যস্ত করে তুলব কেন? এসব ব্যাপার তাদের মনে স্বাভাবিকভাবেই আসতে দেয়া উচিত। জোর করে এগুলো নিয়ে তাদেরকে চিন্তা করানো উচিত নয়। তার মনে এই নয় যে, এসব নিয়ে কখনো আলোচনা করা যাবে না। ধর্মের এসব মৌলিক বিষয় অবশ্যই আলোচনায় আসতে হবে। তবে সেটা হবে সময়মতো। শিশু জীবনের এই দ্বিতীয় স্তরে গুরুগম্ভীর বিষয় টেনে না আনাই বুদ্ধিমানের কাজ। শিশুদের মন-মেজাজে পরিপক্বতা আসার পরে এসব আলোচনার অবতারণা করা যেতে পারে।
শিশুদের কাছে ধর্মের প্রতিটি খুঁটিনাটি তুলে ধরার দরকার নেই। ধর্ম আসলে চিনির মতোই মিষ্টি এক জিনিস। কিন্তু এই চিনি যদি শিশুদের মুখে অত্যধিক পরিমাণে ঢেলে দিই তাহলে তার মৃত্যুও হতে পারে। তাই এই চিনির সাথে পানি মিশিয়ে মিষ্টি শরবত তৈরি করে একটু একটু করে শিশুর মুখে তুলে দিতে হবে।
ধর্মীয় অনুশাসন পালন করা শিশুদের ওপর ফরয নয়। তাই আমাদের এ ব্যাপারে দুঃশ্চিন্তা করার কোন কারণ নেই। ধর্মে কোন জবরদস্তি নেই। ধর্মীয় অনুশাসন পালনে কড়াকড়ি করলে উল্টো ধর্মের প্রতি অবজ্ঞার সৃষ্টি হতে পারে। তাই ভুল পথে ধর্মীয় শিক্ষা ধর্ম থেকে পলায়নী মনোবৃত্তির জন্ম দেবে।
সঠিকভাবে ধর্মীয় শিক্ষা দিতে না পারলে শিশুদের মাঝে ধর্ম সম্পর্কে ভুল ধারণার জন্ম দেবে। তারা মনে করবে ধর্ম মৃত্যুর পরে একটা কিছু। পার্থিব জীবনের সাথে তার কোন সম্পর্ক নেই। আমাদের ধর্ম বলে, এ পৃথিবীর সাথে পরকালের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। এ পৃথিবীতে ধর্ম এসেছে মানবজাতিকে কল্যাণের দিকে নিয়ে যাবার জন্য। পার্থিব জীবনের এই কল্যাণ কর্মের পরেই আসবে পরকালে।
শিশুরা নির্দিষ্ট এক আদর্শ হিসেবে মাতা-পিতা বা শিক্ষকদেরকে অনুসরণ করে। তাই মাতা-পিতা বা শিক্ষকদেরকে খুব সতর্কতার সাথে তাদের সাথে চলাফেরায়, আচার-আচরণে এবং কথা-বার্তায় ধর্মীয় আদর্শ ফুটিয়ে তুলতে হবে।
মহানবী (সা.) পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার প্রতি অত্যধিক গুরুত্বারোপ করেছেন। তিনি নিজের বেশ-ভূষার প্রতিও অত্যন্ত সতর্ক দৃষ্টি রাখতেন। খাবার-দাবারের চেয়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য আমাদের মহানবী (সা.) বেশি পয়সা খরচ করতেন। যখনই তিনি বাড়ি থেকে কোথাও বেরোতেন তখনই আগে কোন আয়না বা পানিভর্তি গামলায় নিজের চেহারা দেখে নিতেন।
তাই আমাদের উচিত যথাসম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও সুন্দর হয়ে থাকা। কারণ, অপরিচ্ছন্ন উষ্কখুষ্ক কেউ শিশুদের আকৃষ্ট করতে পারে না।
শিশুর ধর্মপ্রবণতার এই অনুকরণ স্তরে গল্প বলার যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। ধর্মের বিভিন্ন উপদেশ গল্পের মাধ্যমে উপস্থাপন করলে শিশুরা আগ্রহভরে তা শিখবে। এই পদ্ধতিতে ধর্ম শিক্ষাদানে ব্যাপক সুফল পাওয়া যায়। শিশুরা গল্পের মাধ্যমে ধর্মীয় উপদেশ থেকে শিক্ষাগ্রহণের চেষ্টা করে।
বাল্যকালে শিশুদেরকে বিভিন্ন কুসংস্কার থেকেও মুক্ত রাখা উচিত। ধর্মীয় ব্যাপারেও যাতে কোনরকম ভুল বুঝাবুঝি না হয় সেদিকে আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে। আরো একটি ব্যাপার লক্ষণীয় হলো, শিশুদেরকে পুরস্কারের মাধ্যমে উৎসাহ দেয়া উচিত এবং সেই পুরস্কার যেন কোন আকর্ষণীয় জিনিসের মাধ্যমেই হয়। ধর্মচর্চার পুরস্কার শুধু পরকালেই পাওয়া যাবে বললে শিশুরা উৎসাহ হারিয়ে ফেলবে।
অন্তর্দৃষ্টির বিকাশ : এ পর্যায়ে এসে শিশু তার শৈশব জীবন ছেড়ে কৈশোরে পদার্পণ করে। এ স্তরে এসে তার চিন্তার বিকাশ ঘটে। সে বস্তুর অস্তিত্ব, সৃষ্টিকর্তা, পরকাল এবং তার নিজের অস্তিত্ব সম্পর্কে চিন্তা শুরু করে এবং এর কারণ অনুসন্ধানে সচেষ্ট হয়।
এ চিন্তা এবং অনুসন্ধান প্রক্রিয়া বয়ঃসন্ধিকাল থেকে শুরু হয়ে যৌবনকাল পর্যন্ত চলে। একজন কিশোর বা তরুণ এখন আর অন্যকে অনুকরণ করে না। সে কিছু করার আগে এখন চিন্তা করে এবং ভলোমন্দ বিচারের চেষ্টা করে। তার মাঝে জেগে উঠেছে অনুসন্ধিৎসা। সে এখন নিজের প্রতিভা, সামর্থ্য এবং দুর্বলতা সম্পর্কেও সচেতন।
এ পর্যায়ে এসে অনেক সময় পরিচিতি বিভ্রাটও ঘটতে পারে। সৃষ্টিকর্তা, জীবনের অর্থ এবং নিজের অস্তিত্ব খুঁজতে গিয়ে সে ধর্ম বিশ্বাসের ওপর সন্দেহও পোষণ করতে পারে। এক্ষেত্রে সাধারণ উত্তরে সে সন্তুষ্ট হবে না। তাকে এ সময় যুক্তিসংগত কারণ দেখাতে হবে এবং ধর্মীয় ব্যাপারগুলো যথাযথ যুক্তি ও উদাহরণের মাধ্যমে আলোচনা করতে হবে। সঠিক ব্যাপারটি জানতে গিয়ে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব প্রকাশ পেলে তরুণ মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে। এর ফলে গতকালের ধর্মপ্রাণ ছেলেটি আজকে ধর্মবিমুখ হয়ে যেতে পারে। তাই কিশোর-কিশোরী ছেলে-মেয়ের প্রশ্নের জবাব খুব শান্ত মেজাজে দিতে হবে। তাদের ভুল প্রশ্নকেও যুক্তিসহকারে বুঝিয়ে দিতে হবে।
কিশোর-কিশোরীরা সাধারণত খুবই সত্যানুসন্ধিৎসু হয়। এ সময় তাদের কৌতুহল নিবৃত্তিতে আমাদের সহায়ক ভূমিকা পালন করা উচিত। এ সময় তাদের মনে অনেক প্রশ্ন এসে ভীড় করে। অনেক সময় এতে তারা অবাক এবং স্তম্ভিতও হয়। এই মানসিক অবস্থা চরম আকার ধারণ করতে পারে। যেমন ধর্মকর্ম করতে গিয়ে তারা কঠোর পরিশ্রমে লিপ্ত হয়ে পড়ে এবং পরে একসময় বিরক্ত হয়ে ধর্মকর্ম একেবারেই ছেড়ে দেয়। এ অবস্থা চলতে দেয়া উচিত নয়। তরুণ-তরুণীদের জীবনের এই জটিল স্তর পার হওয়ার জন্যই অভিজ্ঞ এবং আদর্শ পিতা-মাতা ও শিক্ষকের দরকার হয়। এ সময় তরুণ মনে নানা ভাবের আদান-প্রদান হয়। তার মানসিক বিকাশ ঘটে। নানা বিষয়ে যেমন সত্য, ন্যায় বিচার, যুক্তি প্রভৃতি সে বুঝতে পারে। ইতিমধ্যেই হয়তো তার মানসিক অবস্থার হঠাৎ পরিবর্তন হতে পারে। এ সময় দক্ষ চিকিৎসকের মতো তার আবেগ-অনুভূতির মোকাবেলা করতে হবে। তাকে হতাশ না করে যথাসম্ভব সদুত্তর দানের চেষ্টা করতে হবে। কারণ, এখন সে আর আগের মতো শিশু নেই। তাই শিশুর সাথে যে আচরণ করা যায় তার সাথে সেই আচরণ করলে চলবে না। তার ব্যক্তিত্বের পরিপ্রেক্ষিতেই তার সাথে আচার-আচরণ হওয়া উচিত।
এভাবে উপরোল্লিখিত তিন স্তরের আলোকে যদি আমরা প্রত্যেক স্তরে যথাযথ ভূমিকা রাখতে পারি এবং আমাদের ছেলে-মেয়েদের বা ছাত্র-ছাত্রীদের প্রশিক্ষণ দেয়ার আগে যদি নিজেরা প্রস্তুতি গ্রহণ করি তাহলে সুফল অবশ্যম্ভাবী। এভাবে এগোতে পারলে শিশু-কিশোর মানসে ধর্মগ্রহণ প্রবণতা বৃদ্ধি পাবে এবং খুব অল্প সমস্যারই মোকাবেলা করতে হবে। আর এই প্রক্রিয়ায় একাধারে পরিবার, স্কুল, কলেজ, স্থানীয় মসজিদ, সংবাদ মাধ্যম এবং দেশের সাংস্কৃতিক পরিম-লের মাঝে পারস্পরিক সহযোগিতামূলক সম্পর্ক থাকা বাঞ্ছনীয়।
আমরা এমন দিনটির আশা করি যেদিন সমাজের প্রত্যেকের জীবনে ধর্ম এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসাবে থাকবে। আমাদের সামাজিক আদর্শের মাপকাঠি হবে ধর্ম এবং তার মাধ্যমে আমরা সমৃদ্ধি ও কল্যাণের দিকে এগিয়ে যাব ইনশাআল্লাহ।